নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও ডাক্তার

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

প্রতিদিন পরিচিত, অল্পপরিচিত, আত্মীয়স্বজনসহ চেনাঅচেনা হাজার হাজার মানুষকে দেখছি চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে। চিকিৎসার জন্য ভারতমুখী মানুষের স্রোতই বলে দেয় এদেশের ডাক্তারদের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতার কথা।মধ্যবিত্তরা ভারত যাচ্ছে আর উচ্চবিত্তরা এদেশে চিকিৎসার কথা ভাবতেও পারেন না,তারা যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর, লন্ডন। এই আস্থাহীনতা একদিনে তৈরি হয়নি,এদেশে প্রতিদিনই ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার বলি হয়ে শতশত মানুষ মারা যাচ্ছে যাদের সব খবর পত্রিকার পাতায় আসে না।

২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের খবর ছিল পেটে বাচ্চা রেখেই সেলাই। খবরটি এমন ছিল, কুমিল্লার গৃহবধূ খাদিজা আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি জমজ বাচ্চার মা হতে চলেছেন। কিন্তু কুমিল্লার সিভিল সার্জন হোসনে আরা অস্ত্রপাচার করার পর জানান খাদিজার একটাই বাচ্চা হয়েছে আর একটি টিউমার। তিনি একটি বাচ্চা পেটের ভিতর রেখেই সেলাই করে দেন।খাদিজার আত্মীয়স্বজনরা যখন অন্য বাচ্চার কথা জানতে চান তখন হোসনে আরা বলেন সেটি বাচ্চা নয় টিউমার। পরবর্তীতে টিউমার ভেবে অপারেশন করতে গিয়ে পেটের ভিতর মৃত বাচ্চা পাওয়া যায়। এই হচ্ছে ডাক্তারির নমুনা।

এখন বাংলাদেশে বাচ্চা ডেলিভারি মানেই সিজারিয়ান ডেলিভারি।পৃথিবীর অনন্যা দেশে যেখানে সিজারিয়ান ডেলিভারিকে নিরুৎসাহিত করা হয়। সেখানে আমাদের দেশে নরমাল ডেলিভারি বিষয়টি স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না। এর পিছনে রয়েছে ডাক্তারদের অর্থলাভী মনোভাব।


আমার চাচা ব্লাড ক্যান্সারে মৃত্যুর আগে আমার কাছে আফসোস করে বলেছিলেন। প্রথম থেকে আমার চিকিৎসা যদি ইন্ডিয়াতে করা হতো তাহলে আজ আমাকে মরতে হতো না। চাচার এই কথাটা এখনো আমার কানে বাজে।
প্রথম কয়েক বছর বাংলাদেশের ডাক্তাররা উনার শরীরে কোন রোগই খুজে পাচ্ছিলেন না। মৃত্যুর মাত্র দুইমাস আগেই ধরা পড়ে উনার ক্যান্সার। কাকার সেদিনের সেই বাচার আকুতির কথা ভাবলে বুকটা হাহাকার করে উঠে।


বর্তমানে যে ডাক্তাররা চিকিৎসা করছেন তারা কেউ প্রশ্নফাস জেনারেশনের ডাক্তার নন। এরা সবাই পড়াশুনা করেই ডাক্তার হয়েছেন,তাদেরই এই অবস্থা। এবার বুঝুন ফাস হওয়া প্রশ্নে পরিক্ষা দিয়ে পাস করে যারা ডাক্তার হচ্ছেন তারা আমাদের কেমন চিকিৎসা করবে? আমাদের ভবিষ্যৎ ডাক্তাররা কেমন চিকিৎসার করবেন সেটা ভাবলেই আতকে উঠি।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বাচ্চা ডেলিভারি মানেই সিজারিয়ান এর পিছনে অবশ্য আরেকটু কারন আছে ।যেহেটু এটা পাবলিক ব্লগ সেহেটু খোলামেলা ভাবে
বললাম না। বিশেষ করে স্বামী শ্ত্রী পার্সেনালি ব্যপার ।নরমাল ডেলিভারি করালে পরে নাকি শ্ত্রীর হাতের রান্না করা ভাত মোটা
হয়ে যায়,আর সে ভাত খাইয়া নাকি স্বাদ পাওয়া যায়না । ;)

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনি যে কারণে সিজারিয়ান ডেলিভারির যে কারণের কথা বলেছেন,সে কারণে সিজারিয়ান ডেলিভারি করার প্রয়োজন হয় না কারণ ডাক্তাররা আগেই অর্থলোভে সিরিজারিয়ান ডেলিভারি করে থাকে। আপনি দেখি খুবই দুষ্টু হাসুমামা।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই, আপনাকে স্বাগতম। অনেক ভালবাসা রইলো।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: আমিও আঁতকে উঠি। কদিন আগে খবরে দেখলাম, এক ডাক্তার সিজারিয়ান করতে গিয়ে বাচ্চা দুটুকরা করে বের করেছেন, জরায়ুও কেটে ফেলেছেন!

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এমন উদাহরণ এদেশে অহরহ, আমাদের সামনে অন্ধকার । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ করুণাধারা আপু।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: হাসু মামার কথা মিথ্যা না ভাই?? আমার কয়েক জন বন্ধুরও ঐ রকম মত।:P

আমাদের দেশের ডাক্তাররা আন্তরিক নয়। ওরা ব্যবসায়ী, কসাই।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হাসু মামার কথা মিথ্যা নয় তা আমিও জানি, কিন্তু আমাদের ডাক্তাররা ঐ কারণে সিজারের সুযোগই দেয় না।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিজাম ভাই।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ডাক্তারির সাথে সাথে একজন ডাক্তারকে মানবিক গুনাবলির উপরও গুরুত্ব দিতে হবে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভালই বলেছেন সোহেল ভাই, অর্থের লোভ ডাক্তারদের অমানুষ করে তুলেছে এদেরকে নৈতিকতার কথা বলা অর্থহীন।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

সৈয়দ তাজুল বলেছেন:
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সিজার একটি উত্তম পন্থা হিসেবে ভাবা যায়। আর হ্যা, আমাদের বর্তমান সময়ের ডাক্তারি পেশাটা স্পষ্ট ব্যবসায় রূপ নিয়েছে।

সন্তান ডাক্তারি পেশার যোগ্য না হলেও অর্থের গরমে তাকে ডাক্তারি সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে। আরো অনেক গোপণ তথ্য কাজ করে এই গরমের ভেতরে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বর্তমান সময়ের ডাক্তারি পেশাটা স্পষ্ট ব্যবসায় রূপ নিয়েছে ভাল বলেছেন, ওরা এখন কসাই ওরা আর মানুষ নেই।

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তারা কষাই হয়ে যাওয়ায় কোন উপকার পাওয়া যাচ্ছেনা।

টাকার শ্রাদ্ধ আর কি ?

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমাদের দেশের ডাক্তারদেরকে আর নিরাপদ মনে হচ্ছে না, তাই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভারতমুখী। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন:


সত্যিই প্যাথেটিক !
কাকে কি বলব ! কে কথা শুনবে ??

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সত্যি কবি ভাই দেখার কেউ কেউ নেই সামনে শুধুই অন্ধকার,যাদের টাকা আছে তাদের সমস্যা নেই কিন্তু গরিব মানুষই সবচেয়ে বিপদে আছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জাহিদ অনিক ভাই।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৮

এহ্‌সান তপু বলেছেন: যে যেখানে পারছে পেটে ছুরি ধরছে

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এ কারনেই আস্থাহীনতা বাড়ছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন:
এইটা খাদিজা সম্পর্কিত সঠিক তথ্য যা বহুদিন আগে সবাই জেনেছেন ।
মুর্খতার কারনে ঘটনা অন‍্য ভাবে মানুষ চালাচ্ছেন । এ নিয়ে আন্দোলন আরো অনেক কিছু হয়েছে ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এটাই যদি সত্যি হয় তাহলে আদালত কি কারণে খাদিজাকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বললো সেটাই বোধগম্য নয়।

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: পেটে বাচ্চা রেখেই সেলাই করে অপারেশন সমাপ্ত!

এই লাইনটি দেখে, চমকে উঠবে না এমন কেউ নেই সম্ভবত।
আচ্ছা, এটা কি আদৌ হতে পারে? ইদানীং এমন একটি ঘটনার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ঘটনা কি তাহলে সত্যি!
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বলছে যমজ বাচ্চা। দুইটাই জরায়ুর ভিতরে।
কিন্তু, অপারেশন করে জরায়ুতে একটাই পরিণত সুস্থ বাচ্চা পাওয়া গেল।

অপারেশনের সময় দেখা গেল, জরায়ুর বাইরে পেটের নাড়ীভুঁড়ির (intestine) সাথে টিউমার টাইপের কিছু একটা রয়েছে। সার্জন ধারনা করলেন, এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি অথবা টিউমার যা হেমরেজিক সিস্ট এর ন্যায় দেখাচ্ছে।

পূর্ব পরিকল্পনা ব্যতীত, যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত জোগাড় না করে এবং অন্যান্য প্রস্তুতি না নিয়ে এই ধরনের টিউমার অস্ত্রপচার করার সময় অনেক সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের অস্ত্রপচারের সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হয়ে রোগী কখনও মারা যেতে পারে।

আবার সাথে সাথে অস্ত্রপচার করতে হবে এমন কথা নেই।

সার্জন রোগীর লোকজনকে ডেকে এনে উক্ত অবস্থা দেখিয়েছেন এবং প্রমান স্বরুপ ও সঠিক ডায়াগনোসিসের উদ্দেশ্যে ছবি তুলে রাখা হয়েছে।

সার্জন সিজারের অস্ত্রপচার শেষ করে, আপাত স্থিতিশীল এই সমস্যার জন্য পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত যোগাযোগ করতে বলেন এবং উক্ত ছবি দেখানোর পরামর্শ দেন। উক্ত টিউমার টুইন বেবির একটি হলেও হতে পারে বলে কাউনসেলিং করা হয়।
কিন্তু, কোন সিরিয়াস কমপ্লিকেশন না থাকায় রোগী গাফিলতি করে এক মাস পরে ঢামেকহা’তে যান।

পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রামে পাওয়া গেল আরেকটা ক্ষুদ্রাকৃতির একটা বাচ্চা যার হৃদস্পন্দন নেই।
হেমরেজিক সিস্ট বলে যে টিউমার ভাবা হয়েছিল, তা আসলেই ছিল আরেকটি বাচ্চা। কিন্তু ধরতে পারা যাচ্ছিল না তার আসল অবস্থান ।
বাচ্চার অবস্থান শনাক্ত করার জন্য পরে সিটি স্ক্যান করা হয়।
জরায়ুর বাইরে পেটের ইন্টেস্টাইন (intestine) এর রক্তরস থেকে পুষ্টি নিয়ে বেড়ে উঠতে চেয়েছিল শিশুটি। কিন্তু পরিণত হবার অনেক আগেই হৃদস্পন্দন হারিয়ে ক্রমাগত ক্ষুদ্র হতে হতে জরায়ুর বাইরের দিকে জড়িয়ে যায়।
পুরো ব্যাপারটাই কেমন যেন অবাস্তব মনে হচ্ছে!

আসুন দেখি চিকিতসা বিজ্ঞানে এর কোনো ব্যাখ্যা আছে কিনা।

এই কেসটি খুবই বিরল একটি মেডিকেল কন্ডিশন। এই কন্ডিশনকে বলা হয়, হেটেরোটপিক প্রেগনেন্সি (Heterotopic Pregnancy)। প্রতি ত্রিশ হাজার জনের একজন গর্ভবতী মায়ের হেটেরোটপিক প্রেগনেন্সি হতে পারে।
একই সাথে জরায়ুর বাইরে (ectopic pregnancy) এবং ভিতরে গর্ভ ধারণ করলে, তাকে হেটেরোটপিক প্রেগনেন্সি বলা হয়। এই মেডিকেল কন্ডিশনের আরও কিছু নাম রয়েছে, যেমন, মাল্টি সাইটেড প্রেগনেন্সি, কম্বাইন্ড এক্টোপিক প্রেগনেন্সি।

কেন হয় এবং কিভাবে হয়?

এক্টোপিক প্রেগনেন্সির সাথে আমরা টুকটাক পরিচিত।
হেটেরোটপিক প্রেগনেন্সির মেকানিজম এবং ফ্যাক্টর মূলত এক্টোপিক প্রেগনেন্সির মতই।
এখানে, একটি নিষিক্ত ডিম্বানু (Fertilized Ovum) স্বাভাবিক উপায়ে জরায়ুতে ইমপ্ল্যান্ট হয়, সাথে আরেকটি ফার্টিলাইজড ওভাম কোন কারণে (যেমন, মাল্টপল অভুলেশন, ওভারি বা ডিম্বথলির টিউব ড্যামেজ, ইত্যাদি) জরায়ুর বাইরে ইমপ্ল্যান্ট করে।
জরায়ুর বাইরে যে ওভাম ইমপ্ল্যান্ট হয়ে, আশেপাশ থেকে পুষ্টি নিয়ে সাইজে বড় হতে থাকে, তা কখনই পরিপক্ব হয় না। উল্টো, মায়ের জন্য বিপদজনক। তবে কিছু ক্ষেত্রে তা অপরিণত ও মৃত হয়েও পূর্ণ গর্ভকাল সম্পন্ন করে ও বাড়তি জটিলতা তৈরি করে না।

হেটেরোটপিক প্রেগনেন্সি ডায়াগনোসিস করা খুবই কঠিন ব্যাপার। খোদ আমেরিকাতেই, ৮৫% আনডায়াগনোসড থাকে। গর্ভবতি হওয়ার প্রথম তিন মাসে আল্ট্রাসনো করলেই কেবল তা নির্ণয় করার সম্ভাবনা থাকে।
এই জন্য গর্ভের প্রথম তিন মাসে একবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা উচিত। তাহলে, বাচ্চার সংখ্যা, জরায়ুর ভিতরে না বাইরে, জরায়ুর ফুল সব বোঝা যায়। কিন্তু দেরি করে করলে, জরায়ুতে দ্রুত বেড়ে ওঠা বাচ্চার জন্য জরায়ুর বাইরে যে বাচ্চা আছে তা আর সহজে ধরা পড়ে না।বাচ্চার আকার ও অবস্থানগত পার্থক্যের কারণে জরায়ুর ভিতরের পরিণত সুস্থ বাচ্চাটির জন্য বাইরের অপরিণত বাচ্চাটি আড়ালে পড়ে যায়।

এই ঘটনার ক্ষেত্রে উক্ত রোগী, অনেক দেরি করে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেছিলেন। তাই, রিপোর্টে একটিই বাচ্চার কথা ছিল।

হেটেরোটপিক প্রেগন্যান্সি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, তাই ডায়াগনোসিস করা একটু কঠিন। একবার ডায়াগনোসিস হলেও, এর চিকিৎসাও সহজ নয়।

দেশের প্রচলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে ও হেটারোটপিক প্রেগনেন্সি নির্ণয়ের এই বাস্তবতায় এমন জটিল একটি রোগের অপারেশন দেশেই দুই ধাপে সম্পন্ন হয়েছে।

প্রথমটি মফস্বলে, সুস্থ বাচ্চার যখন ডেলিভারি হবার কথা তা করে বাচ্চা ও মায়ের সুস্থতা নিশ্চিত করা হয়। অপারেশনের সময়ই জটিলতা ও রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি পরিহার করে, স্থিতিশীল অবস্থা নিশ্চিত করে রোগী কে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়।

কিন্তু, রোগীর কোন সমস্যা না থাকায়, তারা দেরি করে।। একমাস পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।মেডিকেল কলেজে নানাবিধ উপায়ে রোগ শনাক্ত করে পরের ধাপের অস্ত্রপচার
সম্পন্ন করা হয়।

বিরল এই রোগের সমাধান সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হওয়ায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গভীরতা বোঝা যায়।
নিতান্তই সাধারণ মানুষ এদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা রাখেন। অজ্ঞানতা প্রসূত নানাবিধ অপপ্রচার, চিকিৎসা সাফল্যের ভুল ব্যখ্যা, কালিমা লেপন ইত্যাদির মাধ্যমে সাধারণ জনতার এই আস্থার ভিত নাড়িয়ে দেয়া কিছুতেই কাম্য নয়।

সত্য জানুন, বুঝুন, অন্যকে জানান।
সত্য সুন্দর। সত্য শিরোধার্য।



(শেয়ারের জন্য লিংকঃ

https://www.platform-med.org/পেটে-বাচ্চা-রেখে-সিজার-সম/

এই মেডিকেল কমিনিউটির সচেতন একজন হিসেবে আপনার ওয়ালে, উল্লেখিত লিংকে যেয়ে শেয়ার করুন। অথবা এই লেখাটি কপি পোষ্ট করে প্ল্যাটফর্মের কার্টেসী সহ আপনার ওয়ালে পোষ্ট করতে পারেন।
সাধারন মানুষের কাছে সত্য তুলে ধরুন।)

ডাঃ নিলয় শুভ
এফ-২১, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: চমৎকার তথ্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু। এই ডাঃ নিলয় শুভ কি খাদিজার অপারেশনের সাথে যুক্ত ছিলেন? নাকি উনি ডাক্তার সমাজকে লজ্জার হাত থেকে বাচানোর দায়িত্ব নিয়েছেন।যাই হোক উনার ব্যাখা যুক্তিসঙ্গতই মনে হচ্ছে।

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

শায়মা বলেছেন: এমনিতেই আমি ডক্টর ভয় পাই আর এই পোস্ট আর কমেন্টগুলা পড়ে তো নাই হয়ে গেলাম!!!!!! :((

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সত্যিকারের ডাক্তারকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, তবে ডাক্তার নামক কসাইদের সবাই পায়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শায়মা আপু।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

শায়মা বলেছেন: হাফসা আপু তোমার কমেন্ট পড়ে তো আমি ফেইন্ট!!!!!!! :(

সত্যি এসব পড়েই মাথা ঘুরছে!!!!!! আর ডক্টরগুলা অল্পবিদ্যা বা নকল করা হলে তাদের কি হয় ভাবছি! :((


০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ডক্টরগুলা অল্পবিদ্যা বা নকল করা হলে তাদের কি হয় ভাবছি! আসলেই ভাবনার কথা নকল করা ডাক্তাররা কিভাবে এসব বিরল কেস গুলো সলভ করবে । আবারো ধন্যবাদ শায়মা আপু।

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
সময়উপযোগী পোস্ট। পড়লামন মনযোগ দিয়ে। ভাল লেগেছে। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার ভাই, অনেক শুভ কামনা।

১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দেশেও যথেষ্ট মেধাবী এবং ভাল ডাক্তার আছেন, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সিস্টেমের কাছে তারা বড় অসহায়। এজন্য তাদের কাছ থেকে রোগীরা যত ভাল সার্ভিস পেতে পারতেন, তার চেয়ে অনেক কম পান।
১১ নং মন্তব্যে বিষয়টি স্পষ্টিকরণের জন্য নূর-ই-হাফসাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অবশ্যই আমাদের দেশেও ভাল ডাক্তার আছেন, কিন্তু অতিরিক্ত অর্থলোভের কারণেই ডাক্তাররা কসাই এ রূপান্তরিত হয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্যার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.