নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুকে শাস্তি

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

বাবার বদলীরর চাকুরী হওয়ার কারণে ৫ বছরের হাই স্কুল জীবনে তিনটি স্কুল বদলাতে হয়েছে আমাকে। প্রতিটি স্কুলেরই ধর্ম শিক্ষকরা প্রায় একই রকম। প্রত্যেকেই ভিষন কড়া মেজাজের পড়া না পারলে জোড়া বেতের বাড়ি। যেটুকু পড়া দেবে হুবহু বলতে হবে নাহলে বেতের বাড়ি কপালে জুটবে। অন্য শিক্ষকরাও পেটাতেন তবে হুজুর পেটানোর দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে।

আমার সর্বশেষ স্কুলের হুজুর স্যার অন্য সবার থেকে পেটানোর দিক দিয়ে এগিয়ে ছিলেন। তবে স্যারের কাছে যারা ধর্ম প্রাইভেট পড়তো তাদের প্রতি স্যার একটু সহানুভূতিশীল ছিলেন। পড়াশুনা ছাড়াও স্যার ৫ ওয়াক্ত নামাজের হিসাবও নিতেন। কেউ যদি ৪ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তার জন্য একটা বেতের বাড়ি। আর এক ওয়াক্ত ও না পড়লে ৫টা বেতের বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে স্যারের এই অত্যাচার চলতে থাকলো। শেষ পর্যন্ত অনেকেই নামাজ না পড়েও মারের হাত থেকে বাচার জন্য বলতে লাগলো ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছি। প্রতিদিন টিফিন টাইমে সবাইকে নামাজ পড়তেই হবে টিফিনের পরের পিরিয়ডই হুজুরের মসজিদে যাকেই না পাওয়া যাবে তার ভাগ্যেই জোড়া বেতের বাড়ি জুটবে। কামাল নামে আমাদের এক বন্ধু একদিন স্কুলের পিছনে গ্যারেজে রাখা স্যারের সাইকেলের হাওয়া ছেড়ে দিল। এভাবে প্রতিদিনই আমরা পালাক্রমে স্যারের সাইকেলের হাওয়া ছেড়ে দিতে লাগলাম। প্রতিদিন স্কুল ছুটি হওয়ার পর স্যার দেখতেন ওনার সাইকেলে হাওয়া নেই। একদিন ক্লাশের সবাইকে বেদম প্রহার করলেন কিন্তু কেউই স্বীকার করলো না কে হাওয়া ছেড়েছে। একসময় স্যার রণে ভঙ্গ দিলেন। এবং ক্লাশে এসে বললেন তোরা সব জাহান্নামে যা, আমি আর কোনদিন তোদের নামাজ পড়তে বলবো না।

কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা গেছে দেশের ৬৯ শতাংশ বাবা মা এখনো শিশুকে স্কুলে শাস্তি দেওয়ার পক্ষে।আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ব্লাস্ট এই জরিপটি দেশের ২৫ জেলার বাবা মাদের উপর পরিচালনা করে। আসলে আমরা সেই পুরানো ধ্যান ধারনা থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারিনি। শিশুরা কি অপরাধী যে তাদের শাস্তি দিতে হবে?

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: Click This Link

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শিশুদের কি ভাবে শিক্ষা দিতে হবে সে শিক্ষাটাই জানেনা আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিক্ষক।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এ বিষয়ে শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ জরুরী। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সোহেল ভাই।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধবস নেমেছে।

জরুরী ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। তা না হলে পরবর্তী জেনারেশন শিক্ষিত মূর্খ হবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: গোটা শিক্ষাব্যবস্থার এখন হ-য-র-ব অবস্থা, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: শিশুদের কিভাবে শিক্ষা দিতে তা রবীন্দ্রনাথ খুব সুন্দর করে বলে গেছেন।
তা আমাদের মানা উচিত।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: নানা সমস্যায় জর্জরিত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। এসব নিয়ে চিন্তা করার লোকের বড়ই অভাব। সরকার আছে নিজের ক্ষমতা বাচানোর তালে, এই অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখানোর কেউ নেই।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

বারিধারা ২ বলেছেন: শিশুদের শাস্তি অপরাধের জন্য দেয়া হয়না। স্বাভাবিক অবস্থায় শিশুরা খুব চঞ্চল হয়ে থাকে, যা পড়াশুনা বা শেখার জন্য অন্তরায়। শাস্তির ভয় দেখিয়ে তাদেরকে স্থির করা হয় - যাতে তারা একই জায়গায় বসে থাকে। বিদ্যা শিক্ষা দেবার কিছু কউশল আছে যেগুলো জানতে শাস্তি দেবার প্রয়োজনই পড়েনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় - এই সম্পর্কে বেশির ভাগ হুজুরেরই কোন প্রশিক্ষণ নেই - তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেবারও কোন ব্যবস্থা নেই। তাই দোষ একা হুজুর সম্প্রদায়ের উপর চাপিয়ে দেয়ার কোন যুক্তি নেই। বাবা-মাকে টিচারের সাথে সরাসরি কন্সাল্ট করতে হবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমাদের দেশের পিটিআই, বিএড এ শিক্ষকদের কি শেখানো জানি না, তবে শিশুদের শাস্তি না দিয়েও শেখানো যায় এই টেকনিকগুলো তাদের জানা দরকার।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এইভাবে শাস্তি দেবার মানে কি? বিশেষত নামাজ রোজা করতে হয় মন থেকে ভক্তি সহকারে। তার জন্য বেতের বাড়ি দেওয়া কেন? প্রশংসা মূলক বাক্য কিংবা নামাজ চার্টে কিছু এক্সট্রা ক্রেডিট নম্বর দেয়া - এই রকম এপ্রোচ নিতে হবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এগুলি হচ্ছে অজ্ঞতা এবং ধর্মীয় গোড়ামী, সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঐ সময়টায় শাস্তি ছাড়া কেউ ভয়ও পেত না। তবে এখনকার প্রতিযোগীতার যুগে এমনিতেই না পড়লে পিছিয়ে থাকতে হবে। কিছু অভিভাবকও ভয়ংকর শাসন করে সন্তানদের সাথে যা মোটেই উচিত নয়। সেদিন লেগুনাতে একজনকে ফোনে বলতে শুনলাম(সম্ভবত স্ত্রীকে) " আমি এসে যদি ও(সন্তান) পড়া না পারে তাহলে আজকে খবর আছে!"

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:২৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এখনো অনেকেই সেই পুরানো ধ্যান ধারণা নিয়ে বসে আছেন এই কারণে মুলত শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

মিরোরডডল বলেছেন: Punishing kids is a crime.
Teachers need to be educated how to treat or handle a Kid

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শিশুরা অপরাধী নয়, ওরা অবুঝ তাই ওদের বোঝাতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.