নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা কাক, বাবা কাক ( করোনা ডাইরি)

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭


০৮.০৪.২০২০
বুধবার

আবহাওয়া গুমোট,সকাল ৯ টায়ও সূর্যিমামার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। গুমোট আবহাওয়ার মত আমাদের সবার মনেও এক ধরনের গুমোট আতংক বিরাজ করছে। সকালে কয়েক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে যা কিছুটা গরম বাড়িয়ে দিয়েছে। আজও অন্যদিনের মত বাসার ব্যালকনিতে বসে আছি। আজ আমার মেয়েও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে আমার পাশে বসেছে। রাস্তায় মানুষের আনাগোনা খুবই কম, ধীরে হলেও মানুষ বুঝতে পারছে এই মুহুর্তে ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়।

‌সামনের রাস্তায় একজন বৃদ্ধ ও ৫/৬ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে ভিক্ষা করছে। এরা দুজন একসাথে এসেছে তবে বেশি ভিক্ষা পাওয়ার আশায় বৃদ্ধ লোকটি বাচ্চা মেয়েটাকে একটু দুরে দাড় করিয়েছে। মেয়েটা বৃদ্ধের চেয়ে একটু বেশিই ভিক্ষা পাচ্ছে। মানুষের মততা ছোট বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশিই, এ কারণেই ঢাকার অনেক ভিক্ষুকরা অন্যের বাচ্চা ভাড়া নিয়েও ভিক্ষা করে যা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানমুলক অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে। যে বাচ্চাটা ভিক্ষা করছে সে আমার মেয়েরই বয়সী। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আমাদের বাচ্চাদের যেখানে খাবার খাওয়ানো রীতিমতো সংগ্রাম সেখানে ওই মেয়েটাকে তার বাবা মা এই করোনা ঝুঁকির মধ্যেও রাস্তায় পাঠিয়েছে ভিক্ষা করার জন্য। হয়তো ওর বাবা মা জানেও না করোনা কতটা ভয়াবহ অথবা জানে কিন্তু কিছুই করার নেই, বেচে থাকার তাগিদেই নিজের বাচ্চাকে রাস্তায় দাড় করিয়েছে। মেয়ের হাত দিয়ে কাগজে মুড়িয়ে কয়েকটা টাকা নীচে ফেলে দিলাম, টাকাটা পেয়ে মেয়েটার মুখের হাসি দেখার মতো ছিল।

সামনের কাঠাল গাছে গত কয়েকদিন ধরেই ডিমে তা দিচ্ছিল একটা কাক। আজ সকাল থেকে দেখছি সেই ডিম থেকে কয়েকটি বাচ্চা ফুটেছে। দুটি কাক বাচ্চাগুলোকে তাদের ঠোঁট দিয়ে পরম মমতায় খাবার খাওয়াচ্ছে। আমার মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো
-বাবা কোনটা মা কাক আর কোনটা বাবা কাক?

এরই মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি শুরু হল মা কাকাটি পরম মমতায় নীজের ডানা দিয়ে তার বাচ্চাদের বৃষ্টি থেকে আগলে রাখার চেষ্টা করছে । অন্য কাকটি কিছুক্ষণ পর পর খাবার এনে বাসায় রেখে আবার উড়ে যাচ্ছে একটু পর আবার ফিরে আসছে । তবে মাঝে মাঝে দুটি কাক একসাথেও ঠোঁট দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াচ্ছে তাই কোনটা মা কোনটা বাবা সেটা মেয়েকে বোঝাতে কষ্ট হল না । এভাবেই মা আমাদেরকে তার স্নেহের ছায়ায় আগলে রাখেন আর বাবা সর্বোচ্চ শ্রম দেন আমাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য। আসলে প্রকৃতিতে কত রকম প্রাণী আছে তবে মা বাবার বৈশিষ্ট্য সব ক্ষেত্রে একই রকম।

করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে, সবাই সাবধানে থাকুন এবং ঘরে থাকুন। সকলের জন্য ভালবাসা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরুষ বাঘ ছাড়া। পিতা বাঘ নাকি তার সন্তান মেরে ফেলতে চায়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এ ধরনের দৃষ্টান্ত হয়তো আছে তবে সেটা খুবই কম,

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: শুভকামনা ভাইয়া। যেহেতু মেয়ের সাথে ভালো সময় কাটাচ্ছেন, এখনি গল্পের ছলে ওকে বিজ্ঞান শিক্ষা দিন। ইউটিউবে অনেক কনটেন্ট পাবেন। অনেক মাংসাশি পাখির ডিম ফুটে দুর্বল বাচ্চা জন্ম নিলে, তারা সেটিকে মেরে ফেলে, সবল বাচ্চাদের খেতে দেয়। এটিও প্রকৃতির একটি নিয়ম।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: টুকটাক ব্যতিক্রমী উদাহরণতো থাকবেই, সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ প্রান্ত।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: তারেক ভাই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাবে। মনে বিশ্বাস রাখুন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ইনশাল্লাহ।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: অল্প কথায় চমৎকার একটি কথাচিত্র এঁকেছেন। প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে নিজের ভাবনাগুলোকে যথার্থ বিকশিত করতে পারলে আমরা অনেক জ্ঞান আহরণ করতে পারি।
পোস্টে প্লাস। +

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্যার, নিরাপদে থাকুন, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.