নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয় : মাকড়সা

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩




মাকড়সা

আত্মীয় পরিজনের সময়ে-অসময়ে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে আমি আমার জীবনে প্রায়ই হাসপাতালে সময় কাটিয়েছি। বলা চলে হাসপাতালের সাথে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক হয়তোবা আমি রোগীদের একজন ভালো বন্ধু। যে কারণে আমার জীবনে বার বার হাসপাতালে যেতে হয়েছে।

সেপ্টেম্বর, ২০০৯ এর কথা। আমি আমার অসুস্থ এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করার জন্য প্রায়ই হাসপাতালে যাই। আমি সাধারণত হাসপাতালে রাত আটটা - নয়টার দিকে যাই আর এগারো - বারোটার দিকে বাসায় ফিরে আসি। সারাদিনের কাজকর্ম শেষে লম্বা জার্নি করে হাসপাতালে পৌছে মাঝে মাঝে বেশ ক্লান্ত থাকি, কখনো হাসপাতালের রুমে কোনো বেড খালি পেলে সেখানে কিছুক্ষন শুয়ে বিশ্রাম নেই, কখনো কখনো হয়তোবা ৪০ - ৪৫ মিনিট ঘুমাই। হাসপাতাল ভবনের দোতলায় যে রুমে আমার আত্মীয় থাকেন সে রুমে ত্রিশটি ষ্টিলের বেড। বিশাল রুম, জেনারেল ওয়ার্ড। এটি ঢাকায় পুরাতন একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ।

রমজান মাস। সেদিন ঠিক কতো তারিখ বা কি বার ছিলো সঠিক মনে নেই। বেশ ক্লান্ত ছিলাম, হাসপাতালে পৌছে আত্মীয়ের সাথে ভালোমন্দ সামান্য কথা বলে দুই বেড পরের বেড খালি পেয়ে হাতের কনুই দিয়ে আলো আড়াল করে শুয়ে পরেছি। রাত আনুমানিক নয়টা, ওয়ার্ডে ক্লান্ত সিলিং ফ্যান আর ক্লান্ত টিউব লাইট। খুব সম্ভব ত্রিশ পয়ত্রিশ মিনিট পর আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পাশের বেডে এক ভদ্রলোক প্যারালাইজড ও বাকরুদ্ধ হয়ে শুয়ে আছেন তিনি মুখ বাঁকা করে গোঁ গোঁ শব্দে আমাকে হাত ইশারা করছেন ছাদের দিকে তাকাতে! আমি তাকাতেই দেখি ছাদে শীর্ণকায় বৃদ্ধ এক হিন্দু ভদ্রলোক! খালি গায়ে মালকোচ মারা সাদা ধুতি কাপড় পরে চার হাত পায়ে মাকড়সার মতো বিশ ফিট উঁচু ছাদ আঁকড়ে ধরে আছেন! তিনি আমাদের দিকেই তাকিয়ে আছেন। এই বৃদ্ধ বয়ষে কেনো, কোনো মানুষের পক্ষেই এভাবে চলা বা ঝুলে থাকা সম্ভব নয়। তাৎক্ষনিক ঘুম ভেঙ্গে এমন কিছু দেখার জন্য আমার মস্তিস্ক তৈরি ছিলো না, আমার মনে হয়েছে শরীরে বিদ্যুতের শক খেয়ে খানিক সময়ের জন্য আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। সময় মাত্র তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ড প্যারালাইজড রোগীর স্ত্রী মাল্টা কাঁটছিলেন তিনি এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালের বিছানা হতে অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পরে গেলেন। ফ্লোরে রাতে ঘুমানোর জন্য তোষক ভাজ করা ছিলো তাই সে যাত্রা তিনি বেঁচে যান, তবে বাকরুদ্ধ প্যারালাইজড রোগী সে রাতেই মারা যান।

উপসংহার: আমরা সাধরণত খোলা চোখে যা দেখি, তা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে।


উৎসর্গ: প্রিয় ব্লগার আহমেদ জী এস ভাই। যিনি মানুষ ও জীবনকে সাত রঙে দেখেছেন।
কৃতজ্ঞতা: সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ












মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি জীবনে হাসপাতালে রাত কাটাই নি। পারত পক্ষে আমি হাসপাতালে যাই না।

লেখাটা দ্রুত শেষ হয়ে গেল। আপনি ভুল দেখেছেন।এটা অবচেতন মনের কারসাজি।
আজ রাতে আমি ভূতের গল্প পোষ্ট করবো। পড়ার আমন্ত্রন রইলো।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




না, আমি হাসপাতালে রাত কাটাতে যাইনি। উপসংহার: আমরা সাধরণত খোলা চোখে যা দেখি, তা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে। তবে দুজন সুস্থ মানুষ আর একজন অসুস্থ মানুস একই দৃ্শ্য দেখবেন তাও খটকার বিষয়।

অবস্যই পড়বো। আমি আপনার প্রতিটি পোষ্ট পড়ি।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঝুলে থাকা মানুষটাকে আপনি আপনার ঘুম ভাংগার পরে দেখেছেন?

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার ঘুম ভেঙ্গেছে পাশের বেডের প্যারালাইজড ও বাকরুদ্ধ রোগীর শব্দে, তিনিই আমাকে ও তার স্ত্রীকে ইশারায় দেখালেন।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হাসপাতালের নাম শুনলেও এখন ভালো লাগে না

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




যখন প্রয়োজন হবে তখন হাসপাতাল থেকে বিরত রাখতে আপনাকে শিকল দিয়ে বেঁধেও রাখা যাবে না। শিকল ভেঙ্গে হলেও হাসপাতালে পৌছাবেন।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

জুন বলেছেন: দিনের বেলা দেখেছেন নাকি রাতে ? :-&
এমনিতেই শুনি হাসপাতাল ভরা ভুত ।
খুবই সংক্ষিপ্ত লেখাটি ঠাকুর মাহমুদ ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আনুমানিক রাত ০৯:৩০।
জুন আপা, আমার গল্পগুলো ছোটই হয়। তাছাড়া গল্পের মূল বিষয় বাদে আর কি বলার আছে। হাসপাতাল ভুতের পছন্দের স্থান।


৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০০

জুন বলেছেন: আমার আম্মা যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাসের পর মাস চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের কেবিনে থাকতেন তখন আমিও আম্মার সাথে থাকতাম । সেই সময় আমার হাসপাতাল সম্পর্কে ভয় কেটে গিয়েছিল ঠাকুর মাহমুদ ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





সেটাই কিন্তু স্বাভাবিক। মেডিকেল কলেজের ডাক্তারগণ দিনের পর দিন ডিউটি করে এমন হয়ে যান যে মৃত্যু তাদের কাছে আর জটিল কোনো বিষয় মনে হয় না। মাত্র দশ মিনিট আগে মৃত ব্যক্তি দেখে তারা লাঞ্চ করতে বসেন। এটিই জীবন।

ভয় পাওয়ার জন্য পরিবেশ প্রয়োজন পরে, সেটি মধ্যরাত হতে হবে জরুরী নয়, ভর দুপুরেও ভয় পাওয়ার মতো অনেক কিছু ঘটে।

পরম করুণাময় আল্লাহপাক আপনার আম্মার বেহেস্ত নসীব দান করুন।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মিশির আলী আপনার এই পরিস্থিতির একটা ব্যখ্যা দাড় করাতে পারতেন।
আমরা পারছিনা কারন আপনি নিজে দেখেছেন বলে দাবী করেছেন।
তবে আমার ধারণা এটা আপনার অবচেতন মনের কল্পনা।
বাস্তবে এমন হতে পারে তা কি আপনি স্বীকার করেন।
যা কোন ভাবেই সম্বব নয় তা কি করে হয়?
ঘুমের ঘোরে যা দেখেছেন তাই সত্যি বলে
মেনেছেন। বুদ্ধি খাটান মাহমুদ ভাই।
এ যুগে ভূতের কোন অস্তিত্ব নাই।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই,
হতে পারে আমি সেদিন খুব ক্লান্ত ছিলাম, আর প্যারালাইজড রোগীর স্ত্রী হয়তো মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছিলেন। তবে দুজন একই সময়ে একই দৃশ্য দেখবেন এখানেই খটকা।

লেখায় উপসংহারে দেয়া আছে “ আমরা সাধরণত খোলা চোখে যা দেখি, তা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে” আমি এটি বিস্বাস করি বলেই লিখেছি। কারণ এ ধরনের অদ্ভুৎ দৃশ্য আমি অসংখ্যবার দেখেছি। আমরা খুবই সাধারণ মানুষ তাই আমাদের কাছে হয়তো এখন সমাধান নেই। হয়তো বিজ্ঞান কোনোদিন এর সমাধান করবেন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই,
এই পোষ্টে সম্ভবত মন্তব্য শেষ তাই আপনার একটি মাত্র মন্তব্যকে ধরে শেষ কথা বলছি। যদি আল্লাহকে বিস্বাস করতে হয় তাহলে জ্বীন বিস্বাস করতে হবে, আর জ্বীন অবিস্বাস করলে আল্লাহকে অবিস্বাস করা হয়। কারণ জ্বীন বিষয়ে সয়ং আল্লাহ বলেছেন। এখন ছাদে ঝুলে থাকা ধুতি মালকোচ মারা হিন্দু ভদ্রলোক জ্বীন নাকি শয়তান তাতো জানা সম্ভব হয়নি কারণ তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ সেকেন্ডের জন্য হয়তো দেখেছি। তারমধ্যে সে তার যা করার করেছে। আমার তো তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব নয় বা এই পথে আমার দৌড়ানো উচিত বলেও মনে করিনি।

ব্লগার নতুন ভাই প্রশ্ন রেখেছেন যদিও নতুন ভাইকে এসব বলা অবান্তর। তবে আপনি হয়তোবা বিস্বাস করেন কিছু তো আছে? নাকি বিস্বাস করেন না? আমি আমার জীবনে সদলবলে অসংখ্যবার দেখেছি, একা হলে বিভ্রম বলা যেতো। এদের ক্ষমতা দেখে এটি বিস্বাস হয়েছে এরা দেওয়ানবাগ আওয়ানবাগ পীর মীর বীর কেনো সমগ্র মানবজাতির কাছে ধরা দিয়ে চলার কেউ না।

ধন্যবাদ।।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০২

সোহানী বলেছেন: আরেকটু বড় করলে ভুতের গল্পটা জমতো B:-/

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভয় একটি গল্পগুচ্ছ আর মাকড়সা তার ছোট একটি গল্প। আগামীতে অবস্যই একটু বড় করে গল্প হবে। ভূত পেপার আইকা গাম খেয়ে খেয়ে ছাপাখানা / প্রেস বন্ধ করে দেবার অবস্থা করেছিলো। সেই গল্পও হবে। পোষ্টে লাইক - অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: এখন কেন জানি ভয়ের নয় হাসির গল্প শুনতে ইচ্ছে করে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাদের জন্য হাসির গল্প অবস্যই লিখবো। ঢাবিয়ান ভাই, আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা আর দেখা ঘটনাগুলো লিখতে হলে নিয়মিত ব্লগিং করতে হবে পঞ্চাশ বছর। আগামী পোষ্টটি অবস্যই হাসির হবে। সাথে চলার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৯

আনমোনা বলেছেন: আপনি কি রোগীর স্ত্রীর সাথে এই ব্যাপারে কথা বলেছিলেন? তিনি ঠিক কি দেখেছিলেন?

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




একেই বলে পাঠক। ধন্যবাদ।
জ্বী আমি রোগীর স্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। পরদিন আর দেখা হয়নি কারণ ডেথবডি নিয়ে তারা দুপুরের মধ্য চলে যান। একই সময়ে একই দৃশ্য দুজনের পক্ষে দেখা সম্ভব হবার তো কোনো কারণ দেখি না। কিন্তু তাই হয়েছে।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যা বলছেন তা ঠিকই বলছেন। এবং সত্য বলছেন।
আসলে মাঝে মাঝে জীবনে অলৌকিক ব্যাপার স্যাপার ঘটে। যার ব্যখ্যা হয়তো আমরা জানি না।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভয় পাওয়ার জন্য শুধু অন্ধকার রাত হতে হবে এমন কোনো কারণ নেই, হাসপাতালেরে ওয়ার্ডে যথেষ্ট আলো থাকে আর রাত মাত্র ০৯:৩০। ব্লগে নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই সহ অনেকেই সিভিলিয়ান মানুষ তাছাড়া নূরু ভাইয়ের লেখায় কখনো ব্যক্তিগত এমন কিছু পড়িনি যাতে সাহসি মানুষ ভেবে তাকে ঠিকানা দেয়া যায়। তবে আমার জানা পরিচিত ঠিকানা আছে যেখানে ভয় পাওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ আছে। যার কোনো ব্যাখ্যা নেই। আপনি চাইলে ঠিকানা দিতে পারি। যদিও আমার ধারণা আপনি কমবেশী কিছু দেখেছেন।

১১| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০

নতুন বলেছেন: ঘটনা জটিল। কিন্তু আপনিই খুজে পাবেন তার রহস্য।

হয়তো জায়গাটা অন্ধকার ছিলো অথাত কম আলো ছিলো। এবং হয়তো বাইরের থেকে কোন ছায়া এসে পরেছিলো সেটাকে আপনি মানুষের আকারে দেখেছেন, ঐ মহিলাও অন্য কিছু মনে করেছে।

ঐ মহিলা কি দেখেছিলো? আমার ধারনা আপনারা দুজন ঠিক একই জিনিস দেখেন নাই।

মানুষের মস্তিস্ক কোন আলো- ছায়া দেখলে সেটাতে পরিচিত জিনিসের আকৃতি খুজতে চায়।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নতুন ভাই,
প্রত্যক্ষদর্শী আমরা তিনজন। তার মধ্যে একজন অসুস্থ আর দুজন অবস্যই সুস্থ। একই সময়ে একই দৃশ্য দুজন দেখার কথা নয়। সে রাতে আমি মহিলার সাথে ১০-১৫ মিনিট কথা বলেছি তিনি যা দেখেছেন তা আমিও দেখেছি। তাছাড়া রাত ০৯:৩০ টিউব লাইট সবগুলো চালু কারণ কোনো কোনো বেডে সেলাইন চলছে।

আপনি হয়তো জানেন আমি সিভিলিয়ান নই। আমার জীবনে এ ধরেনর ঘটনা আরো অসংখ্য দেখেছি, এখন সময়টা করোনা নিয়ে সবাই ক্লান্ত ভেবেছি অন্য প্রসঙ্গে কথা বললে কেমন হয় কিন্তু ব্লগাররা করোনা’তে আটকা পরে আছেন। আগামীতে মজার মজার কিছু স্মৃতি নিয়ে কথা বলবো।

১২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৫

নতুন বলেছেন: এর অবশ্যই কোন ব্যক্ষা থাকবে। দুনিয়ার কিছুই অযৌক্তিক ভাবে হয় না, হতে পারেনা। :)

রহস্যজনক ঘটনা আপনার জীবনে আরো আছে মানে আপনার মস্তিস্ক কল্পনা করতে পছন্দ করে এবং অবচেতন মন সাধারন ঘটনার সাথে কল্পনাকে মিলিয়ে হয়তো বাস্তবের উপলপ্থি আপনাকে দেয়।

আমার এক কলিগ আছে যে দেওয়ানবাগীর ভক্ত, তার পারসনালিটির সাথে এই বিষয়টা যায় না।

কিন্তু আমি আস্তে আস্তে দেখেছি যে সে নিজেই কিছু ব্যক্ষাতিত ঘটনা তার সাথে ঘটে বলে বিশ্বাস করে। যেমন তার রুমে হয়তো কিছু একটা আছে, তার রুমে কিছু কিছু জিনিস নাড়াচাড়া করে, শব্দ করে।

আমি ও আমার স্ত্রী ঠিক একই একোমোডেসনে একই সময় ধরে বসবাস করছি কিন্তু আমরা কিছু রহস্যজনক কিছু শুনিনাই, দেখিনাই। বা আমার পরিচিত অন্য কলিগও কিন্তু বলেনাই।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নতুন ভাই,
আমি দেওয়ানবাগীর ভক্ত নই। না কোনো জ্বীন পীরের মুরিদ। আমি যা দেখেছি বেশীর ভাগ সময়ে আমার সাথে মানুষ জন ছিলো। একা না। আমার এসব দেখার শখ নেই কারণ আমি ব্যবসার সাথে জড়িত। জ্বীন ভূত প্রেত ঊঝা পীর মুরিদ নিয়ে আমার কোনো কাজকর্ম নেই। আপনাকে ছোট্ট একটি তথ্য দিতে পারি এখন। ঢাকা সিলেট রুটে আশুগঞ্জ হতে ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিশ্বরোড মোট ১৩ কিঃ মিঃ রাস্তার মাঝামাঝি ৪ কিঃ মিঃ এরিয়া এখানে তথ্যমন্ত্রী সাইফুর রহামন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হোন। এই রাস্তাটি অভিশপ্ত। উক্ত ৪ কিঃ মিঃ রাস্তায় প্রতি বছর ১০ - ১৫ টি বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাতে নিহতের সংখ্যা - - - -

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪২

মুক্তা নীল বলেছেন:
ঠাকুরদা ,
রহস্যে ভরা আপনার এই পোস্ট এ কিছুটা যে ভয় পাইনি তা কিন্তু নয়। কিছু জানতে ইচ্ছে করছে শেষ পর্যন্ত আসলে কি ঘটেছিল আর কেনই বা এমন হলো ? অনেক গভীর ও রহস্য মূলক লেখা একটু কেমন যেনো ভয় লাগছে। করোনাভাইরাস সম্পর্কিত
লেখা পড়তে পড়তে আর ভালো লাগছে না তাই আপনার লেখাটা পড়ে কিছু সময়ের জন্য হলেও রহস্যে ডুবে গেলাম।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দেশে করোনা নিয়ে সবাই যতোটা আতঙ্কিত তার চেয়ে বেশী সম্ভবত জ্ঞান বিতরণ করছেন।

সে যাইহোক, ভয় আতঙ্ক এগুলো নিজের সাথে না ঘটা পর্যন্ত হাস্যকর মনে হবে যেদিন নিজের সাথে ঘটে কিছু মানুষ আছেন ধর্মপ্রাণ হয়ে যান আর কিছু মানুষ আছেন যারা “সাবধান” হয়ে যান আমি দ্বিতীয় দলের অর্ন্তভূক্ত। আমি সে রাতে মহিলার সাথে ১০ - ১৫ মিনিট কথা বলেছি, আমি একই দৃশ্য দেখেছি। হাসপাতালে ভর্তি আমার অসুস্থ আত্মীয়ও মারা যান, আর আমি এসব বিষয়ে আগ্রহী নই তাই এসবের পেছেনে দৌড়ে সময় ব্যয় ও ইত্যাদি বিষদ বিস্তারিত জানার আর চেষ্টা করিনি।

আগামীতে মজার কিছু স্মৃতি নিয়ে লিখবো গল্প পাঠের জন্য ধন্যবাদ।




১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৯

নতুন বলেছেন: ভাই আমি বলিনাই আপনি করুর ভক্ত। আমি ঐ বন্ধুটির অবস্থা বোঝাতে বলেছি মাত্র। ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না প্লিজ।

রাস্তাটিতে এমন কোন বাক্ বা বিষয় আছে সেটা চালকদের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা সৃস্টিকরে। হয়তো বাকের জন্য বা বেশি সোজা বলে নিয়ন্ত্রন হারায় এবং দূঘটনা হয়।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নতুন ভাই,
আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিচ্ছি না। আপনি আমার পছন্দের ব্লগার। আমি এসব জ্বীন ভূত প্রেতের ধার ধারি না, কারণ এসবের সাথে আমার পেশাগত বা পারিবারিক কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সামনা সামনি এসব দেখেছি যার কিছু কিছু কারণ ও ব্যাখ্যা খোঁজে বার করতে পেরেছি আর কিছু ব্যাখা আমার জানা নেই।

যেমন: সড়ক। দুর্ঘটনা কবলিত সড়কগুলোতে কোনো বিপদজনক বাঁক নেই। নিরাপদ সড়ক চাই জড়িত কাউকে যদি চেনেন তাদের কাছে জানতে পারবেন। আমি নিজেও নিরপাদ সড়কে জড়িত তবে এখন অনিয়মিত। বাংলাদেশে কবর খুঁড়ে লাশ চুরি হয়েছে কঙ্কালের জন্য সেসব প্রশাসন আইন বন্ধ করতে পারেনি বন্ধ হয়েছে অদ্ভুৎ কিছু ঘটনাতে। আমেরিকায় অবস্যই এমন ঘটনা অনেক আছে। ব্যাপার হচ্ছে আপনার সাথে বা আপনি কখনো দেখেন নি, আমি আশা করবো কখনো যাতে না দেখেন। কারণ যারা দেখেছেন তারা অভ্যস্ত কিন্তু আপনার সাথে এমন ঘটনা হলে আপনি মানসিক স্থিতি ধরে রাখতে পারবেন না।

আপনাকে সিনেমাটিক একটি তথ্য দিচ্ছি, এক্সিডেন্টে মানুষ হত্যকারী গাড়ি চালক এক্সিডেন্ট করেই মারা যান। - এর ব্যাখ্যা আমার জানা। - এটি আপনার কাছে সাসপেন্স থাকুক।



১৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৪

নতুন বলেছেন: গুগুল ম্যাপে দেখেন রাস্তাটা পুরাই সোজা, রাতে এই রাস্তায় এক গতিতে সোজা চালালে চালকের মস্তিস্ক তান্দাচ্ছন্নের মতন হয়ে যেতে পারে। সেটা থেকেই কিছু চালক বিপরীত দিকে আসা গাড়ীর সাথে দূঘটনা ঘটায়।

এটাকে রোড হিপনোসিস বলে, এর ফলে চালকের সিন্ধান্ত নিতে একটু বেশি সময় লাগে, তাই্ এই রাস্তায় যদি চালকের সামনে বরাবর আরেক গাড়ী চলে আসে তবে চালকের মস্তিস্কের এই অবস্থার কারনে তার সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে...

ফলাফল দূঘটনা....

আর দূঘটনা রাতেই বেশি হয় আপনিই বললেন। আমাদের দেশের বাসের চালকেরা বেশি সময় ডিউটি করে ক্লান্ত থাকে, এই রকমের ৫-১০ কি:মি সোজা চালালে, রাস্তার সাদা চলমান দাগ গুলি চালকের এক রকমের হিপনোটিক স্টেজে নিয়ে যেতে পারে।

অলৌকিক কিছু না ;)

https://www.anapolweiss.com/what-is-highway-hypnosis/



What Is Highway Hypnosis?
POSTED BY ANAPOL WEISS ON THIS APRIL 3, 2019 AT 2:07 PM
Highway hypnosis, or white line fever, can occur when a driver has been driving for too long. Staring at the lines in the road can produce a hypnotic effect. A driver experiencing highway hypnosis may be able to operate and control the vehicle in a normal, safe manner – yet he or she will have no recollection of doing so later. Driving on autopilot is a form of highway hypnosis. Allowing highway hypnosis to take over could result in serious or fatal car accidents in Philadelphia.

Why Does Highway Hypnosis Happen?
Highway hypnosis is similar to drowsy driving or falling asleep behind the wheel. The parts of the brain are not communicating with one another as quickly or as frequently as someone who is fully awake or conscious. This reduces driver reaction time and can increase the risk of collisions. You may have experienced highway hypnosis on a long road trip, if you snap out of a trance and suddenly realize you cannot entirely remember the last few miles – or few hours – driven.

Drowsiness and highway hypnosis can go hand in hand. A University of Michigan kinesiology professor, Sean Meehan, states that sleepiness changes the state of the brain. He says information cannot get to the centers of the brain that consciously process it when tired. Instead, the brain will unconsciously process it – often without the individual’s realization. This is what happens during highway hypnosis. The individual can continue to drive the vehicle without his or her conscious mind’s recognition.

Driving tired can increase your risk of highway hypnosis. The type of road you are on can also contribute. If you are taking a long road trip on a straight road without a lot of stops or turns, it can lull your brain into a semi-conscious state. A road with frequent stops or changes in scenery, however, can keep your brain alert and prevent falling into a hypnotic mental state. Roads you drive often, such as on a commute to work, are also more likely to lead to highway hypnosis.

How to Prevent Highway Hypnosis
Highway hypnosis is a dangerous phenomenon – just as dangerous as drunk driving in many situations. Highway hypnosis can make it impossible for a driver to react within a reasonable amount of time to changing roadway conditions. A red light, a merging vehicle, or a pedestrian crossing the street may create a hazard that a semi-conscious driver cannot quickly avoid. Slowed reaction times can lead to collisions the driver otherwise would have been able to prevent.

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি আগের মন্তব্য উত্তর লিখতে লিখতে আপনি মন্তব্য করেছেন। জ্বী রাস্তা সোজা, কোথাও কোনো বাঁক নেই। আমার দেখা বিপদজনক বাঁক রাস্তা গুলোর চেয়ে সোজা রাস্তা বেশী দুর্ঘটনা কবলিত। আপনার ব্যাখ্যা সঠিক।

হাসপাতালে তুলে আনা দুর্ঘটনা কবলিত মৃত্যু মাাঝে মাঝে ঝামেলা তৈরি করে, এগুলো যতোটা গুজব তার কিছু সত্যিও।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নতুন ভাই,
আশুগঞ্জ ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিশ্বরোড সড়ক আমার খুবই প্রিয় একটি পথ। এখানে আমার জীবনের অনেক আনন্দ স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই পথে চলতে দুর দুরের বাড়ি ঘরের দিকে তাকিয়ে থাকি এগুলো আমার পরিচিত বাড়ি, আমাদের নিজেদের বাড়িও এই সড়ক থেকে দেখা যায়। এই সড়ক আমাদের চোখের সামনে নির্মাণ হয়েছে।

১৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৩

নতুন বলেছেন: বত`মানে টানেল তৌরিতেও বাক রাখা হয় দূঘটনা এড়াতে....

http://news.bbc.co.uk/2/hi/europe/1945581.stm

If the spacing between the tunnel lights matches the resting rhythm of the heart it can induce a hypnotic effect," said Mr Jenssen, who said one of the volunteers actually fell asleep while on a particularly monotonous simulator.


If the spacing between the tunnel lights matches the resting rhythm of the heart it can induce a hypnotic effect,

Gunnar Jenssen, behavioural scientist
Mr Jenssen suggested a number of ideas and conducted tests and computer simulations on volunteers to find out which worked best.

As a result Laerdal was built in four sections with three caverns or "mountain halls" in between.

"Because it was in sections, people did not feel that it was so long," said Mr Lotsberg.

Each cavern has also been built with special lighting - yellow at the bottom and blue at the top - which is designed to simulate the sunrise.

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




টানেলে বাঁক রাখার অন্যতম কারণ দুর্ঘটনা হ্রাস করা। এটি সড়ক বান্ধব, বাস্তব ও বিজ্ঞান সম্মত কাজ। দেশের বাইরে গাড়ি চালিয়ে আরাম পাওয়ার অন্যতম কারণ এগুলো।

১৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি ভাবছি, কোন "ম্যাসেজ" কি??!!
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোনে??

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চা এর সাথে সবচেয়ে বেষ্ট বিস্কুটের নাম কি জানেন? টোস্ট। গত ১০০ বছরে চায়ের সাথে এর চেয়ে ভালো কোনো বিস্কুট পৃথিবী আবিস্কার করতে পারেনি।

১৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার ভাবনায় কিন্তু "চায়ের সাথে মুড়িও আছে

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চায়ের সাথে মুড়ি হচ্ছে ১৯৭১, ১৯৭৪, ১৯৮৮, ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০৪ এর বন্যায় কবলিত ঘরে বন্দি থেকে সবচেয়ে ভালো খাবারের নাম। রাজনৈতিক লেখা আর লিখবোনা, আমি কখনো মেম্বার চেয়ারম্যান সাংসদ নির্বাচন করবো না তাহলে কেনো রাজনীতি নিয়ে চিন্তা? অযথা বিষয়।

১৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিন্তু রাজনীতি যে, সামাজিকতা তথা সাধারন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে মিশে আছে।। পারবেন আলাদা করতে??
সাধারনের কথা ভাবতে হলেই, রাজনীতি আসবে।। কানের সাথে মাথার মত

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার বেহেস্তবাসী নানাজান একটি কথা বলতেন। চোখ দিয়ে ততোটুকু দেখো যতোটুকু তোমার জীবনের জন্য প্রয়োজন, কান দিয়ে ততোটুকু শুনো যতোটুকো তোমার জীবনে প্রয়োজন এর বাইরে কান নাই চোখও নাই। প্রয়োজনের বাইরে চোখ কান মাথা নিলেই অপচয়। এই কথা হয়তো ব্লগের বিদ্যানরা ভুল ধরবেন। কিন্তু বাস্তবত এই কথা ভুল ধরার প্রিন্সিপাল আমি আমার জীবনে পাইনি।


২০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ,




পোস্টটি আমাকে উৎসর্গ করাতে কৃতজ্ঞ কিন্তু একটু খটকা রয়ে গেলো উৎসর্গের যৌক্তিকতা নিয়ে। যদিও বলেছেন, জীবনের সাত রং আমার দেখা। কিন্তু সব রংয়ের সঠিক ব্যাখ্যাই কি আমার কাছে আছে? নাকি আমি জানি ?

জীবনের রং বেশ খুঁটিয়ে আমি দেখি বটে তবে দেখেই তাকে নিশ্চিত বলে ধরে নেইনে। ঐ জীবনের রংটি কেন লাল লাল, এটি কেন হলদেটে দেখাচ্ছে এসবের যৌক্তিক ব্যাখ্যা তলিয়ে দেখতেও চেষ্টা করি। তবে আপনার বর্ণিত ঘটনাটির নিশ্চয়ই একটা না একটা ব্যাখ্যা আছেই, থাকতেই হবে; হোক তা ফিজিক্যাল বা সাইকোলোজিক্যাল।

আপনার লেখার ঘটনাটি সম্পর্কে আমি সহব্লগার “নতুন” এর সব ক’টি মন্তব্যের সাথে যাচ্ছি।

এটা আলোছায়ার খেলা হতে পারে। অথবা হতে পারে ছাদের ঐ অংশটিতে কোনও আঁকাবাঁকা রেখা ( ছাদ ঘেমে গেলে এরকম দাগ সৃষ্টি খুব সাধারণ ঘটনা) কিছু যা অনেক কিছুর রূপ মনে হতে পারে। যেমন আকাশে মেঘের আকৃতির ভিতরে হঠাৎ আপনি কারো মুখ খুঁজে পেতে পারেন, আবার সেটাকে কয়েকবার দেখার পরে মনে হতে পারে - আরে এটা তো মানুষের মুখ নয়, বাঁদরের মুখ মনে হচ্ছে! এখন আপনার চোখ বার কয়েক মেঘের এখান সেখান থেকে ঘুরিয়ে এনে আবার ঐ জায়গাটিতে রাখুন, দেখবেন মানুষ বা বাঁদরের মুখ নয় এখন অন্য কিছু মনে হচ্ছে। এমনি অনেক কিছু হতে পারে। চোখের ফোকাসিং ও একটি ব্যাপার এখানে।
আমার বাথরুমের ছাদে ঐ রকম ঘেমে ওঠা থেকে এবং পানির দাগ শুকিয়ে ( ঘেমেছে, প্রায়ই গরম পানি ব্যবহারের কারনে ) অনেক রকমের প্যাটার্ণ তৈরী হয়েছে। একেক দিন ঐগুলোর দিকে চেয়ে একেকটা আকৃতি চিন্তা করি আর সেটাই দেখতে পাই। কারন আমি একটা রেজাল্ট পেতে উসখুস বলেই আমার মস্তিষ্ক একটা কিছু বানিয়ে নিচ্ছে।

পথের দূর্ঘটনা সম্পর্কেও আমি “নতুন” এর সাথে সহমত।
সোজা রাস্তায় একই গতিতে চললে চালকের অবসাদ এসে যেতে পারে,তান্দাচ্ছন্নের মতন হয়ে যেতে পারে। এটা অনেক সাধারণ ঘটনা।
নিজের কথা দিয়েই বলি, আমি লিবিয়াতে ছিলুম। গাড়ীতে মাঝে মাঝে ৩/৪ শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে পরিচিতদের বাড়ীতে গিয়েছি। মরুভুমির ভেতর দিয়ে রাস্তা নাক বরাবর সোজা। রাস্তায় ট্রাফিক থাকেনা ( কম জন সংখ্যার কারনে) বললেই চলে। এখানে সেখানে হাট বাজারও নেই। এমন ফাঁকা রাস্তায় মনের আনন্দে হু হু করে চালাতে চালাতে চোখ বন্ধ হয়ে আসতো, একটা ঘোর লাগতো। নতুন যেটাকে বলেছেন, হিপনোসিস। তখন আবার গা ঝাঁড়া দিয়ে চোখ কয়েকবার পিটপিট করে সামলে নিতে হতো। ঐ রকম পথ পাড়ি দিতে তাই বউ আর পিচ্চি পিচ্চি ছেলে মেয়েদের সাথে একটার পর একটা গান গাইতে গাইতে চলতুম। শুধু এক্সিডেন্ট না করে বসি এই সতর্কতা থেকে। এটা একটানা লং ড্রাইভের একটা খারাপ দিক। তাই লং ড্রাইভে গেলে কিছুক্ষন পরপর বিশ্রাম নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
একটা প্রাকটিক্যাল ঘটনা বলি। দেশে এসেছি ছুটিতে। ফেরার পথে দিল্লিতে থেমেছি সাত দিনের জন্যে। সেখান থেকে লিবিয়ার ত্রিপোলী। হঠাৎ শুনি আমেরিকার সাথে ঝামেলা বাঁধাতে লিবিয়ার আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যাই হোক কায়রো বিমান বন্দর লিবিয়ার কাছে। এয়ার ইন্ডিয়ায় যোগাযোগ করে অনেক দেন-দরবার করে, পরিস্থিতি বুঝিয়ে
কিছু ভর্তুকি দিয়ে টিকিট পাল্টে কায়রোর পথ ধরলুম। সন্ধ্যে হয়ে গেছে কায়রো বিমান বন্দের থেকে বেরুতে বেরুতে। ভাগ্যগুনে লিবিয়ার বেনগাজী শহরের এক ট্যাক্সিওয়ালা পাওয়া গেল। বললুম, সরাসরি লিবিয়ার বর্ডারে যেতে কোথাও না থেমে। ড্রাইভার বললো তা সম্ভব না। বর্ডার ১২০০ (সম্ভবত) কিলোমিটার পথ। সেখান থেকে বেনগাজী আরও ৩০০ কিঃ মিঃ । থামতেই হবে । বললুম পথে কি আলেকজান্দ্রিয়া পড়বে ? পড়বে, ওখান থেকেই লিবিয়া যাওয়ার রাস্তা। তবে সেখানেই যাওয়া হোক একটানা। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে আবার পথে নামা যাবে। তাইই করতে হোল। যদিও পথে একঘন্টা দেড়ঘন্টা পরে পরে পাঁচ সাত মিনিটের জন্যে ড্রাইভার সাহেব খানিকটা হাত পা ছাড়িয়ে নিলেন । আমার বেশ তাড়া। একদিন পরেই আমার এন্ট্রি ভিসা শেষ হয়ে যাবে। ভরসা লিবিয়ার পরিস্থিতি - ইমার্জেন্সি। আলেকজান্দ্রিয়ায় রাতের খাওয়া সেরে বিশ্রাম নিয়ে আবার পথ। যাই হোক ভোর রাতে লিবিয়ার বর্ডারে পৌঁছানো গেলো। অসুবিধা হলোনা। বরঞ্চ ডাক্তার বলে সুবিধেই পাওয়া গেলো। লিবিয়ার ভেতরে এসে সবাই গাড়ীতেই ঘন্টা খানেক ঘুমিয়ে নিলো । আমার ঘুম নেই, হচ্ছেনা আর কি! এতোক্ষন অজানা সুনসান পথে এসেছি। যে স্পীডে গাড়ী চলেছে তাতে ভয় ধরে যাচ্ছিলো। কথা বলে বলে ড্রাইভার সাহেবকে চাঙা রাখতে হয়েছে সারা পথ। এখন সবাই একটা ঘুম দিয়ে বেশ তরতাজা। সকালের রোদে আবার বর্ডার থেকে বেনগাজীর পথে। আমি সারারাত কথা বলতে বলতে ক্লান্ত। চোখ বুজে বুজে থাকছি। কথা বলছিনে। শুধু একটু পর পর চোখ খুলে দেখছি ড্রাইভারের কি অবস্থা। ভালোই মনে হলো, সামনের রাস্তার দিকে চেয়ে আছে একটানা। হঠাৎ দেখি সামনে বিশালকায় এক ট্রেলার, ষোল চাকার। আমাদের গাড়ী ১২০ কিঃ মিঃ বেগে একই কোর্সে চলছে ট্রেলারের পিছু পিছু। আমি ড্রাইভারকে দেখছি আর ট্রেলারের দূরত্ব দেখছি। চোখ সম্পূর্ণ খোলা ড্রাইভার সাহেবের।
ভাবছি ড্রাইভার সাহেব হয়তো ট্রেলারটিকে ওভারটেক করতে চাচ্ছে। কিন্তু আমাদের গাড়ীতো মনে হচ্ছে ঢুকে যাবে ট্রেলারের নীচে। তখন ট্রেলারের পিছন থেকে আমাদের দূরত্ব ক্রমেই কমে আসছে। এভাবে চললে মিনিট খানেকেরও কম সময়ের ভেতরেই আমরা ট্রেলারের নীচে ঢুকে যাবো নির্ঘাৎ। কিন্তু ড্রাইভার সাহেব তো সজাগ। তবে? হঠাৎ মনে হলো, আরে......... ড্রাইভার সাহেবের চোখ খোলা বটে কিন্তু কিছুই দেখছেনা সে। সন্মোহিত হয়ে আছে সামনের রাস্তার দিকে চেয়ে। ড্রাইভারকে ধাক্কা দিলুম না, চীৎকার করে উঠলুম - হাইয়া হাজ্ব, ওয়াল্লাহে শিনু ফি ? (ওহে, আল্লাহর দোহাই করছোটা কি ?) চীৎকারে সম্বিৎ ফিরলো ড্রাইভারের, একটা ট্রেঞ্চ থেকে উঠে এলো মনে হয়। ব্রেকে পা রাখলো, ষ্টিয়ারিং ঘুরালো বায়ে ( রাস্তায় ডান দিক দিয়ে চলার দেশ)।
পরে ট্রেলারটি কাটিয়ে পথের পাশে থামাতে বললুম।
এটা হলো একনাগাঢ়ে কোথাও মনোযোগ স্থির রাখলে একটা সন্মোহিত ভাব চলে আসা এবং একই সাথে দৃষ্টির অসামঞ্জস্য হওয়ার ঘটনা। ভালো উদাহরন হলো, আপনি চোখের সামনে ধরে রাখা একটি পেন্সিলের শীষের ডগায় দু’টি চোখের দৃষ্টি মেলে চেয়ে থাকুন কিছুক্ষন। আপনার দৃষ্টি বিভ্রম ঘটবেই কিছুটা না কিছুটা।

তবে আপনার অভিজ্ঞতা লব্ধ ঘটনাটিতে কোনটি যে ঘটেছে তা বিশ্লেষণের দাবী রাখে। সাইকোলোজিক্যালি প্রায় প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু বিভ্রান্তি থাকেই, চেতনে বা অবচেতনে। জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় ধরেই মানুষের এটা ঘটে থাকে কিছু না কিছু সময় ধরে। প্রায় ৪৮% মানুষের ভেতরেই জীবনের কোন না কোন সময়ে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে আর তা প্রকাশিত হতে পারে বিভিন্ন ফর্মে বা উপায়ে। যে কারনে আমরা অনেকটা দার্শনিকতার সাথে বলে থাকি, মানুষ মাত্রেই পাগল!

আপনি আমার এই লিংক ঠিক দুক্কুর বেলা ভুতে মারে ঢিল.... এর লেখাটি দেখেছেন। ওখানে শেষ মন্তব্য আপনারই। আপনার অভিজ্ঞতা লব্ধ ঘটনাটি হয়তো এখান থেকে ব্যাখ্যাত হতে পারে।

পাশাপাশি আপনার মতোই বলি - খোলা চোখে যা আমরা দেখে থাকি তা সব সময় সত্যি না ও হতে পারে। কারন হলো, পর্যবেক্ষকের স্থানিক অবস্থান - তার মানসিক অবস্থা - দেখা জিনিষ বিশ্লেষণ করার মতো জ্ঞানের অভাব -দৃশ্য ঘটনা বা বস্তু সম্পর্কে কোনও ধরনের পূর্ব ধারনা না থাকা ইত্যাদি অনেক কিছু।
একটি উদাহরণ দেই - কামাল একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে দেখলো একটি কিশোরকে গালে চড় মারছে। কামাল ভাবতেই পারে, লোকটা কি পাষন্ড- একটি বাচ্চা ছেলেকে মারছে। সে মনে মনে লোকটিকে ধিক্কার দেবে। কিন্তু কামাল জানেনা, ঐ কিশোরটি ঐ লোকটিরই ছেলে এবং লোকটি দেখেছে যে কিশোরটি সিগারেট টানছিলো দলেবলে। তাকে দেখেই সিগারেট ফেলে নিরীহ সেজেছে। তার বন্ধুরা ইতিমধ্যেই পগারপার। কামাল হয়তো ভালোমন্দ দু’কথা শুনিয়েও দিলো লোকটিকে। লোকটিও কামালের এমন আচরনে কামালকে বেয়াদপ ভেবেই বসলো। কামাল চোখে দেখে ভাবছে, লোকটি বাচ্চাদের প্রতি নির্দয়। আবার লোকটি ভাবছে, কামালের মতো এসব বেয়াদপ ছেলেপিলেতেই দেশটা ভরে গেছে। তৃতীয় এক ব্যক্তির চোখে ঘটনার ব্যাখ্যা আবার অন্যরকম হবে।

যাকগে, আপনার মনপূতঃ জবাব হোল কিনা কিম্বা উৎসর্গের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো গেলো কিনা জানিনে তবে সীমিত জ্ঞানে অমন সব অলৌকিক ঘটনার পেছনের কার্যকরণ সম্পর্কে যেটুকু বুঝি তা বলেছি। তবে পৃথিবীতে আপাতঃ অব্যাখ্যাত অনেক ঘটনাই ঘটে যার সঠিক ব্যাখ্যা সময়ে পাওয়া যায়-ই। কারন কোনও ঘটনাই কোনও কার্যকরণ ছাড়া ঘটেনা।

শুভেচ্ছান্তে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই,
আমি গল্পের মূল গল্পেই লিখে দিয়েছি: উপসংহার: আমরা সাধরণত খোলা চোখে যা দেখি, তা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে। যা আর কারো নজরে পড়ুক আর পড়ুক আপনার নজরে পরেছে এবং আপনি তা উল্লেখ করেছেন। - ধন্যবাদ। উৎসর্গের যৌক্তিকতা age & mileage. আমি বিস্বাস করি আপনি আমি ক্ষেত্র বিশেষে age নয় mileage ও পাড়ি দিয়েছি, সময় আমাদের এমন কিছু দেখায় যা একমাত্র সময়ের পক্ষেই সম্ভব, একটি প্রচলিত প্রবচন আছে Age does not matter if the matter does not age. আমি মনে করি এই প্রবচন তাদের কাছেই গ্রহণযোগ্য যাদের জীবন অভিজ্ঞতা কম। আপনার জীবন অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে আপনার মোটামোটি পাঁচ সাতটি পোষ্ট পরলেই জানা সম্ভব। একজন মানুষ কতোটা রঙ যাচাই বাছাই করবেন সময় ব্যয় করবেন - তা সম্পূর্ণ তার সময় ও পারিপার্শিক অবস্থা ও ব্যস্ততাকে পাশ কাটাবেন কিনা এবং তা জীবনের প্রয়োজনে কতোটুকু জরুরী - সব দাবী রাখে। কিন্তু জীবনের রঙ গুলো দেখতে পারা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। এই রঙ দেখার জন্য যা প্রয়োজন তা সবার থাকেও না। - আপনার আমার কাছে হয়তো ব্যাখা নেই তবে দেখতে পারাটা কম কিছু না।

ভৌতিক ব্যাপারগুলোর সাথে অনেকে দেওয়ানবাগ জড়িয়ে ফেলেন যেমন ব্লগার নতুন ভাই। আমার জানামতে ভৌতিক বা ভয়ের কিছু দেওয়ানবাগে নেই। ভদ্রলোক একজন সাধারণ মানুষ যে পীর পেশা বেছে নিয়ে লোকজনকে প্রতারণা করে নিজের ব্যপ্তি করছেন তাছাড়া লোকজন তার কাছে প্রতারিত হতে পছন্দ করেন। যাইহোক ঢাকায় অনেক বাড়ি আছে যে সব বাড়ির ছাদে কখনো কোন কাকও বসে না (এখন ঢাকায় পাখি নেই বলা চলে, আমি ত্রিশ - চল্লিশ বছর আগের কথা বলছি) সেই সব বাড়িতে কোনো পীর মুরিদ থাকেন না, এই বাড়িগুলো নিয়ে কিছু ব্যাখ্যা আছে তবে তা ঠিক যথেষ্ট নয়। ঢাকায় অনেক মার্কেট ভবন আছে যা বন্ধ হবার যোগার - এর পেছনেও তেমন ব্যাখ্যা নেই, এই ধরনের মার্কেট আমি বিশ্বের নানান দেশে দেখেছি।

আপনাকে একটি মজার তথ্য দিতে পারি, সম্ভবত আপনার জানা। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে পুরোনো কোনো জেল ভেঙ্গে সেখানে রিবিল্ট করে নতুন মার্কেট শপিং সেন্টার বা অন্য যে কোনো ভবন করা সম্ভব হয়নি। সেই জায়গা যতোই দামী জায়গা হোক পরিত্যাক্ত ঘোষণা হয়েছে বিনা নোটিশে। পুরোনো কোনো জেল/কারাগারের জায়গা স্থানান্তর করে সেখানে নতুন ভবন করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া বিশ্বে প্রথম শ্রেনীর কন্সট্রাকশন প্রতিষ্ঠানগুলো এসব কাজে হাত দেন না - অতীতে এসব কাজে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন প্রচুর।

*** না। ছাদ বা ছাদে জল পরে বা রঙ নষ্ট হয়ে বা আলো আধারীতে কিছু ঘটেনি। আহমেদ জী এস ভাই, হাসপাতালগুলোতে এই ধরনের ঘটনা বিরল নয়। আমি গল্পে রঙ মাখাতে পারতাম কারণ কলম আমার হাতে! লিখতে পারতাম আমি কি ভেহিকল নিয়ে হাসপাতালে যাই, সেখানে এসি কেবিনে থাকি - কিন্তু সত্যি ঘটনা যেই ভেহিকল নিয়েই যাই সেখানে জেনারেল ওয়ার্ডে ছিলাম আর ঘটনার সূত্রপাত জেনারেল ওয়ার্ডে। আমার অসুস্থ আত্মীয় মারা যান, সেখানে আরো অনেক কিছু ঘটেছে। যার ব্যাখ্যা নেই। ব্যাখ্যা খুঁজতে যাইনি তাতে ঝামেলা বাড়বে।

আমি মিশর লিবিয়া গিয়েছি, মধ্যপ্রাচ্যের সবগুলো দেশ আমার যাওয়া হয়েছে একমাত্র ইসরায়েল ব্যতিত। আমার দেখা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেষ্ট খাবারগুলো আরব দেশে। আপনার মতো আমারো এয়ারপোর্টে এমন ঘটনা ঘটেছে তা সমাধান করতে গিয়ে এয়ারপোর্ট ও এয়ারলাইন্স অফিসে কি কি বলতে হয়েছে তা রিতিমতো ঝগড়া ও আমার জন্য অনুরোধের ঢেঁকি। দুর দুর যাত্রা পথে এক সময়ে গাড়ি চালাতাম এখন সাহস করি না। কারণ আমি যতোই ভালো ড্রাইভ করি জরুরী নয় রাস্তার প্রতিটি চালক ভালো গাড়ি চালাবেন। তাই দীর্ঘদিন আমি ট্রেনে যাতায়াত করছি। আপনি যাত্রাপথের যে বিবরণ দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক, চালকের সাথে রাত জেগে থাকতে হয় তার সাথে কথা বলতে হয়। নয়তো দুর্ঘটনা ঘটতে পাঁচ সেকেন্ড যথেষ্ট।

আহমেদ জী এস ভাই, আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি উৎসর্গের প্রতি সম্মান রেখে আপনি অনেক সময় ব্যয় করে যথেষ্ট মনপূত ব্যাখ্যা দিয়েছেন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

২১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন আধুনিক মানুষ। কুসংস্কার বা অলৌকিকতায় বিশ্বাস করা আমাকে মানায় না।
আমি বিশ্বাস করি সব কিছুর পেছনে কারন আছে। সেই কারনটা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করি।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




একজন সু নাগরিক কখনো সমাজ ও দেশের ক্ষতি করেন না। আপনি অবস্যই একজন সু নাগরিক। সব কারণ খুজে বার করলে রহস্য ও আনন্দ থাকে না। কিছু আনন্দ থাকুক রহস্যে নাকি বলেন?

২২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন: এটা যদি একটা গল্পের প্লট হতো , তাহলে বিষয়টা এমন হতে পারতো যে ঠামা আর ওই ভদ্রমহিলা একযোগ হয়ে অসুস্থ ভদ্রলোকটাকে ভয় দেখিয়ে মেরে ফেলেছে । ক্রাইম স্টোরি !! মজা করলাম :)

আই ট্রাস্ট ইউ । অনেক কিছুই লাইফে ঘটে যেটার কোন ব্যাখ্যা নেই বা থাকলেও হয়তো আমরা জানিনা । থ্যাংকস গড এরকম কিছু দেখিনি । কিন্তু ছোট ছোট অনেক ঘটনায় অনেক সময় ভয় পেয়েছি । যেগুলোর কোন কারণ জানিনা ।

আচ্ছা ভয় কি আপনার লেখা বই ?

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হত্যা আত্মহত্যা, স্বাভাবিক মৃত্যু অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে কর্মজীবনে প্রচুর কাজ করেছি। হত্যার জন্য যে ধরণের মোটিভ প্রয়োজন পরে তা এই গল্পে খুবই দুর্বল।

লাইফে অনেক কিছুই ঘটে সেই ঘটনা দেখার জন্য লাইফ ট্রাভেল করতে হয়। উদাহরণ: আপনি সব সময় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ( ট্রাম, বাস, ট্রেন) ব্যবহার করেন, আপনার পক্ষে কোনো দিন জানা সম্ভব নয় দুর পাল্লার কার ড্রাইভে কি কি ধরণের সমস্যা ও বিপদ ঘাপটি দিয়ে বসে আছে শুধু আপনার অপেক্ষায়। কারণ সেই পথে আপনার কখনো যাওয়াই হয়নি। সামান্য পথ - ঢাকা উত্তরা হতে মিরপুর আশুলিয়া বাইপাস সড়ক দিন দুপুরে কতোটা ভয়ঙ্কর তা একমাত্র ভুক্তভোগী জানেন।

ভয় নামে ব্লগের জন্য গল্প লিখছি, এটি কোনো প্রিন্টেড বই নয়, গুল্পগুচ্ছ মাত্র। যার ছোটগল্পগুলো আমি পোষ্ট করবো নিয়মিতভাবে এবং আপনারা ব্লগে নিয়মিত পড়তে পারবেন। আগামীতে তেমনি একটি ভয়ের গল্প পাবেন মালয়েশিয়ান এয়ারে অষ্ট্রেলিয়া যাত্রা। আশা করি সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।


২৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্যতিক্রমী পোস্ট। জ্বীন হতে পারে বদজ্বীন। দৃষ্টি ভ্রম হতে পারে। আমি হলে লাঠি হাতের কাছে পেলে মারতাম বারি ঠাস। মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা তবু আবার হাসপাতালে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সেলিম আনোয়ার ভাই,
হতে পারে দৃষ্টি ভ্রম, অথবা বেশ ক্লান্ত ছিলাম। তবে হাসপাতালের ষ্টিল বেডের সেলাইন রডটি জ্বীন ভূত মারার জন্য একটি উত্তম হাতিয়ার। এছাড়া প্রতিটি রোগীর পাশের সাইড টেবিলে থাকে একটি করে হালকা চাঁকু (ফরমালিন যুক্ত ফল কেটে খাওয়ার জন্য) এছাড়া অসংখ্য হরলিক্স, দুধের পট ও পানীয় পানির বোতল! - ঢিল ছুড়ে মারার জন্য মন্দ নয়।

হাসপাতালে রোগী আত্মীয় ও ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করেন জ্বীন ভূতের জন্য নয়।
ভূতদের সম্ভবত সেন্স অব হিউমার কম হয়।



২৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমিও মাঝেমধ্যে এটাসেটা দেখি। লোকে বলে এগুলো নাকি মতিভ্রম।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মতিভ্রম আর দৃষ্টিভ্রম কি এক? আপনি ঘটনা ব্লগে লিখতে পারেন। আর কেউ পড়ুক আর না পড়ুক আমি অবস্যই পড়বো।

২৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

মিরোরডডল বলেছেন: ক্রাইম স্টোরি , ওটা তো ফান করেছি ।

যে কোন অভিজ্ঞতাই যার হয় সেই বোঝে । অন্যরা অনুমান করতে পারে মাত্র ।
বই প্রিন্ট না করেও প্রচ্ছদের আইডিয়াটা দারুন । হাতপাখা টা প্রকাশনী :)
আবারও ভয়ের গল্প :(

তিন নম্বর মন্তব্যে আপনার প্রতিউত্তর পড়ে অনেকক্ষণ হাসলাম । কথাটা কিন্তু খুবই সত্যি :)
আপনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ? ওখানে একটা দারুন মিষ্টি আছে । কুমিল্লাতেও পাওয়া যায় । নামটা আসলে কি? ছানামুখী ?

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোন আমাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া। এই মিষ্টির নাম ছানামুখি। ছানামুখির জন্য বিখ্যাত মিষ্টির দোকান ব্রাক্ষবাড়িয়ায় “ভগবতী, কালভৈরব ও ভোলাগিরি। তবে সবচেয়ে ভালো ভোলাগিরি’র ছানামুখি, বর্তমান মূল্য ৪৫০ টাকা কিলোগ্রাম। ব্রাক্ষণবাড়িয়া রেল ষ্টেশন থেকে যেতে হবে শহরের প্রধান বাজার - সড়ক বাজার। সিএনজি করে ১০০ টাকা রিজার্ভ ভাড়া, আর রিক্সা করে ৫০ টাকা ভাড়া। ব্রাক্ষণবাড়িয়া বড় মিষ্টির দোকানগুলো সব সড়ক বাজার এলাকাতে। এছাড়া ব্রাক্ষণবাড়িয়া আরেকটি মিষ্টি আছে যা পাকা তালের রস+ময়দা+ ছানা+চিনি+ ঘি দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে।


২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্প হলেই ভাল। এমন ঘটনা বাস্তবে ঘটলে সহ্য করা মুসকিল।

ভাল থাকুন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গল্প হলেই ভালো হতো কিন্তু ঘটনা সত্যি।
আপনি ঘটনা বোঝার মতো বিবেচনা রাখেন সে জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।

২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: কবে না কবে হুট করে মরে যাবো তার আগে আপনাকে জানিয়ে দেই- আপনি আমার একজন প্রিয় ব্লগার।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রাজীব নুর ভাই,
আপনাকে একটি কথা বলা হয়নি, আপনাকে নিয়ে ঘু্ড্ডি উড়াবো, পাঁচ ফিট বাই পাঁচ ফিট বিশাল বড় ঘুড্ডি। আপনিও আমার খুবই প্রিয় ব্লগার ভাই। মন খারাপ করার মতো কথা বলেন কেনো? আপনি মারা গেলে ব্লগে আজকের ডায়েরী কে লিখবে? ব্লগে আরেকজন রাজীব নুর তৈরি করে দিয়ে তারপরে যান। আপনার হাতে এখানো ৯০ বছর আর আমার হাতে ৭০ বছর সময় আছে। - কি বুঝলেন।

২৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৭

অন্তরন্তর বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই পৃথিবীতে অনেক অতিপ্রাকৃত অনেক ঘটনা ঘটে যা মানুষের জানার বাইরে। বিজ্ঞান দিয়ে এর সমাধান পাওয়া যাবে না। আমি মনে করি হাতেগুনা দু একজন তার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে।
আপনি মন্তব্বে যে রাস্তাটার কথা বললেন তা আমার আপনার খুব চেনা রাস্তা। ট্রেন ছাড়া এ পথেই আমাদের যেতে হয়। ওখানে আমার অনেক স্মৃতি আছে। আমার আহমেদ জি এস ভাইয়ের মন্তব্য বেশ লেগেছে।
অফ টপিক- পৃথিবীতে মৃত্যুর মিছিল দেখতে দেখতে ক্লান্ত এবং খুব শঙ্কিত আছি। ৩০ বছর ইংল্যান্ড আছি কিন্তু তাদের স্বাস্থ্য সেবার এমন করুণ অবস্থা দেখিনি। পৃথিবীতে হাতে গোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসেবা খুব ভাল কিন্তু তারপরও তাদের করুণ অবস্থা দেখে কষ্ট পাচ্ছি। অবশ্যই তাদের এটা নিয়ে সিরিয়াস হউয়া আগেই দরকার ছিল এবং প্রয়োজনীয় সব বেবস্থা নেয়া দরকার ছিল অনেক আগে থেকেই। জানিনা এটা কতদিন চলবে এবং মানুষ অসহায়ভাবে মারা যাবে। আল্লাহ্‌ পৃথিবীর সকল মানবজাতিকে হেফাজত করুন। দোয়া করবেন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অন্তরন্তর ভাই,
পৃথিবী বিজ্ঞান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না। বিজ্ঞানের আলো যেখানে শেষ সেখান থেকে শুরু হয়েছে অজানা ভয় কুসংস্কার সহ আতঙ্ক। বিজ্ঞান আর লজিকের বাইরে আরো অনেক কিছু আছে। ৩০ বছরে যা দেখেন নি আজ তা দেখছেন। এটি অফ টপিক না সমসাময়িক কঠিন বাস্তবতা। জুম্মা জুম্মা দুই দিনের তথাকথিত জ্ঞানী লোক সব কিছুতে বিজ্ঞান আর লজিক খোজেন। আমি আমার জীবনে এমনো কাজ দেখেছি যেখানে আধুনিক বিজ্ঞান ফেইল। আজ করোনার কথা ধরুন: - পৃথিবীর তাবত বিজ্ঞান এখানে ফেইল কারণ করোনা ভাইরাস এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানের বাইরে। বিজ্ঞান সমাধান করার আগে করোনা ভাইরাস থেমে যাবে। কারণ করোনা বিজ্ঞান না সে অন্য কিছু।

বৃটেনের স্বাস্থ্য সেবার মান আমি জানি। আপনি নিজেও জানেন এতো উন্নত স্বাস্থ্য সেবার দেশ হওয়ার পরও অনেক রোগ অসুখে বৃটেন, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা ফেইল। মানুষ চাইলেই সব কিছু করতে পারে না। সৃষ্টির খুবই নগন্য একটি সৃষ্টি মানুষ। আমার ব্যক্তিগত ধারণা (আল্লাহ মাফ করুন) সৃষ্টিকর্তা এই সৃষ্টির উপর এখন বিরক্ত।

আমাদের সময়ে এতো এতো ওয়াজ নসিহত ছিলো না তখন আমরা ভালো ছিলাম। আমাদের সময়ে এতো এতো মহাজ্ঞানী ব্লগার ফেসবুকার নাস্তিক ফাস্তিক ছিলো না তখন ভালো ছিলাম। পৃথিবীতে লক্ষ কোটি টপিক থাকতে পৃথিবীর একদল মূর্খ্য সৃষ্টি নিয়ে প্রশ্ন করে নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণ করতে চায়? অন্তরন্তর ভাই, আমার কাছে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খ্রিষ্টান নিয়ে কোনো মতভেদ নেই। মতভেদ আছে নাস্তিক মুক্তমনা নিয়ে - এরা সমাজের নর্দমা।

এবার আর সম্ভব হয়নি আল্লাহপাক তৌফিক দিলে ২০২১ এ ওমরাহ করতে যাবো, আমি অবস্যই আগে থেকে আপনাকে জানাবো সম্ভব হলে দুই ভাই একসাথে ওমরাহ করবো। আল্লাহর কাছে পানাহ চাই আল্লাহ আমাকে আপনাকে সহ পৃথিবীর সকলকে নিরাপদে রাখুন।

২৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২২

অন্তরন্তর বলেছেন: আসলেই পৃথিবী বিজ্ঞান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় বরং বিজ্ঞান পৃথিবী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এত জ্ঞানী গুণী যখন ছিল না তখন আমরা ভাল ছিলাম, খুব ভাল ছিলাম। এখন সবকিছুতে ভেজাল সাথে প্রায় মানুষও ভেজাল। এই কঠিন সময়ে সকলে সকলের জন্য প্রার্থনা করি ঠাকুর ভাই। করোনা বুঝিয়ে দিল কত অসহায় মানুষ। ভাল থাকুন এবং প্রার্থনায় আমাদের রাখুন। শুভ কামনা।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হেভি কন্সট্রাকশনগুলোতে কাজ হয় জ্ঞান বিজ্ঞানে এটি আমরা সবাই জানি। কিন্তু পশু কেটে রক্ত দেওয়া কোনখানের বিজ্ঞান। জ্ঞান বিজ্ঞানের লোকজন নিয়মিত কুফরী করছে পশু কাটা থেকে শুরু করে রক্ত মাখা সহ যতো হাবিজাবি আছে সব করেন - হয়তো এটিও বিজ্ঞানের অংশ (আমার জানা নেই)। হুন্দাই, কেডিসি, ডেলিম, ইএনআই, স্নাম প্রজেট্টি, ম্যাককোনেল ডাওয়েল, সিসিসি এরা ব্লগারদের থেকেও অজ্ঞ! ব্লগার থেকে কতোজন বিজ্ঞানী হয়েছেন? যাইহোক আমার ব্যক্তিগত অভিমত বাংলাদেশের তথাকথিত ব্লগারগণ হচ্ছে প্রতিবন্ধী ষ্টিফেন হকিং।

করোনা ভাইরাসের ভালো দিক হচ্ছে বিশ্বে তাবত বোমা আতঙ্ক বন্ধ হয়েছে। সম্ভবত এটির প্রয়োজন ছিলো। পরম করুণাময় আল্লাহপাক আমাদের সকলকে হেফাজত দান করুন।

৩০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া,সত্যি করে বলেন তো এটা কি গল্প নাকি আপনি আসলেই এরকম দৃশ্য দেখেছেন ?

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোন, কলম আমার হাতে, গল্প হলে আমি ফার্ষ্টক্লাস কোনো সেন্ট্রাল এসি হসপিটালে আামর অসুস্থ রোগী নিয়ে লাক্সারী ডাবল বেড কেবিনে থাকতাম, যেখানে টিভি, মিনিবার, লকার ব্ক্স আছে অবস্যই জেনারেল ওয়ার্ডে না। সারাদিনের কর্ম শেষ করে আওটল্যান্ডার নিয়ে যেতাম অনুল্লেখিত ট্রান্সপোর্টে না। বোন গল্প নয় ঘটনা সত্যি। এই ঘটনা লেখার অন্যতম কারণ ব্লগাররা কতোটুকু জানেন আর কি ধরনের লেখা হজম করতে পারেন তা জানা। এর চেয়ে বড় ধরনের ঘটনা আমার দেখা আছে, যেহেতু আমি পীর মুরিদ উঝা জ্যোতিষ সহ ধর্ম ব্যবসা করি না তাই এসবে আমার আগ্রহ নেই। আমি ঘোর আস্তিক মানুষ।

বোন, বাদ দিন সে সব। আপনি কেমন আছেন। আমি আপনার খোঁজে আপনার পোষ্টে অসংখ্যবার গিয়েছি দেখি আপনার সকল পোষ্ট ড্রাফট করে রেখেছেন। আপনি হয়তো জানেন আমার এক দাদীজানের নাম ছিলো ওমরাহ আমল।

“জগতে এমনও মানুষ আছেন, যাদের দেখলেও পূণ্য হয়”
- আমার বেহেস্তবাসী দাদীজান ওমরাহ আমল

ভালো থাকুন বোন, দাদাভাইকে আমার সালাম দিবেন। (দাদাভাই বলতে দুলামিয়া, আমার দাদাজান নন)


৩১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই আপনি কি যায় যায় দিনের লেখক । প্রিজ জানাবেন । সেই ৯৩ হতে একটা সংখ্যাও পড়া বাদ পড়েনি। শফিক রেহমান এবং যায় যায় দিন স্যালুট , সেখান হতে আমার লেখার হাতেখড়ি।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই নেওয়াজ আলি, জ্বী আমি শফিক রেহমান স্যার থাকাকালীন সময়ে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন এ লিখতাম, আমি সাপ্তাহিক যায়যায়দিন এর সাথে যুক্ত ছিলাম তাই যায়যায়দিন বিশেষ সংখ্যাগুলোর গল্প বাছাই করার মতো অপরাধটিও করতে হতো। আপনি কি সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে লিখেছেন?

৩২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:২১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার লেখা কয়েকবার প্রকাশিত হয়েছে । আমার নাম ফয়জুল মহী। নেওয়াজ আলি সামুতে শুধু। আত্নার শান্তি পেলাম আপনার পরিচয় পেয়ে ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই নেওয়াজ আলি, আমি খুবই আনন্দিত আপনার সাথে পরিচিত হতে পেরে। ব্লগে অবসর সময়ে লিখুন নিজের নানান কথা। ধন্যবাদ।

৩৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার যা হয়েছিল সেটাকে বলে Hallucination. আপনি তখন স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হতে পারে হ্যালোসিনেশন। একসাথে দু-চারজনেরও হ্যালোসিনেশন হতে শুনেছি। অসম্ভব কিছুই না।

৩৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যদি আল্লাহকে বিস্বাস করতে হয় তাহলে জ্বীন বিস্বাস করতে হবে, আর জ্বীন অবিস্বাস করলে আল্লাহকে অবিস্বাস করা হয়। কারণ জ্বীন বিষয়ে সয়ং আল্লাহ বলেছেন। এখন ছাদে ঝুলে থাকা ধুতি মালকোচ মারা হিন্দু ভদ্রলোক জ্বীন নাকি শয়তান তাতো জানা সম্ভব হয়নি কারণ তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ সেকেন্ডের জন্য হয়তো দেখেছি। তারমধ্যে সে তার যা করার করেছে। আমার তো তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব নয় বা এই পথে আমার দৌড়ানো উচিত বলেও মনে করিনি।


জিন জাতি বিপথে চলে যাবার পর তাদের কে ধ্বংস করে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মানব জাতি সৃষ্টি করেছেন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জ্বীন জাতি বিপথে চলে যাবার পর তাদের কে ধ্বংস করে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মানব জাতি সৃষ্টি করেছেন। এতোটুকু লিখে ব্লগে একটি পোস্ট দিতে পারেন। ব্লগারগণ কি মতামত দেন তা জানা যাবে।

৩৫| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: উপসংহারে যা বলেছেন, সেটা এক চরম সত্য কথা! ছোটগল্পের মাধ্যমে এক সত্য প্রবচনকে ভালভাবে বুঝিয়ে গেলেন, সেজন্য ধন্যবাদ।
একজন মানুষের ক্যারেক্টার এসেসমেন্ট করতে এবং সমাজে তার উপযোগিতা নির্ধারণ করতে হলে দুটো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গুণের সন্ধান কর হয়ঃ
১। সামাজিক সম্পর্ক এবং আত্মীয়তার বন্ধন সুরক্ষা করতে সে কতটা তৎপর এবং এ ব্যাপারে আত্মত্যাগী।
২। অসুস্থ পারিবারিক সদস্য কিংবা আত্মীয় স্বজনকে দেখতে সে হাসপাতালে কতটা সময় ব্যয় করে এবং প্রয়োজনে রাত্রিযাপন করে কিনা। এ ব্যাপারে কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে সে প্রস্তুত থাকে।
আপনার এ পোস্ট থেকে জানা তথ্যে আপনি ২ নম্বরটাতে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছেন। ব্লগে আপনার লেখাজোখা পড়ে আপনাকে যতটুকু চিনেছি, তাতে অনুমান করি আপনি ১ নম্বরটাতেও উচ্চ নম্বর অর্জন করবেন।

২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




খায়রুল আহসান ভাই,
অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে দিনরাত থাকা/রাত্রি যাপন করা/রোগীর ডিওটি করা কতোটা কষ্টকর তা একমাত্র ভূক্তভোগী জানেন কেননা যতোটা শারীরিক পরিশ্রম তারচেয়ে শত সহস্রগুন মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরে। কখনো কখনো মানসিক অবসাদে আমার এমনও হয়েছে “মনে হয়েছে হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে থাকি তাতে যদি কিছুটা হলেও শ্রান্তি পাই” আমি বুঝতে পেরেছি আপনি নিজেও প্রচুর আত্মীয় স্বজন রোগীর এ্যাটেনশন দিয়েছেন তাই আমার বিষয়টি সহজে ধরতে পেরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অত্যন্ত চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য মজার একটি তথ্য দেই। আমরা সাধরণত হাসপাতালে যখন রোগী দেখতে যাই আনার অথবা হরলিক্স নিয়ে যাই! আমরা সাধারণ মানুষ কি ধারণা করতে পারি বিশষে করে কিডনি রোগী অথবা হাইপারটেনশন রোগীর জন্য আমরা পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে কতোটা ভয়ঙ্কর বিঁষ নিয়ে যাচ্ছি!

নিরাপদ থাকুন।

৩৬| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: ২০ নং মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য- দুটোই ভাল লেগেছে। একজন যোগ্য এবং প্রাজ্ঞ ব্লগারকে পোস্টটি উৎসর্গ করাতে খুশী হয়েছি।

২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




খায়রুল আহসান ভাই,
কাছাকাছি বয়ষ হওয়ার কারণে আমি “খাইরুল আহসান ভাই আপনাকে আহমেদ জী এস ভাইকে এবং চাঁদগাজী ভাইকে” খুবই পছন্দ করি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

নিরাপদ থাকুন।

৩৭| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:০১

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে থাকা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক । নিজে অসুস্থ হয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রবল ।
চোখের দেখা সবসময় সঠিক হয় না । আমরা চোখে দেখি এক জিনিস কিন্তু বাস্তবে ঘটনা অন্য

২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বিজয় নিশান ৯০ ভাই,
আমি ধারণা করছি আমার ব্লগিং জীবনে এটিই আপনার প্রথম মন্তব্য। আপনাকে স্বাগতম।
আপনি সঠিক বলেছেন। আপনি ১০০ শতাংশ সঠিক বলেছেন রোগী নিয়ে হাসপাতাল হাসপাতাল দৌড়ে রোগীর সাথের মানুষজনদেরও রোগী হতে হয়। কামনা করি পৃথিবীর প্রতটি মানুষ সুস্থ্য থাকুন।

চোখের দেখা সব সময় সঠিক হয় না। নিজের চোখও অনেক সময় ধোঁকা দেয়! আপনার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। আশা করবো আপনিও অবসরে কিছু লিখবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিরাপদ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.