![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত বছর ঠিক এই সময়, পাড়ার এক ছোট ভাই অর্কর সাথে অফিস থেকে আসার সময় দেখা হইলে অর্কের সাথে একটা খাবার দোকানে ঢুকি উদ্দেশ্য কিছক্ষন আড্ডা দেওয়া, এরপর ওকে জিজ্ঞেস করলামঃ
- এই তোমার কি হইছে? ফেসবুকে এইসব পোস্ট করো কেনো?
- ভাইয়া আমার ব্রেক-আপ হয়ে গেছে।
- কি বলো এইসব? এতো প্রশংসা করলা সেইদিন তোমার গ্রার্লফ্রেন্ডের! নাম কি ছিলো জানি তোমার জিএফ এর?
- নাম জ্যোতি, ভাইয়া। না ভাইয়া, তেমন কিছুনা সামান্য ঝগড়াটেই ব্রেক-আপ করে ফেলছে।
- হুম ।
- ৫ মাস হয়ে গেছে ভাইয়া, ৫ মাস ধরে আমার ফোনও ধরে না। অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু ওর সাথে ৫ মিনিটও কথা বলতে পারি নাই।
- বলো কি? ফোনে ধরলে কি হয় ওর?
- মানে ভাইয়া আমার ফোনই ধরে না। কোন যোগাযোগই নাই। ভাইয়া একটা ফোন করতে পারি আপনার মোবাইলটা দিয়ে?
- হ্যাঁ, করো।
আমার ফোনটা নিয়ে রেস্টুরেন্টের একটা কোনায় চলে যায় আর ঠিক ২ মিনিট পর আসে। আসার পর ওর চেহারা দেখে আমিতো অবাক, বলে "ভাইয়া থ্যাংকস, আপনার জন্য অনেকদিন পর ওর সাথে একটু কথা বললাম" ফোনে দেখলাম মাত্র ১:১২ সেকেন্ড কথা বলছে তাতেই ওর চেহারা অনেক উজ্জ্বল হয়ে গেছে। অনেক হাসি-খুশি লাগছিলো অর্ককে। যেনো মেয়েটা কোন জাদু করছে অর্ককে।
মনে মনে ভাবলাম জ্যোতি আসলেই অনেক লাকি। এরকম একজন ভালোবাসার মানুষ ওর জন্য পৃথিবীতে আছে। ও মনে হয় বুঝতে পারছেনা যে অর্ক ওকে কতটা ভালোবাসে। অর্কর কোন কিছুর অভাব নাই, বাবা-মা ভালো চাকরী করে, অর্ক নিজেও ভালো চাকরী করছে কিন্তু তারপরও অর্কের মধ্যে একটাই শূন্যতা! সেইটা হচ্ছে জ্যোতি। মনে মনে আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম “অর্ক যাতে জ্যোতিকে বিয়ে করতে পারে”।
ঠিক ১ মাসের একটু বেশিদিন পর অর্ক এক রাতে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তন্ময় ভাইয়া একটু নিচে আসবেন? আপনার সাথে একটু কথা আছে।
- ভাইয়া কেমন আছেন?
- ভালো, তোমার কি খবর অর্ক?
- এইতো চলে যাচ্ছে। তন্ময় ভাইয়া আপনাকে একটা কথা বলার জন্য ডাকলাম।
- কি কথা বলো?
- ভাইয়া আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, ৪ দিন পরই বিয়ে।
- কি বলো? কংগ্রাচুলেসন! তোমার ওই জিএফ এর সাথে?
- না ভাইয়া এর্যাঞ্জ। মা ঠিক করছে।
- তোমার এক্স কি জানে?
- না ভাইয়া জানাই নাই। জানাবো কিভাবে? আমার তো ফোনই ধরে না। লাস্ট ও আমাকে ফোন দিয়ে সবকিছু মানা করে দিছে। আগে মাঝে মাঝে মেইল করতাম সেইটাও বন্ধ করে দিতে বলছে। তাই আর ওকে ফোন দিবার সাহসই হয় নাই ভাইয়া। ও বুঝে না, ও যখন আমার ফোন ধরে না তখন আমার কতটা খারাপ লাগে।
- হ্যাঁ তাইলে আর ফোন দিওনা ওকে।
- আমার বিয়ে ঠিক করার আগে আমার "মা" জ্যোতিকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছিলো? তখন আমার "মা" কে বলছে, যে আপনার ছেলেকে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দেন। বলেন এখন আমার আর কি করার আছে?
- না তুমি আর কি করবা? বাদ দাও ওইসব, এখন ভালো হয়ে থাকো। নতুন জীবন শুরু করো।
- ধ্যনবাদ ভাইয়া, দোয়া করবেন আমার জন্য।
- অবশ্যই দোয়া করবো।
আজকে অনেক দিন পর আজকে অর্ক আর অর্কের বউকে দেখলাম। পাড়ার অন্য মানুষের মুখে শুনা যে, অর্ক নাকি ভীষণ বউ পাগল। বউকে নাকি যমের মতো ভয় পায় অর্ক। ঠিক তখনই অর্কের এক্স গার্লফ্রেন্ডের কথা মনে পরলো আমার? কি জানি নাম ছিলো মেয়েটার? হ্যাঁ মনে পরছে জ্যোতি। নিজের চোখে দেখা যে, “অর্ক কি পরিমান জ্যোতিকে কে ভালোবাসতো।“ বোধহয় জ্যোতির একটু সুখের জন্য অর্ক সবকিছু করতে পারতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে অর্ক তার শেষ কথা গুলা ঠিক সময় জ্যোতিকে আর বলতেই পারলো না। আজকে ওদের ২ জনকে(অর্ক আর অর্কের বউকে) দেখে মনে হইলো মেয়েটা অর্ককে একটা সুযোগ দিলে অত্যন্ত ভুল করতো না। কারন পাগলের মতো করে কাউকে ভালোবাসা মনে হয় অর্কের পক্ষেই সম্ভব।
আগের পর্বঃ Click This Link
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
হেল কিচেন বলেছেন: ঠিক বলছেন ভাইয়া।
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২৯
হেল কিচেন বলেছেন: ১ম পার্তটা পইড়েন।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: "সুযোগ দিত.."...বইলা তো আপনে পোলাটারে ছোট করতাসেন মিয়া ভাই! ক্যান পোলাটা কি বানের জলে ভাইসা আইসে না কি???
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭
হেল কিচেন বলেছেন: ভাইয়া আগের পার্টটা পড়েন ভাইয়া।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২০
হেল কিচেন বলেছেন: পরের পার্টটা পড়েন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
জ্যোতি পাগল ভালোবাসতো না; ষে একতা মানুষকে চায় সাথী হিসেবে।