![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম আলো ও উটপাখি
১. গত ২৭-১২-২০১২ বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে আমি আমার বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন জোহরের নামাজ শেষ হয়ে গেছে। পথে আমার বন্ধুদের একটি রেস্তোরাঁর কাজ চলছিল এবং আমি সেখানে ডেকোরেশনের কাজ দেখছিলাম। তখনই জানতে পারলাম ওই রোডের একটি বাড়িতে অর্থাত্ মিরপুর-১, ডি-ব্লক, ৭নং রোডের ১৯নং বাড়ির উচ্ছেদ অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট এসেছে পুলিশ নিয়ে। এরপর আমি দোকানের বাইরে এসে দৃশ্যপট দেখার চেষ্টা করি। ঠিক তখনই পুলিশ লাঠি দিয়ে সাধারণ মানুষকে তাড়ানোর চেষ্টা করছিল। আমার কাছে তাদের আচরণ গরু পেটানোর মতো মনে হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করি। তখন একজন সিপাহী আমার দিকে বন্দুক তাক করে বলে ‘তোকে গুলি করবো’। এরপর সে বন্দুক উল্টো করে ধরে আমার মাথায় আঘাত করতে আসে। আমি বলি, মানুষকে গরু-ছাগল ভাবার কারণ নেই। এরপর একজন এসআই আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, আপনি শান্ত হোন। আমিও চুপচাপ চলে যাই এবং ওই রোডের অপর প্রান্তে বসে চা খাচ্ছিলাম। তখনি দেখি, যে বাড়ি উচ্ছেদ করতে এসেছে সেই বাড়ির এক ভাড়াটিয়া ছেলেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কুকুরের মতো টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং ছেলেটি চিত্কার করে বলছে, আমি গার্মেন্টে চাকরি করি। তখন আমি আবার পুলিশের মুখোমুখি হই এবং তাদের জিজ্ঞাসা করি ওর অপরাধ কী? উত্তরে পুলিশের এসআই আমাকে বলে, আপনার পরিচয় কী? উত্তরে আমি বলি, আমি মানুষ এবং এই দেশের নাগরিক। হালকা বাকবিতণ্ডা হয় ওই এসআইয়ের সঙ্গে। তারপর ওই গার্মেন্ট শ্রমিকের কী হয় আমি জানি না।
২. কিছুক্ষণ পর শুনি আওয়াজ এবং চোখ জ্বলছিল। আমি বুঝতে পারি টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে এবং ওই বাড়ির দুটি ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। আমি মূল ঘটনাস্থল ১৯নং বাসার সামনে যাই এবং জানতে পারি ওই বাড়ির ভেতরে তিনটি টিয়ারশেল এবং বাইরে একটি মোট চারটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। টিয়ারশেলের ধোঁয়া সহ্য করতে না পেরে আনুমানিক ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা প্রাণপণ চেষ্টায় একতলার ছাদে উঠতে চেষ্টা করেন কিন্তু উঠতে গিয়ে একতলার ছাদ থেকে পড়ে যান এবং কোমরের হাড় ভেঙে যায়। আমি তখন ম্যাজিস্ট্রেটকে খুঁজতে থাকি। অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাই। গ্যাসের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব আরেকটি নির্মাণাধীন বাড়ির নিচে অবস্থান করছিলেন। সেই ম্যাজিস্ট্রেট টিপু সুলতান, গণপূর্ত বিভাগের সহকারী পরিচালক—তাকে আমি প্রশ্ন করি আপনি মানুষ না অন্য কিছু। কিভাবে নির্দেশ দিলেন টিয়ার গ্যাস মারার, যা আপনি নিজেও সহ্য করতে পারছেন না। তিনি আমাকে প্রথমে বলেন, আমি নির্দেশ দেইনি। তখন আমি তাকে বলি, তাহলে লিখিত দিন। তখন তিনি স্বরূপে ফিরে এসে বলেন, নির্দেশ দিয়েছি তো কি হয়েছে। আপনারা চলে যান, না হলে গুলির নির্দেশ দেব। আমি তীব্র প্রতিবাদ করি। এক পর্যায়ে বেশ বড় জনমত সৃষ্টি হয়। আমি বার বার ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে বলতে থাকি, এটি অত্যন্ত বড় মাপের মানবতা লঙ্ঘন। পাল্টা জবাবে তারা বলতে থাকে, আমরা প্রয়োজনে সবাইকে গ্রেফতার করব এবং গুলির নির্দেশ দেব। এতে আমার সঙ্গে তাদের বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা আমার নাম জানতে চাইলে তাদের আমার নাম বলি। তখনকার পরিস্থিতি টের পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান রেখে চলে আসেন। এর মধ্যে কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ক্যামেরা আসায় উচ্ছেদ অভিযানকারীরা চলে যান। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট থানায় গিয়ে বাড়িতে বর্তমান অবস্থানকারী সবাই এবং আমাকে আসামি করে মামলা দেন।
৩. ২৮-১২-২০১২ ইং রোজ শুক্রবার আমি প্রথম আলো পত্রিকাটি দেখে বিস্মিত হই। ২১নং পৃষ্ঠায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে এই খবরটি ছাপা হয়। শিরোনাম করা হয় ‘মিরপুরে হামলার মুখে পিছু হটলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত’। এই রিপোর্টটির মধ্যে যা লেখা ছিল তা প্রথম আলো যে চেতনায় মানুষকে উদ্দীপ্ত করে তার সঙ্গে যায় না। আমি খুব মনক্ষুণ্ন হই এবং বিশ্বাস করতে থাকি নিশ্চয়ই প্রথম আলো রিপোর্ট/খবরটিকে পরিবর্তন করবে। এই বিশ্বাস নিয়ে রাতে বেশ নিশ্চিত হয়ে ঘুমাতে যাই এবং শুয়ে শুয়ে চিন্তা করতে থাকি, আগামীকাল প্রথম আলোর অফিসে যাব এবং তাদের বিষয়টি গোচরীভূত করলে তারা নিশ্চয়ই সংবাদটি সংশোধন করবেন। আমি ২৯-১২-২০১২ শনিবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোর অফিসে যাই এবং যেহেতু সামান্য কিছু পত্রিকা পড়ার অভ্যাস আছে, বিশেষ করে প্রথম আলো, সেহেতু আমি আশা করেছিলাম সোহরাব হাসান সাহেব প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখবেন। নিরাপত্তা কর্মীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, স্যার লিফটের ৫-এ গেলে দেখা করতে পারবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি তাকে পাইনি, তিনি প্রেস ক্লাবে ভোট দিতে চলে গেছেন। তখন আমি ওই ফ্লোরের রিসিপশনের ভদ্রমহিলার সঙ্গে আলোচনা করি, কার সঙ্গে এই খবরটির ব্যাপারে কথা বললে ভালো হয়। তিনি আমাকে আবদুল কাইয়ুম সাহেবের নাম বলেন। আমি আবদুল কাইয়ুম সাহেবকে বিষয়টি খুলে বলার চেষ্টা করলে তিনি আমার কথা না শুনে আমাকে ২য় তলায় নিউজ রুমে যিনি খবরটি তৈরি করেছেন তার কাছে পাঠান। আমিও তার কথামতো তাই করি। যে রিপোর্টার সংবাদটি তৈরি বা সংগ্রহ করেছেন তাকে বলার চেষ্টা করি। আমি প্রথম আলোর পাঠক হিসেবে মনে করি শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল ‘মিরপুরে বাড়ি উচ্ছেদে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও একজন বৃদ্ধা গুরুতর আহত’। এ কথায় তিনি আমার ওপর মারমুখী হয়ে আসেন এবং ধমকাতে থাকেন—বেরিয়ে যান, না হলে পুলিশ ডেকে আপনাকে ধরিয়ে দেব। উত্তরে আমি বলি, আপনার ক্ষমতা আছে দিন ধরিয়ে, আমরা তো নিরীহ মানুষ। তিনি তক্ষুণি ফোন বের করলেন কিন্তু ফোন করলেন না। তিনি বলতে থাকলেন, তোর এলাকার পুলিশের ডিসি ও এসিকে ফোন করে তোকে শায়েস্তা করব। আমি ক্ষুব্ধ ও অপমানিত হয়ে আবার সিঁড়ি বেয়ে আবদুল কাইয়ুম সাহেবের কাছে যাই এবং বিষয়টি বলি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন। আমি বলি, স্যার, আপনাদের বলে বলীয়ান হয়ে আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। আপনারা বলেন ‘উটপাখি নয়, মানুষের জীবন চাই’। এরপর উনি দু’ দু’বার আমাকে রিসিপশনে বসিয়ে রেখে ভেতরে যান এবং বলে যান, মতি ভাই (সম্পাদক মতিউর রহমান)-এর সঙ্গে আপনার সাক্ষাত্ করাতে পারি কিনা। ২য় বার উনি এসে বললেন, বিষয়টি আমিই দেখব, মতি ভাই মিটিংয়ে আছেন। ৩০-১২-২০১২ রোববার আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টায় কলিংবেলের আওয়াজ শুনে আমার স্ত্রী দরজা খোলে। আমার স্ত্রী এসে আমাকে বললো কারা যেন তোমাকে ডাকছে। আমি গেলাম দরজার কাছে, আমাকে একজন জিজ্ঞাসা করলো আপনি কি ইমরুল। আমি বললাম হ্যাঁ, আমি ইমরুল। তারা বলল, আপনাকে গ্রেফতার করা হবে কারণ আপনি প্রশাসনের কাজে বাধা প্রদান করেছেন। তারা আমাকে থানায় না নিয়ে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট হাজতে তাদের মাইক্রোবাস যোগে নিয়ে যায়। যেতে যেতে পুলিশ আমাকে বলছে, আপনি তো অনেক সাহসী। ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বেয়াদপি করলেন ভালো কথা কিন্তু সাংবাদিকের সঙ্গে কিভাবে বেয়াদপি করলেন? আপনার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। ধারা যা দিয়েছি তাতে দুই মাসেও বেল/জামিন পাবেন না। আমি মনে করেছিলাম বিষয়টি আন্দাজে তারা বলছেন। এরপর সিএমএম আদালতে জামিন মঞ্জুর না করে আমাকে হাজতে পাঠানো হলো। মোটামুটি যত ধারা দেয়া যায় সব ধারাই প্রয়োগ করল পুলিশ। আমি তখন জেলে, আমার স্বজনরা আমাকে জানালো প্রথম আলো পত্রিকায় গ্রেফতারের খবরটি ছাপা হয়েছে। যাক, ৩-১-২০১৩ বৃহস্পতিবার আমার জামিন মঞ্জুর হয় এবং আমি জেল থেকে মুক্ত হই।
৪. এসব ঘটনাপট ও আমার হাজতবাসের কষ্ট থেকে আমি নিজেকে কোনোভাবেই আলাদা করতে পারছি না। মনে হচ্ছে আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক নই, প্রথম আলো ও পুলিশের প্রজা। কোনোভাবেই ঘুমাতে পারি না যখন চিন্তা করি ‘উটপাখী নয়, মানুষের জীবন চাই’ অথবা ‘বদলে যাও বদলে দাও’ কিংবা ‘যা কিছু ভালো তার সাথে প্রথম আলো’; এ সব স্লোগান দিয়ে কিভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। কাকে বলে তথ্য অধিকার আমি যখন আবদুল কাইয়ুম সাহেবের কাছে ওই রিপোর্টারের নাম জানতে চাইলাম অত্যন্ত বিনম্রভাবে, তিনি আমাকে বললেন, নাম দিয়ে আপনি কী করবেন? আমি বললাম, জীবনে যদি কখনও আত্মজীবনী লিখি তবে প্রয়োজন হতে পারে। আমার কাছে মনে হচ্ছে টাঙ্গাইলের ধর্ষিতা মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে যদি কেউ প্রতিরোধ করত এবং ধর্ষণকারী আহত হতো প্রথম আলো প্রতিরোধকারী ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী বানিয়ে দিত। আমার এই সময়টিতে খুব বেশি মনে পড়ছে একটি অকাট্য সত্য কথা যা বলেছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার লিংক ‘যা কিছু কালো, তার সাথে প্রথম আলো।’
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১
টেরাকোটা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
۞ বলেছেন:
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১
টেরাকোটা বলেছেন:
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
মিতক্ষরা বলেছেন: ধন্যবাদ। না হলে আমার দেশে গিয়ে পড়া হত না।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
টেরাকোটা বলেছেন: আমিও মিস করেছিলাম।নতুনবার্তার মিডিয়া রিভিউ পড়তে গিয়ে পেলাম।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪২
টয় বয় বলেছেন: প্রথম আলো, কাইয়ুম,মতিউর, সোহরাব, আর চেলা ফেলা সাংবাদিক গুলা সব ক্রিমিনাল, সোজা কথা|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২
টেরাকোটা বলেছেন: যা করেছে তা রীতিমত ক্রাইম।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪২
টয় বয় বলেছেন: প্রথম আলো, কাইয়ুম,মতিউর, সোহরাব, আর চেলা ফেলা সাংবাদিক গুলা সব ক্রিমিনাল, সোজা কথা|
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
মদন বলেছেন: কি অদ্ভুত....
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
টেরাকোটা বলেছেন: গরীবের বিচার নাই
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
বাউন্ডুলে আমি বলেছেন: পরথম আলু একটা পত্রিকা ,উটপাখিও একটা পাখি ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
টেরাকোটা বলেছেন: প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক হিসেবে যা করেছে তা রীতিমত লজ্জাজনক।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: ঐ শুয়োরের বাচ্চা সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করে দিন.....
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
টেরাকোটা বলেছেন: আমি লিংক দিয়েছি
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এরা আইনের নামে বেআইনি করে বেড়ায়
মানে স্বৈরাচার
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
টেরাকোটা বলেছেন: সুশীলরাই বড় ভন্ড
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫০
অচিন.... বলেছেন: shame
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
টেরাকোটা বলেছেন: shame
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২
তিতুন বলেছেন: ঘটনাটি জনসমক্ষে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ। এ ঘটনাটি প্রমাণ করে অন্ধভক্তি আর মাত্রাতিরিক্ত বিশ্বাস কতটা নিন্দনীয় এবং প্রকৃতপক্ষে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই ভূল ত্রুটির ঊর্ধে নয়। আর প্রথম আলোর 'উটপাখির জীবন নয়, মানুষের জীবন চাই' - এসব কথা যতটা না সচেতনতামূলক তার চেয়ে বেশি লোক দেখানো এবং সংবাদপত্রের পাব্লিসিটি বাড়ানোর স্কিম বলে মনে হয় আমার কাছে। বাস্তবতা আর আপনার উল্লিখিত ঘটনা সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে বলতে হয়, এর মাধ্যমে প্রথম আলোর নিরপেক্ষতা আর সার্বজনীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হলো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
টেরাকোটা বলেছেন: আপনার কমেন্টটির যথার্থতা ১২ নাম্বার কমেন্টধারী।
ধন্যবাদ
১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: এটা বাংলাদেশের বিখ্যাত (!) দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ছাপা হইছে না?? খবরটা বিশ্বাস (!) না করে তো পারাই যায় না। আমার দেশ তো আমার বস্তুনিষ্ঠ (!) খবর ছাপে। যাই হোক এ অন্যায়ের (!) প্রতিবাদ জানাতে হয়তো ইতোমধ্যে লিখাটা সব জায়গায় শেয়ার হয়ে গেছে। হায়রে হুজুগে বাংগালী !!!!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
টেরাকোটা বলেছেন: আপনি একটা আবাল পাবলিক।না হলে বুঝতে পারতেন আন্দাজী একটা জাতীয় দৈনিকের বিরুদ্ধে আরেকটি জাতীয় দৈনিক এভাবে সরাসরি লিখেনা।
১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
হারানো ওয়াছিম বলেছেন:
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
টেরাকোটা বলেছেন:
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২
জিললুর রহমান বলেছেন: ফয়সাল সাহেব, আমারদেশ নিয়া এত ক্ষোভ ? মূল কারন কি স্কাইপে ? তা মিথ্যা কিছু ছেপেছে কি ?
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৪
টেরাকোটা বলেছেন: আপনার কি মনে হয় আবাল পাবলিক আপনার প্রশ্নের সঠিক উওর দেবে ?
১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১১
জোহার হুল বলেছেন: Feels sorry for you bro.
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২
টেরাকোটা বলেছেন: লেখার শেষে লিংক আছে ।
১৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৬
সোহাইব সিনান বলেছেন: ভাই, ডিরেক্ট বলি; "আমি যদি ম্যাটেরিয়ালিজমে বিলিভ করতাম, তবে আপনার পরিস্থিতিতে পড়লে কয়েকটা লাশ ফালায় দিতাম"
কঠোর মন্তব্যের জন্য দুঃখিত।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৮
টেরাকোটা বলেছেন: আপনার মতই আমার মনোভাব।যাই হউক আমার সাথে এমন কিছু ঘটেনি ।নতুনবার্তা২৪ এর একটা রিভিউ পড়তে গিয়ে লেখাটির সূত্র দেখি ।এরপর সার্চ করে পেলাম লেখাটি।পড়ে মনে হল শেয়ার করা উচিত ।তাই করেছি ।
ধন্যবাদ।
১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৫
শোয়েব হাসান বলেছেন: Valo laglo .eder nmukosh khule dite hbe
১৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৫
৭ ১ নিশান বলেছেন: যারা ব্লগে আছেন তাদের অনেকেই অনেক দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নেন কেউ না বললেও। টেরাকোটা আপনাকে সম্মান না করে পারছিনা। আপনি যে কাজটি করেছেন তা একজন সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছেন ভয় না পেয়ে। কিন্তু আমাদেশের বেশির ভাগ মানুষ বোধ বুদ্ধিহীন পশু টাইপের।
আমাদের বেশিরভাগ নাগরিকের না আছে নিজস্ব চিন্তা ভাবনা না আছে কোন বোধবুদ্ধি, এরা কেবল হুজুগে বাংলাদেশী। এরা নিজেরা নাচতে পারেনা , কিন্তু কেউ নাচালে খুব নাচতে পারে। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের সবার চোখ খুলে দেবার জন্য আমার চোখ অনেক আগেই খুলে গেছে, কিন্তু আমার বিশ্বাস যারা অন্ধ আছে তারা আজীবন অন্ধ থাকবে। তারা আপনাকে বলবে কি দরকার ছিল এসব করার। কিন্তু একবার ও বলবে না যে আপনি ঠিক কাজটিই করেছেন। আমাদের দেশের মানুষ নিজের অধিকার বলতে বোঝে ভোটের অধিকার, কিন্তু একজন নাগরিক হিসাবে যে অসংখ্য অধিকার মানুষের আছে তা আমরা ভুলে গেছি।
প্রথম আলো ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষের কাছে ভাল থাকার জন্য কত কিছুই না বলে চলেছে, উট পাখি নয় মানুষের জীবন চাই এ কথা অন্তত এদের মত ভণ্ড পীরের মুখে মানায় না। যারা দিন বদলের ডাক দিচ্ছে তারায় আবার মানুষের আশাকে গলা টিপে খুন করছে। আমি নিজে কিছুদিন আগে একটা কমেন্ট দিয়েছিলাম প্রথম আলোতে কিন্তু কিছুক্ষন পর দেখি আমার কমেন্ট টা মুছে দিয়েছে এটা একজন পাঠকের সাথে বেঈমানির শামিল। এরা প্রতিদিন মানুষের সাথে নানা ভাবে বেঈমানি করে চলেছে আর আমরা বোকার মত এদের পিছু হেটে চলেছি। আপনার দুর্ভাগ্য যে আপনি বোঝেননি যে রসুনের গোড়া এক। কাইয়ুম, মতি, এরা সবি জানে কিন্তু এরা কিছু করে না। কারন এদের দরকার খবরের যা মানুষ খাবে।
যেখানে মানুষ বিপদে পড়লে মানুষ খবরের কাগজের তথা সাংবাদিকের কাছে বলবে কিন্তু কি হাল আমাদের দেশের যে এরায় আবার কাল সাপ হয়ে দংশন করছে তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? আমাদের আসলে কোথাও যাবার জায়গা নেই। একদিন এদের ধবংস হবে।
প্রথম আলো কোনদিন কোন সরকার বিরোধী খবর প্রকাশ করে না। যেটা জাতির জন্য গুরুত্ব পূর্ণ সেটা এরা খুবই ছোট করে প্রকাশ করে। কারন এরা যে সরকারের মধুর ভাগ পাই। ভাবতে খারাপ লাগে যে একজন মানুষ ঘটনার সত্যতার জন্য প্রত্রিকা অফিসে এসেছে আর তাকে হুমকি ধামকি সুনতে হবে। এর থেকে মাহামুদুর রহমান অনেক ভাল যে সরকারের স্মালোচানা করে চলেছে। আপনার ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে দিলে যে সরকারের প্রশাসনের লুঙ্গী ধরে টান দেওয়া হবে ও একই সাথে এদের মিথ্যা ধরা পড়ে যাবে তাই মিথ্যাকে সত্য প্রমান এদের করতে হবেই তাতে আপনার আমার মত দুই এক জন জেল এ গেলে কি আর হবে।
একটা প্রত্রিকার কাজ সমাজ কে বদলে দেওয়া । সত্যকে সত্য বলে জনগণের সামনে তুলে ধরায় একটা প্রত্রিকার কাজ। আর তারা যদি অন্য পথে হাটে তাহলে সেটা হয় রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের দেশটা নানা সমস্যায় আতকে আছে। কিন্তু প্রথম আলো এটা নিয়ে আসলে কিছু করছে না। এরা আছে নিজেদের বানান এজেন্ডা নিয়ে।
আমাদের দেশের মন্ত্রী মিনিস্টার রা দেশের সর্বনাশ করে চলেছে দিনের পর দিন, কিন্তু মুখোস পরা প্রথম আলো এক্ষেত্রে নীরব দর্শক। শেয়ার মার্কেট কেলেংকারী, ব্যাংক লুট, কালো বিড়াল ঘটনা, পদ্মা ইস্যুতে প্রথম আলো কি করেছে ? কিছুই করেনি। প্রথম আলো যদি ইচ্ছা করত তাহলে পারত একটা জনমত গঠন করতে যা দেশের মানুষ কে নতুন করে ভাবতে শিখাত। কিন্তু হাই এরা কিছু করেনি? কই প্রথম আলো তো সরকার কে বলতে পারল না কেন আবুল পার পাবে ? কেন বিশ্বব্যাংক কে চলে যেতে হবে? কেন সুরঞ্জিত বাবু পার পাবেন। কেন গুম হত্যার বিচার হবে না। আসলে প্রথম আলো স্ট্যান্ডবাজি ছাড়া কিছু করছে না। মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে চলেছে। প্রথম আলো ভারতে নারী ধর্ষন হলে হেড লাইন করে খবর দেই, কিন্তু ব্রাক হাসপাতালের ডাক্তার ধর্ষন হয়ে মারা গেলে কিছু করতে পারে না। মতি ভাই তো কারোয়ান বাজারের সর্দার সে তো সাধারন নাগরিকদের জন্য না। একটা প্রত্রিকা পারে সরকারকে তার পলিসি চেঞ্জ করতে বাধ্য করতে। কিন্তু এরা তা করে না।
এরা পারে সত্যকে সুন্দর করে মিথ্যা বানাতে , রাতের অন্ধকারে চোরকে সাধু বানাতে, আর মানুষ কে হয়রানি করতে। এরা ভাল কি করে করবে, এদের মাঝে ভাল কিছু আছে? প্রথম আলোর অরুন চৌধুরী তো দিনে দুপুরে মেয়ে মানুষ নিয়ে মাস্তি করে তা আবার ইউটীউবে চলেও আসে। এটা তো এদের কাজের নমুনা মাত্র। এরকম আরও কত অরুন আছে এদের ভিতরে? এরা আবার যখন নারী অধিকার, যৌন হয়রানি নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেই তখন খুবই হসি পাই। প্রথম আলো ছপাতে পারে তোমরা যারা শিবির কর। কিন্তু এদের কাছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস কোন ব্যাপার ই না। কেউ যদি বলেন বিশ্বজিতের কথা তাহলে বলব যে ওটা না ছাপিয়ে কোন উপায় ছিল না, কই এখন তো বিশ্বজিৎ কে নিয়ে প্রথম আলো কিছু লিখছে না । হয়ত গোপন কোন সমঝোতা হয়ে গেছে ব্যাস লিখব না।
তাই আমাদের উচিত এই সব স্ট্যানবাজির বিরুদ্ধে কিবোর্ডে হাত চালান।
১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৩
কাছের মানুষ বলেছেন: ভাই লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেলো। এখন ভাল সাহসী মানুষ হওয়াও অপরাধ।জানি কিছুই হবে না তবুও এর বিচার চাই। টেরাকোটা ভাই আপনাকে লাল সালাম।
২০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৩
৭ ১ নিশান বলেছেন: আমাদের সবার উচিত টেরাকোটার সাথে যে ব্যবহার হয়েছে তার জন্য কিছু না হোক সবাই মিলে আগামী শুক্রবার প্রথম আলো অফিসে যাওয়া ............কে কে যেতে চান ।
টেরাকোটা কে বলছি কেউ না গেলে আমি যাব
২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৬
৭ ১ নিশান বলেছেন: Click This Link
আপনার অনুমতি না নিয়ে প্রতিক্রিয়া লিখে দিলাম ভাই আপনাকে ধন্যবাদ
২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৮
সরলপাঠ বলেছেন: শত ব্যস্হতার মাঝেও আলুর বিষয়টি পেয়ে মন্তব্য করতে লগ ইন করলাম। আলু একটি সিন্ডিকেট প্রত্রিকা। আলুর সংবাদের ৭০% ই মিথ্যা। এরা মিডিয়া মুগল, ভন্ড। আসুন আলুর ভন্ডামী দেশবাসীকে জানাই।
২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩২
নদীর তীরে বলেছেন: প্রথম আলু । বেশি দেরি নাই মতির উপর গযব পড়ার ।
২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২০
বাংলার ঈগল বলেছেন: আমার কাছে মনে হচ্ছে টাঙ্গাইলের ধর্ষিতা মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে যদি কেউ প্রতিরোধ করত এবং ধর্ষণকারী আহত হতো প্রথম আলো প্রতিরোধকারী ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী বানিয়ে দিত।
আমার এই সময়টিতে খুব বেশি মনে পড়ছে একটি অকাট্য সত্য কথা যা বলেছিলেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার লিংক ‘যা কিছু কালো, তার সাথে প্রথম আলো।’
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
অথর্ব সামি বলেছেন: ধন্যবাদ আমাদের চোখ খুলে দেবার জন্য