নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ব্যাচেলর এর একটি রাজ্য জয়ের গল্প

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

শাহেদ সদ্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে ঢাকায় এসেছে চাকুরী খোজার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিগ্রিধারী যেহেতু সেহেতু ঢাকা ছাড়া অন্য কোথাও চাকুরী পাওয়ার সুযোগ নেই তাই আর দশটা ছেলের মত সেও ঢাকায় এসেছে। প্রথমে তার এক আত্মীয়ের বাসায় উঠলেও কিছুদিন এর মধ্যেই বুঝতে পারলো ওই বাসার কেউই তাকে ভালভাবে নিচ্ছে না,আসলে পৃথিবীর কেউই ব্যাচেলারকে পছন্দ করে না। শাহেদের আত্মসম্মান বোধে আঘাত লাগলো। ভাবলো না আর নয় তাকে একটা বাসা খুজে নিতেই হবে। শুরু হল শাহেদের বাসা খোজার সংগ্রাম। এই সংগ্রামে সঙী হিসাবে পেয়ে গেলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সহপাঠী কাদেরকে।

প্রতিদিন সকালে শুরু হয় তাদের কর্মযজ্ঞ। কোন বাসা টু-লেট দেখলেই নক করে জানতে চায় বাসা ভাড়া হবে? বাড়ির দারোয়ান এর প্রথম প্রশ্ন : ফ্যামিলি নাকি ব্যাচেলর? ব্যাচেলর শোনার সাথে সাথে দারোয়ানের হুংকার দিয়ে বলে -লেখাপড়া জানেন না? বাইরে লেখাই আছে ব্যাচেলারদের বাসা ভাড়া দেওয়া হয় না। দারোয়ান দুম করে দরজা বন্দ করে দেয়। কথায় আছে একবার না পারিলে দেখ শত বার,কিন্তু শতবার চেষ্টা করেও কোন বাড়িওয়ালার মন গলানো যায় না। শাহেদ ভাবে এইসব বাড়িওয়ালারা মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাচেলর পাত্র খোঁজে আর ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতেই এদের যত সমস্যা। এরা নিজেরা কি কোনদিন ব্যাচেলর ছিল না? ব্যাচেলর কি এতটাই ঘৃণিত শব্দ?

দু'দিন এভাবে চেষ্টার পর শাহেদ ভাবতে থাকে, না এভাবে হবে না টেকনিক বদলাতে হবে।শাহেদ সহপাঠী কাদেরকে বলে যদি আমাদের কারো মাকে আমাদের সাথে কিছুদিনের জন্য এনে রাখি তাহলে সব সমস্যার সমাধান হবে। আইডিয়াটা কাদেরের ও পছন্দ হয়। পরদিন সকালে আবার বের হয় তারা। প্রথমে টু-লেট দেখে একটা বাসায় কলিংবেল টিপে দারোয়ান ওদের চেহারা দেখেই বলে ব্যাচেলর ভাড়া দেওয়া হয়না। তখন কাদের বলে আমরা ব্যাচেলর নই ফ্যামেলি। দারোয়ান জিজ্ঞাসা করে কে কে থাকবে? আমরা দুই ভাই থাকবো আর আমাদের মা থাকবে। আপনারা অবিবাহিত? হ্যা, ব্যাস আর কোন কথা নেই সংগে সংগে দরজা বন্দ করে দেয়, আপনাদের কে মালিক বাসা ভাড়া দেবেন না।

এই প্লানটাও ফেল মারলো? এভাবে খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে তারা সফল হয়। আবারো প্রমাণিত হয়, সেই চিরসত্য কথা একবার না পারিলে দেখ শতবার। একটা সাততলা বিল্ডিং এর ছাদে আট তলার উপর একটা রুম, লিফট নেই তাই এত উপরে কেউ ভাড়া নিতে চায় না। বাড়ি ওলার শর্তসমুহ : ১.রাত এগারোটার আগে বাসায় ফিরতে হবে। ২.বাসায় বন্ধু বান্ধব এনে আড্ডা দেওয়া যাবে না ৩.এই দুইজন ছাড়া তৃতীয় কাউকে এনে রাখা যাবে না ৪. প্রত্যেক মাসের ৫ তারিখের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে ৫.জোরে শব্দ করে গান বাজানো যাবে না ৬.সিঁড়িদিয়ে উপরে ওঠার সময় জোরে জোরে শব্দ করা যাবে না ৭.ছাদে উঠা যাবে না। আরো অনেকগুলো শর্ত ওরা একবাক্যে সব শর্ত মেনে নেয়।

আহ কি আনন্দ যেন কোন একটা রাজ্য জয় ফেলেছে তারা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

eunknown_rafi বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.