নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বসন্তের অনুভূতিগুলো

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

নাগরিক জীবনে বসন্তের উপস্থিতি টের পাওয়াই মুশকিল। পথে যেতে যেতে দু'একটা গাছে আমের মুকুল চোখে পড়ে,আর কিছুকিছু গাছে সবুজ কচি পাতার সমারাহ আর তাতেই বুঝে নিতে হয় বসন্ত এসে গেছে। সেদিন অফিসে বসে মোবাইলে এক ক্লাইন্টের সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ করেই মোবাইলের ওপ্রান্ত থেকে কোকিলের ডাক শুনতে পেলাম। তার কাছেই জিজ্ঞাসা করলাম,কি ভাই আপনাদের ওখানে কোকিল ডাকছে? তিনি শুধু বললেন 'হুম ডাকছে'। এটাই এছরের প্রথম কোকিলের ডাক শোনা। মোবাইল শোনা কোকিলের ডাক নস্টালজিক করে দিলো আমায়।

আবারো মনে পড়ে গেল গ্রামে কাটানো শৈশবের কথা, সে সময় আমাদের গাছগুলোতে বসে বেহায়া কোকিলটা ডেকেই যেতো। কোকিলের ডাক শুনলে আমিও চেষ্টা করতাম কোকিলের মত করে কু-কু-কু করে ডাকে তাকে ভেঙাতে কিন্তু বেহায়া পাখিটার কোন ভ্রুক্ষেপ ছিল না তাতে। সে আপন মনে ডেকেই যেতো, কু-কু-কু । কতদিন চেষ্টা করেছি পাখিটাকে দেখার জন্য কিন্তু কোনদিনই দেখা পায়নি বেহায়া পাখিটির। কোকিল আসলে পাতার আড়ালে বসেই কু-কু গান গায়, কোকিলকে দেখা যায় না কিন্তু শোনা যায় তার গান।

এখন নিশ্চয় আম গাছগুলো মুকুলে ভরে গেছে। এ সময় আমের বোলের ঘ্রাণে বাড়ি ম-ম করে। রাতের বেলা আমের বোলের কড়া একটা ঘ্রাণ পাওয়া যাতো,যে ঘ্রাণ রাতের বেলায় অদ্ভুত এক ধরনের মাদকতা সৃষ্টি করতো। আম্মা টক বরই ভর্তা করার সময় গাছ থেকে একটা আমের মুকুল ছিড়ে এনে আম্মাকে দিতাম। টক বরই ভর্তার সাথে ধনেপাতা আর আমের মুকুল দিলে খেতে দারুণ লাগে। কাঁঠাল গাছগুলোতে নিশ্চয় এখন ছোট ছোট মুচি এসেছে? একবার একটা কাঠালের মুচি ছিঁড়ে লবন দিয়ে খেয়েছিলাম,সে সময় খেতে খারাপ লাগেনি। আজ নিশ্চয়ই কাঠালের মুচি লবন দিয়ে খেতে ভাল লাগবে না।

আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটা শিমুল গাছ ছিল, এসময় গাছটিতে লাল টকটকে শিমুল ফুল ফুটে থাকতো। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম গাছের তলাটা শিমুল ফুল পড়ে রঙিন হয়ে আছে, দুর থেকে দেখলে মনে হতো কেউ লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। সজনে গাছটাও হয়তো এখন ফুলে ফুলে ভরা।স্কুলের পাশের সেই কৃঞ্চচুড়া গাছটিও লাল লাল ফুলে ভরে উঠতো । দুএকটা শালিক পাখিকে দেখতাম ফুলগুলোতে ঠোকর দিতে, এখন বুঝি পাখিগুলো ফুলের পরাগায়নে সাহায্য করে।

বসন্তের ঝিরিঝিরি ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগলে অদ্ভুত এক ভাল লাগা কাজ করে সবসময়। সত্যি বসন্ত ঋতুরাজ, যে ঋতুর কোন তুলনা নেই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বসন্ত এলে সবাই টের পায়, গাছও জেগে উঠে

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বসন্ত আসলেই দারুণ ভালোলাগার একটি ঋতু, শীতও নেই আবার গরমও নেই। প্রকৃতিতে রঙের মেলা, টের না পেয়ে উপায় কি?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গাজী ভাই।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: তারেক ভাই গত সপ্তাহে বাড়িতে গিয়েছিলাম।গ্রামে সত্যি বসন্ত এসেছে চারপাশ দেখলেই বোঝা যায়।
বসন্ত শহরের ইট পাথরের নিচে হারিয়ে যায়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন সোহেল ভাই, গ্রামে গেলেই কেবল বসন্তের প্রকৃত রূপ বোঝা। গাছগুলোই বলে দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সোহেল ভাই।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: যান্ত্রিক শহরে আবার বসন্তের অনুভূতি !! :)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: যান্ত্রিক জীবনে অনেকটা ফিকে হয়ে এসেছি অনুভূতিগুলো তবে কল্পনায় হারিয়ে যেতেতো আর বাধা নেই। মন্তব্যের জন্য ভালবাসা নিবেন প্রিয় শাহরিয়ার কবির ভাই।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমার অপছন্দের ঋতু শীত।

বসন্ত আমাকে পাগল করে দেয়।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বসন্ত আমাদের সবারই ভালোলাগার ঋতু, রঙিন বসন্তে প্রকৃতির নবরূপ কার না ভাল লাগে। মন্তব্যের অনেক ভালবাসা রাজীব ভাই।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: ফাগুন এসেছে ও ভাই এসেছে ফাগুন।
এখন বনে যেমন, মনেও এর আশ্চর্য দোলা।
এরই মাঝে রূপ লাবণ্যে জেগে উঠেছে প্রকৃতি।
বৃক্ষের নবীন পাতায় আলোর নাচন।
ফুলে ফুলে বাগান ভরে উঠেছে।
চোখ খুললেই গোলাপ জবা পলাশ পারিজাতের হাসি।
মৌমাছির গুঞ্জন। কোকিলের কুহুতান। সব, সবই বসন্তকে আবাহন করছে।
জানিয়ে দিচ্ছে- আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
ফাগুন এসেছে ও ভাই এসেছে ফাগুন।
ফাগুনের এই ক্ষণে বিবর্ণ প্রকৃতি জেগে উঠেছে নতুন করে।
বাগানে বাগানে ফুটেছে কুসুম। শিমুল, কাঞ্চন, মাধবী, কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে বন।
কবিগুরু সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন, ওরে ভাই, ফাগুন এসেছে বনে বনে
ডালে ডালে ফুলে ফলে পাতায় পাতায় রে,/আড়ালে আড়ালে কোণে কোণে...।
শুধু পাতা আর ফুলেরা কেন? আপন মনে গাইছে পাখি। কত কত গান!
কবিগুরুর বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে বললে
আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে,/এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়...।
অথবা বসন্ত এসেছে বনে, ফুল ওঠে ফুটি,/ দিনরাত্রি গাহে পিক, নাহি তার ছুটি ...।
বনের মতোই অনাদিকাল ধরে বাঙালীর মন রাঙিয়ে দিয়ে যাচ্ছে বসন্ত।
সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় অন্য সব অনুষঙ্গ ভুলে যান।
অদ্ভুত সুন্দর তার বলাটি ফুল ফুটুক না ফুটুক/ আজ বসন্ত...। এই বসন্তে ভীষণ আকুলি বিকুলি করে ওঠে মন। বুকে নতুন করে জাগে ভালবাসার বোধ।
কবিগুরুর ভাষায়, আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে/বসন্তের বাতাসটুকুর মতো।/সে যে ছুঁয়ে গেল, নুয়ে গেল রে/ফুল ফুটিয়ে গেল শত শত...। আর বিখ্যাত স্বীকারোক্তিটির কথা তো সবার জানা, যেখানে কবিগুরু বলছেন, ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভাল...। হ্যাঁ, বসন্ত এমনই।
সারা বছর বলতে না পারা মনের গোপন কথাটিও ফাগুনের প্রথম দিনে প্রিয়জনকে বলে দেয়া যায়। অনেকেই ‘ভালোবাসি’ বলার জন্য বিশেষ এই দিবসটিকে বেছে নেন। ভাললাগা ভালবাসার সৌরভ ছড়ানো ছাড়াও মিলনের বার্তা দেয় বসন্ত। এমন লগ্নে প্রিয়জনের কাছে দেহ-মন সঁপে দিতে যেন বাধা নেই কোন। ভীরু প্রাণে কেবলই বাজে মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে/ মধুর মলয়সমীরে মধুর মিলন রটাতে...। লোকজ সুরেও প্রতিধ্বনি হয় অভিন্ন বাসনা। আব্বাস উদ্দীনের কালজয়ী কণ্ঠ শোনায়, সুখ বসন্ত দিলরে দেখা, আর তো যৈবন যায় না রাখা গো...। এভাবে বসন্তের আগমনে উচাটন হয়ে ওঠে মন। পুরনো বেদনা, হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ভালবেসে এর পেছনে আবারও ছুটতে প্ররোচনা দেয়। পাখিরাও প্রণয়ী খোঁজে এ সময়। ঘর বাঁধে। মৌমাছিরা মধুর খোঁজে হন্যে হয়। এক ফুল থেকে ছোটে অন্য ফুলে। সব মিলিয়ে অনন্য ঋতু বসন্ত।

কবিগুরুর গানটির অনুসরণে কবিতা লেখা।
কবিগুরুর লেখাটি এই রকম।
ওরে ভাই, ফাগুন লেগেছে বনে বনে--
ডালে ডালে ফুলে ফুলে পাতায় পাতায় রে,
আড়ালে আড়ালে কোণে কোণে॥
রঙে রঙে রঙিল আকাশ, গানে গানে নিখিল উদাস--
যেন চল-চঞ্চল নব পল্লবদল মর্মরে মোর মনে মনে। ।
হেরো হেরো অবনীর রঙ্গ,
গগনের করে তপোভঙ্গ।
হাসির আঘাতে তার মৌন রহে না আর,
কেঁপে কেঁপে ওঠে খনে খনে।
বাতাস ছুটিছে বনময় রে, ফুলের না জানে পরিচয় রে।
তাই বুঝি বারে বারে কুঞ্জের দ্বারে দ্বারে
শুধায়ে ফিরিছে জনে জনে॥

ফাগুন এসেছে ও ভাই এসেছে ফাগুন।
এখন বনে যেমন, মনেও এর আশ্চর্য দোলা।
এরই মাঝে রূপ লাবণ্যে জেগে উঠেছে প্রকৃতি।
বৃক্ষের নবীন পাতায় আলোর নাচন।
ফুলে ফুলে বাগান ভরে উঠেছে।
চোখ খুললেই গোলাপ জবা পলাশ পারিজাতের হাসি।
মৌমাছির গুঞ্জন। কোকিলের কুহুতান। সব, সবই বসন্তকে আবাহন করছে।
জানিয়ে দিচ্ছে- আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।

প্রিয়কবিকে জানাই ফাগুনের প্রীতিভরা শুভেচ্ছা।
শুভকামনা রইল সদা সর্বদা। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
প্রাণভরে লিখুন আর লিখতে থাকুন।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
সর্বদা ও অবিরাম।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বসন্ত নিয়ে কবিদের অনিদ্যসুন্দর অনুভূতিগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ লক্ষণ ভাণ্ডারী দা, আপনাকে অনেক ভালবাসা প্রিয় কবি

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জীবনে বসন্ত এসেছে
ফুলে ফুলে ভরে গেছে মন
..............................
.............................

বসন্তকালটা দারুণ এক সময়।

গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়, ফুলেরা ফুটে উঠে রঙিন হয় পৃথিবী।

বসন্তের মাতাল হাওয়ার মন-প্রাণ ভরে উঠে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বসন্ত নিয়ে দারুণ কবিতা লিখে ফেললেন মাইদুল ভাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.