নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পলিগেমি আহমাদ

পলিগেমি আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেয়ামতের আলামতঃ হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল মনে করা৷

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৩

কেয়ামতের আলামতঃ হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল মনে করা৷

১) মসজিদে কারুকার্য ও মসজিদ নির্মানে অপচয় নিষেধ আছে৷
অথচ দিন দিনই এ প্রবণতা বহিবিশ্বে বাড়ছে৷ যে টাকা কারুকার্য করতে ব্যায় হচ্ছে তা দিয়ে অনায়াসে অজপাড়াগায়ের আরেকটি মসজিদে বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিস্কাষনের ব্যবস্থা করা যেত৷ বহু মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে৷ তাদের দিকে না তাকিয়ে মসজিদে অপচয় করার মানে হয় না৷ কেননা মসজিদের তৈরি মানুষের জন্যে৷ মানবতাই যদি না থাকে তবে এরুপ ইট পাথর আর এসির তলে আল্লাহকে ডাকলে কি লাভ হবে?
২) ইমামদের মসজিদের টাকা( বেতন) নেওয়া৷ এটাও গুজামিল দিয়ে অর্ধ হালালকে বর্তমানে পুরোপুরি হালাল করা হয়েছে ৷
অথচ এর বিপক্ষেই বেশী হাদিস পাওয়া যায়৷
৩) চুরি করা চরম গুনাহের কাজ৷
অথচ যে হ্যকিং করে কোটি টাকা লোট করেছে তাকে তার কর্মের জন্যে ট্যলেন্ট (স্টার) ধরা হচ্ছে৷ তার সম্মান ও সম্মানিই আলাদা৷
৪) ছবি তুলা গুনাহ৷ ক্যমেরার আবিষ্কারের কারনেই মোবাইলের মাধ্যমে নারী পুরুষের সান্নিধ্য, ব্যভিচার ইত্যাদি বেড়েছে৷ পর্ন থেকে শুরু করে যা কিছু অশ্লীলতা হচ্ছে৷ হোক তা ডিভাইসের স্ক্রীনে অথবা সরাসরি৷ সোর্স কিন্তু ছবিই৷ ফেসবুকে ছবি পেয়ে স্কুল ছাত্রীকে টার্গেট ও পরে ধর্ষন৷
অথচ বর্তমানে যাচ্ছেতাই ছবি তুলাকে আর অপরাধই ধরা হয় না৷ অথচ ইসলামিক স্কলাররা এর লাগাম টেনে ধরেছেন৷ তাদের মতে প্রয়োজনে ছবি তুলতে পারবে৷ তা ধর্মের প্রচারেরই হোক, সিকিউরিটির জন্যে বা পরিচিতি বা যেকোন প্রয়োজনে৷ কিন্তু বর্তমানে এ কথা বলোয়া লোক পাওয়া যায় না যে বলবে " অকারনে ছবি তুলা গুনাহ৷ " কেউ বললে হাসির পাত্র হবে৷ কারন শর্তসাপেক্ষে অর্ধ হালালকে বর্তমান সমাজ পুরোপুরি হালাল করে নিয়েছে৷
৫) যুদ্ধ, পাচার হওয়া, হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি কারনে বর্তমান বিশ্বে ৩ কোটি ৬০ লাখ আধুনিক ক্রীতদাস আছে৷এদের পুরোপুরি স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া কঠিন৷ আর ওরা এতো ভি.আই.পি লাইফ চায়ও না৷ দাস প্রথার উপকারিতা আছে৷ এতে দাসী প্রায় স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করে, ব্যভিচার কমে ও দাসীর সন্তান নিজ সন্তানের মতো সম্পত্তির ভাগ পায় ও শ্রেনী বৈষম্য কমে যায়৷
অথচ বর্তমান ইসলামিক সমাজ কুরআনের দাসপ্রথাকে রহিত করে৷ দাসীর সাথে যৌনকর্ম ব্যভিচার চিহ্নিত করে৷ কারন তারা হালালকে হারাম ও হারামকে হালাম মনে করে৷ হালালে বহু সমস্যা খুজে পায়৷ অথচ ব্যভিচারে দেশ ভরে গেছে কোন মাথা ব্যথা নেই৷
৬) মুহাম্মদ সঃ ও তার সাহাবীদের বহুবিবাহের প্রধান কারন ছিল উম্মতকে বহুবিবাহে উৎসাহিত করার জন্যে৷ কারন বহুবিবাহ ইসলামের নেয়ামত৷ শ্রেনী বৈষম্য কমানো , পুরুষের চাহিদা পূরন ও ব্যভিচার দূর করা, বিধবাদের কষ্টদূর করা ইত্যাদি সমাধান একবিবাহে সম্ভব নয়৷
অথচ বর্তমান ইসলামিক সমাজ মনে করে কুরআন মূলত একটি বিবাহকেই উৎসাহ দেয় ও বহুবিবাহ অনুমোদিত থাকলেও কুরআন নিরুৎসাহিত করে কেননা মানুষ সমতা বিধান করতে পারে না৷ কেয়ামতের আলামত হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল মনে করা৷

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২০

সনেট কবি বলেছেন: পড়লাম

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

ফেনা বলেছেন: পড়লাম জানলাম এবং ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এজন্য আইএসআইএস নবীজির কবর উড়ায় দিতে চাইছিলো। কারন এত জঙ্গি মুসলমানের পঙ্গপাল সম্তানেরা না খেয়ে মরে আর সেখানে এত টাকা খরচ করে নবীর কবর পুরা প্রাসাদ বানায় রাখছে। কাবা শরীফ হয়ে গেছে ৫ তারা হোটেল।

আপনার এই পোস্টে অনেক ভাবনার আছে। আইএসআইএস আমাদেরকে এসব খেলাফতী তরিকা দেখায় দিছে। জঙ্গি মুসলমানদের উচিত এসব খেলাফতী তরিকা আমল করে।

আরেকটা জিনিস বাদ দিছেন... স্ত্রী প্রহার আর দাসীদের সাথে আজল পদ্ধতিতে বিনা বিবাহে যৌনচর্চা, তাও ইসলামী তরিকায়

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মানবতাই যদি না থাকে তবে এরুপ ইট পাথর আর এসির তলে আল্লাহকে ডাকলে কি লাভ হবে?
............................................ যুক্তি সঙ্গত কথা, কেন আমরা পালন করব ?
যেখানে সরল হলে বলে বোকা,
নীতিবান হলে বলে বোধাই
মানবতা করতে গেলে বলে
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াও কেন?
................................................ অতএব, কেয়ামত ছাড়া এদের সংশোধন হবে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.