নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তৌফিকতুহিন

আমার ব্লগ হবে গঠনমুলক ও সুশীল।

তৌফিকতুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নো হরলিক্স ফর ওল্ডম্যান।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

হরলিক্স ওলারা অত্যান্ত বুদ্ধিমান একটি ব্যবসায়িক সংঘ। এরা অনেক ভেবেচিন্তে প্রোডাক্ট নামায়। এরা বাচ্চাদের জন্য হরলিক্স নামিয়েছে,যাতে আছে গ্রোথের ৫টি বিশেষ ফরমুলা। এটার ক্রেতা আছে, বাবারা এটা না কিনলে মায়েদের কাছে পাষন্ড বলে চিহ্নিত হবেন। আছে,মহিলাদের জন্য বিশেষ হাড়ের যত্ন নেয়া হরলিক্স,যা তাদের ক্লান্তি মুছে দেবে ও হাড়ের ক্ষয় প্রায় নাই করে তাদের আরো যুবতি করে দেবে। এটারও ক্রেতা আছে।স্বামীরা এটা না কিনা মানে, বৌদের প্রতি কোন ভালোবাসার চিহ্ন মাত্র না থাকা।এতে তাদের অন্যমহিলাদের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারটা উড়িয়ে দেয়া যায় না।



আরো আছে ,পুরুষদের জন্য বিশেষ হরলিক্স।এটির ক্রেতা হলো ,আগের সবগুলা হরলিক্সের টাকা যোগানো হতভাগ্যটি স্বয়ং। এ হরলিক্স তাদের বাড়িতে ও অফিসে চাঙ্গা রাখে। বাড়ির কিস্তির ইএময়াই ,বিভিন্ন টেনশনের ছাপ কপালে বসতে দেয় না।

হরলিক্স কোম্পানী শুধু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য কোন হরলিক্স বানায় না। কারন তারা আর সবার মতো বুঝে গেছে,এদের কেনার সামর্থ্য নাই। সর্বোপরী এদের পুত্ররা এটি (বৃদ্ধদের হরলিক্স) যদি কিনতো, পরিবারে সামাজিক ,সাংস্কৃতিক পরিবেশ ব্যাহত হতো। কারন আগের সবগুলো ক্যাটাগরীর হরলিক্স কেনার প্রেষনাদাতা মহিলা ক্রেতাটি বিরক্ত হয়ে গেলে হরলিক্সের বিক্রিতে তা প্রভাব পড়তো।তাই হরলিক্স কোম্পানী কোন হরর টাইপ মার্কেট আশা করে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মন্দ বলেন নাই ভ্রাতা :|

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

তৌফিকতুহিন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২

ইলি বিডি বলেছেন: তাই হরলিক্স কোম্পানী কোন হরর টাইপ মার্কেট আশা করে না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২১

তৌফিকতুহিন বলেছেন: হুম।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

তিক্তভাষী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ওদের মার্কেটিং স্পেশালিস্টরা জানে কারা মানিব্যাগের পুরুত্ব কমানোর ক্ষেত্রে প্রভাবশালী। তারাই ওদের টার্গেট গ্রুপ।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

জামিল হাসান বলেছেন: অতিরিক্ত ভিটামিন এবং মিনারেল ব্যবহারের কারণে ২০০৪ সালে ডেনমার্কে হরলিক্স নিষিদ্ধ করা হয় ।

২০০৮ সালে UK-তে “Stronger, Taller, Sharper”এই অ্যাডটি নিষিদ্ধ করা হয় । যদিও বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে হরদম এই বিজ্ঞাপন চলেছে

হরলিক্স পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিসিএসআইআর-এর তৈরি প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি আছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে।

গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর হরলিক্স নিয়ে এ পরীক্ষাটি করা হয় বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।

একটি ইলিশ মাছের তুলনায় জুনিয়র হরলিক্সে কী পরিমাণ ডিএইচএ আছে, তা পরীক্ষা করে দেখেন বিসিএসআইআর-এর বিজ্ঞানীরা।

প্রতিবেদনটি বলছে, এই নিরীক্ষায় (সায়েন্টিফিক টেস্ট) ইলিশের প্রতি ৪০ গ্রামে ১০ গ্রাম তেল পাওয়া যায়। যার মধ্যে ডিএইচএ ছিল ৫৭ মিলি গ্রাম।

একই পরিমাণ ‘নিউ জুনিয়র হরলিক্স উইথ ডিএইচএ’ তে শূন্য দশমিক ৫৫ গ্রাম তেল পাওয়া গেলেও কোনো ডিএইচএ পাননি গবেষকরা।
পানিতে দ্রবণীয় হরলিক্স ভিটামিন গ্রহণে যেসব ক্ষতি হতে পারে:
ভিটামিন বি-৩ (নিয়াসিন) -- মুখমণ্ডলে রক্তাভা, ত্বকের লোহিতভাব, পাকস্থলীর সমস্যা।
ভিটামিন বি-৬ (পাইরিডক্সাইন, পাইরিডক্সাল এবং পাইরডক্সামিন) -- নার্ভ ড্যামেজ অর্থাৎ স্নায়ুতন্ত্র বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। যার সূত্রে অনুভূতি শূন্যতা বা অসাড়তা, হাঁটাচলায় সমস্যা এবং ব্যথাজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভিটামিন সি (অ্যাসকরবিক এসিড) -- পাকস্থলী বিপর্যয়, কিডনিতে পাথর, শরীরের লৌহ শোষনের হার বেড়ে যায়।

ফলিক এসিড -- বয়স্কদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে স্নায়ু বিপর্যয়।

হরলিক্স-এর কৌটায় ভর্তি করে দেওয়া ভিটামিনগুলো বিষ হয়ে আমাদের যকৃৎ (কলিজা) নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে, পক্ষাঘাত, হৃদরোগ, স্নায়ুরোগ, কিডনি সমস্যা, ত্বকের সমস্যাসহ নানাবিধ জটিলতায় মনো দৈহিকভাবে ভঙ্গুর করে তুলতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.