নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েক দিন ধরেই বেশ শোরগোল চারিদিকে। রিজার্ভ গেল রিজার্ভ গেল। চারিদিকে হইহুল্লর, কলরব। তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তথা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গভর্নরের পদত্যাগ। বাংলাদেশের প্রথম নারী গভর্নর সহ দুইজন গভর্নরের অপসারন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীহ এবং বাংলাদেশের সরকারি চাকুরীজীবীদের মধ্যে সততার ক্ষেত্রে যারা অন্যতম দৃষ্টান্ত তাদের বিরুদ্ধে অপমানজনক নানা কথা বলা। শুধু তাই নয় চোর বলে আখ্যায়িত করা।
মজার ব্যাপার হল রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সবাই যত না বেশি চিন্তিত আমার মনে হয় তার চেয়ে বেশি উৎফুল্ল। কারন অনেকদিন ধরেই রাজনীতির মাঠ ঠাণ্ডা। বাংলাদেশের সবার জীবন কেমন যেন ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে গেছে। অনেকদিন ধরেই মানুষ মুখরোচক গল্প থেকে বঞ্চিত। সাংবাদিকরা লেখার মত কোন গরম খবর পাচ্ছে না। কলামিস্টরা গরম কলাম লিখতে পারছে না। সরকারী দলের লোকজন বিরোধী দলের অভাবে বেসাহারা। বিরোধী দল পঙ্গু। গলাবাজি কমে গেছে। হরতাল নেই। পেট্রোল বোমা নাই। চারিদিকে কেমন রসহীন ভাব। এর মধ্যে রিজার্ভ চুরির ঘটনা অন্তত সবার মধ্যে একটা আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। বেশ সাজ সাজ রব চারিদিকে। আবাল, বৃদ্ধ বনিতা সবাই কাছা দিয়ে নেমে ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। ধিক্কার দিচ্ছে, তর্কযুদ্ধ করছে। যেন চাঁদের হাট বসেছে। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। রিজার্ভ গেলরে, রিজার্ভ গেল......।
# শুনলাম এক বেসরকারি ব্যাংকের কেউ একজন নাকি বেশ বুক ফুলিয়ে ফেসবুকে লিখেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের চোরগুলো এখনও কিভাবে আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে ঘোরাফেরা করে। বেশ সাহসী প্রশ্ন। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি বেচারা কোন একটা অপরাধের কারনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারও কাছে কানমলা খেয়েছে। তার কথা বলে লাভ নেই। বেচারার বাইরে চাকচিক্য থাকলেও জীবন বলে কিছু নেই। বসের খুসিমত চলতে হয়। কাজ করতে হয়। নিজের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। প্রমোশনের জন্য লেজ নাড়াতে হয়। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকুরেরা এসব থেকে মুক্ত। চাকচিক্যের কম জীবন বলে একটা কিছু আছে। রাগ তো একটু হবেই। বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে হলে তাকে পাস নিতে হয়। পাস নেয়ার জন্য অনুরোধ করতে হয়। ভুলভাল ডকুমেন্ট দেয়ার জন্য কড়া কথা শুনতে হয়। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তার অফিসে ঢুকতে পাস নিতে হয় না। যেকোন ডকুমেন্ট চাইতে পারে। আবার বিভিন্ন চুরির জন্য রীতিমত কানমলা দেয়। রাগ তো একটু হবেই। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক এগুলো করে জনগনের স্বার্থ রক্ষার জন্য। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্যও যাতে ভাল থাকে সেজন্য। কারন ব্যাংক এবং ব্যাংকের গ্রাহক একে অপরের পরিপূরক। এগুলো আমাদের করতেই হয়। করতে হয় দায়িত্ববোধ থেকে। মানুষের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে।
# শুনলাম এক সাংবাদিক ভাই নাকি বাংলাদেশ ব্যাংক এ এসে জোর গলায় বলেছে রিজার্ভ কোথায় রাখছেন আমাদের দেখান। আমাদের দেখাতেই হবে। শুনে একচোট হাসলাম। পরক্ষনেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। আহারে বেচারা! নাদান সাংবাদিক জানেও না রিজার্ভ কিভাবে রাখতে হয়। সাংবাদিক যদি প্রশ্নও করত রিজার্ভ কঠিন, তরল না বায়বীয় তাহলেও আশ্চর্য হতাম না। মজার ব্যাপার হল প্রতিদিন আমরা যারা রিজার্ভ কথাটা পত্রিকায় পরছি তারা অনেকেই জানি না রিজার্ভ কি, কিভাবে সেটা রাখতে হয়। অথচ সবাই চিল্লাচ্ছি রিজার্ভ গেলরে রিজার্ভ গেল।
# আমি বলছি না রিজার্ভের টাকা চুরি হওয়াতে কিছু হয় নি। অবশ্যই হয়েছে। এটা একটা বড় ক্ষতিই শুধু নয় এটা বাংলাদেশ ব্যাংক তথা ব্যাংকিং ব্যাবস্থার জন্য একটা বড় ধরণের হুমকি। এবং এই হুমকি মোকাবেলা করার জন্য আইটি নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের যে টাকা খোয়া গেছে তার পরিমান ৮০০ কোটি টাকা। আমার বিশ্বাস হ্যাকিং এর মাধ্যমেই বাইরের চোরেরা এই টাকা চুরি করেছে। তার সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা জড়িত নয়। অবশ্য আমার বিশ্বাস অবিশ্বাস দিয়ে সত্য মিথ্যা নির্ধারিত হবে না। প্রকৃত সত্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের যদি দুএকজন জড়িতও থাকে তবে সে অপরাধ তাদের। এবং সে জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বাজে কথা বলা কোন সুস্থ চিন্তার পরিচয় নয়। যুগান্তর ১৫ মার্চ ২০১৬ এর সূত্র অনুযায়ী তিতাস গ্যাসের ৩০০০ কোটি টাকার কোন হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। রিজার্ভের ৮০০ কোটি টাকা দিয়ে ৩ হাজার ৮ শ ৩৮ কোটি টাকা কে ভাগ দিন। যে রিজার্ভ চুরি গেছে তার প্রায় চার গুন। আমার প্রশ্ন এই টাকা কি জনগনের টাকা নয়। আর এটা যদি জনগনের টাকা হয় তাহলে এটা কেন পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হচ্ছে না। কেন টক শো হচ্ছে না। জনগন নিরব কেন। আসলে জনগন জানেই না তাদের অধিকার কি। আর যারা জানে তাদের লেজেগোবরে অবস্থা । মেরুদণ্ড ক্ষয়ে গেছে। ক্ষয়ে যাওয়া মেরুদণ্ড দিয়ে হামাগুড়ি দেয়া যায়। বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো যায় না।
এরকম প্রতিদিন জনগনের বহু টাকা হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। রেলের টাকা চুরি হচ্ছে, প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি যাচ্ছে, কোটি কোটি টাকা হলমার্কের মত কোম্পানি গাপ করে দিচ্ছে। অথচ কোথাও কোন প্রতিবাদ নেই। বিচার নেই এমনকি মানুষের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া নেই। অথচ রিজার্ভ নিয়ে কথা হচ্ছে। আতিউর রহমানকে ভ্রমনপ্রিয়, দায়িত্বহীন, প্রচারসর্বস্ব গভর্নর বলা হচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গালিগালজ করা হচ্ছে।
একটু লক্ষ করুন। আতিউর রহমান ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর দায়িত্ব নেয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক সহ পুরো ব্যাংকিং ব্যাবস্থা অটোমেটেড হয়েছে। আগে সিআইবি রিপোর্ট পেতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেত। এখন সে রিপোর্ট কয়েক মিনিটেই পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ হয়েছে। আরটিজিএস এর মাধ্যমে হিসাব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে। মানুষের হাতে দ্রুত টাকা চলে যাচ্ছে। কৃষকরা ১০ টাকার হিসাব খুলতে পারছে। গ্রিন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রণোদনা পাচ্ছে। সিএসার এর মাধ্যমে ব্যাংকের লাভের কিছু অংশ দরিদ্র মানুষের সেবায় ব্যয় হচ্ছে। এসএমই এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যাবসাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং এসব হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমের প্রেক্ষিতে। সর্বপরি বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্বে উন্নয়নমূলক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে যে বাহবা পেয়েছে তার অন্যতম কারন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মানুষের কাছে বিশেষ করে প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রশ্ন হল দেশের জনগন কি এসব জানে, সুশীল সমাজ কি এসব জানে, রাজনীতিবিদ, কলামিস্ট সাংবাদিক সবার কাছেই জিজ্ঞাসা আপনারা কি এসব জানেন। আমি বলি কি রিজার্ভ চুরির যে দায় প্রমান ছাড়াই আপনারা আমাদের দিচ্ছেন, এই সফলতা গুলোর বাহবাও কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাপ্প। বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ত শতভাগ সফল নয় কিন্তু আমরা সফলতার দিকেই অগ্রসর হচ্ছি।
পরিশেষে বলব বাংলাদেশে যেসব স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রতিষ্ঠান আছে বাংলাদেশ ব্যাংক তার মধ্যে অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি যেমন ব্যাংক ব্যাবস্থার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বাজার ব্যাবস্থা নিয়ন্ত্রেনর ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপিরিসীম। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ৬ মাস অন্তর অন্তর যে মনিটারি পলিসি প্রণয়ন করে তার উপর বাজার ব্যাবস্থার স্থিতিশীলতা অনেকাংশে নির্ভর করে। সুতরাং সমালোচনার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে কিভাবে আরও বেশি শক্তিশালী, স্বাধীন, গতিশীল কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রূপ দেয়া যায় সে ধরণের গঠনমূলক আলোচনাও জরুরী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা হিসেবে সে আলোচনাটুকু আশা করতেই পারি।
আর যদি শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয় রিজার্ভ চুরির যে ঘটনা ঘটেছে তার সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা জড়িত না থাকার প্রমান পাওয়া যায় তবে যে অসম্মান বাংলাদেশ ব্যাংককে করা হয়েছে এবং যে সম্মান কেড়ে নেয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের।
(বিঃ দ্রঃ এই লেখাটি সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত। চরিত্রগুলোও কাল্পনিক। জীবিত কিংবা মৃত, সৎ কিংবা অসৎ, পীর ফকির, দরবেশ, বাটপার, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, কলামিস্ট কারও সাথে মিলে গেলে তা সম্পূর্ণই কাকতালীয়। এর জন্য লেখকের কোন দায় নাই।)
১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩২
তরুন ইউসুফ বলেছেন: কে চোর না ভাই বলেন। ভাল মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুস্কর। তবে আমার মনে হচ্ছে আপনি বেশ ভাল মানুষ। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন: জটিল লেখছেন ভাইজান।। ঠ্যাং-কু
১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৮
তরুন ইউসুফ বলেছেন: মন্তব্যটাও জটিল। দুদিক দিয়েই যায়। ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৫
প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: "আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি বেচারা কোন একটা অপরাধের কারনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারও কাছে কানমলা খেয়েছে।"
একথা দিয়েই আপনার ক্ষুদ্র মানষিকতাটা টের পাওয়া যায়। ঐ লোকটি আপনাদের চোর বলায় আপনিও তাকে অপরাধি বানিয়ে দিলেন, তাহলে দুজনের মধ্যে পার্থক্য কি?
১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩০
তরুন ইউসুফ বলেছেন: ভাই মানুষ তো মহামানব তো নই। তাই যে আমাকে কানমলা দিতে আসে তাকেও একটা দিয়ে ছেড়ে দেই। তবে হ্যাঁ মহৎ হৃদয়ের দাম আমি বুঝি। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৫
সায়ান তানভি বলেছেন: আপনার লেখাটা ফালতু হইছে, আপনার জানাশোনার অনেক অভাব আছে।
১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৭
তরুন ইউসুফ বলেছেন: জি ভাইজান আমি খুব ভালভাবেই জানি আমার জানাশোনার অভাব আছে। তবে জানতে চেষ্টা করছি। উপরে ভগবান নিচে আপনারা। এইত ভরসা
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৬
শেয়াল বলেছেন: মজার ব্যাপার হল রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সবাই যত না বেশি চিন্তিত আমার মনে হয় তার চেয়ে বেশি উৎফুল্ল। কারন অনেকদিন ধরেই রাজনীতির মাঠ ঠাণ্ডা। বাংলাদেশের সবার জীবন কেমন যেন ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে গেছে।
যুগান্তর ১৫ মার্চ ২০১৬ এর সূত্র অনুযায়ী তিতাস গ্যাসের ৩০০০ কোটি টাকার কোন হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। রিজার্ভের ৮০০ কোটি টাকা দিয়ে ৩ হাজার ৮ শ ৩৮ কোটি টাকা কে ভাগ দিন। যে রিজার্ভ চুরি গেছে তার প্রায় চার গুন। আমার প্রশ্ন এই টাকা কি জনগনের টাকা নয়। আর এটা যদি জনগনের টাকা হয় তাহলে এটা কেন পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হচ্ছে না। কেন টক শো হচ্ছে না। জনগন নিরব কেন। আসলে জনগন জানেই না তাদের অধিকার কি। আর যারা জানে তাদের লেজেগোবরে অবস্থা । মেরুদণ্ড ক্ষয়ে গেছে। ক্ষয়ে যাওয়া মেরুদণ্ড দিয়ে হামাগুড়ি দেয়া যায়। বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো যায় না।
এরকম প্রতিদিন জনগনের বহু টাকা হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। রেলের টাকা চুরি হচ্ছে, প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি যাচ্ছে, কোটি কোটি টাকা হলমার্কের মত কোম্পানি গাপ করে দিচ্ছে। অথচ কোথাও কোন প্রতিবাদ নেই। বিচার নেই এমনকি মানুষের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া নেই। অথচ রিজার্ভ নিয়ে কথা হচ্ছে। আতিউর রহমানকে ভ্রমনপ্রিয়, দায়িত্বহীন, প্রচারসর্বস্ব গভর্নর বলা হচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গালিগালজ করা হচ্ছে।
পরিশেষে বলব বাংলাদেশে যেসব স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রতিষ্ঠান আছে বাংলাদেশ ব্যাংক তার মধ্যে অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি যেমন ব্যাংক ব্যাবস্থার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বাজার ব্যাবস্থা নিয়ন্ত্রেনর ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপিরিসীম। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ৬ মাস অন্তর অন্তর যে মনিটারি পলিসি প্রণয়ন করে তার উপর বাজার ব্যাবস্থার স্থিতিশীলতা অনেকাংশে নির্ভর করে। সুতরাং সমালোচনার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে কিভাবে আরও বেশি শক্তিশালী, স্বাধীন, গতিশীল কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রূপ দেয়া যায় সে ধরণের গঠনমূলক আলোচনাও জরুরী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা হিসেবে সে আলোচনাটুকু আশা করতেই পারি।
Congratulations!! You have posted a good view of BBank and its reality. I think, Now, BB is more active than before, More useful, More developed than before. The HUJUGE peoples are getting trend to perish the fame of BB but it is their property as their any other property like school college Or administration.
I wish people will aware of the bad trends and should try to be smart as Western people.
১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৫
তরুন ইউসুফ বলেছেন: যাক তাও একজনকে পেলাম। ভাল লাগল এত ঠ্যাঙানির মধ্যে অন্তত একজন সমর্থক তো পাওয়া গেল। ভাল থাকবেন।
৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৭
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: আপনি দেখি বড় চোর।।
১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২১
তরুন ইউসুফ বলেছেন: ব্যাটা সাধু বেশে বড় চোর অতিশয়। রবিঠাকুরের দুই বিঘা জমি পরেছেন নিশ্চয়।
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২১
হাবীব কাইউম বলেছেন: ১. তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন যেহেতু পরিমাণে এর চেয়ে বড় চুরি আমাদের দেশে ঘটে তাই পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো যে ঘটনা ঘটেনি সে ঘটনা ঘটার পরও এটা নিয়ে কথা বলা উচিত হয়নি?
২. প্রিন্স অব ব-দ্বীপ আপনাদের ক্ষুদ্র মানসিকতার বিষয়টি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
৩. ১০ টাকার কতগুলো অ্যাকাউন্ট রেগুলার আছে?
৪. অটোমেশন কি আতিউর রহমান না থাকলে হতো না? এটা কি কালের স্বাভাবিক পরিক্রমায় এমনিতেই হতো না? প্রযুক্তি এমন একটা বিষয় যেটা কেউ না চাইলেও তার স্বাভাবিক গতিতে প্রবেশ করে।
৫. ঠিক এই ঘটনা যদি দুনিয়ার অন্য কোনো দেশে ঘটতো তাহলে সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নরের অবস্থা এত দিনে কী হতো? যদি জাপান হতো, তাহলে আতিউর রহমানকে পুরো জাতির সামনে তো নতজানু হতে হতোই, আজীবনেও জেল থেকে বের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা তার থাকতো না।
যেহেতু আপনি সেন্ট্রাল ব্যাংকে আছেন, স্বাভাবিকভাবে সেন্ট্রাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে কেউ বললে তাতে আপনার খারাপ লাগবে। কিন্তু সত্যি করে বলুন তো বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা বর্তমানে কেমন? হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাড লসগুলো...থাক আপনারা যেহেতু চেপে রাখছেন চাপাই থাকুক...
১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫১
তরুন ইউসুফ বলেছেন: ভাই একটা বিষয় চিন্তা করুন যেসব ব্যাংক ব্যাবসা করছে তারা যদি ভাল হয়ে যেত তাহলে এনপিএল, ব্যাডলস, ফ্রড ফ্রজারি এসব কিছু হত না। সুতরাং যেসব ব্যাঙ্কার আমাদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে তারা দুধে ধোয়া তুলসি পাতা নয়। মজার ব্যাপার হল আমি আগেও বলেছি ব্যাঙ্কগুলো যাতে ভাল থাকে তার চেষ্টা টা আমরা করি। কোন প্রভাব খাটানর জন্য সেটা করি না। কেউ কেউ যে প্রভাব খাটায় না তা নয় তবে তার পরিমাণটা আমার জানামতে খুবই অল্প। সুতরাং কাজ করতে গিয়ে যদি ব্যাংকারদেরকে চাপ দেয়া হয় সেটাকে তারা প্রতিপক্ষের আক্রমণ হিসেবে নেয়। আর আমাদের দেশে তো কত ধরণের দোরাত্ব। এর মামা ওর চাচা কারও খালু কারও বাপ কত্তকিছু। নামে মাত্র একটা স্বাত্বশাসনের একটা তকমা গায়ে সেটে দিয়ে এতকিছু আশা করেন কিভাবে। আর ব্যাংঙ্কের অটোমেশনের সাথে অন্য কোন অরগানিজেসনের অটোমেশনের তুলনা করলেই সহজেই বুঝবেন শুধু জুগের চাহিদায় সবকিছু হয় না। হাওয়ায় যদি সবকিছু হত তাহলে নেত্রিত্বের দরকার হত না। ভাল থাকবেন
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৪
খেলাধুলা বলেছেন: অন্য কোন ব্যাংকে যদি সিসিটিভির ফুটেজ না থাকত ও এন্ট্রি সিস্টেমের ডাটা না থাকত তাহলে তো তাদেরকে কানমলা দিতেন পারলে আরো বেশী কিছু দিতেন। তাহলে এখন আপনাদেরও কি কানমলা খাওয়া উচিৎ নয় কি??
১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৮
তরুন ইউসুফ বলেছেন: ভাইজান মনে হয় জানেন না। ব্যাক অফিসে সবসময়য় সিসিটিভি থাকে। তার ফুটেজ ঘেঁটে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাই নি। মিছেই রাগ করেন কেন একটু জেনে তারপর বললে ভাল হয়। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
জনতার রায় বলেছেন: লেখককে এত ধোলাই দেওয়া হয়েছে যে আমার আর নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে একটা মিথ্যা কথা কেউ ধরিয়ে দেয়নি। সেটা হল
"তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তথা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গভর্নরের পদত্যাগ।"
এই মালটাকে আমার শুরু থেকেই ফালতু মনে হয়েছে - এ আবার জনপ্রিয় ছিল কবে?
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গভর্নর হল সালাউদ্দিন আহমেদ!
১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
তরুন ইউসুফ বলেছেন: এতটা সরলীকরণ করে করও মুল্যায়ন করা ঠিক নয়।
১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৮
যাযাবরমন বলেছেন: ধান বানতে শিবের গীত বা পাগলের আবল তাবল প্রলাপ
১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
তরুন ইউসুফ বলেছেন: এইতো বুঝতে পারছেন।
১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৩
কলাবাগান১ বলেছেন: ভাই আপনি বুঝতেনছেন না কেন?? উপরে যারা মন্তব্য করছে তারা কি টাকা চুরি নিয়ে চিন্তিত??? তারা আছে থলের বিড়াল ধরার জন্য। কোন মতে যদি হাসিনার ব্যাংক একাউন্টে এই টাকা আবিস্কার করা যায় তাহলে ই তো কেল্লা ফতে।
১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
তরুন ইউসুফ বলেছেন: হা হা মজা পেলাম
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
আমিই মিসির আলী বলেছেন: আহা!!
চোরের মায়ের বড় গলা, সে অবস্থা হইছে।