নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত ইদ্রিস (আঃ) সাঃ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

ইদ্রিস নবীর একটি আলোকিত হস্তলিখিত সংস্করণ থেকে স্বর্গের এবং জাহান্নাম পরিদর্শন একটি কল্পিত চিত্রকর্ম
ইদ্রিস(আঃ)সাঃ যিনি মুসলমানদের নিকট হযরত ইদ্রিস (আঃ)সাঃ নামে পরিচিত, ইসলামী ইতিহাস অণুসারে মানবজাতির উদ্দেশ্যে প্রেরিত দ্বিতীয় নবী। মুসলমানদের বিশ্বাস অণুসারে তিনি ইসলামের প্রথম নবী আদম এর পর স্রষ্টার নিকট হতে নবীত্ব লাভ করেন। তার জন্মস্থান নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কারো মতে তিনি ইরাকের বাবেলে জন্মগ্রহণ করেন। আবার কারো মতে তিনি মিশরে জন্মগ্রহণ করেন।ইসলামী ভাষ্য মতে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ মিরাজের রাতে চতুর্থ আসমানে তার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। ধারণা করা হয় তিনিই সর্বপ্রথম কলম এবং কাপড় সেলাই করার বিদ্যা আবিস্কার করেন।জ্যোতির্বিজ্ঞান,অংকশাস্ত্র এবং অস্ত্রের ব্যবহারও তিনিই সর্বপ্রথম আবিস্কার করেন।ইদ্রীস (আঃ)সাঃ এর নাম ও বংশ নিয়ে ঐতিহাসিকদের মাঝে বিরাট মতভেদ আছে। বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে ইসহাকের মতে, তিনি হলেন ইসলামের নবী নূহ এর দাদা। তার আসল নাম হলো আখনূখ। ইদ্রীস(আঃ)সাঃ তার উপাধি। কিংবা আরবি ভাষায় তার নাম ইদ্রীস(আঃ)সাঃ আর হিব্রু ও সুরইয়ানী ভাষায় তার নাম হলো আখনূখ। ইবনে ইসহাক তার বংশধারা বর্ণনা করেনঃ আখনূখ (ইদ্রীস)(আঃ)সাঃ ইবনে ইয়ারুদ ইবনে মাহলাইল। এভাবে তার বংশধারা আদম এর পুত্র শীষ এর সাথে মিলিত হয়। আরেকদল ঐতিহাসিকের মতে ইদ্রীস ইসরাইল বংশীয় নবী। আর ইদ্রীস(আঃ)সাঃ ও ইলয়াস একই ব্যক্তির নাম ও উপাধি।
তার জীবন সম্পর্কে যতোটুকু জানা যায়, তা হলো ছোটবয়সে তিনি শীষএর ছাত্র ছিলেন। বড় হওয়ার পর আল্লাহ তাকে নুবুওয়্যত দান করেন। তখন তিনি আদম এর ওপরে অবতীর্ণ শরীয়ত ত্যাগ করতে মন্দলোকদের নিষেধ করেন। অল্পকিছু লোক তার আহ্বানে সাড়া সৎপথে ফিরে আসলো। আর অধিকাংশ মানুষই তার বিরোধিতা করলো। তাই তিনি তার অণুসারীদের নিয়ে দেশ ছেড়ে যেতে মনস্থ করলেন। কিন্তু তার অণুসারীরা মাতৃভূমি ছাড়তে গড়িমসি করে বললো, বাবেলের মতো দেশ ছেড়ে গেলে এমন দেশ আর কোথায় পাব? উত্তরে তিনি বললেন যদি আমরা আল্লহর জন্য হিজরত করি তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে এরচে উত্তম প্রতিদান দেবেন। এরপর তিনি নিজের অণুসারীদেরসহ দেশ ছেড়ে রওয়ানা হলেন এবং একসময় মিশরের নীলনদের তীরে এসে পৌঁছলেন। এ জায়গা দেখে তারা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এবং এখানেই বসবাস করতে লাগলেন। তিনি সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজে নিষেধে ব্রতি হন। কথিত আছে তার যুগে ৭২টি ভাষা ছিল এবং এর সবকটি ভাষাই তিনি পারতেন।ইদ্রীস(আঃ)সাঃ এর বয়স সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। বাইবেলের বর্ণনা অণুযায়ী ইদ্রীস(আঃ)সাঃ ৩৬৫ বছর জীবিত থাকেন।তবে আরেক বর্ণনানুযায়ী তিনি ৮২ বছর জীবিত থাকেন।তার মৃত্যুবরণ করা সম্পর্কেও মতভিন্নতা রয়েছে। কারো কারো মতে তিনি মৃত্যুবরণ করেননি। বরং আল্লাহ তাকে চতুর্থ আসমানে তুলে নিয়েছেন।তবে বেহেস্তে থেকে যাওয়ার কাহিনী গুলো ইসরাঈলী বর্ণণা।


মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাইয়া আপনার লেখার সূত্র সম্পর্কে জানতে চাই।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কাছাছুল কোরআন। মাওলানা হিফজুর রহমান রচিত, মাওলানা নুরুর রহমান অণুবাদিত এবং এমদাদিয়া লাইব্রেরি থেকে প্রকাশিত। প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ৭৮-৮৯।

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ। জেনে উপকৃত হলাম।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ ধন্যবাদ.............।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: তথ্য সুত্র লিংক থাকলে ভালো হত।

জানতে পেরেছি বলে কৃতজ্ঞ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: লিং নাই সূত্র আগের কমেঃ উলেখ্য করা হয়েছে ।

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মফিজ সাব, নবী ও রাসূলদের নামের শেষে সাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম , আলাইহিওয়াসাল্লাম বা সংক্ষিপ্ত রূপ স. আ. বসানোই যাদব। ধন্যবাদ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দুঃখীত আসলে পোস্ট শেয়ারের পর হঠাৎ পিসি সমস্যার কারনে পোস্ট রিভিউ দিতে পারি নাই।
যতদূর সম্ভব হয়েছে ঠিক করে দিয়েছি ।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মফিজ সাব, নবী ও রাসূলদের নামের শেষে সাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম , আলাইহিওয়াসাল্লাম বা সংক্ষিপ্ত রূপ স. আ. বসানোই আদব। ধন্যবাদ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: যতদূর সম্ভব হয়েছে ঠিক করে দিয়েছি ।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি যেই যুগের মানুষ, ও যেই অন্চলে ছিলেন, সেই যুগে সেই অন্চলে ৭২টি ভাষা থাকার সম্ভাবনা ছিলো না; কারণ, ১ মাইলের ভেতর ভাষা বদলানোর কথা নয়; তখন ২০/২৫ মাইলের ভেতর ভাষা বদলালে, তিনি আশেপাশের ১৫০০ মাইলের পরিধিতে দীর্ঘ সময় ব্সবাস ও যাওয়া আসা করেছেন, যা মোটমুটি লজিক্যাল নয়।

আপনি সেক্রেটারীর মত লিখেন, নিজে ভাবেন টাবেন না, সমস্যা

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ইদ্রিস আঃ দিলেন কিন্তু আমার প্রিয় নবীর নামে (স) দিতে এতো গাফিলতি কেন? আর জানা মতে ইসা আঃ কে আল্লাহ চতুর্থ আসমানে তুলে নিয়েছেন।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: যতদূর সম্ভব হয়েছে ঠিক করে দিয়েছি ।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো ভালো চালিয়ে যান। :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

দরুদের আদবটা সবারই চোখে লেগেছে। আশা করি সংশোধর করে দিবেন এবং নিবেন :)

ইতিহাসের সবচে বেশী লিংক, ক্লু থাকার পরও এ নিয়ে সৃজনশীল গবেষনা নেই বললেই চলে!

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আসলে হঠাৎ পিসিতে ঝামেলা হয়ে যাওয়ায় আর সংশোধন করতে পারি নাই ইনশাল্লাহ পিসি ওকে হয়ে গেলেই
পরে সংশোধন করে দেবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.