নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পলিগেমি আহমাদ

পলিগেমি আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যভিচারে ভরপুর দেশে হুট করে মুতা বিবাহ বন্ধের শিক্ষা ইসলাম দেয় নি৷

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৫

মুতা(অস্থায়ী, সাময়িক) বিবাহ বৈধঃ

ইসলামে বিবাহ দর্শন একটি জটিল বিষয়ঃ
মূলত যৌন সংযমের কথা বলে ইসলাম৷ সেজন্যে মূলত একটি বিয়ের কথা বলে ইসলাম৷
কিন্তু হাতের পাচটি আঙ্গুল সমান নয়৷
নিজেকে সংযত রাখতে না পারলে দাসী বিবাহ, বহুবিবাহ, মুতাবিবাহ নাম দিয়ে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা ইসলামে আছে৷
মুতা ও ব্যভিচারের প্রার্থক্যঃ
১)ডকুমেন্ট যার নেই সেটাই ব্যভিচার৷ তাহলে মুতা ব্যভিচার হয় কেমনে? মুতার তো ডকুমেন্ট আছে৷
২) ব্যভিচার গোপনে৷ মুতা প্রকাশ্যে৷
৩) ব্যভিচারের দেনমোহর নেই৷ মুতার দেন মোহর আছে৷
৪) ব্যভিচার সন্তানের স্বীকৃতি দেয় না৷ মুতা দেয়
৫) ব্যভিচারে একদিনেই একাধিক পুরুষের সাথে মিলিত হতে পারবে৷ মুতায় মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইদ্দত শেষ করবে৷ এর আগে অন্য পরুষের সাথে মিলিত হতে পারবে না৷


মুতার উপকারিতাঃ
১) হাতের পাচটি আঙ্গুল সমান নয়৷
নিজেকে সংযত রাখতে না পারলে দাসী বিবাহ, বহুবিবাহ, মুতাবিবাহ নাম দিয়ে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা ইসলামে আছে৷ এই দর্শনটি বুঝতে না পারায় মানবীয় বিবেক বুদ্ধি দিয়ে উমর মুতা নিষিদ্ধ করেছেন৷
২) কোটি কোটি যুবক ব্যভিচারে লিপ্ত আছে৷ মুতা এদেরকে একটি ফরম্যাটে আনে৷ হ্যা৷ মুতার অপকারিতা আছে৷ কিন্তু উপকারিতা অনেক বেশী৷
৩) বাস্তব জীবন অনেক জটিল৷
বহু মানুষ বহু কষ্টে ভোগছে৷ কারও স্ত্রীর শারিরীক ত্রুটি৷ কারও দুটি বিয়ে সম্ভব নয়৷
৪) সারাজীবন মিল থাকবে এর গ্যারান্টি কই৷ তাই কাবিন সিস্টেম বিবাহ অনেক বুঝে শুনে দিতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় এমনকি হয় না৷ ব্যভিচার বৃদ্ধি পায়৷
৫)কাবিন সিস্টেমে স্বামী স্ত্রী সারাজীবনের বন্দি হওয়াতে কলহ চরমে বৃদ্ধি পায়৷
৬)মোল্লারা এমন একটি সমাজ তৈরি করিয়াছে যেখানে বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা নারীদের পুনরায় বিবাহকেও খারাপ ধরা হয়৷ ফলে মহিলাদের স্বামী তালাক দিলে তারা আত্মহত্যা করে নয়তো স্বামীকেই হত্যা করে৷ অথচ মহাপুরুষ মুহাম্মদ সবগুলি বিধবা বিবাহ করেছেন নারীর মন ও সমাজ থেকে এ ধারনাটি দূর করতে৷
তারপরেও আজও নারীদের মুখে শুনতে পাই " নারীদের বিয়া কয়বার হয়৷ স্বামী খারাপ হলেও তারা জীবন দিবে৷" কিন্তু তালাক দিয়ে আরেকটি বিবাহে নারী বা সমাজ রাজি নয়৷ এটি মোল্লাদের অবদান৷
৭) সুন্নীরা যেহেতু ইসলামি মূল দর্শনই বুঝে না৷ তাই তারা মুতা হারাম বলে৷ কিন্তু শিয়ারা সম্মিলিতভাবেই মুতার সমর্থক৷ ইরানে মুতাবিবাহ রাষ্ট্রীয় ভাবেই হচ্ছে৷

মোল্লাদের নারী ও যৌন দর্শনঃ

১) মোল্লারা ওয়াক্তিয়া নামাযের মতো নারী বিষয়ক ব্যপারগুলি কঠিন করেছে৷ এক ওয়াক্ত নামায না পড়লে ২ কোটি বছর জাহান্নাম৷ দায়েমি সালাত বাদ দিয়েছে৷

২) বর্তমান মোল্লারা বহুবিবাহ হারামের পায়তারা করতেছে৷ যুক্তিঃ যদি আদল করতে পারো তবেই বহুবিবাহ করো৷ যেহেতু শর্ত দেওয়া সেহেতু বহুবিবাহ না করাই উত্তম৷ জাকির নায়েক পার্টি এদের অন্যতম৷

৩)মোল্লারা মুতা বিবাহ (সাময়িক) হারাম করছে৷ ব্যভিচার বলে৷

৪) দাসী বিবাহ হারাম করেছে ব্যভিচার বলে৷


মোল্লারা ফোকাস করিতেছ মুমিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন দৃষ্টির হেফাজত করে৷সুরা নুরের এই আয়াতটি৷ একটি বিয়ে করা ও তারপরে কোন নারীর চাহিদা না থাকা ও না তাকানোই তাদের কাছে চূড়ান্ত ধার্মিকতা বলে মনে হয়৷
অথচ নবী রাসুল সাহাবীদের জীবনে বহুবিবাহ, দাসী বিবাহ, মুতা বিবাহে ভরপুর দেখতে পাই৷

তারমানে ইসলামের কড়াকড়ি বিষয়গুলিকে মোল্লারা ফোকাস করিতেছে৷ সামগ্রিক কুরআন দর্শন মোটেও এমন না৷

মোল্লাদের কড়াকড়ির ফলাফলঃ
১) পুরুষদের চাহিদা না মেটায় ব্যভিচার করে৷ ফলে স্ত্রী সন্দেহ করে ও ঝগড়াঝাটি শুরু হয়৷
২) ব্যভিচারে দেশ ভরে গেছে৷
৩) তথাকথিত বিবাহ এতোই অশান্তি তৈরি করে একজন মুক্ত চিন্তা ও বিবেকবান মানুষ বলবে এমন হলে বিবাহ সিস্টেম না থাকাই উত্তম৷

ব্যভিচার কাকে বলে?

ইসলামে ব্যভিচার বলতে গোপনে বা ডুকমেন্ট বিহীন যৌনাচার করাকে বুঝায়৷ মোল্লারা প্রচলিত কাবিন সিস্টেম ও চার বিবাহের বাইরের সবকিছুকে ব্যভিচার সংগায়িত করে৷

ব্যভিচারের আরেক আভিধানিক মিল হচ্ছে চুরি করা যা গোপনে করা হয়৷ চেয়ে টাকা নিলে চুরি নয়৷

মুতা বিবাহ মোল্লারা ব্যভিচার বলে কেন?
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না বলে৷
ব্যখ্যাঃ ঐ নারী যে উত্তরাধিকার চায় না৷ সেই তো মুতাতে রাজি হবে৷ রাজি হলে দোষ কোথায়?
লক্ষ লক্ষ নারী যদি বয়ফ্রেন্ডের সাথে কোন টাকা লেনদেন বা ডকুমেন্ট ছাড়াই ব্যভিচারে আসতে পারে৷ তবে মুতায় আসতে পারবে না কেন?

বিবাহ একটি চুক্তি৷ চুক্তি বিভিন্ন রকম হতে পারে৷


***মোল্লাদের যুক্তিঃ
প্রথম আয়াতের ৭ বছর পরে মদ হারামের আয়াত আসে।..... তেমনিভাবে ইসলামিক ভাবে বিয়ের প্রক্রিয়া/নিয়মের হুকুম নাজিল হবার পরে মুতাহ বিয়ে সহ অন্নান্য বিয়ের প্রক্রিয়াকে বাতিল করা হয়।


উত্তরঃ মুতা নিষেধ করে তো কুরআনের আয়াত আসে নি৷

সুন্নী মোল্লাদের ২য় যুক্তিঃ
বুখারি হাদিসে তো নিষেধ করা হইছে৷

উত্তরঃ খইবরের যুদ্ধের সময় মুহাম্মদ সঃ যদি নিষেধ করেও থাকে৷ তা শেষ পর্যায়ে তখন দেশ ব্যভিচার মুক্ত হয়ে গিয়েছিল৷ তাই মুতার প্রয়োজন নেই৷

ব্যভিচারে ভরপুর দেশে হুট করে মুতা বন্ধের শিক্ষা ইসলাম দেয় নি৷
চোরের দেশে হুট করে হাত কাটার শিক্ষা ইসলাম দেয় নি৷
পরিস্থিতি বুঝেই মানুষের কল্যানেই ধর্মের পথে অগ্রসর হতে হয়৷

এক চেটিয়া মহিলাদের উপর বিবাহ কঠিন করিয়া পুরুষের জন্যে সহজ করার উমর রাঃ কর্তৃক আইনটি বাস্তবসম্মত নয়৷
যেহেতু মহিলারা বিয়ে করতে পারবে না৷ সেহেতু পুরুষদের বহুবিবাহকে তারা খারাপই জানবে৷
কিন্তু মুতাবিবাহের কারনে মহিলারাও ইচ্ছামতো বিয়ের স্বাধীনতা পাবে৷ তখন আর তারা বহুবিবাহকে ঘৃনা করবে না৷

বিস্তারিত জানতেঃ
https://m.facebook.com/notes/nur-hosain-majidi/অস্থায়ী-বিবাহ-প্রসঙ্গে/368946403268899/

লিংকের যে কথাগুলি ভালো লাগছেঃ
ইসলাম মানুষের যৌন প্রয়োজন অবদমন সমর্থন করে না৷ (নুরঃ৩২)

বহুবিবাহে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে৷ কিন্তু বর্তমানে এ বহুবিবাহকে সবাই অপছন্দ করে৷ বিশেষ করে অনেক নারী স্বামীর অন্য নারীর সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্ক করতে রাজি হলেও সতীন সহ্য করতে রাজি নয়৷ অস্থায়ী বিবাহ তাদের প্রয়োজন পূরন করে সমাজে শৃঙ্খলা নিয়ে আসতে পারে৷

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১২:০৩

কানিজ রিনা বলেছেন: হঠাৎ মুতা বিয়ে নিয়ে এত উৎসাহ দিতে
বসলেন কেন? আপনি এককাজ করুন
দেশের আনাচে কানাঁচে খোজ রাখুন
কোথায় পুরুষরা বৌ তালাক দিয়ে আবার
গ্রেহন করতে চাচ্ছে সেইসব বউদের
রাজী করান আর মুতা বিয়ে গুল আপনি
করেন সেই ভাল হয়।
আপনি কি মনে করেন মেয়েরা এখনও
আগের মত অশিক্ষিত আছে?
ইসলামে আছে একজন অত্যাচারী মাতাল
ব্যাভিচারী স্বামীর ঘর করা নিষিদ্ধ।
বদমেজাজী সেচ্ছাচারীর ঘর করাও
নিষিদ্ধ। আপনি কি এও জানেন
মুমিন পুরুষের জন্য মুমিন নারী
অপবিত্র পুরুষের জন্য অপবিত্র নারী।

এদেশে অপিত্র পুরুষের জন্য পতিতালয়
তো খোলা থাকে পুরুষ যত রকম হাত
পা ছড়াইয়া খেলিতে পারে তার ব্যবস্থা
মোল্লারা
পুরোহীতরা সকল ব্যবস্থা করে রেখেছে।
পতিতালয়ে আজও ধোকা দিয়ে অসহায়
নারী বিক্রি করা হয়। কাদের জন্য বলতে
পারেন? আজকালতো আবার সোসাইটিতে
দামী দামী বিল্ডিংয়ে দামী পতিতা পাওয়া
যায়। বড়লোক পয়সা ওয়ালা দামী পতিতা
নিয়ে রিসোর্ট হোটেল মোটেল কক্সবাজার
রাঙামাটি সিংঙ্গাপুর ব্যাংকক আরও কত
কত দেশে আনন্দে হেসে খেলে বেড়ায়।
চোখ কান খোলা রেখে দেখবেন আপনার
বিল্ডিংয়ের আশে পাশে এইসব মানুষ
বাস করে দেখা যায় তাদের ঘরে গুনি
সুন্দর স্ত্রী রয়েছে। সেইসব স্ত্রীরা প্রতিবাদ
করলে তালাক নামক শব্দ উচ্চারন হয়।

এইসব পুরুষরা আবার বউ ফেরত পেতে
চাইলে মুতা বিবাহ নামক জঘন্য নিয়ম
যা ইসলামে এইসব কাপুরুষের লজ্জা
দেওয়ার কারনে সংগঠি হয়েছিল।
সেটা প্রাচীন আমল।
এটাও আপনাকে বুঝতে হবে হাদীস
মানুষের জন্য, হাদীসের জন্য মানুষ না।

ইসলামে আছে ব্যাভিচারীকে পাথর
নিক্ষেপ করা। এইসব অসংখ্য হাদীস
এখন প্রয়োগ হয়না।
আমাদের দেশে যতসব লুচ্চা বদমাইস
বহুবিবাহ করে আর নবীর উদাহরন
টানে এরা জঘন্য পাপী।
আসলে দেখবেন বুইড়া ভাম গুড়া কাজের
মেয়েকে লালায়ে ভুলায়ে পয়সার লোভ
দেখিয়ে নিকাহ্ করে আবার নবীর সাঃ
উদাহরন টানে। আসলে হযরত মোহাঃ
প্রথম সাদী করেছেন যুবক বয়সে একজন
বয়সী বিধোবা খাদীজা রাঃ আঃ
এখন আপনি কি দেখেছেন এদেশে যুবক
ছেলেরা বয়সী নারী বিবাহ করে নবী সাঃ
উদাহরন টানতে।?

২| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলামে যৌন ব্যাপারটিকে বেশী প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
কোরান ও হাদিসে পদে পদে অবাধ যথেচ্ছ যৌনাচার বিবরন, যৌনাচার ভিত্তিক প্রশ্নউত্তর।
গনিমতের মাল ভাগাভাগি, মালকে কোন পদ্ধতিতে ভোগ সহি (চিৎ করে না উপুড় করে) সে বিবরনও দেখা যায়।

আখেরাতেও যৌনাচার প্রাধান্য। ৭২ হুর।
কিন্তু যৌন ব্যাপারটি তো পার্থিব ব্যাপার।
প্রকৃতি মানুষ সহ প্রানীকুল নিজেদের টিকে থাকার প্রবনতা বংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে। মুলত রিপ্রডাক্টিভ কারনেই প্রকৃতি যৌনতাড়না শৃষ্টি।
একেক ধরনের প্রানী একেক রকম। মানুষ প্রতি রাতেই, চড়ুই পাখি, পাঁঠা প্রতি ঘন্টায়, কুকুর বছরে একবার (ভাদ্র মাসে)

কিন্তু আখেরাতে জান্নাতে যেহেতু বংশ বৃদ্ধি নেই। মানুষের/প্রানীর যৌনতাড়না থাকারও কারন নেই।
কিন্তু দেখা যায় জান্নাতে লোভনীয় অবাধ যৌনাচার প্রাধান্য।
জেহাদে শহীদ হলে সরাসরি ..

৩| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১:০০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বুঝলাম আপনার দৌড়।

৪| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ২:৫৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: আমার এই সম্পর্কে কিছু বুঝার ইচ্ছে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.