নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানভীর আহমাদ বাংলাদেশ

তানভীর আহমাদ বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপযুক্ত আয় করতে না পারেন, তাহলে বিবাহ করার দরকার নাই। রোজা রাখেন। কথাটা বলা সোজা । কিন্তু বাস্তবতা দেখুন ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

উপযুক্ত আয় করতে না পারেন, তাহলে বিবাহ করার দরকার নাই। রোজা রাখেন। "
কথাটা বলা সোজা । কিন্তু বাস্তবতা দেখুন । দেখানতো বেকার যুবকরা বিয়ে করতে না পারায় রোজার দিকে ধাবিত হচ্ছে নাকি পর্নের দিকে ধাবিত হচ্ছে ?
১% মুসলিম যুবকে পাবেন না যে বিবাহ করতে অক্ষম হওয়ায় রোজা রাখছে । অথচ ৯৯% পর্নের দিকে ঝুকছে ।

রোজা রাখার হাদিসটি কেবল তাদের জন্যে যাদের একেবারেই মাথাগুজার ঠাই নেই । যার একবার আহার জুটে তো আরেকবার জুটে না।এবং তিনবেলা পেট পুরে খেতে পারে না । । এ হাদিসকে ইস্যু বানিয়ে অনেকে বিবাহকে বিলম্বিত করতে চায় তা ঠিক নয় । অথচ ইসলামিক চিন্তাবিদরা ছাত্রদের বিবাহকেও সমর্থন করেন যদি তাদের পরিবারের মানে ছাত্রের পিতার সমর্থ থাকে ।

ইসলামে ব্যক্তির স্বাবলম্বী ও সক্ষমতার বিভিন্ন ধরণসাপেক্ষে বিয়েকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

ওয়াজিব বিয়ে : যখন শারীরিক চাহিদা থাকে। তার এই পরিমাণ সামর্থ থাকে যে প্রতিদিনের খরচ প্রতিদিন উপার্জন করে খেতে পারে বা তার পরিবারের এতোটুকু সামার্থ থকে যে তাদের ভরোণ-পোষনে কোনো সমস্য থাকবে না। তখন বিয়ে করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুণাহগার হতে হবে।

ফরজ বিয়ে : নূন্যতম সামর্থ থাকার সাথে সাথে যদি শারীরিক চাহিদা এতো বেশি থাকে যে, বিয়ে না করলে ব্যাভিচার বা হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন বিয়ে করা ফরজ। ব্যাভিচারের আওতায় যেগুলো পড়ে তা হলো- কুদৃষ্টি, পর্নগ্রাফী আসক্ততা, অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক বা লিভটুগেদার, হস্তমৈথুনের মতো হারাম কাজ ইত্যাদি।

কিন্তু অবস্থা যদি এমন হয় যে কোনো পুরুষ এতটাই অসামার্থ যে সে একেবারে নিস্বম্বল, অক্ষম। নিজের মাথা গোজারমতো এতটুকু ঠাই নেই তবে এক্ষত্রে তাকে রোজা রাখতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিয়ের ইচ্ছে থাকলেও সক্ষম পুরুষ বিয়ে না করে রোজা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হাদিসে।

অনেক সক্ষম ও স্বাবলম্বী পুরুষও মনে করেন, বিয়ে করলে স্ত্রীর ভরণ পোষণ দিতে পারবে না। সামান্য আয়ে দুজনের সাংসারিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য বিয়ে থেকে দূরে থাকে। এটা আদৌ উচিত নয়।কারণ রাসূল সা. বিবাহিত ব্যক্তিকে আল্লাহ কতৃক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আর এ কথাও স্বীকৃত, বিয়ে ব্যক্তির উপার্জন বাড়িয়ে দেয়, কমায় না।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের মধ্যকার যারা বিবাহবিহীন আছে এবং দাস দাসীদের মধ্যে যারা নেককার তাদের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তারা অভাবগ্রস্থ থাকে আমি (আল্লাহ্) নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী করে দেব। আর আল্লাহ্ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও সবকিছু জানেন।(সুরা নূরঃ ৩২)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চমৎকার উপদেশ যা একমাত্র ইসলাম ধর্মেই আছে।
ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম আর এর চালিকা শক্তি
পরিপূর্ণ জীবন বিধান মহাগ্রন্থ আল কোরআন।
আল্লাহ সবাইকে সহি বুঝ বুঝবার ক্ষমতা দিন। আমিন-

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: উক্তিটি কোন্ বেকুবের?

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, আপনি তাহলে এক কাজ করেন, ৩৮ - ৪০ বছর বয়সের অনেক নারী আছেন, যারা সম্পদশালী, কিন্তু তারা এখনও বিবাহ করতে পারেন নাই। তারা কেউ যদি আপনার মত কাউকে বিবাহের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে আপনি কি তা করবেন কিনা? এতে পর্ণের দিকে আপনাকে ধাবিত হতে হবে না।

আপনার মত জানতে চাই।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

নতুন বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, আপনি তাহলে এক কাজ করেন, ৩৮ - ৪০ বছর বয়সের অনেক নারী আছেন, যারা সম্পদশালী, কিন্তু তারা এখনও বিবাহ করতে পারেন নাই। তারা কেউ যদি আপনার মত কাউকে বিবাহের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে আপনি কি তা করবেন কিনা? এতে পর্ণের দিকে আপনাকে ধাবিত হতে হবে না।

আপনার মত জানতে চাই।

<< এটা একটা সুন্নত আদায়ের মতনও হবে। রাসুল সা: যদি করতে পারে তবে তাকে অনুসরন করে আশা করি আপনিও পরবেন।

যদি তারা অভাবগ্রস্থ থাকে আমি (আল্লাহ্) নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী করে দেব। আর আল্লাহ্ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও সবকিছু জানেন।(সুরা নূরঃ ৩২)

যারা বেকার তারা যদি বিয়ে করলে ধনী হতে পারে তবে তার নমুনা সমাজে দেখতে পাইনা কেন? দেশে এতো বেকার তাদের সমস্যা তো আল্লাহ করবেন বলেই দিয়েছেন?

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

তানভীর আহমাদ বাংলাদেশ বলেছেন: আর যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে না তারা যেন রোজা রাখে। (আল-হাদিস)
এখানে রোজা রাখা বিয়ের বিকল্প নয় ।
দশ বছর রোজা রাখলেই যে সামর্থবান হয়ে যাবে তা নয় , বরং সে অসুস্থ হবে ।
আসলে হাদিসটি হলো সান্ত্বনামূলক ও সাময়িক সমাধান মূলক । হাদিসটি দ্বারা ২০ বছর , ৫০ বছর রোজা রাখতে বলা হয় নি ।
বরং উম্মত যাতে অস্থির হয়ে না যায় , সে জন্যে রোজা রাখা , দুয়া করা , ধৈর্য্য ধারন করা ও ঠান্ডা মাথায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে ।

ব্যপারটি এরকম নয় যে , আমি রোজা রাখছি , বিয়ের বদলে । আমার বিবাহ দরকার নেই ।

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: বাস্তবতা হিসেব করলে অনেক কিছুই অনেক কঠিন। আর আমার মনে হয় না মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির জন্য সবসময় সব সমস্যারই একটা সুন্দর সমাধান রেখে দিয়েছে্ন।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: দুঃখিত। আমার মন্তব্যে ছোট্ট একটা ভুল হয়ে গেছে। আমি বলতে চেয়েছি "বাস্তবতা হিসেব করলে অনেক কিছুই অনেক কঠিন। আর আমার মনে হয় মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির জন্য সবসময় সব সমস্যারই একটা সুন্দর সমাধান রেখে দিয়েছে্ন।" টাইপ করার সময় "না" কথাটা চলে এসেছে। হ্মমা করবেন।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: @নতুন ভাই সুরা নুরের ৩২ নং আয়াত এটা, “তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।”

এখানে নি:স্বদের আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন, অভাবগ্রস্থদের ধনী করবেন এমন কথা কোথায় পেলেন?? কুরআর বিকৃতি করার মানেটা কি হা??? ফাজলামো বাদ দিয়ে ভাল হয়ে পথ চলার চেষ্টা করেন তাতে আপনারই মঙ্গল হবে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

তানভীর আহমাদ বাংলাদেশ বলেছেন: @নতুন ভাইকে বকাবকি না করে যদি আপনি সূরা নুরের ৩২ নং আয়াতের সঠিক অনুবাদটি দিতেন । তাহলে আমাদের সকলের উপকার হতো ।

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মহা মুসিবতের মধ্যে পরছি। এইরকম লেখা ব্লগে আরও দেখছি। মানুষ নিজের সুবিধার জন্য থিওরি বানায়, আবার তার অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে থিওরিও বদলায়। যারা এখন বিয়ে করতে চান তারা আপনার মত উপরে লেখা কথাগুলি বলেন, নিজের বেলা এক থিওরি অন্যজনের বেলায় আরেক। দয়া করে ভুল বুঝবেন না, আমি আপনাকে বলছিনা, সামগ্রিক ভাবে যারা এই ধরনের কথা বলেন তাদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলছি। একটা উদাহরণ দেই.

ধরে নিলাম আপনি যা লিখেছেন তা বিশ্বাস করেন বলেই লিখেছেন। এখন এই হাদিসের এইসব কথা বলে আপনি বেশ ভাল একটি বিয়ে করে ফেললেন। এখন ধরুন আপনার একটি ছোট বোন আছে যার বিবাহের বয়স হয়েছে। এখন কোন ছেলে যে বেকার এবং বাপের তেমন কিছুই নেই সে আপনার বোন কে বিবাহ করতে চায়। সে এসে আপনাকে একই কথা বলল,আপনি কি আপনার ছোট বোনকে ঐ চাল চুলাহীন ব্যক্তির সাথে বিয়ে দিবেন?

ধরুন আজ থেকে ৩০ বছর পরে আপনার মেয়ের বিবাহের বয়স হয়েছে, আপনি কি আপনার মেয়েকে ঐ রকম একটা ছেলের কাছে বিয়ে দিবেন?

আপনার মঙ্গল কামনা করি। আর আপনার এই পোস্টটা সেভ করে রাইখেন। যদি কখনো মেয়ের বাপ হন, সেদিন আবার পড়বেন। আশা করি তখন বুঝবেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২

তানভীর আহমাদ বাংলাদেশ বলেছেন: ১) আমার বেলায় মেয়েরা বাপেরা বোকা থাকবে ফলে আমি হাদিস অনুযায়ী জিতে যাবো । কেননা বেকার সত্বেও আমি ভালো বউ পেয়ে যাবো । কিন্তু আমার ছোট বোনের বেলায় ছেলের বাপেরা চালাক হয়ে যাবে ফলে আমার বোন জিততে পারবে না ।
২) আমি যখন মেয়ের বাপ হয়ে যাবো , তখন বেকার ছেলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইবে । কিন্তু আমি রাজি হইব না । কেন তখন আমার লস হচ্ছে ।

আপনার কথা হলো আমি জিতে গিয়ে মানুষকে ঠকানোর চিন্তা করছি । আপনি আপনার লেখাটা আরেকবার দয়া করে পড়ুনতো

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ১. আপনার আগের পোস্টেও আমি লিখেছিলাম যে, বিয়ে ফরজ আমি কোথাও পাইনি। এটা হলো একটা সুন্নত, আর যার জন্য বিপদগামী হওয়ার সম্ভাবনা আছে তার জন্য ওয়াজিব। আমাদের দেশে সবাই হুট করে বলে বসে, বিয়ে ফরজ।
২. বিয়ে করতে না পারলে যে পাপ করতে হবে সেটা কোথায় লেখা আছে? বরং আপনি নিজেই পাপের পথ বাতলে দিচ্ছেন। আপনি যখন অন্য সব দুনিয়াবি বিষয়ে সৎ ও ইসলামিক ভাবে চলবেন তখন বিয়ের বিকল্প পথগুলো(কিংবা পাপগুলি) অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে।
৩. ইসলামিক বিষয়ে ২/১ টা রেফারেন্স দিয়ে ব্যাখ্যা না করতে বলেছেন মুফতিরা। কারণ, এভাবে বিভ্রান্তির সুযোগ হয়। ধন্যবাদ।

১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

মোস্তফা শওকাত ইমরান শাহীন বলেছেন: ৩২৬৮। ইয়াহইয়া ইবনুূু ইয়াহইয়া তামীমী (রহঃ) আলকামা (রহঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনুূু মাসঊদ (রাঃ)-এর সঙ্গে মিনায় পৌছলাম। এ সময় উসমান ইবনুূু আফফান (রাঃ) এসে তাঁর সাথে মিলিত হলেন। তখন তিনি তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলেন। উসমান (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আবূ আব্দুর রহমান! আমরা কি আপনার সঙ্গে এমন একটি যুবতী মেয়ের বিয়ে দেব না যে হয়ত আপনার অতীতের কিছু স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিবে? রাবী বলেন, আবদুল্লাহ ইবনুূু মাসঊদ (রাঃ) বললেন, আপনি যদি একথা বলেন তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলেছেনঃ ”হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে দাম্পত্য জীবনের ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম সে যেন বিবাহ করে। কারন তা (বিবাহ) দৃষ্টি নিচ করে এবং লজ্জাস্হানকে সুরক্ষিত করে। আর যে সক্ষম নয় তার সিয়াম পালন করা উচিৎ। কারণ তা তার জন্য যৌন কামনা দমনকারী।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার কথামত আমার লেখাটি আবার পড়লাম। আমি লেখার মধ্যেই বলেছি আমি আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে কিছু বলছিনা, সামগ্রিক ভাবে বলছি। কিন্তু আপনার উত্তর দেখে মনে হচ্ছে আপনি ব্যাপারটা ব্যক্তিগত ভাবে নিয়েছেন। এটা আপনার ব্যাপার।

আমি কোন রকম হার জিতের কথা বলিনি। বিয়ে করে বা বিয়ের সময় যদি এই ধরনের হার জিত হিসাব করেন তাহলে আমার মতে আপনার বিয়ের বয়সই হয়নি অথবা এই মানসিকতা নিয়ে বিয়ে করলে মনে হয় না জীবনে সুখী হতে পারবেন। কারন বিয়ে কোন হারজিতের বিষয় বা খেলা না। আমি আপনাকে যেটা বলতে চেয়েছি, আপনি নিজেকে মেয়ের অভিভাবকের জায়গায় চিন্তা করেন এবং বলেন এই রকম হলে আপনি নিজের মেয়ে অথবা বোন কে বিয়ে দিবেন কি না? সাধারন প্রশ্ন। এর উত্তর আমরা আপনি আমি সবাই জানি কিন্তু আপনি এটার উত্তর দিতে পারছেন না কারন এই সময়ে এই উত্তর আপনার বিপক্ষে যায়।

আপনার লেখা পড়ে যেটা মনে হতে পারে মানুষ শুধু সেক্স করার জন্যই বিয়ে করে। সেক্স অবশ্যই একটা অংশ, কিন্তু সব নয়। শুধু আপনার সেক্সের চাহিদা মেটাতে কোন মেয়ের অভিভাবক তার মেয়েকে আপনার হাতে তুলে দিবেনা, আপনিও দিবেন না। সেই জন্য বিয়ে করতে যোগ্যতা লাগে। এই যোগ্যতার মাপকাঠি পরিবার ভেদে ভিন্ন হয়। সুতরাং যে পরিবারে বিয়ে করতে চান সেই অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। এটাই সমাজের নিয়ম।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

তানভীর আহমাদ বাংলাদেশ বলেছেন: যোগ্যতা অভাবে বিয়ে করতে পারছে না । কথাটা ভুল ।অযোগ্য ছেলেদের জন্য অযোগ্য মেয়েরা রয়েছে । বরং অযোগ্য ছেলেরাই আগে বিয়ে করে ফেলে ।
মানসিক ভাবেই যোগ্য ছেলেপিলেরা বিবাহবিমুখী হয়েছে ও পর্ন মুখী হয়েছে যা কেয়ামতের আলামত । যেমন এম.বি.এস পাস করা ছেলেরা নিজেদের যোগ্যভাবে না । এ.ফ.সি.পি.এস এর জন্যে । ঢাবির বি.এস.সি পাস করা ছেলেরা পি.এই.ডি এর জন্যে চিন্তা করে , কিন্তু বিবাহের চিন্তা করে না । তারা ভাবে পি.এই.ডি না করে কিসের বিবাহ ।
একারনে সমাজে পর্ন ও ব্যাভিচার বেড়ে গেছে । দরকার বিবাহমুখী করা ও সচেতনতা বৃদ্ধি । বিবাহের প্রতি উতসাহ প্রদান ।
বিবাহ বিমুখী হওয়ার দ্বিতীয় প্রমান : শহরের একজন ২২ বছরের অবিবাহিত যুবককে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে গাড়ি কিনবে । কারন সে জানে গাড়ি কিনা দরকার । গাড়ি কিনা সম্ভব । সে বিবাহের কথা বলবে না , কারন সে মনে করে বিবাহ বলে কিছু নেই , পরিবার মেনে নিবে না । বিবাহ দরকার থাকলেও ইহা সম্ভব নয় ।

গ্রামের একটি ছেলেকে যদি জিজ্ঞাসা করেন “১০ লাখ টাকা পেলে তুমি কি করবে ?” সে উত্তর দিবে পাচ লাখ টাকা দিয়ে ক্ষেত কিনবে ও বাকি পাচ লাখ দিয়ে সে বিবাহ করবে ।
তারমানে যোগ্যতা নয় , মানসিকভাবে বিবাহকে অসম্ভব মনে করার যে ফিতনা সমাজে তৈরী হয়েছে । তাই এখন মা-বাবা ৩০ এর আগে বিয়ে নয় । ১০ বছর পরে ৪০ এর আগে নয় । ৫০ বছর পরে বিয়ের দরকার নাই । তারপর কিয়ামত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.