নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর চেহাড়া মানুষকে মুখোশ দেয় আর সুন্দর মন মানুষকে সুন্দর করে! কুৎসিত মনকে সুন্দর চেহারা দিয়ে স্বল্প সময় আড়াল করা যায় কিন্তু বেশিক্ষন লুকিয়ে রাখা যায় না।

আসিফ ইকবাল তােরক

অনুবাদকঃ আমি ঘৃনার শব্দকে ভালোবাসায় অনুবাদ করি।

আসিফ ইকবাল তােরক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ ভাবনা এবং কিছু প্রশ্ন!!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৪

নাস্তিকতা আর ধর্মবিদ্বেষ একজিনিস না! এই দুইটা জিনিসকে যারা গুলিয়ে ফেলসেন তাদেরকে বলছি নাস্তিক তাদেরকে বলে যারা কোনো ইশ্বরে বিশ্বাস করেন না আর ধর্মবিদ্বেষী তাদেরকেই বলে যাদের কোনো বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি চুলকানি রয়েছে যারা ধর্মকে প্রতি পরতে পরতে অপমান করে যায় কটুক্তি করে, সাম্প্রদায়িক দান্গার উসকানি দেয়! যারা এই সহজ কথাটা বুজে না বা বুজতে চায় না কিংবা বুজেও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যাচার করে তাদেরকে আমি মিথ্যাবাদী আর ভন্ড বলব!! ধার্মিক এক্সট্রিমিস্ট আর এইসব ধর্মবিদ্বেষিদের মধ্যে কোনোই পার্থক্য নেই! এরা দুই গ্রুপই সমাজে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প সমান ভাবে ছড়ায়!! আমি রাজীব হায়দারের মৃত্যুকে সমর্থন জানানোর জন্য এই কথা গুলো বলছি নাহ বরং যারা থাবা বাবা ওরফে রাজীবকে একজন খাটি মুমিনবান্দা বানানোর জন্য উঠে পরে লেগেছেন তাদের উদ্দেশ্যে লিখেছি! যারা ওয়ার্ডপ্রেসের ঐ নোট গুলোকে আজ বানোয়াট বলে প্রচার করছেন তাদেরকে বলছি, দরকার হলে থাবা বাবার ফেসবুকের নোট গুলো পড়েন আর তার 'আমার ব্লগে' লেখা গুলাও পড়েন দেখেন ঐখানে তিনি কি লিখেছেন!! একজন ধর্মবিদ্বেষিকে এভাবে মহান বানানোর প্রচেষ্টা সত্যি দৃষ্টিকটু!



আমেরিকায় মহানবীকে অবমাননা করে ভিডিও তৈরী এবং তা ইউটিউবে আপলোড করার কারনে আপনারা পুরো ইউটিউব বন্দ্ধ করে রেখেছেন অথচ নিজের দেশে এইসব ধর্মবিদ্বেষীরা ইসলাম আর নবীকে গালিগালাজ আর হাজার কটুক্তি করার পরও তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে নাহ কেনো!! এই দুই-মূখী নীতির কারন কি??



সাগড় রুনির হত্যার পর আপনি বলেন বেডরুম পাহাড়া দেওয়া সরকারের দায়িত্ব নয়!! বিশ্বজিৎকে খুন করার পর আপনি তার বাসায় গিয়ে বলেন না যে আপনি খুনীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবেন!! অথচ রাজীব খুন হওয়ার পর আপনি রাজীবের বাসায় গিয়ে তার খুনীদের বিচার করবেন বলে সান্তনা দেন!! এর কারন কি!! নাকি এইটাও লোক দেখানো রাজনৈতিক কোনো চাল, কারন সারা দেশের মানুষ এখন এই ঘটনার সাথে ইমোশনালী ইনভলব!! আজকে খবরের কাগজে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামাত শিবিরের হিট লিস্টে থাকা ১৮ জনের জন্য বিশেষ নিরাপত্ত্বার ব্যবস্থা করেছেন, আইন শৃন্খলা রক্ষাকারী বাহীনিকে বিশেষ নির্দেশ দিওয়া হয়েছে তাদের দেকভালের জন্য! কিন্তু বাকি যেই লাক্ষ খানেক মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন তাদের কি হবে?? হিট লিস্টের বাইরে থাকা কাওকে যদি টার্গেট করে তবে তার নিরাপত্ত্বা কে দিবে??? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আবারো ভুল করছেন!! গাছের গোড়া না কেটে ডাল পালা যতই কাটুন গাছ বেড়ে উঠবেই তার শাখা প্রশাখাও আবার গজাবে!! জামাত শিবিরের রাজনীতিকে বন্ধ না করে জেল হাজতে বন্দী চিহ্নিত রাজাকারদের ফাসী না দিয়ে বাচিয়ে রেখে আপনি দুই তিন জনের যতই নিরাপত্তা দেন না কেনো তাতে সার্বিক অবস্থার কোনোই উন্নতি হবে নাহ!



আরেকটা জিনিস আমি কিছুতেই বুজতে পারি নাহ, আওমিলীগ দাবী করে তারাও নাকি এই আন্দোলনের সাথে জড়িত! তারাও নাকি এই আন্দোলনকে সমর্থন জানায়? তারাও নাকি এই আন্দোলন করছে!! তারা কিসের জন্য আন্দোলন করছে, কার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, কিভাবে আন্দোলন করছে?? সাধারন জনগন যুদ্ধপরাধীদের বিচারের রায় শুনে হতাশ হয়েছেন!! তারা ৩৪৪ খুনের আসামীকে মৃত্যুদন্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়ায় অবাক হয়েছেন, এবং সরকারের উপর দিয়া ধরো মারো আর নিচে দিয়া দায়সারা বিচারের রায়ের ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছে!! কিন্তু আপনাদের সরকার ক্ষমতায় আপনাদের আন্ডারেই বিচার হচ্ছে আপনারাই সবকিছু করছেন তবে আপনারা কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন? নিজেদের বিরুদ্ধে, নিজেদের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে! নিজের কেবিনেটে রাজাকার রেখে আপনি আবার এই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন! আপনাদের আবাল মন্ত্রী বলে জনগন যদি আগে এভাবে রাস্তায় নেমে আসতো তাহলে রায় অন্যরকম হত? সুষ্ঠ রায়ের জন্য কেনো জনগনকে আন্দোলনে নামতে হবে? এভাবে যদি সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যেই বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করে তবে আর শত্রুর দরকার কি??



শুরু থেকেই এই আন্দোলনকে রাজনীতির আওতার বাহিরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে আসা হচ্ছিল। যে জনতা আজ ফাসীর দাবী নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল তাদের এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক বিষ্ঠাদের হাত থেকে কলংক মুক্ত রাখার চেষ্টা চালিয়ে আসা হচ্ছিল! রাজনৈতিক নেতারা যেনো প্রজন্মের আন্দোলন থেকে কোনো ফায়দা নিতে না পারে সে চেষ্টাই করা হয়েছিল! অথচ দিন শেষে দেখা গেলো শাহবাগের প্রত্যেকটা মাইক ছাত্রলীগের দখলে!! যে কট্টর আওমিপন্থী ব্লগাররা শুরুতে এই আন্দোলনের বিরুধীতা করেছিল, আদালতকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে এই রায়কে মেনে নিতে বলেছিল তারাই এখন এই আন্দোলনের হর্তা কর্তা!! এই আন্দোলনের ডাক আগে কে দিয়েছিল সেটার ক্রেডিট নেওয়ার জন্য কিছু মানুষ কামড়া কামড়ি করছে আর এদিকে আওমিলীগের সাবেক মন্ত্রী নাসিম তো ঘোষনাই দিয়ে ফেললেন যে এই আন্দোলনের ডাক কার কাছ থেকে প্রথম এসেছেন! কোনো রাখ ঢাক না রেখেই বলে ফেললেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ডাকেই সাড়া দিয়ে নাকি শাহবাগে এই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন!! কতো বড় নির্লজ্জ আর বেহায়া হলে এ রকমের কথা কেউ বলতে পারে!! মূল কথা হচ্ছে এই যে, রাজাকারের বিচার নিয়ে আপনাদের বেঈমানীর কারেনই, প্রহসন মূলক রায় দিয়ে জনগনকে ধোকা দেওয়ার কারনেই লাক্ষ লাক্ষ মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে!!



শেষকথা যেটা বলে শেষ করতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে, অনেকেই বলেছেন যে এই আন্দোলনের খাতিরেই অনিয়ম দেখলেও মুখে কুলুট এটে বসে থাকতে! সকল অনিয়মকে দেখেও না দেখার ভান করে থাকতে! কিন্তু এভাবে আর কতো?? যেখানে আন্দোলন শুরু হয়েছিল একদফা এক দাবী রাজাকারের ফাসী চাই! কিন্তু এখন হাজার দাবীর ভিড়ে এই মূল দাবী ম্রীয়মান হয়ে যাচ্ছে!! আন্দোলন জনগনের হাত থেকে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক দলের দখলে চলে যাচ্ছে!! এইভাবে একটা গনজাগরনকে গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে আর আপনারা সকল অনিয়ম দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকবেন তা হয় নাহ! আমি এখনো আশা রাখি যে এই আন্দোলন থেকেই তরুন প্রজন্মের একটা তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব হবে যারা রাজনীতির সকল মেরুকরনকে বদলে দিবে!! এরাই ভবিষ্যত বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে! এরাই দূর করবে সকল অনিয়ম, দূর্নীতি, রাজাকার আর দেশদ্রোহীদের! ভূল না শুধরে কখনো সামনে এগিয়ে যাওয়া যায় নাহ!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২৩

এস দেওয়ান বলেছেন: কিছু অমানুষ জামাতীরা নাস্তিক কাকে বলে তা না বুঝেই যাকে যাকে নাস্তিক বলে অপরাধ করেছে । অতএব, ঐ অমানুষ গুলোকে ধরে গু চাটানো হোক ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: জামাতিদের এই জিনিস খাওয়ানোর দায়িত্ব কে নিবে! আপনাকে এই মহান দ্বায়িত্ব দেওয়া হল!! চাটানোর সময় একটা ফটো তুইলা রাইখেন প্রমান হিসেবে! আপনাকে তাহোলে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হবে!!

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০১

সাঈদমোহাম্মদভাই বলেছেন: বাংলাদেশের এই প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলই বারবার তাঁদের স্বার্থে জামাতকে কাজে লাগিয়েছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ এই দুটি দলই অতিমাত্রায় জামাত-বান্ধব, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে যখন বিএনপি এবং জামাতের সুখের সংসার প্রথম ভাঙে, এরশাদ কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পরে, তখন জামাতের সাথে আওয়ামী লীগের সখ্যতা গড়ে উঠে, এই সখ্যতার প্রণয়ে এই দুই দল ৮৬’র নির্বাচন করে। কিন্তু ৮৬-এর সংসদ ভেঙে গেলে জামাত আবার বিএনপি’র সাথে তার পুরাতন প্রণয় গড়ে তুলে।

১৯৯০ নির্বাচনে বিএনপি জামাত জোট জয়লাভ করে এবং সেই প্রণয় ‘৯৪ পর্যন্ত চলে। ১৯৯৪ সালে বিএনপি জামাতের প্রণয়ের দুর্বলতার সুযোগে আবার জামাত আওয়ামী লীগের বাহুতে ঢলে পরে, এবং সেই বার জামাত আর আওয়ামী লীগের প্রণয় চলে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।

এভাবেই চলতে চলতে থাকে জামাত-বিএনপি-আওয়ামী লীগের ত্রিভুজ প্রেম। শেষতক, সুযোগের স্রোতের টানে আর ক্ষমতার পালা বদলের অংক কষে আবার বিএনপি বিশ্বস্ত প্রেমিক হিসাবে জামাতের বাহুডোরে বাঁধা পরে। সেই বাঁধন আজও অটুট আছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে কাদের মোল্লার বিচারের রায়, জামাতের প্রতি সরকারের হঠাৎ প্রীতিপূর্ণ নমনীয় অবস্থানের ফলে ১৯৯৬-এর লীগ এবং জামাতের প্রেমের উপাখ্যানের নতুন সিক্যুয়ালের আভাস দেয়।

প্রজন্ম গণজাগরণের এই আন্দোলনকে যদি দুর্নীতি, সন্ত্রাস, গুম-হত্যা নির্যাতনের রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো না যায়, তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি তিমিরে তলিয়ে যাবে। আর দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মনে করবে, তাঁদের নির্যাতনের বিচার করার ক্ষমতা এই দেশের গনমানুষের নেই। তাই তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে, ভবিষ্যতে তাঁদেরকে আর কখনো সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা যাবেনা। তাই দলীয় খোলস থেকে বেরিয়ে এসে সকলকে একই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আওয়াজ তুলার এখনই সময়।

হে তরুণ-বৃদ্ধ, হে প্রবীণ
এখনই ভেঙে দাও
ভেঙে দাও, সকল কাল সাপের বিষ দাঁত,
রুখো জামাত, রুখো বিএনপি-আওয়ামী লীগ
আরও আছে যত হায়েনা, হাতে রেখে হাত।

এদেশ যেমন কোন ধর্মের নয়,
তেমনি নয় কারো বাপের অথবা স্বামীর
এদেশ আমাদের, আমরাই গড়বো দেশ আগামীর।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১১

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: আপনার সাথে সহমত! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২২

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: ধার্মিক এক্সট্রিমিস্ট আর এইসব ধর্মবিদ্বেষিদের মধ্যে কোনোই পার্থক্য নেই! এরা দুই গ্রুপই সমাজে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প সমান ভাবে ছড়ায়!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভ্রাতা +++++++

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

আসিফ ইকবাল তােরক বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.