![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত
কিছুদিন আগে রিলিজ পাওয়া ডুব ছবির একটা জনপ্রিয় গান, আহারে জীবন আহা জীবন জলেভাষা পদ্ম যেমন। ব্যাচেলারদের জীবন ও এমনই। আছে নানান ধরনের চিন্তা, টেনশন, আবার আছে ভাল লাগার অনেক উপকরণ। বিন্দাস জীবন। কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। যখন যা মন চায় করা যায়। মাঝেমধ্যে সারারাত না ঘুমিয়ে তাস খেলে কাটিয়ে দেওয়া যায়। আবার মন চাইলে মাঝ রাতে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে চা খাওয়া যায়। কেউ দেখার নেই কেউ বাধা দেওয়ার নেই।
যে ছেলেটি কোনদিন বাসায় একগ্লাস পানি ঢেলে খায়নি সেও মাঝে মাঝে ডাল আলু ভর্তা ডিমভাজি রান্না করে ফেলে।নিজের কাপড় নিজেই কাচে। একজন অসুস্থ হলে অন্যজন সেবা করে। ব্যাচেলর লাইফ মানুষকে আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায়। ডাল আলুবর্তা হচ্ছে ব্যাচেলরদের জাতীয় খাবার।ব্যাচেলরদের জাতীয় খেলা তাস।
ব্যাচেলর ৪ প্রকার ১.স্টুডেন্ট ব্যাচেলর
২.বেকার ব্যাচেলর। ৩. চাকুরীজীবী ব্যাচেলর ৪.বিবাহিত ব্যাচেলর
স্টুডেন্ট ব্যাচেলর :
স্টুডেন্ট ব্যাচেলরা অনেক সুখি, তাদের বাবা বাড়ি থেকে টাকা পাঠায় আর তারা পড়াশুনা করে এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা হই হুল্লোড় করে সময় কাটায়,এরাই প্রকৃত পক্ষে ব্যাচেলর লাইফকে এনজয় করে।
বেকার ব্যাচেলর :
বেকার ব্যাচেলরদের জীবন অতটা সুখের নয়। ভবিষ্যতের চিন্তা এদের মারাত্মক ভাবে গ্রাস করে। তারা একগাদা বিসিএস গাইড নিয়ে ডুবে থাকে।যেহেতু পৃথিবীর কেউই বেকারদের পছন্দ করে না। তাই এরা সব সময় একটাই চিন্তা করে, কি করে একটা চাকুরী ম্যানেজ করা যায়।
চাকুরীজীবী ব্যাচেলর:
চাকুরীজীবী ব্যাচেলদের জীবন ও বেশ সুখের। অফিস বাসা বন্ধুবান্ধব নিয়ে এদের সময় ভালই কেটে যায়। ফোনে গার্লফেন্ড বন্ধুবান্ধবদের সাথে কথা বলে এরা অবসর সময় কেটায়।
বিবাহিত ব্যাচেলর :
স্ত্রীর চাকুরী বা পারিবারিক কারনে অনেককে বিবাহিত হয়েও ব্যাচেলর হিসাবে দিন পার করতে হয়। এদের জন্য এই ব্যাচেলর লাইফটা মোটেই সুখকর নয়। প্রিয়জনের থেকে দূরে থাকা যেমন কষ্টের, আবার বুয়া না আসলে নিজে রান্না করে খাওয়া আরো কষ্টের।
ব্যাচেলরদের জীবনযাপন :
ব্যাচেলরদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ণ মানুষ হচ্ছে বুয়া। ব্যাচেলরদের খাওয়া দাওয়া, রুমের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সবই বুয়ার উপর নির্ভরশীল। একদিন বুয়া না আসলে নিজেদের রান্না করে খেতে হয়, অথবা হোটেলে খেতে হয়। তবে মাঝে মাঝে নিজেরা হইহুল্লোড় করে রান্না করে খাওয়ার মধ্যেও দারুণ মজা আছে।
পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য যারা দেখেন নি তারা ব্যাচেলরদের রুমে গেলেই দেখতে পাবেন। কোন গোছালো জিনিষ দেখতে পাবেন না। সকালে যে লুঙ্গী পরেছিল সেই লুঙ্গীটা বিকালেও সেভাবেই গোল হয়ে পড়ে থাকবে বিছানার,রাতে এসে লুঙ্গীটা আবার পরে ফেলবে । বিছানার উপরে নিচে পড়ে আছে খোলা বই খাতা । রুমের ভিতর দড়ি টানানো, সেই দড়িতে ঝুলছে আন্ডারওয়্যার। কোন কোন রুমে কোন বেড নেই সবাই ফ্লোরে তোষক পেতে ঘুমায়। ব্যাচেলর লাইফে কোন সমস্যাই সমস্যা নয়,যেমন পানির গ্লাস নেই? একটা প্লাস্টিক এর বোতল কেটে বানিয়ে ফেলা হল গ্লাস, রুমে প্লেট নেই? কোন সমস্যা নয় একজন হাড়িতে খেতে বসে গেল। এদের বিছানা সাধারণত একজন শোয়ার উপযোগী হঠাৎ কেউ বেড়াতে আসলে একটা বেডকে একটু টেনে ওয়াল থেকে একটু ফাকা করে দেওয়া হল ব্যাস হয়ে গেল দুজনের ঘুমানোর জায়গা। ব্যাচেলারদের রুমমেটদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক হয়,একে অপরের বিপদে আপদে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করে, তবে ভুলবোঝাবুঝি ঝগড়াঝাঁটি হয় না তা নয়।তবে অন্যদের হস্তক্ষেপে সহজে যেকোনো বিষয়ে মিমাংসা হয়।
সুখ দু:খ, হাসি আনন্দ নিয়ে ভরা ব্যাচেলর লাইফ,যা জীবনের খুব সুন্দর কিছু মুহুর্তের সমন্বয় ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কষ্ট আমার পেজে এসে মন্তব্য করার জন্য, প্রথম পাতায় কি আসতে পারবো,কি মনে হয় আপনার?
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অবশ্যই। আমি আশাবাদি।
আপনি আশাহত হবেননা।
ভাল থাকুন।
শুভ কামনা।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ফেসবুকে আমার বন্ধুরা আমার লেখাকে যথেষ্টই ভাল বলে, দেখা যাক কি হয়, নাহলে আমার লেখাগুলো আমার পার্সোনাল ডাইরি হয়েই থাক।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮
কামরুননাহার কলি বলেছেন: হাহাহহা সব ব্যাচেলরদের নিয়েই লেখেছেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য, হুম ব্যাচেলারদের জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময়, নিজে পার করে এসেছি, তাই বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২০
মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: আমার বিছানা দেখলে......
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার বিছানাও এমনি,একসময় আমার বিছানাও এমনি ছিলো।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।