নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসলে একজন ব্লগারের মাণ নির্ধারিত হয় তার মন্তব্য এবং লেখার মাধ্যমে। হিট বা মন্তব্য কিছু সংখ্যা মাত্র। গতকাল অফিসে বসে ব্লগিং করা নিয়ে সৃষ্ট ক্যাচালের জের ধরে ব্লগার স্বপ্নবাজ অভি একটি পোস্ট দিলে সেখানে সম্মানিত মডারেটর ও পুরনো অভিজ্ঞ ব্লগার সোনাবীজ ও ধূলোবালিছাই নিচের মন্তব্য ২ টি করেনঃ
মানুষের যখন সৃজনশীলকাজের অভাব দেখা দেয়, তখন মানুষ অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বেশি নাড়াচড়া করছে। সবার দেখার চোখে এক রকম হবে না, কারো যদি মনে হয় কোন কাজ করলে সেটা অন্যায়, তাহলে তাকে সেই তত্ব নিয়ে থাকতে দিন। কেউ যদি আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলে - তাকে বলুন ধন্যবাদ। আপনার সাথে আমি একমত নই । এরপরেও যদি কেউ মন্তব্য করে, তাহলে তার মন্তব্য ইগনোর করুন।
কিন্তু আমাদের ব্লগারদের মধ্যে কেউ কেউ মনে হয় বসে থাকেন যে কোন অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে হাইলাইট করার জন্য। কোথাকার কে না কে কি না কি বলল, সেটার ব্যাথায় পোস্টের পর পোস্ট, মন্তব্যের পর মন্তব্য চলতেই থাকে চলতেই থাকে। পরে আসে বিচারের দাবি - অমুক এমনটা কেন বলল।
বাংলাদেশে কাজের যে সংস্কৃতি সেখানে কাজের ফাকে ফাকে কাজের কোন ক্ষতি না করে যদি ব্লগিং, গান বা অন্য যে কোন কিছু করার মাধ্যমে কিছুটা নতুন করে কাজের উদ্যোম পাওয়া যায় তাতে ক্ষতি কি?
যার যার দেখার চোখ তার তার কাছে।
তবে আমি ব্লগারদের দোষারপ করব - কারন তারা নিজেরাই অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তি বা ইস্যুকে গুরুত্ব দেন।
সৃজনশীলতার অভাব দেখা দিলে এমনটা হবেই।
-------------
এ পোস্টে ঢুকবো না প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। ধাঁধা, শব্দজট, এগুলো আমার সময় নষ্ট করে দেয়। বিশেষ কারণে ঢুকলাম।
প্রথমেই আপনার প্রশংসা করি। যে কজন ব্লগারকে আমার কাছে খুবই মেধাবী বা ট্যালেন্টেড মনে হয়েছে, আপনি তাদের একজন। আপনি স্মার্ট, বক্তব্যে সাবলীল।
এবার ক্রিটাইজ করি। আশা করি সহজভাবে নেবেন। ক্রিটিসিজমে কেউ রি-এক্ট করলে আমি তার পোস্টে দ্বিতীয়বার যাই না (যদিও আমার না যাওয়ায় কারো কিছু যায় আসে না)।
একটা উপস্থাপনা যখন গতানুগতিকতার চাইতে ভিন্নতর হয়, সেটা একটা চমক, বা অন্যদের চেয়ে আলাদা হিসাবে গণ্য হয়। আপনার প্রথম ধাঁধার পোস্টটা ওরকম ছিল। তার পরেরটাও মোটামুটি ইন্টারেস্টিং ছিল। কিন্তু এটাসহ এর আগেরটা এখন আর কোনো ব্যতিক্রম না। এগুলো এখন গতানুগতিক হয়ে গেছে। যখন গতানুগতিকই হয়ে যায়, তখন একটা প্রাসঙ্গিক শিরোনামই সাবলীল ও সঙ্গত হয়।
এবারের হেডিংটা আপনি নিয়েছেন কোনো একটা কমেন্ট বা ইস্যু থেকে। সেই কমেন্টদাতাকে হাইলাইট করে আপনি নিজেও যদি হাইলাইটেড হতে চান, সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু এ বিষয়টা আমাকে আহত করে। অন্যের উপর ভর করে দাঁড়ানোর মতো ব্লগার আপনি নন। আপনি অনেক উন্নত, মার্জিত রুচিবোধ সম্পন্ন ব্লগার। নিজেকে টেনে নীচে নামানোর উদ্দেশ্য কী? কমেন্ট সংখ্যাই ব্লগারের মানদণ্ড না, এটা মনে রাখতে হবে।
অফিসে ব্লগিং করা এথিকসের বাইরে। এটা নিয়ে বিতর্কে যাওয়া নিস্প্রয়োজন, বড়াই করাও অর্থহীন। সব ব্লগার একযোগে যদি বলেনও যে, আমরা অফিসে বসে ব্লগিং করি, তাতেই অফিসে ব্লগিং করা অথোরাইজ্ড হয়ে যায় না। অফিসে ব্লগিং করা আর মোবাইলে বাসায় কথা বলা, ডাক্তারের কাছে যাওয়া- এক বিষয় না, এটাও মনে রাখতে হবে। তবে, অবসরের ফাঁকে কেউ যদি কাজের ক্ষতি না করে অকেশনালি একটু আধটু করে ফেলেন, সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না, এবং তা নিয়েও বড়াই করা অনুচিত। আর যদি আপনি নিজে আপনার অফিসের মালিক হয়ে থাকেন, তবে এ এথিক্স আপনার জন্য না, আপনার কর্মচারিদের জন্য।
কাউকে হাইলাইট করে পোস্ট দেয়ার অর্থ তাকে উপরে উঠানো। তার ইগো বাড়িয়ে দেওয়া, আরো বেশি করে লাই দিয়ে মাথায় তোলা। নট নেসেসারিলি, আপনিও তাতে উপরে উঠবেন। আশা করি ব্যাপারটা আপনি বোঝেন ভালোই।
টেক কেয়ার।
-----------
একটু আগে জুনের পোস্টে একটি মন্তব্যের জবাব দেখে মন খারাপ হলো।
জুন বলেন আপনারা আর ক্যাচাল করবেন না প্লীজ । এমন দেখলে ব্লগে আসতে ইচ্ছে করে না সত্যি বলছি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
---------
ক্যাচাল ব্লগের জন্য সবসময় ক্ষতিকারক। এই মুহুর্তে ব্লগকে ক্যাচাল মুক্ত রাখতেই হবে। আমি লক্ষ্য করেছি যখনই খ্যাচাল লেগেছে তখনই আমরা কিছু সচল ব্লগারকে হারিয়েছি। এতে ব্লগের যে কিছু যাই আসে তা না তবে সাময়িক সময়ের জন্য ব্লগের হিট কমে যায়। হিট ব্লগারের চেয়েও ব্লগের জন্য বেশী গুরুত্বপূর্ণ।কাওকে পছন্দ করিনা , কারো সাথে মতের অমিল বলে তারে এমন ভাষায় আক্রমণ করা ঠিক না যাতে তিনি কষ্ট পান। এটা টিকটক নয়। এটা ব্লগ।আমরা চাই সবাই আমাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করুক কিন্তু এই আমরাই অন্যের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে ভুলে যাই। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হিসেবে আমাদের উচিৎ সর্বদা মানুষের সঙ্গে ভালো ও সুন্দরভাবে কথা বলা। এতে পয়সা খরচ হয়না। একটু শিক্ষিত হতে হয়।খারাপ ব্যবহার করে ব্লগে স্থায়ী হওয়া যায়না। আমি অনেক ব্লারকে চিনি যারা ক্যাচাল করতেন বলে বর্তমানে অনেক অনুতপ্ত। যে আমরাই গতমাসে বানভাসীদের পাশে দাড়িয়েছিলাম মানবতার খাতিরে তারা শুধু মতের অমিলের কারণে আরেকজনকে আঘাত করে কথা বলছি।
জুন একটি খাবারের ছবি পোস্ট করেছেন নারকেলের তৈরি দুটো থাই মিষ্টি খাবার । এই খাবারের মতো করে কি আমরা তাদের পোশাক কে গ্রহণ করতে পারবো? না মনে হয়? মতের অমিল হলে অনেকেই খারাপ ব্যবহার করতে পারে,
মানুষের খারাপ ব্যবহারে আচরণে কষ্ট না পেয়ে ইগনোর করা বুদ্ধিমানের কাজ। খারাপ ব্যবহার যারা করে তাদের মানুষই মনে করার দরকার নেই। তাহাদের শিক্ষার ঘাটতি রয়েছে।
আপনি কেমন ব্লগার তা আপনার লেখার মাণ ও মন্তব্য বলে দিবে। তাই কে কি বলছে এগুলো এড়িয়ে যাওয়ায় উচিত ।
আমি সাধারনত কাওকে বেয়াদব বলিনা, আজ এক জন কে বেয়াদব বললাম । কারণ আছে। সে কোন এক ব্লগারের পোস্টে ব্যববহৃত ছবি নিয়ে আপত্তি তুলে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এমন ভাবে, যেন সে সামুর সঞ্চালক। আমি মন্তব্য করলাম আপনি আপত্তিকর হলে রিপোর্ট করতে পারেন অথবা ঐ রকম ছবি না দেয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। ব্লগে এর চেয়েও আপত্তিকর ছবি আছে। আমি ব্লগ রিভিও লিখি সব পুরনো পোস্ট পড়ি বহুদিন ধরে। গত ১৬ বছরের ব্লগের অনেক পোস্ট এবং পোস্টের মন্তব্য আমি পড়ছি। হুমকি দেয়ার আপনি কেউ নন। সে আমাকেও হুমকি দিয়ে জবাব দিল গাধা ব্লগে আসছেন ২ মাস! এগুলোর আপনি কি বুঝবেন? আপনার ব্লগে বিসমিল্লাহ লিখে রাখছেন। আপনি ভন্ড। এইবার আপনারাই বলেন হেই বেয়াদব কিনা? সুন্দর ভাষায় কমেন্ট করলাম জবাব টা দিল কি? এদের ব্লগিং করার লাইসেন্স কে দেয় ? জাদিদ সহ অনেকেই জানেন এটা আমার নতুন নিক। আমার আগের নিকে লগইন করা যায়না পাসওয়ার্ড রিসেট লিংক যে ইমেইলে সেন্ড হয় তা ভুলে গেছি জন্যে। ব্লগে আমার পোস্ট যখন স্টিকি হয়েছিলি এই বলদ তখন সামুর নামও শোনেনাই। বেয়াদব দের সাথে তর্ক করা থেকে বিরত থাকুন না হলে হেরা টেনে আপনাকে তাদের লেভেলে নামাবে। বিসমিল্লাহ কি তোর বাপের সম্পত্তিরে? মন্তব্য তোর পক্ষে না গেলে ব্যক্তি আক্রমণ ট্যাগিং করার দুঃসাহস তুই দেখাস কেমনে? এরা ব্লগের ভাবমূর্তি নষ্ট শুধু করছেনা, ব্লগ থেকে ভালো ব্লগারদের লেখা লেখি থেকে বিরতও রাখছে। ব্লগ বলদ মুক্ত হোক। ব্লগিং কিভাবে করতে হয় উপরে উল্লেখিত চারজনের থেকে শিখে নিবি।
পোস্টে কোন মন্তব্য গ্রহণ করা হচ্ছেনা। ধন্যবাদ।শুভ ব্লগিং।