নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাহিদা আক্তার তান্নি। বিবিএ ৪র্থ বর্ষ (হিসাববিজ্ঞান)।নোয়াখালি সরকারী কলেজ, নোয়াখালী।

নাহিদ তান্নি

নাহিদা আক্তার তান্নি

নাহিদ তান্নি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: স্বপ্নগাঁথা

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

গল্প: স্বপ্নগাঁথা
নাহিদা তান্নি
-------------
মালার বয়স সাত কি আট বছর। সহজ সরল গ্রাম্য বালিকা। গরীব ঘরের সন্তান। তার বাবা কলিমুদ্দিনের আয় রোজগার তেমন ভাল না। বড় বড় মার্কেটগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের বর্ণমালার বই বিক্রি করে । আর তার মা রোকেয়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের বাসায় কাজ করে। মালার ছোট দু’টি বোন আছে। নদী ও ছবি। ওরা জমজ বোন। বয়স প্রায় ৪ বছর।

মালার বাড়ির আশেপাশে তার বয়সী সব বাচ্চারা যখন স্কুলে যায়, মালারও খুব ইচ্ছে করে স্কুলে যেতে। কিন্তু তা সে করতে পারে না। নদী ও ছবিকে নিয়ে তাকে থাকতে হয় সারাদিন।

রোকেয়া খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে। সকাল সকাল ঘর ঝাড়ু দিয়ে, রান্নাবান্না শেষ করে কাজে বেরিয়ে যায়। তাই মালাকে ঘরে থেকে তার ছোট বোনদের দেখাশোনা করতে হয়। মালা একদম যে স্কুলে যায়নি তা নয়। হাতে গোনা কয়েকদিন গিয়েছিল।সে কয়েকদিন রোকেয়া নদী ও ছবিকে সাথে নিয়ে যেত। কিন্তু সেখানে তারা খুব দুষ্টুমি করত। রোকেয়া কাজ করতে পারত না। তাই বাধ্য হয়ে তাকে মালার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে হল। কারণ তার কাজ ছেড়ে দেওয়াও সম্ভব না। ঘরের অভাব অনটনের কারণে তাকে অন্যদের বাসায় কাজ করতে হয়।

একদিন মালা তার ছোট দু’বোনকে নিয়ে উঠানে খেলছিল। সে তাদের নারিকেল পাতা দিয়ে চশমা, ঘড়ি, বাঁশি ইত্যাদি বানিয়ে দিচ্ছিল।তিন বোন মিলে খেলনাগুলো দিয়ে খুব মজা করে খেলছিল। ছবি হঠাৎ করে নদীর চোখ থেকে চশমাটি টেনে নিয়ে নষ্ট করে ফেলল। চশমা থেকে নারিকেলের শলাটি খুলে নিয়ে পাতার অংশটুকুও ছিড়ে ফেলল।নদী উঠানে গড়িয়ে গড়িয়ে কান্না করতে লাগল। নদীর কান্না দেখে ছবি দু’হাতে তালি দিতে লাগল।রাগে নদী ছবিকে উঠানে ফেলে দিল। এবার ছবিও কাঁদতে লাগল জোরে জোরে। মালা কারও কান্না থামাতে পারছিল না।

কান্না থামাতে না পেরে মালা রান্নাঘরে গেল ছোট বোনদের জন্য কোন খাবার পায় কিনা দেখতে। কিন্তু রান্নাঘরে পানি ছাড়া কিছুই ছিল না। ঘরে চাল ছিল বা বলে রোকেয়া আজ ভাত রান্না করে যেতে পারেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে মালা সামান্য একটু চিনি পেল, যেটা ছিল চিনির পাত্রের সাথে জমাট বাঁধানো। ঐ একটুকু চিনি দিয়েই মালা তার দু’বোনকে শরবত করে খাওয়াল।শরবত খেয়ে নদী ও ছবি কান্না বন্ধ করল। দুপুর হয়ে এলে মালা দু’বোনকে গোসল করিয়ে দিল। বোনদের ঘরে রেখে এসে উঠানে তাদের জামা কাপড় শুকাতে দিচ্ছে এমন সময় মালা দেখল তার খেলার সাথীরা স্কুল থেকে ফিরছে। মালার খুব মন খারাপ হল ওদের দেখে।ওর বন্ধু বান্ধবেরা স্কুলে গিয়ে কত কিছু শিখে, কত মজা করে।অথচ সে স্কুলে যেতে পারে না। এসব ভেবে তার খুব কষ্ট হতে লাগল।
রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে যায় তখন মালা তার বাবার বিক্রির জন্য রাখা বইগুলো লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে।পড়ার চেষ্টা করে কিন্তু দু’এক অক্ষরের বেশি পড়তে পারে না। স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পর বাবা মায়ের কাছে সে অনেক কান্নাকাটি করেছে স্কুলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা রাজী হল না। বরং অনেক বকাবকি খেতে হয়েছে তাকে।

ঘরের ভেতর থেকে হঠাৎ নদী ও ছবির ডাক শোনা গেল। বুবু , বুবু বলে তারা মালাকে ডাকতে লাগল।মালা দৌড়ে গেল তাদের কাছে।

নদী বলে উঠল, “ক্ষিদা লাগছে বুবু। ভাত দাও না তারাতারি।’’
ছবি ক্ষুধার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রইল মালার দিকে।

মালা জানে আজ তার মা ভাত রেঁধে যেতে পারেনি। কিন্তু ছোট বোনগুলোকে সে একথা বলতে পারছে না। সে তাদেরকে একটু পর ভাত খেতে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বেরিয়ে এল।
কি করবে বুঝতে না পেরে মালা পাশের ঘরের রুনুর মায়ের কাছে গিয়ে বলল, “খালা, আমার বইনগো লাইগা চাইরডা ভাত দিবার পারবেন? মা আইজ ভাত রাইন্দা যাইতে পারে নাই।”

রুনুর মা মালাকে এক প্লেট ভাত দিল। সাথে দু’টা আলু সিদ্ধ। বিনিময়ে মালাকে দিয়ে অনেকগুলো থালা বাসন ধুইয়ে নিল।রান্নাঘরের চুলোগুলোও লেপিয়ে নিল।
ঘরে ফিরে আলু সেদ্ধর সাথে একটু লবন মিশিয়ে আলু ভর্তা বানিয়ে নিল।তা দিয়েই ছোট বোনদের ভাত খাওয়াল। আর নিজে ক্ষুধার্তই রয়ে গেল।

বিকেলবেলা কাজ শেষে রোকেয়া ঘরে ফিরল। তার মেয়েগুলো না খেয়ে আছে ভেবে ঘরে ফেরার পথে সে ৫/৬টি রুটি কিনে আনল। তার কাছে টাকা ছিল না। শেষ যে বাসায় কাজ করেছে ঐ বাসার কর্ত্রী থেকে ১০টাকা চেয়ে নিয়েছিল যেটা তার মাসিক বেতন থেকে কাটা যাবে। তার মাসিক বেতনও বেশি না। মাসে ৩০০টাকা।সে ৩টি বাসায় কাজ করে। সারাদিনের খাটুনিতে অল্প বয়সেই শরীর ভেঙ্গে গিয়েছে।

ঘরে ঢুকে রোকেয়া দেখল ছবি ও নদী ঘুমিয়ে আছে।মালা ওদের পাশে শুয়ে আছে। কিন্তু সে জেগে আছে।
রোকেয়া মালার দিকে তাকিয়ে বলল,খুব খিদা লাগছে, না?
মালা চুপ করে রইল।
রকেয়া বলে উঠল, কতা কস না কা রে?
মালা জবাব দিল, হ, মা। খুব খিদা লাগছে ।
রোকেয়া মেয়েকে কাছে টেনে বলল, আয় মা। রুটি খা।
মালা শুকনো একটা রুটি ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেল।রোকেয়াকে খেতে বললে সে খেল না। বলল পরে খাবে।
নদী ও ছবির দিকে তাকিয়ে সে বলল, খিদায় ওরা গুমাইয়া গেছে, না?
মালা বলল যে ওরা ভাত খেয়েছে। রোকেয়া আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল, ভাত কই পাইলি!
মালা তখন মা’কে সব খুলে বলল।
রোকেয়া মালাকে বুকে টেনে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল, তুই অনেক বড় হইয়া গেছস রে মা। অনেক বড়।

রাতের বেলা নদী ও ছবি খাবার চাইলে রোকেয়া বেঁচে থাকা রুটিগুলো তিন মেয়েকে খাওয়াচ্ছিল।
মালা বলল, তুমি তো সারাদিনে কিছুই খাওনাই। আমগো লগে খাও।
রোকেয়া উত্তর দিল, তোরা খাইলেই আমার পেট ভইরা যাইব। তোরা খা।
মালা তবুও জোর করে একটা রুটি মায়ের হাতে দিয়ে দিল। রোকেয়া একটু পর খাবে বলল।কিন্তু সে তা পরে আর খেল না।মালার বাবা সারাদিনে কিছু খেয়েছে কি খাইনি এটা ভেবে রুটিটা রেখে দিল।

রাত ১০.৩০ বেজে গেল। মালা, নদী, ছবি সবাই ঘুমিয়ে গেল। কলিমউদ্দিন এখনো ফেরে নি। রোকেয়া অপেক্ষা করছে তার স্বামীর।
রাত ১১টার দিকে কলিমউদ্দিন ঘরে ফিরল। ঘরে ফেরার সময় দু’কেজি চাল আর আধা কেজি আলু নিয়ে এল।
রোকেয়া ভাত রান্না করে আলু ভর্তা দিয়ে কলিমউদ্দিনকে খেতে দিল। ভেবেছিল আলু ভাজি করে দেবে। আলু ভাজি কলিমউদ্দিনের খুব পছন্দ। কিন্তু তেল ছিলনা বলে আলু ভর্তা করতে হল।খেতে বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, মাইয়াগুলা আমার ভাত না খাইয়াই ঘুমাইয়া গেল। আর আমি ভাত খাইতে বইছি!
রোকেয়া বলল, হেরা রুটি খাইছে। আপনি খান তো।
- তুমি খাইতাছোনা ক্যান?
-আমার ক্ষিদা নাই। আমি আফনেরে বাতাস করি। আফনে খান।
-ক্ষিদা নাই? নাকি কইমা যাইবো বইলা খাইতাছো না?

নিজ হাতে কলিমউদ্দিন রোকেয়াকে এক লোকমা ভাত খাইয়ে দিল।
রোকেয়া লজ্জা পেয়ে বলল, কি করতাছেন আফনে! মাইয়ারা দেখলে কি কইব?
কলিমউদ্দদিন বলল, তাইলে সুন্দর কইরা একখান থালায় ভাত লইয়া খাও।
তারপর তারা একসাথে বসে ভাত খেল।

খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যেতে যেতে রাত সাড়ে ১২টা বেজে গেল। ক্লান্ত শরীর নিয়ে দু’জনই ঘুমিয়ে পড়ল।

রাত ১টার দিকে মালার ঘুম ভেঙ্গে গেল। সে স্বপ্নে দেখেছে যে , সে স্কুলে যাচ্ছে। গায়ে স্কুল ড্রেস। কাঁধে ব্যাগ। চুলে দু’বেণী করা। স্বপ্ন দেখতে দেখতেই হঠাৎ সে জেগে গেল।

একটু পর চুপচাপ সে তার বাবার বইয়ের বান্ডেল থেকে একটা বই বের করে নিল। কেরোসিনের বাতির আলো দিয়ে কিছুক্ষণ বইয়ের পৃষ্ঠার ছবিগুলো উল্টেপাল্টে দেখে সে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। অন্যসময় সে বই আবার বইয়ের জায়গায় রেখে দেয়।
কিন্তু আজ কেন যেন সে বইটি লুকিয়ে রাখল।

পরদিন সকালবেলা রোকেয়া ভাত রান্না করছে। রান্নাঘর থেকেই সে শুনতে পেল কলিমউদ্দিন কি নিয়ে যেন চিৎকার করছে।তাড়াতাড়ি করে সে রান্নাঘর থেকে ছুটে গেল। কাছে গিয়ে জানতে পারল কলিমউদ্দিন তার বইয়ের বান্ডেল থেকে একটা বই খুঁজে পাচ্ছে না। রোকেয়াও খুজতে শুরু করল। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বইটি পেল না। কলিমউদ্দিন বলতে লাগল বইয়ের টাকাটি এখন তার নিজ থেকে দিতে হবে বইয়ের মালিককে।

হঠাৎ তার সন্দেহ হল মালাকে। সে মালাকে জিজ্ঞেস করল, “বইডা তুই নেস নাই তো? সত্যি করে বল।”
মালা অপরাধীর মত নিচের দিকে তাকিয়ে রইল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে বইটা সে নিয়েছে। কলিমউদ্দিন ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিল মালার গালে। বলতে লাগল, “খুব লেহাফরা করনের শখ হইছে তোর , না? আমগো মতন গরীবগো লাইগা লেহাফরা আহে নাই, এইডা তোর মাথায় ঢুকে না ক্যান? মাথা থেইক্কা এসব লেহাফরার ভূত নামাইয়া ঘরের কাম কাইজে মন দে। যা বইডা নিয়া আয় তারাতারি।”

মালা তার বাবাকে বইটা এনে দিল।

কলিমউদ্দিন বই বিক্রির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।বাবা যাওয়ার পর রোকেয়াও তাকে খুব বকাঝকা করেছে।মালার নিজেকে খুব অপরাধী মনে হতে লাগল। সাথে দুঃখও হচ্ছিল লেখাপড়া করতে না পারার কারণে।মালা খুব কান্না করতে লাগল।

কিছুক্ষণ পর রান্নাবান্না শেষ করে রোকেয়া কাজ করতে বেরিয়ে গেল। প্রতিদিনের মতই মালা তার ছোট বোনদের সাথে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর বোনদের গোসল করাল।ঘর, উঠান সব ঝাড়ু দিল।দেখতে দেখতে দুপুর ১টা বেজে গেল। মালার বন্ধু-বান্ধবরা স্কুল থেকে ফিরছিল।ওদের দেখলে মালার সবসময়ই মন খারাপ হয়। কিন্তু সেদিন তার একটু বেশিই খারাপ লাগছিল। ঘরে ঢুকে কাঁদতে শুরু করল।

হঠাৎ ঘরে ঢুকল কলিমউদ্দিন।সেদিন তার শরীর খারাপ লাগছিল। তাই দুপুরেই ঘরে চলে এল। এসে দেখল মালা খুব কান্না করছে। তার খুব খারাপ লাগল মেয়েকে কাঁদতে দেখে।
কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, রাগ করছস আমার উপর মারছি বইলা?কি করুম ক? গরীব মানুষেরা চাইলেই সব করবার পারে না।
মালা বলল, আমারে মাফ কইরা দাও বাবা।আমি তোমার বই আর লুকাইয়া রাখুম না। বলতে বলতে সে চোখ মুছতে লাগল।

কলিমউদ্দিনের খুব খারাপ লাগতে লাগল মেয়ের জন্য। মনে মনে ভাবল, তার মেয়েটা অত বেশি কিছু তো চাইছে না। একটু লেখাপড়াই তো করতে চাচ্ছে। আর সে মেয়ের এই ইচ্ছাটুকুও পূরন করতে পারছে না।

একটু পর সে মালার মাথায় হাত রেখে বলল, তোর খুব ইচ্ছা লেহাফরা করনের, না রে?
মালা কিছু বলল না।
কলিমউদ্দদিন বলল, কাইল থেইকা তুই ইস্কুলে যাইছ।
-না, বাবা। আমি ঘরে থাকুম। আমি ইস্কুলে গেলে নদী, ছবিরে কে রাখবো?
- হেগোরে তোর মা রাখবো।টাকার লাইগা তোর মায়েরে আর বাড়ি বাড়ি গিয়া কাম করতে দিমু না। আমি আরও পরিশ্রম করুম।তোগো মুখে যদি হাসিই না ফোটাইতে পারি তাইলে কি সার্থকতা রইল আর আমার জীবনের? যত কষ্টই আহুক তুই লেহাফরা করবি।

মালার খুব ইচ্ছে হল বাবাকে বলতে, “থাক বাবা। আমি লেহাফরা করুম না। শুধু শুধু তোমাগো কষ্ট বাড়বো”।
কিন্তু সে পড়ালেখা করার লোভটুকু সামলাতে পারল না। তাই আর কিছু বলল না।

_____o_____

------০------

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

বনজ্যোৎস্নার কাব্য বলেছেন: অভাবের গল্প কিন্তু এর মাঝেও ছোট এক টুকরো স্বপ্ন লুকিয়ে আছে মালার।
ভালো লাগলো

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

নাহিদ তান্নি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

রিয়াদ ফেরারী বলেছেন: নাহিদা আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন । গল্পটা অনেক কষ্টের কিন্তু শেখার আছে।
লেখা চালিয়ে যান ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

নাহিদ তান্নি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: খুব কষ্টের গল্প।

প্রথমদিকে কষ্ট থাকলেও শেষের দিকে আশ্বাসের কথা লিখেছেন। ভাল লেগেছে লেখাটা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

নাহিদ তান্নি বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.