নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মকথা - আমার দেখা মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:১১



আমার দেখা সামহোয়্যারইন ব্লগে কখনও দেশবিরোধী লেখা আসেনি। আর তাই হয়তো সামহোয়্যারইন ব্লগে আমি লেখালেখি করে আসছি এতোদিন যাবত। কিন্তু এখন ব্লগে দেশবিরোধী লেখা আসছে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত দেশবিরোধী লেখা আসছে। ব্লগে প্রশ্ন আসছে সত্যি সত্যি কি দেশে মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ হত্যা হয়েছেন? অতি নিম্ন শ্রেনীর কিছু দলিল উপস্থাপণ হচ্ছে।

১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষ হত্যা হয়েছেন এবং তারও বেশি হত্যা হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে হত্যার তালিকায় মনিরাম মুচি থেকে শুরু করে শ্রী শষীকান্ত রায় ব্রাহ্মণ আর এক মাস বয়সের শিশু আলী হোসেন থেকে শুরু করে জমিদার পরিবারের সাহেব মীর্জা কেউ বাদ যায়নি। এই দেশে এক একটি বন্যা হয়েছে সাইক্লোন হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ হারিয়ে গিয়েছেন। এই দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছেন। মৃতের কোনো হিসাব নাই। হিসাব রাখা সম্ভব হয়নি। গরিব দেশ। গরিবের একটাই চিন্তা থাকে আর তা হচ্ছে পেটের ক্ষুধা। কে বা আপন, কে বা পর - যিনি মারা গিয়েছেন যিনি হারিয়ে গিয়েছেন তাঁকে নিয়ে আর চিন্তা করার সময় হয় না। চিন্তা করার সময় কোথায়? অভাগা দেশ অভাগা দেশের মানুষ, এই দেশের মানুষ সাবান কিনতে পারেনি, মাথায় তৈল দিতে পারেনি। অভাব অনটনে জীবন পাড়ি দিয়েছেন। একদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন কেউ কাউকে মনে রাখেনি। মনে রাখা উচিত ছিলো, কিন্তু অভাবের তাড়নায় সম্ভব হয়নি।

১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে দেশে এমন কোনো বড় বাজার, নগরের বাজার, গঞ্জের বাজার নেই - যেই সব বাজার উজার করে মানুষ হত্যা করা হয়নি। বাজার ভর্তি ছিলো হিন্দু মহাজনি আড়ত। হিন্দু সওদাগর, স্বর্ণকার, রৌপকার, হিন্দু পাইকারী দোকানী। এই দেশের মাটিতে এখনও যতো বড় বড় পুরাতন স্কুল কলেজ আছে সবগুলো হিন্দু জমিদারদের তৈরি করা। দেশে ডাক্তার উকিল শিক্ষক থেকে শুরু করে বাজারের ছোট বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ী ছিলো হিন্দু, মিষ্টির কারিগর ছিলো হিন্দু, দইওয়ালা ছিলো হিন্দু। কাঠমিস্ত্রি, কামার কুমার ধোপা ছিলো হিন্দু। মোটা কাঁচের চশমা পড়ে বাজারের গলিতে বসে যারা কাপড় সেলাই করতো এরা ছিলো হিন্দু। বাজারে পিড়ি টুলে বসিয়ে যারা চুল কাটতো এরাও ছিলো হিন্দু। বাড়ি বাড়ি ঘুরে কবিরাজি করতো আশ্চর্য ব্রাহ্মণ। স্কুল কলেজে যাদের ভয়ে ছাত্র ছাত্রী পড়ালেখা করে করে মানুষ হয়েছে সেই সকল শিক্ষক ছিলেন হিন্দু। আমি সেই সকল হিন্দু শিক্ষকদের জন্য আজও প্রার্থনা করি যারা ত্রিশ টাকা বেতনের চাকরিতে মানবেতর জীবন যাপন করে এই দেশের মানুষকে মানুষ করতে চেয়েছিলেন। কুমার পাড়া, কামার পাড়া, নন্দি পাড়া, জেলে পাড়া, তাঁতী পাড়া এইগুলো হিন্দু পাড়া আর হিন্দু পরিবারের বসত বাড়ি। উল্লেখিত পেশা সহ বহু পেশার হিন্দু সম্প্রদায় ১৯৭১ এ নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেঁচে যাওয়া আত্মীয় পরিজন দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁরা কখনও দেশে এসে নিজেদের কথা বলেনি, দেশ হতে কোনো সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য নিজেদের নাম লিখেনি। - আর এখন আজ অর্ধশত বছর পর মুক্তিযুদ্ধে হত্যার হিসাব চাইছে দেশের তথাকথিত নষ্ট নর্দমার কীট!

এই অভাগা দেশে রাজনৈতিক কোনো দল গোষ্টি দেশের ভালো চাহেনি। মুক্তিযুদ্ধ না আওয়ামী লীগের বাবার সম্পত্তি! মুক্তিযুদ্ধ না বিএনপির বাবার সম্পত্তি। মুক্তিযুদ্ধ - রাজাকারদের শত্রু ছিলো, শত্রু আছে, শত্রু থাকবে অনন্তকাল। যারা আজ ত্রিশ লক্ষ শহীদের কথা সত্য মিথ্যা যাচাইয়ে প্রশ্ন তুলছে তাদের একটি কথাই বলতে চাই - “ইতিহাসে মানুষ নামক কলঙ্ক আছে। ইতিহাসে বিভীষণ ছিলো, ইতিহাসে মীরজাফর ছিলো, ইতিহাসে রাজাকার ছিলো। আজ যে বা যাহারা মুক্তিযুদ্ধে নিহত ও শহীদ নিয়ে প্রশ্ন করছে এরা মানুষ নামের কলঙ্ক এরা মানুষ নামের অভিশাপ। এরা সমাজের কলঙ্কিত মানুষ বলেই নিজের পাপ আর অনাচার দিয়ে অন্যকে বিচার করার চিন্তা করে”।

আমি ব্লগে একটি কথা প্রায়ই বলি, “সময় ও সুযোগ করে লিখবো”। এই সময় ও সুযোগ অর্থ কোনো ছুটির দিন নয়। কোনো ঘড়ির সময় নয়। সময় ও সুযোগ বলতে বুঝিয়েছি - দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা যদি মিনিমাম অনুকূলে থাকে, তাহলে আমি লিখবো। লেখালেখি করা আমার পেশা বা নেশা নয়। আমার কর্ম করে খেতে হয়। আমি একজন অতি সাধারণ কর্মী মানুষ। আমার কর্ম করতে হয়। আমার নিজের জন্য কর্ম করতে হয়। কিছু মানুষের জন্য আমার কর্ম করতে হয় যাদের কাছে আমি ঋণী।

শেষ কথা: দেশকে যারা মায়ের মতো শ্রদ্ধা করেছেন ভালোবেসেছেন, সেই সন্তানেরা মায়ের জন্য যুদ্ধ করেছেন। মায়ের জন্য শহীদ হয়ে মায়ের বুকে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের জন্য থাকবে অন্তরের গভীর থেকে অকৃত্রিম ভালোবাসা অনন্ত অনন্তকাল - কাল মহাকাল। দেশের প্রতি মায়ের প্রতি ভালোবাসা, মায়ের ত্রিশ লক্ষ সূর্য সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা, মায়ের ত্রিশ লক্ষ সূর্য সন্তানদের প্রতি ঋণ কেউ মুছে দিতে পারবে না। আমি বিশ্বাস করি, মায়ের প্রতি ভালোবেসে যারা আত্মত্যাগ করেছেন স্বয়ং ঈশ্বর আল্লাহ ভগবানও এই ঋণের কাছে ঋণী হয়ে থাকবেন।



বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার লেখাটি যদি কেউ ফেসবুক সহ যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন অথবা শেয়ার করেন। - আমার পক্ষ হতে কোনো আপত্তি নেই। আমি খুশি হবো আমি কৃতজ্ঞ হবো, আপনার কারণে আমার লেখাটি দেশের অনেকে পড়তে পারবেন।







মন্তব্য ১৪৬ টি রেটিং +৩৩/-০

মন্তব্য (১৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: "মায়ের প্রতি ভালোবেসে যারা আত্মত্যাগ করেছেন স্বয়ং ঈশ্বর আল্লাহ ভগবানও এই ঋণের কাছে ঋণী হয়ে থাকবেন।"

কি করবেন??? শেরজা তপন এর মতন ব্লগার 'অনেকাংশে' বিশ্বাস করে, তখন নিজেরই মনে হয় এই দেশের ভবিষ্যত হয়ত বা নিকট ভবিষ্যতে রাজাকার রাই নির্ধারন করবে...। পাকিস্হান এর সাহস দেখে স্তম্ভিত....আবার এক হতে চায় আর কিছু কুলাংগার এর এতে আবার সায় দেয়।

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি দেশ বিদেশ বহু বহু দেখেছি। আপনি দীর্ঘদিন প্রবাসে আছেন আপনি খুব ভালো ভা্বেই জানেন পাকিস্তানি কতো নিকৃষ্ট অসভ্য বর্বর আর হারামজাদা।

১৯৭১ এর যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা ভারতের সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করে কারণ তারা জানতো ইপিআর আর ইস্ট বেঙ্গলের কাছে আত্মসমর্পণ করলে পাকিস্তানি সেনাদের লাশ নদীর নিচের মাটিতে পুতে ফেলতো। বাংলার মাটি হতে পাকিস্তানি সেনা ফেরত যেতে পারে না। আর রাজাকার নামক কলংক আর তাদের অনুসারীদের কথা কি আর বলবো, এরা যেই প্লেটে খায় সেই প্লেটেই প্রস্রাব করে।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৫১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তীব্র কষ্ট ভোগ করে আত্নহুতি দিয়েছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মনে অনেক দুঃখ কষ্ট নিয়ে লেখাটি লিখেছি। ব্লগে দেশ বিরোধী লেখা কখনও আশা করিনি।


৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:১৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং অশেষ শ্রদ্ধা ঠাকুরমাহমুদ ভাই।

এই ব্লগে আমাদের প্রামাণিক ভাই মুক্তিযুদ্ধের যে স্মৃতিগুলো লিখেছেন, তা পড়লে মনের গভীরে শান্তি পাই। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, চাঁদগাজীর বিভিন্ন মন্তব্যের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কথাও আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করে।

আরও লিখবেন মুক্তিযুদ্ধের কথা, সেই দিনগুলোর কথা - এই আশা রাখি।

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



এখন রাত প্রায় ০৩:৩০। আমি মনে অনেক কষ্ট নিয়ে দুঃখ নিয়ে লেখাটি লিখেছি। আমাদের দেশে আজ ঘরে ঘরে বিবিএ পাশ এমবিএ পাশ। কিন্তু এতো পড়ালেখা করেও অনেক অনেক লোকজন মানুষ হতে পারেনি।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দৃষ্টি আকর্ষণ:

আমি জানি এই পোস্টে কেউ না কেউ তো আসবে যার এই পোস্টে প্রচুর সমস্যা হয়েছে! ছোট বাচ্চার মতো আমার কাছে বারংবার ব্যাখ্যা চাইবে তথ্য চাইবে প্রমাণ চাইবে? নতুন নতুন ট্রেনিংপ্রাপ্ত এখনও পেশাদার হতে পারেনি এমন কেউ, যার বাহুতে দেশবিরোধী রক্ত চনমন করছে! এমন কেউ।

সময় করে আপনি মন্তব্যগুলো পড়ুন, পেয়ে যাবেন।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৪:০২

কলাবাগান১ বলেছেন: সামু এখন কোন পোস্টকে স্টিকি করে না? এই পোস্টকে স্টিকি করার জোর দাবী জানাই.... নতুন প্রজন্ম বুঝতে পারবে কিভাবে ১৯৭১ সনে বাংলাদেশ নামক দেশটার জন্ম হল লক্ষ প্রানের বিনিময়ে.....
"হিন্দু শিক্ষকদের জন্য আজও প্রার্থনা করি যারা ত্রিশ টাকা বেতনের চাকরিতে মানবেতর জীবন যাপন করে এই দেশের মানুষকে মানুষ করতে চেয়েছিলেন।" বিনিময়ে কি পেল? বন্চনা আর গাল মন্দ ধর্মান্ধ এর কাছ থেকে।

এমন করে কেউ কখনও বলে নাই- আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মনের কষ্টে বুক হাহাকার করে। ১৯৭১ এর যুদ্ধে শহীদ হওয়া সন্তানের জন্য এই দেশে কতো মাতাপিতা আজীবন অপেক্ষা করেছেন। - যদি সন্তান কোনোদিন ফিরে আসেন। ৭১এর যুদ্ধে শহীদ হওয়া সন্তানের মা আজীবন ঘুমোতে পারেনি। মাঝ রাতে সন্তান ফিরে এসে যদি বলেন “মা ভাত দাও”।

অশ্রুসজল চোখে আজীবন দূর পথে তাকিয়ে থেকেছেন, যদি এই পথ ধরে সন্তান ফিরে আসেন।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৬:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: লেখাটি পড়ে ভালো লাগায় একটা লাইক দিলাম।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভালো করেছেন। ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৬:২৯

মাথা পাগলা বলেছেন: লেখক বলেছেন - ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে দেশে এমন কোনো বড় বাজার, নগরের বাজার, গঞ্জের বাাজার নে........ তাঁরা কখনও দেশে এসে নিজেদের কথা বলেনি, দেশ হতে কোনো সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য নিজেদের নাম লিখেনি। - আর এখন আজ অর্ধশত বছর পর মুক্তিযুদ্ধে হত্যার হিসাব চাইছে দেশের তথাকথিত নষ্ট নর্দমার কীট!


লেখা পড়ে বোঝা গেল মনে যা এসেছে, মন থেকে সব বলেছেন। লেখা পড়ে অন্যরকম একটা ফিলিংস পেলাম। কথাগুলো এইভাবে বলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষেরও অধিক মানুষ নিহত ও শহীদ হয়েছেন। এর বিপক্ষে খুবই নিম্নমানের কিছু তথ্য লেখা হয়েছে। কিন্তু ত্রিশ লক্ষ সংখ্যার পক্ষে খুবই শক্ত দলিল আছে। আর এই দলিলের কারণে দেশ রাজাকার মুক্ত হবে।


৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৬:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




সুন্দর লিখেছেন।
এদেশের আলো-বাতাস গায়ে লাগিয়ে যারাই এদেশের সামান্যতম বিরোধীতাও করে তারাই মানুষ পদবাচ্য হতে পারেনা।

দেশপ্রেম হবে নিঃশর্ত।

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আহমেদ জী এস ভাই, মনে বড় কষ্ট নিয়ে লিখতে বাধ্য হয়েছি - আজ অর্ধশত বছর পর যারা ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা যাচাই করতে চাইছে। যারা ১৯৭১ দেখেনি, এমনকি যাদের জন্ম হয়েছে ১৯৭১ এর পর। এতোটা অমানবিক মানুষ কিভাবে সমাজে চলছে। এদের কাছে সমাজ সংসার এমনকি নিজ পরিবারও নিরাপদ নয়।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৬:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মাজ রাতের তারা ভরা ব্লগের এ রাতে
এই লেখা পাঠে নিকশ কালো রঙএ রাংগীয়ে
এ কাব্যখানি রচিব আজ স্মৃতিতে ভাস্কর
মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ে কিছু দু:খ গাথা দিয়ে।

যে কথা কভু ভাবিনি
যে কথা তারা যাবে ভুলে
সুযোগ করে দিবে তারা সত্যকে মিথ্যে বানাতে
ছড়িয়ে দিবে অসত্য ইতিহাসের পাতাতে ।

অবশ্য এতে সত্যের কিই বা যায় আসে
স্বদেশ প্রেম সেখানে নাইবা ভাসে
সময়টা থাকনা ভরা মিথ্যার তারায়
নাইবা থাকল মুক্তি যোদ্ধারা আশেপাশে ।

এই ভাল দুর হতেই তারাঁ গেয়ে যাক
তাদের ছাড়াই বীর মুক্তিযোদ্ধার হৃদয় ক্ষয়ে যাক
শিরায় শিরায় বাজুক অবক্ষয়ের গান
তাতে অবশ্য হবেনা ক্ষতি কোন মুক্তি যোদ্ধার প্রাণ ।

ইচ্ছে যখন জাগে বলতে কথা
চোখ দুটো তখন তাঁদেরকেই খুঁজে
মুক্তি যুদ্ধের চেতনা ভাংগিয়ে
যারা ছিল দিন রাত আনন্দ ফুর্তিতে
তন্ন তন্ন করে খুজেও হৃদয়
পায় না তাদের আমাদের মাঝে ।

এই ক্ষনে চোখ যখন সদা জলে ভাসে
মনে হয় আর নয়, থাকনা ইতিহাস নিরবে
তবে বাতাসে ভাসিয়ে দেয়া কথার রেণু
যেন মর্মে মর্মে তাদের কানে গিয়ে পশে ।

কে ও না কেও আগোয়ান হবে
কারো না কারো হাতে সত্য রবে
যেমনটি ছিল লক্ষ লক্ষ শহীদের মাঝে
মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েও ছিল মোহিণী হাসিতে ।

যত চাই ভুলে যেতে মিথ্যা রটনা
তত বেশী করে আসে সত্য স্মরণে
মিথ্যে রটনা শুধুই ক্ষানিকের
মিছেই তাকে ধরে রাখা বন্ধনে।

দুখের দাহন আর যন্ত্রনা সিক্ত
চোখ দুটো ভিজেই থাকুক জলে
তাতেও হবেনা কোন ক্ষতি
স্মৃতি গুলো যতদিন সাথে রবে ।

হয়তবা চোখেও থাকবেনা জল
যে জল দিয়ে হৃদয় গহীনে
মিথ্যে ভাষনে গড়া তীব্র উত্তাপ
এক ঝটিকায় নিভাতে পারে ।

জলে পুড়ে অংগার হওয়াতেই
বুঝিবা লিখা ছিল মুক্তিযোদ্ধার সুখ
কাওকে যখন দেখি সত্য লেখনী হাতে
পুরানো স্মৃতি গুলিই মনে পরে ত্বরিতে ।

২২ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভাই সাহেব, দেশে সরকার আসে সরকার যায়। হয়তো আরও শত সহস্র সরকার আসবে যাবে, কে কার কথা মনে রাখে! কিন্তু যারা দেশ স্বাধীন করেছেন যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাঁরা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কষ্ট লাগে এই অভাগা দেশে এমন কলঙ্কিত মানুষেরও জন্ম হয়েছিলো যারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদ নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছে প্রশ্ন করছে! লেখার অবকাশ পাচ্ছে! এরা কেমন মানুষ ভাই সাহেব? এরা মানুষ নাকি মানুষ নামের কলঙ্ক? নাকি সমাজের অভিশাপ।

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৭:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার প্রচেষ্টার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



৭১এর মুক্তিযুদ্ধ আমার নিজ চোখে দেখা। কারো কাছে শোনা না। যা দেখেছি তাও সব লেখা সম্ভব না। পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থান বিস্তারিত লেখার বিষয়ে স্বীকৃতি দেয় না।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: আমার দেখা না,আমি নিজেই মুক্তি যুদ্ধ করেছি।এটা ঠিক যে যুদ্ধ করতে গিয়ে দেখা আর হয় নাই।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



১৯৭১ এ কি সত্যি সত্যি মুক্তিযুদ্ধ নামক কোনো যুদ্ধ হয়েছিলো?


১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে রেখে দিলাম।

আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে নতুন করে চিনলাম, জানলাম।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শ্রদ্ধা।

মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা নিয়ে এরকম স্পষ্ট আর উচ্চস্বরে কথা বলতে হবে।
আশাকরি আপনার নিকট থেকে আরো এমন লেখা পাবো।

গত ৫৪ বছরে আমরা শুধু পিছিয়ে যাচ্ছি।
পিছিয়ে যাওয়ার গতিটা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি।

বসে থাকলে চলবেনা , কিছু একটা করতে হবে, কিছু একটা।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



হত দরিদ্র একটি দেশে যুদ্ধ শেষে নিহতের সংখ্যা কিভাবে নির্ণয় করা সম্ভব? রেশন কার্ড, জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি কার্ড কিছু ছিলো? আমি জানি মৃতের সংখ্যা কিভাবে নির্ণয় হয়েছে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ বা আরও বেশি মানুষ নিহত ও শহীদ হয়েছেন এর প্রমাণ আছে দলিল আছে। শক্ত দলিল আছে।

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা লেখা।
কোন ভান বা ভনিতা নেই। সহজ সরল ভাষায় কিছু সত্য বলে দিয়েছেন। কতিপয় ব্লগার সত্য সহ্য করতে পারে না। আপনি এবং চাঁদগাজী দুজনই সত্যবাদী ব্লগার। উচিৎ কথা বলতে দ্বিধা করেন না।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অনেক বড় পাওয়া। অনেক বড় শক্তি। সুখে দুঃখে আমাদের বারবার মুক্তিযুদ্ধকে স্মরন করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধ কে ছোট করে দেখে তাদের ধরে চাবকানো উচিৎ। তাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিৎ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনাদের মুন্সিগঞ্জ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের কড়াল সাক্ষী রেখে গিয়েছে। আপনি সময় ও সুযোগ করে মুন্সিগঞ্জের কিছু তথ্য উপাত্ত ব্লগে শেয়ার করতে পারেন।

১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: সামুর উচিৎ যে শালারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী লেখা দিবে তাদের কান ধরে ব্লগ থেকে বের করে দিবে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সামহোয়্যারইন ব্লগ ছেড়ে হয়তো অনেকে ফেসবুকে চলে গিয়েছে। হযরত ইলিয়াস আর হযরত পিনাকি ভক্তকূল সবাই ফেসবুক আর ইউটিউবে। মাঝে মাঝে ব্লগে আসে ব্লগে হুমকি দেয়!



১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:২৩

কিরকুট বলেছেন: আমার বাবা চাচাদের মুখে শোনা তাদের এলাকায় নদীর ওপারে ছিলো হিন্দু জনগোষ্ঠী অঞ্চল। পাকিস্তান আর্মি এক রাতে ২০ হাজার হিন্দু জনগোষ্ঠী কে গুলিকরে পুড়িয়ে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
নদীর ঢেউয়ের দোলায় দোলায় ওপার থেকে লাশের স্রোত ভেসে আসতো। মানুষ পচা গন্ধে ঘরে টেকা যেত না। কেউ যে লাশ গুলার সতকার করবে তার উপয় ছিলো না। নদীতে টহল বোট থেকে গুলি ছুড়তো। বাবা চাচাদের ভাষ্যমতে তারা মাস কে মাস খাবার মুখে তুলতে পারেন নাই। যুদ্ধ পরবর্তী তিন বছর তারা নদীর মাছ খায় নাই।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে দিনের পর দিন মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে যুদ্ধ করেছেন, শহীদ হয়েছেন। নিরস্ত্র মানুষ নিহত হয়েছেন। বহু পরিবার স্বপরিবারে নিহত হয়েছেন যার কোনো হিসাব নেই। এতো এতো মৃত মানুষের কবর দিবে কে? পানিতে অথবা বড় গর্ত করে ১০ - ২০ টি করে লাশ একসাথে মাটি চাপা দিতে হয়েছে। এই দৃশ্য দেখার মতো ছিলো না, তারপরও দেখতে হয়েছে। অভাগা দেশের অভাগা মানুষ আমরা। আজ মুক্তিযুদ্ধের অর্ধশত বছর পর এরা কারা নিহত আর শহীদের হিসাব চাইছে?

১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:২৮

ক্লোন রাফা বলেছেন: হিসেবটা আরো সহজ হয় যদি এক কোটি স্বরনার্থি’র হিসেবটা যোগ করেন। ভারতে যে এক কোটি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলো সেখানেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের। বিশেষত শিশু মৃত্যু ছিলো অনেক বেশি। সবাই ফিরে আসতে পারেনি।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মুসলিম হোক আর হিন্দু বহু বহু মানুষ স্বপরিবারে নিহত হয়েছেন তাঁদের হিসাব কিবাবে সম্ভব! ১৯৭১ এ জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড ছিলো না। বিশেষ করে ১৯৭১ এর যুদ্ধে হিন্দু লোকজন যারা হত্যা হয়েছেন তাঁদের দুই একজন পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় পরিজন যারা দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছেন তাঁরা আর দেশে ফেরত আসেনি আর এসে কখনও হিসাবও দেয়নি তাঁর পরিবারের কতোজন নিখোঁজ কতোজন চোখের সামনে হত্যা হয়েছেন।

ভারতে যেই পরিমাণ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁদের মাঝে অনেক শিশু ও বৃদ্ধ ছিলো যারা বাংলাদেশ হতে পায়ে হেটে ভারতে যেতে শরীরের উপর দিয়ে যেই দখল গিয়েছে তা সহ্য তরতে পারেনি। মৃত্যু ছিলো অবধারিত। এই সংখ্যাগুলো কেউ গণনা করেনি। অভাবের দেশ, হত দরিদ্র দেশ এইসব গণনা করা সম্ভব হয়নি।

১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:১১

সামস রবি বলেছেন: যে জাতি তার শেকড় কে অস্বীকার করে, সে জাতি উদ্দেশ্যহীন এক উদ্ভট জাতিতে রূপ নেয়।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এতো এতো পড়ালেখার পরও মানুষ কিভাবে এমন অমানুষ হতে পারে!

১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭

সামরিন হক বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাসে পচন অনেক আগে থেকেই লেগেছে। এখন যা হচ্ছে তাকে আমি ইতিহাসের ধ্বংস হিসেবে দেখছি। সঠিক ইতিহাসকে বাঁচাতে গবেষণা প্রয়োজন এখনি।
কী এক সংকট !
তবে আমার কাছে ত্রিশ লক্ষ শহীদ সমান একজন শহীদ!মূলত যে অন‍্যায় হয়েছিল তাতে ৭ কোটি হৃদয়ই শহীদ হয়ে ছিলো। কোরআনে আছে অন‍্যায় করে একজনকেও হত‍্যা করলে তা সমগ্র পৃথিবীকে হত‍্যা করার সমান আর সেখানে ত্রিশ লাখ তো খুব ছোট সংখ‍্যা ।
ত্রিশ লাখ না হলেও পশ্চিম পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী বা সরকারের দোষ একবিন্দুও কম হয় না।



শুভেচ্ছা রইলো।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইতিহাস আগুনের মতো। ইতিহাস চাপা দিয়ে রাখা যায় না, সম্ভব না। সংরক্ষণ করতে হবে না। সংরক্ষন হয়ে আছে মানুষের মনে মানুষের আত্মায়। পাকিস্তানি ও দেশের রাজাকার যেই অপরাধ করেছে তারা এই দুনিয়াতেও কষ্ট করছে পরপারেও কষ্ট করবে।

আপনার জন্যও শুভেচ্ছা।

১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ভীষন মন খারাপ করে আছেন কিংবা রেগে আছেন। যে কারনে আপনার রাগ বা মন খারাপ সেইখানে আমি যতদুর জানি যে, আমার কোন দায় নেই।
ব্লগের ব্যাপারে যে কথা বলেছেন যে কখনো দেশ বিরোধী লেখা আসেনি সেটা ঠিক নয় হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে। এই ব্লগের হনুমান (ব্যাঙ্গার্থে; অনেকেই বুঝে নিবে) টাইপের অনেকেই বরাবর দেশ বিরোধী পোস্ট দিয়েছে।
আমি ব্লগ ফেসবুক সবখানেই দেখি সবাই বাবা চাচা দাদা নানা প্রতিবেশী বা কোন মুক্তি যোদ্ধার কাছে শুনেছে কিন্তু কেউ চাক্ষুষ বর্ণনা দিতে পারেনি। আমার সাথে এমন ব্লগার ফেসবুকার কিংবা বন্ধু প্রতিবেশীর সাথে পরিচয় হয়নি যে বলেছে, তার পরিবারের বেশ বড় একটা অংশ বা সবাই পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে( একজন-দুইজন নিহত হয়েছে এমন অনেকেই আছে)।
কামাল ভাই-এর মত একজন মুক্তিযোদ্ধা তার সেক্টর বা এলাকার বাইরে তেমন কিছুই দেখেননি -শুধু শুনেছেন এটা তিনি নিজেই স্বীকার করলেন।
আমরা সবসময় বিদেশিদের রেফারেন্স টানি। নিজেরা যৌক্তিক কিছু বল্লেও সবাই হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আপনি হিন্দু নিধন নিয়ে যা বললেন, সেগুলো নিশ্চিতভাবে সত্য। এর কম-বেশী সাক্ষী আমার পরিবারও। বৃহত্তর ফরিদপুরে আমাদের আবাস হওয়াতে আমি জানি এগুলো নির্জলা সত্য।
এখন আপনি বলেন পাক হানাদারদের মুল টার্গেট ছিল হিন্দু জনগোষ্ঠী, কিন্তু হিন্দুরা কি তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল?

আমরা আরেকটু পিছিয়ে যাই;
যখন দেশ ভাগ হয় তখন পাকিস্থানের সাথে মুসলিম দেশ হিসেবেই আমাদের যুক্ত করা হয় না কি? তখন পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি। তার ২১ ভথেকে ২৪ ভাগ ছিল হিন্দু জনগোষ্টী, যেটা অলমোস্ট ১ কোটির কাছাকাছি। এর আগে বহুবার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে। মুসলিমদের সাথে ওদের বনিবনা হবে না সেটা জানার পরেও কেন তারা বড় আকারের প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ গড়ে তুলল না?
*ইতিহাস বলে মোট হিন্দুদের ১০-১৫ ভাগ পূর্ববঙ্গ ত্যাগ করে এর বিপরিতে প্রায় ৩/৪ লক্ষ মুসলিম ভারত থেকে পূর্ববঙ্গে আসে (যা পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালী মুসলিমের প্রায় অর্ধেক)
আপনি ভাল হিন্দুর কথা যেমন বলবেন তেমনি বলবেন হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারের কথাও।
আপনি বলবেন কিসের ভুলে কার প্ররোচনায় কোন চাপে আমরা ভিন্ন সাংস্কৃতি ভাষাভাষী ও দুই হাজার জাতিগত বিশাল ব্যাবধানের কিলোমিটার দুরের দেশের সাথে শুধু শুধু ধর্মীয় বন্ধে যুক্ত হলাম? ফের মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় আমরা ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাইলাম?
কার ইশারায় কার ভুল পদক্ষেপে কিংবা প্ররোচনায় কোন ঐতিহাসিক ভুলের মাশুল হিসেবে ৩০ লক্ষ মানুষ আত্মদান করল সেটা আপনাদের প্রজন্মের কাছে জানতে চাই? কেন জাতি আজ এত দ্বীধা বিভক্ত, কেন আমরা আমাদের ইতিহাস লিখতে গিয়ে বারবার হোচট খাই, কেন একটা জাতির মধ্যে এত হিংসা দ্বেষ বিদ্বেষ ছলনা প্রতারনা অবিশ্বাস?
কেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একজন গায়ক এই গান গায়;

তুমি ভ্রান্তি নয় বাস্তবতার শূন্য ভাতের থালা..
তুমি লোভ-ঘৃনার ব্যাকরণে বিবেকের বন্ধ তালা..
তুমি সংঘাত আর প্রতিঘাতে অস্থির রাজপথ..
তুমি আজ ও আগামীর মাঝে বেদনার নীল ক্ষত।
তুমি চাওয়া না পাওয়ার ফাঁকে অসম সমীকরণ
তুমি অবুঝ রাগী প্রজন্মের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ।
তুমি তারুণ্যের চোখের কোণে বিষণ্ণতার বাস..
তুমি বুড়ো খোকাদের ইচ্ছেমত ভুলের ইতিহাস!!!!!
তুমি উদ্ধত মিছিলের স্রোতে গর্বিত মুখ..
তুমি ভুল নায়কের হাতছানিতে মায়ের শূন্য বুক!!!!!!!
তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু, তোমার মাঝেই শেষ..
ভালোলাগার ভালোবাসার তুমি ,আমার বাংলাদেশ।।
আমার বাংলাদেশ…….

~আইয়ুব বাচ্চু



২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দেশে সরকার আসে সরকার যায়। আরও হাজারো সরকার আসবে যাবে কে কাকে মনে রাখে? দিনের পর দিন দেশবিরোধী লেখা দেখে আমি রাগ করিনি দুঃখ পেয়েছি। তবে আমার মনে হয় আপনি রাগ করে এতো বড় মন্তব্য করেছেন।

১৯৭১ এর যুদ্ধ সম্পর্কে আমার কাছে জানার ইচ্ছে থাকলে জানাবেন, আমি যা দেখেছি যতোটুকু ব্লগে লেখা সম্ভব আমি লিখতে চেষ্টা করবো। ১৯৭১ এর যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষেরও অধিক নিহত ও শহীদ হয়েছেন এবং এটি সত্য। এখন যে যা লিখুক, হাদিস লিখুক কোরআন লিখুক বাইবেল লিখুক কিন্তু ১৯৭১ এর ইতিহাস পাল্টানো সম্ভব না।

আপনাকে একটি তথ্য দেই - আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে এই দেশে সবচেয়ে বেশি মামলা রাজনৈতিক মামলা! বিষয়টি ভুল। এই দেশে সবচেয়ে বেশি মামলা পারিবারিক মামলা। পারিবারিক কলহে এই দেশের মানুষ বিভ্রান্ত ও বিকৃত মন মানসিকতার হয়ে যায় এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপ সহ নানা প্রকার অপরাধে জড়িয়ে যায়। কোনোদিন সময় সুযোগ হলে ঢাকা সিএমএম কোর্ট বেড়াতে যাবেন।

বাংলাদেশের অধিকাংশ শিল্পী পারিবারিক ভাবে মারাত্বক অসুখী। তাদের গান আমি শুনি কিন্তু তাদের জীবনধারা আমাকে টানে না।

১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১২

আরইউ বলেছেন:



ঠাকুরমাহমুদ,
পুরোনো ব্লগার যারা এখনো আছেন তারা জানেন দেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করে লেখা ব্লগে আগেও এসেছে। রাজাকার কন্যা ফারজানা মাহবুবা, রাজাকার পুত্র ওয়ালী, রাজাকারপ্রেমী ত্রিভুজ এদের কথা অনেকের মনে থাকার কথা। এরা ব্লগে সুবিধা করতে পারেনি; বলতে গেলে ঝাড়ুপেটা করে এদের বের করে দেয়া হয়েছে ব্লগ থেকে।
হালের ঢাবিয়ান, মশিউর, সত্যপথিক-সহ আরো কয়েকজন এরা ভাবছে এখন সময় ভালো আবার চেষ্টা করে দেখি। এদের অবশ্য দোষ নেই বাবার ঋণ শোধ করতে বা প্রতিশোধ নিতে কার না ইচ্ছে হয়! এক্স-হাসিনা সরকারের সমালোচনার সাথে সাথে তাই মুজিবকে নিয়ে অপ্রয়োজনীয় কটু কথা, মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা-এসব করে এরা এখন একটু বাজিয়ে দেখছে। তবে একটা বিষয় সম্ভবত তাদের মনে নেই মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম যতদিন দেশে আছে তাদের, তদের পিতাদের মতই মাথা নিচু করে ব্লগে থাকতে হবে। উঠতে-বসতে জামাত-শিবির-রাজাকার এসব কথা শুনতে হবে।
ভালো থাকুন!

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বেশ ভালো তথ্য দিয়েছেন। আমি পুরাতন পোস্ট তেমন পড়িনি বা তখন ব্লগে তেমন করে পড়ার সুযোগ পাইনি। তাই হয়তো আপনার দেওয়া তথ্যগুলো আমার জানা নেই।

অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় - দেশ আর সরকার যে এক না, এটি যথেষ্ঠ পড়া লেখার পরও আমাদের দেশের অনেক অনেক লোক বুঝতে পারেনি। অথবা এমনও হতে পারে জীবন যাপন এতোই নিচে চলে গিয়েছে যে দেশবিরোধী কার্যকলাপে এরা কোনো অনুতাপ অনুভব করছে না।

খুব সম্ভব আপনি প্রবাসে আছেন। আপনি বেশ ভালো জানেন, এরা দেশের পাসপোর্টের মান দিনের পর দিন কতো খারাপ করে দিয়েছে।

আপনিও ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

২০| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: এই প্যারাটায় বেশী ভুল আছে তাই একটু ঠিক করে দিলাম;
পনি বলবেন কিসের ভুলে কার প্ররোচনায় কোন চাপে আমরা ভিন্ন সাংস্কৃতি ভাষাভাষী ও জাতিগত বিশাল ব্যাবধানের দুই হাজার কিলোমিটার দুরের দেশের সাথে শুধু শুধু ধর্মীয় বন্ধনে যুক্ত হলাম?
ফের মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় আমরা ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাইলাম?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু কারো সন্তান আর কোনোদিন ফিরে আসেনি, কারো ভাই আর কোনোদিন ফিরে আসেনি, কারো স্বামী আর কোনোদিন ফিরে আসেনি। কারো বাবা আর কোনোদিন ফিরে আসেনি। অপেক্ষা আর অপেক্ষা কতো সন্তান হারা মাতাপিতা, ভাইবোন, স্বামী হারা স্ত্রী দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর অপেক্ষা করেছেন বাড়ির মানুষটি আর ফিরে আসেনি।


২১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার পোস্ট দিয়ে খুব ভাল ভাবে চেনা যাচ্ছে কারা কারা রাজাকার বান্ধব বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সংশয় বানায়। তারা সযত্নে পোস্টের প্লাস বাটন এড়িয়ে যাচ্ছে।
রাজাকার বান্ধব দের চলাফেরা উঠা বসা সব হয় রাজাকার বান্ধব দের সাথে, তারা ছিল তখন প্রটেক্টেড, তাই তারা তাদের আশেপাশে কাউকে দেখে না ৭১ মারা গিয়েছিল...

আশেপাশের কেউ মারা যায় নাই- এই কুযুক্তি প্রথম শুনি ইলিয়াস থেকে এখন সেই ইলিয়াস প্রায় এস্টাবলিশ করে ফেলেছে যে কোন লোকই মারা যায় নাই!!!!!!!!!

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইলিয়াস একজন দেশদ্রোহী। দেশদ্রোহীদের যদি আইন প্রশাসন বিচার করতে না পারে প্রকৃতি বিচার করে। আমি প্রকৃতির বিচার দেখেছি। আমি বিশ্বের প্রতিটি দেশের আইনের উপর আস্থা রাখি এবং প্রকৃতির আইনের উপরও আমার আস্থা আছে।


২২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাহসী পোস্ট। আশা করি থামবেন না। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য অনেকে মুক্তিযুদ্ধকে এত বিকৃতি করে উপস্থাপন করে যে, আমি অবাক হই এরা এ দেশের নাগরিক কি না। এদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করে না কেউ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



প্রতিবাদ করার প্রয়োজন নেই। দেশ হচ্ছে মা, আর মায়ের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার করে এরা মানুষ না। এরা মানুষ নামের কলঙ্ক, মানুষ নামের অভিশাপ।


২৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৩৭

জুনায়েদ আহমেদ নেজাদ বলেছেন:


আপনার লেখায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও আবেগ ফুটে উঠেছে, সেটি অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, ইতিহাস শুধু আবেগ দিয়ে টিকে থাকে না- এটির শক্ত ভিত্তি হওয়া উচিত যাচাইযোগ্য তথ্য-প্রমাণের উপর।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে গবেষণা ও বিতর্ক আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আছে। পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা, নারী নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই- কিন্তু নিহতের সঠিক সংখ্যা কত ছিল, তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। কিছু গবেষক ৩ লাখ বলেন, কেউ ৫ লাখ, কেউ আবার ৩০ লাখ পর্যন্ত হিসাব দেন।
সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে শহীদদের প্রতি অসম্মান নয়। বরং সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার জন্য জরুরি। শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা হলো তাঁদের কৃতিত্ব ও ত্যাগের সঠিক দলিল রেখে যাওয়া, যাতে ভবিষ্যতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে।
তাই আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধ শুধু আবেগ নয়, তথ্যনির্ভর ইতিহাস হওয়া উচিত। এতে শহীদদের মর্যাদা আরও দৃঢ় হবে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত কতো হতে পারে?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আামর লেখাটি একটি অরাজনৈতিক পোস্ট। কোনোভাবে আওয়ামীল লীগ তথা গুন্ডা লীগ, বিএনপি, আর রাজাকারের দলকে প্রমোট করে না। তারপরও আপনি লেখাটি পড়ে মনে কষ্ট পেয়েছেন জেনে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

২৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:১০

জুনায়েদ আহমেদ নেজাদ বলেছেন:

আপনি ফিলিস্তিনের কথা তুলেছেন। সত্যিই, সেখানে বহু মানুষ নিহত হয়েছে, কিন্তু এটিই ইতিহাসের এক অবশ্যম্ভাবী সত্য- মানব সংঘাতের সময় নির্দিষ্ট সংখ্যা সর্বদা রহস্যময়। সংখ্যার জন্য আমরা কখনোও আবেগের ওপর নির্ভর করতে পারি না। একজন মুক্তিযুদ্ধের শহীদকে সম্মান দেখানোর প্রকৃত মানে হলো তার ত্যাগকে মিথ্যা সংখ্যার আবরণে না ঢেকে, বরং যথাযথ যাচাই ও প্রমাণের আলোকে স্থির করা। যাঁরা নির্ভুল তথ্যের দিকে নজর দেয় না, তাঁরা ইতিহাসকে নিজের আবেগের হাতে ধরাশায়ী করতে চায়। আপনি যদি শুধু নির্দিষ্ট সংখ্যার পেছনে আবেগ ধরে রাখেন, তাহলে আপনি সংখ্যা নয়, আপনার আবেগকে ইতিহাসের উপর চাপাচ্ছেন। এটি এক ধরনের বোধগম্য অন্ধত্ব। সত্যিকারের জ্ঞানীরা কখনো প্রশ্ন করতে ভয় পান না। তারা জানে, সংখ্যার প্রশ্ন শহীদদের অসম্মান নয়, বরং তাদের ত্যাগকে চিরস্থায়ী করে। আপনি যদি বুঝতে না পারেন, তা আপনার সীমিত দৃষ্টিভঙ্গি, ইতিহাস নয়।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নিহত ও শহীদের সঠিক সংখ্যাটি কতো?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আামর লেখাটি একটি অরাজনৈতিক পোস্ট। কোনোভাবে আওয়ামীল লীগ তথা গুন্ডা লীগ, বিএনপি, আর রাজাকারের দলকে প্রমোট করে না। তারপরও আপনি লেখাটি পড়ে মনে কষ্ট পেয়েছেন জেনে আমি ২য় বার দুঃখ প্রকাশ করছি।

২৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:১২

কলাবাগান১ বলেছেন: সামুকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য। এই দেশটাকে নিয়ে এখনও বেশ আশাবাদী....বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আবেগ কে ধরে রেখেছেন...এই পোস্ট কিছুটা হলেও তার প্রমান.....এই জন্যই জামাত/এনসিপি জানে যে সরাসরি ৭১ বিরূধী অবস্হান হবে সুইসাইড এর সমান।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



হত দরিদ্র একটি দেশে যুদ্ধ শেষে নিহতের সংখ্যা কিভাবে নির্ণয় করা সম্ভব? রেশন কার্ড, জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি কার্ড কিছু ছিলো? আর আজ প্রায় অর্ধশত বছর পর যখন প্রশ্ন তুলে নিহতের সংখ্য কতো? - তখন বুঝতে হবে মূর্খজাত জানে না মৃতের হিসাব হয়, হিসাব থাকে, হিসাব সংরক্ষণ হয়। আইন প্রশাসন বলে কিছু আছে। যারা প্রমাণ সংরক্ষন করেন। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ বা আরও বেশি মানুষ নিহত ও শহীদ হয়েছেন এর প্রমাণ আছে দলিল আছে। শক্ত দলিল আছে। সময় হলেই দলিল সামনে আসবে। সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন।

২৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৫৬

আমি নই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। শহীদদের সংখ্যা নিয়ে আমার মনেও প্রশ্ন, কিন্তু প্রশ্ন করলেইতো আবার রাজাকারের বাচ্চা, পাকিপন্থী, অমানুষ গালি শুনতে হয় সেই ভয়ে প্রশ্ন করতেও লজ্জা লাগে। যাইহোক শেরজা ভাইকে দেয়া উত্তরে আপনি বলেছেন
১৯৭১ এর যুদ্ধ সম্পর্কে আমার কাছে জানার ইচ্ছে থাকলে জানাবেন, আমি যা দেখেছি যতোটুকু ব্লগে লেখা সম্ভব আমি লিখতে চেষ্টা করবো। তাই সাহস করে প্রশ্নটা করলাম।
৩০ লক্ষ সংখাটা অনুমান করে বলা কিনা? যদি অনুমান হয়ে থাকে তাহলে মোটামুটি সঠিক (জরিপ করে বের করে) একটা সংখ্যা কি আমাদের জন্মের ইতিহাসকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারত কিনা?

শহীদদের সংখ্যা কম বেশি হলে আমার মনে হয়না মুক্তিযুদ্ধের প্রতি মানুষের সম্মান, শ্রদ্ধা বিন্দুমাত্র কমবে বা বাড়বে, আর এটা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিরাও জানে। তাই আমার মনে হয়না এই সংখ্যার খেলাটা মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক, এটা একটা রাজনৈতিক খেলা, আমার মনে হয় এটা জাষ্ট শেখ মুজিবকে মিথ্যাবাদী প্রমানের একটা চেষ্টা। সুতরাং যতদিন আপনারা বেচে আছেন বা প্রতিটা গ্রামে মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন এমন ২০-৩০ জন মানুষও জীবিত থাকবেন ততদিন মোটামুটি কাছাকাছি একটা হিসেব বের করা খুব কঠিন হবেনা, তবে এতদিন পরে অবস্যই সেটা শতভাগ সঠিক হবেনা।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৪:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার জেনে ভালো লাগবে, ১৯৭১ এর নিহত ও শহীদের সঠিক তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করা আছে।

২৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৪:৫৩

মাথা পাগলা বলেছেন: যারা শহীদের সংখ্যা নিয়ে বার বার ৭১ যুদ্ধকে অবমাননা করছেন তাদেরকে বামাতিদের স্টাইলে বোঝানোর চেষ্টা করলাম আর ধরে নিলাম, আপনারা পাকিস্তানপ্রেমী নন, বরং ১০ বছরের শিশু, তাই এমনভাবে লিখলাম যেন বুঝতে কোনো অসুবিধা না হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলেছিল ৯ মাস। এই সময়ে কত মানুষ শহীদ হয়েছিল, তা নিয়ে অনেক মত আছে। সরকারি হিসাবে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন। সংখ্যাটা অবাস্তব নয় বরং সত্য। পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭ কোটি। যদি ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যায়, সেটা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪%। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নে ১০% মানুষ মারা গিয়েছিল, তাই ৪% মৃত্যু অস্বাভাবিক নয়।

ভারত সরকার বলেছিল, প্রায় ১ কোটির বেশী মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে গিয়েছিল। এত বড় শরণার্থী ঢল যদি হয়, তাহলে দেশে নিহত মানুষের সংখ্যা কয়েক লক্ষের বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। যদি বলা হয় ১ কোটির বিপরীতে মাত্র ২–৩ লক্ষ মানুষ মারা গেছে, তাহলে সেটা শরণার্থীর সংখ্যার সঙ্গে মেলে না। আরও সহজ ভাষা বললে, ১০ বিঘা জমিতে মাত্র ১ কেজি ধানের ফলন হয়েছে।

৯ মাসে এতো লোক মারা সম্ভব না'র কাউণ্টার লজিকঃ রুয়ান্ডায় মাত্র ১০০ দিনে ৮–১০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল। কাম্বোডিয়ায় কয়েক বছরে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নে ৪ বছরে ২ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। আমি কিন্তু সব দেশ ধরিনি, শুধুমাত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন।

পাকিস্তানি সেনারা শুধু যোদ্ধাদের মারেনি। তারা গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে, শহরে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, হিন্দু-সংখ্যালঘুদের টার্গেট করেছে, ছাত্র আর বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গুলি করেছে।

বাংলাদেশে মোট ৬৪টি জেলা। যদি প্রতিটি জেলায় গড়ে ৫০ হাজার মানুষও মারা যায়, তাহলে মোট মৃত্যু ৩০ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। চুকনগর, সান্তাহার, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা সেনানিবাসে ভয়াবহ গণহত্যা হয়েছিল। ৩০ লক্ষ সংখ্যা সঠিক না - এগুলা কল্পনা না করে এসব ইতিহাস পড়লে বেশি কাজে দিবে।

তাই ৩০ লক্ষ শহীদের কথা শুধু আবেগ নয়, ইতিহাসের আলোকে সম্ভব। সত্যি কথা বলতে সংখ্যাটা ৩০ লক্ষেরও বেশি হবে। সংখ্যাটা যাতে কালার মনে না হয় তাই কম করে ৩০ লক্ষ বলা হয়েছে।

মজার কথা হলো মুজিব ৩০ লক্ষ বলার পর পাকিস্তান থেকে তখন কোন অভিযোগ আসেনি এখনো আসেনি, শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা বা তার ফ্যামিলিরাও কোন প্রশ্ন তোলেনি কিন্তু আফসোস আজকে কিছু পাকিস্তানীপ্রেমীরা এই সংখ্যা নিয়ে আজকেও প্রশ্ন তোলে সামনেও তুলবে প্রশ্ন তোলে এবং মনে করে সঠিক সংখ্যা না বললে শহীদদের অপমান করা হয়। শহীদদের কোনদিক দিয়ে অপমান করা হয় এটাই বুঝলাম না। বুঝিয়ে বললে সুবিধা হতো


সংখ্যা নিয়ে আপনারা কেন প্রশ্ন কেন করেন, জানেন? কারন এটা বলে পাকিস্তানের গনহত্যার দায়-ভার এড়াতে না পারলেও কমাতে চান, আড়াল করতে চান যে সংগঠিতভাবে গ্রাম পুড়িয়ে, সংখ্যালঘু টার্গেট করে, ছাত্র-শিক্ষক বুদ্ধিজীবী হত্যা করে এক বিরাট গণহত্যা চালানো হয়েছিল। আর গণহত্যার আসল সংখ্যা খাতায়-কলমে প্রমাণ আকারে জানতে চান...জানতে চান কেন ৩০ লক্ষের বদলে ৩০ লক্ষ ২ হাজার ৫১২ জন বলা হলো না? কারণ আপনারাও জানেন, এটা সম্ভব নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হলোকাস্ট, রুয়ান্ডা এরকম যেকোন বড় গনহত্যায়, কোথাও চূড়ান্ত সংখ্যা নেই, আছে কেবল একটি রেঞ্জ আর সম্ভাব্য হিসাব। ৭১ এর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কারনগুলা হলোঃ

- ৭১ বাংলাদেশে (তখন পূর্ব পাকিস্তান) জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন প্রায় ছিল না বললেই চলে।
- হাসপাতাল বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের রেকর্ডও সীমিত, যুদ্ধকালে বলতে গেলে পুরো অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। নথি পাবেন কোত্থেকে?
-মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্রশাসনিক কাঠামো ছিল ভাঙাচোরা, ফলে মৃত্যুর ডকুমেন্টেশন করা পসিবল না যেখানে সরকারী অফিসগুলো কার্যত পক্ষে পাক্কিদের দখলে। আর কোনভাবে কারো সরকার থেকে এরকম ডকুমেন্টেশন করার মনোভাব থাকে, করার আগেই মেরে ফেলা হবে।
- বাংলদেশ স্বাধীনতার পর রিজার্ভ ব্যাংক গঠন করা হলেও রিজার্ভ ছিলো শূন্য। শু*রের বাচ্চারা একটা টাকাও রেখে যায়নি। ভাত খাবি না ডকুমেন্টশন বানাবি? এলাকার মানুষ তাদের চোখের দেখায় বলেছে আমার গ্রামে এতোজন মানুষ মারা গিয়েছে। ইতিহাসে এগুলাই দলিল হয়ে থাকে, বড় বড় ডিগ্রীধারি সাংবাদিকের বয়ান লাগে না।

পুনশ্চঃ আমি বাংলা লিখি না প্রায় ১০~১৫ বছর, বানান-বাক্য গঠন ভুল থাকলে মার্জনা করবেন। ইতিহাস চর্চাও এখন আর তেমন নাই, থাকলে হয়তো বা আরো কিছু উদাহরন দিয়ে এসটাবলিসমেন্ট করতে পারতাম। আজকাল রাজাকারদের মাঠা-চাড়া দেখে হালকা-পাতলা লিখার চেষ্টা করছি।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অভাবের দেশ, অভাব অনটনে মানুষের জীবন যাপন করা কঠিন এমতাবস্থায় ইতিহাস কে লিখবে? তারপরও মৃতের হিসাব আছে। মৃতের হিসাব আছে এবং খুব ভালো ভাবেই সংরক্ষিত আছে। এটি দেশবিরোধীদের জন্য খুবই আতঙ্কের কারণ।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি এতোটা বিস্তারিত লিখেছেন যা আমি লিখতে চাইনি বা আমার পক্ষে হয়তো লিখা সম্ভবও হতো না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার চিন্তাটি কোনো ভালো চিন্তা নয়, এটি অবশ্যই বিকৃত মন মানসিকতার মানুষের বিকৃত চিন্তা ভাবনা।

আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

২৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ ভোর ৪:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: সামুকে ধন্যবাদ পোস্টটি স্টিকি করার জন্য।

লেখক বলেছেন: "দৃষ্টি আকর্ষণ: আমি জানি এই পোস্টে কেউ না কেউ তো আসবে যার এই পোস্টে প্রচুর সমস্যা হয়েছে! ছোট বাচ্চার মতো আমার কাছে বারংবার ব্যাখ্যা চাইবে তথ্য চাইবে প্রমাণ চাইবে? ...যার বাহুতে দেশবিরোধী রক্ত চনমন করছে! এমন কেউ। সময় করে আপনি মন্তব্যগুলো পড়ুন, পেয়ে যাবেন।"

মুক্তিযুদ্ধকে ব্যঙ্গ করা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক প্রশ্ন করার এই ট্রেন্ডটিকে আমি পর্যবেক্ষণ করছি। গত বছর আগস্টে, যখন কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আজমের পুত্র জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলো, তখন এই রাজাকারটি প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের সংখ্যা এবং জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে প্রশ্ন তুললো। আওয়ামী বর্বরতার ভিকটিম হিসেবে মানুষ তখন এই লোকটির বক্তব্য নীরবে সহ্য করেছে। তারপর থেকেই রাজাকার ও আলবদরদের ছানপোনাদের মুক্তিযুদ্ধকে ব্যঙ্গ করা এবং বিকৃত করার ধারাটি চলমান আছে এবং দিন দিন আরও প্রবল হয়েছে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



রাজনৈতিক লোভ লালসায় সরকার দল সরকার বিরোধী দল থাকে - এই কথা সবাই জানেন। কিন্তু দেশবিরোধী এইভাবে তৈরি হয়েছে যে, বোঝা যাচ্ছে গিরগিটির মগজ পুরোটা সাবানের পানি দিয়ে ধোলাই করা হয়েছে। এখন ধোলাই করা গিরগিটির মগজে আক্রমণাত্বক মন্তব্য করা শিখেছে।

আফসোস, তারা মানুষের জীবন ছেড়ে গিরগিটির জীবন বেছে নিয়েছে।

২৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৭:৫৭

গহীনে রক্তক্ষরণ বলেছেন: ভেবেছিলাম জনাব তথ্য উপাত্ত দিয়ে যারা ৩০ লক্ষ শহীদ নিয়ে ব্যাংগ- বিদ্রুপ করে, তাদেরকে চরম ধোলাই দিয়ে যারা ইতিহাস জানেন না, তাদেরকে ধন্য করবেন । জনাব, বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য উপাত্ত , যুক্তি, প্রামাণ্য দলিল দিয়ে উপস্থাপনের যুগ ( যদিও প্রযুক্তির অপব্যহার করে গোয়েবলসীয় কায়দায় অনেক মেধাবী ছেলে মেয়েরা কু-কাজে মেধা নষ্ট করেন এবং নানা রকম ফেক তথ্য উপস্থাপন করে বিব্রত করেন, যেগুলো আবার প্রযুক্তি দিয়েই মিথ্যা প্রমাণ করা সহজ হয়ে গেছে হালে )। তো ? তেমন একটা যুগে এসে আপনার দেখা ১৯৭১ নিয়ে যা বললেন, তার সঠিক দলিল দস্তাবেজ কোথায় ?

আর এর ফলে প্রমাণ হয়েছে এই ব্লগে যাচ্ছেতাই লেখার স্বাধীনতা রয়েছে । এ জন্য ব্লগটির ক্রিয়েটরকে ধন্যবাদ জানাই । বর্তমান যামানার মানুষের সত্য-মিথ্যা যাচাই এর ক্ষমতা এখন অনেক অনেক উর্ধে অবস্থান করছে । কালে কালে ইতিহাসবিদরা নিজের স্বার্থে অথবা টাকা খেয়ে বিকৃত ইতিহাস লিখেছেন ( কদাচ ব্যতিক্রম ব্যতিত) । কিন্তু সত্য ইতিহাসের শক্তি এমন যে, সে সত্য যখন উপস্থিত হয়ে যায়, তখন মিথ্যা অটোমেটিক বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে দুঃখের বিষয় এই যে, বাংলাদেশে যারা ৫৪ বছর যাবৎ রাজনীতি করেছেন এবং এখনো করছেন, বিশেষ করে যারা ডিপ-ষ্টেট পরিচালনা করেছেন এবং এখনো করবেন বলে হম্বি তম্বি শোনা যাচ্ছে, তারা কেউই সত্যকে ধারণ করে প্রকৃত দেশপ্রেম নিয়ে রাজনীতি করেননি। এমনকি এরা এতটাই নিজেদেরকে মেধাহীন, অযোগ্য, চরম স্বার্থপর হিসেবে প্রমাণ করেছেন ( ব্যতিক্রম ব্যতিত ) যে, তারা এই জাতির মন মগজ থেকে এই মানচিত্রটির কিভাবে জন্ম হয়েছিল, সেই ইতিহাস সহ এর পেছনে যাদের আত্মত্যাগ, মেধা , শ্রম বিনিয়োগ ছিল সেই পূর্ব পুরুষদের ইতিহাসকেও চিরতরে মুছে দিয়েছে ( কদাচ ব্যতিক্রম ব্যতিত) । কিন্তু শ্রষ্টা সত্যকে প্রকাশ করে দিয়েছেন বার বার । আর এই জোয়ার ভাটার দেশের আবেগ প্রবণ মানুষের এমনই অভিনব চরিত্র যে, স্ফটিকের মত প্রকাশিত সত্য দেখে, শুনে, বুঝেও তারা আবার অবচেতন হয়ে সত্য থেকে বিমুখ হয়ে পথ হারিয়েছে, আবারও হারাচ্ছে । অগণিত অবুঝ, মেধাহীন, স্বার্থপর, লোভী মানুষকে এই পথ হারাবার পথকে আরো সহজ করে দেয় এই দেশীয় উচ্চ শিক্ষিত কিছু গাদ্দার । তারা শিক্ষিত অথচ সত্য গোপনকারি শয়তানদের এক শক্তিশালী ঐক্যজোট । এ জাতি যতকাল সম্বিত ফিরে না পাবে, ঐ ধান্দাবাজদের খপ্পর থেকে নিজেরা মুক্ত হতে না পারবে, ততকাল তারা কেবল মিথ্যাভরা আবর্জনাই গিলতে থাকবে । কী আর করা !!! ৭১-এ আমার বাপ চাচারাও নিজেদেরকে কুরবানী দিয়েছেন । কৈশোরে খুব ভালো করে ৭১ দেখেছি । ৭২-৭৪ এর মধ্যেই সেই আবেগঘন ৭১কে কিভাবে ছিনতাই করা হয়েছিল, তাও দেখেছি । আর বড় হয়ে বুঝেছিলাম, ৭১ আসলে ছিনতাই হয়েছিল ৭১-এই । কিন্তু অভাগা জাতিকে সেই সত্য আজো বুঝতে বাধাগ্রস্থ্য হয় আবেগ, গালাগালি, হিংস্রতা, খুন খারাবীর ভয় দেখিয়ে । এসব এর দিন শেষ হয়ে গেছে । সত্য সব সময় সত্যই থাকবে ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আামর লেখাটি কোনোভাবে আওয়ামীল লীগ তথা গুন্ডা লীগ, বিএনপি, আর রাজাকারের দলকে প্রমোট করে না। তারপরও আপনি লেখাটি পড়ে মনে কষ্ট পেয়েছেন জেনে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

৩০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:০৩

গহীনে রক্তক্ষরণ বলেছেন: “ কিন্তু অভাগা জাতিকে সেই সত্য আজো বুঝতে বাধাগ্রস্থ্য হয় আবেগ, গালাগালি, হিংস্রতা, খুন খারাবীর ভয় দেখিয়ে । এসব এর দিন শেষ হয়ে গেছে । সত্য সব সময় সত্যই থাকবে”। বাক্য ৩টার মধ্যে প্রথম বাক্যের সংশোধন - কিন্তু অভাগা জাতিকে সেই সত্য আজো বুঝতে বাধাগ্রস্থ্য করা হয় আবেগ, গালাগালি, হিংস্রতা, খুন খারাবীর ভয় দেখিয়ে ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আামর লেখাটি কোনোভাবে আওয়ামীল লীগ তথা গুন্ডা লীগ, বিএনপি, আর রাজাকারের দলকে প্রমোট করে না। তারপরও আপনি লেখাটি পড়ে মনে কষ্ট পেয়েছেন জেনে আমি ২য় বার দুঃখ প্রকাশ করছি।

৩১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:২১

কলাবাগান১ বলেছেন: পুলিশ মেরেছে ছাত্রকে আর ছাত্রের ছদ্মবেশে সুযোগ সন্ধানীরা মেরেছে পুলিশকে........এই মারামারিকে দিয়ে তারা ৭১ কে মুছে ফেলতে চায়......।
সাবিনা ইয়াসমিন যখন হাত বাড়িয়ে রেললাইনের পাশে দাড়িয়ে এই গান গান তখন বুকটা হা হা কারে ভরে উঠে
"সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে
এক মধ্যবয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে
সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে
এক মধ্যবয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে

খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না
খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না

দৃষ্টি থেকে তার বৃষ্টি গেছে কবে শুকিয়ে
সে তো অশ্রু মোছেনা আর গোপনে আঁচলে মুখ লুকিয়ে
দৃষ্টি থেকে তার বৃষ্টি গেছে কবে শুকিয়ে
সে তো অশ্রু মোছেনা আর গোপনে আঁচলে মুখ লুকিয়ে
শুধু শূণ্যে চেয়ে থাকে, যেন আকাশের সীমা ছাড়িয়ে

খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না

সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে
এক মধ্যবয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে

খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না
খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না

দস্যি ছেলে সেই যুদ্ধে গেলো, ফিরলো না আর
আজও শূণ্য হৃদয়ে তার গুমড়ে গুমড়ে যায় হাহাকার
দস্যি ছেলে সেই যুদ্ধে গেলো, ফিরলো না আর
আজও শূণ্য হৃদয়ে তার গুমড়ে গুমড়ে যায় হাহাকার
খোকা আসবে, ঘরে আসবে যেন মরণের সীমা ছাড়িয়ে

খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না

সেই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাড়ে দাড়িয়ে
এক মধ্যবয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে

খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না
খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না
খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না
খোকা ফিরবে, ঘরে ফিরবে
কবে ফিরবে, নাকি ফিরবে না"

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাংলালিংক প্রতিষ্ঠানের করা ছোট একটি টিভিসি, এটি সত্য ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্মিত হয়েছে।



৩২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৩

অন্তরন্তর বলেছেন: ঠাকুর ভাই বহুদিন পর আসলাম ব্লগে আপনার এ পোস্ট দেখে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি কাউকে মহান মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহীদ হয়েছেন তা কোন রাজাকার আলবদরদের ছানাদের দেবার প্রয়োজন আছে।
যেহেতু আপনি পোস্ট দিয়েছেন তাই আমার নিজের দেখা মুক্তিযুদ্ধের কিছু কথা বলি।আপনার গ্রাম থেকে আর গ্রাম প্রায় দুই মাইল হবে। শাহবাজপুর গ্রাম একগ্রামে এক ইউনিয়ন ছিল আগে থেকেই। অনেক বড় গ্রাম এবং ঢাকা সিলেট মেইন রোড সংলগ্ন হওয়ায় আমাদের গ্রামে অবর্ণনীয় অত্যাচার করেছে পাকি হানাদার বাহিনী ও তাদের পাচাটা রাজাকাররা। আমাদের গ্রামের ৯০০ মানুষ নিহত হয়েছে তন্মধ্যে হিন্দু ৭০% । পার্শ্ববর্তী গ্রাম কুচনি (৫০% হিন্দু ) , বুদ্দা ( ৭০% হিন্দু), মলাইশ ( ৯০% হিন্দু ) । এই চারটি গ্রাম আমার নিজের চোখে দেখা, এখনও চোখে ভাসে ৭ জন মানুষকে দাড় করিয়ে ব্রাস ফায়ার করে হত্যা করতে। আমার নিজ চোখে দেখা প্রায় ৭০ জনকে হত্যা করা। বয়স ৮ বছর হবার সুবাদে আমাদের বালকদের কিছু করেনি যদিও আমরা লুকিয়ে দেখতাম হানাদারদের অত্যাচার। শুধু এই চারটি গ্রামের প্রায় ৫০০০ নিরীহ মানুষ শহীদ হয়েছেন। অসংখ্য মানুষ দেশ থেকে পার্শ্ববর্তী আগরতলা, ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ইন্ডিয়া গিয়েছিলেন। যে পাঁচ হাজারের কথা বললাম তার মধ্যে হিন্দু হবে প্রায় ৪ হাজার।
যে পাকিবীজ মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করে এরা কেউ মুক্তিযুদ্ধ নিজ চোখে দেখেনি, তাছাড়া আপনি যত রকম প্রমাণই দেখান ওই কুলাঙ্গার জানুয়াররা বিশ্বাস করবে না। আর আমি মনে করি এদের বিশ্বাস করানোর কোন দরকার নেই। ইতিহাসে পৃথিবী ধ্বংস হবার আগ পর্যন্ত এই নরাধমরা ঘৃণিত থাকবেই। শুভেচছা রইল।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অন্তরন্তর ভাই, সালাম নিবেন। ভৈরব বাজারের সকল দোকান আড়ত ক্রেতা বিক্রেতা এক দুপুরে এইচএমজির ব্লাশ ফায়ারে আর শেলের আঘাতে মানব শূন্য বাজারে পরিণত হয়। এটি শুধু ভৈরব বাজারের ঘটনা না। সমগ্র বাংলাদেশে যতো গঞ্জের বাজার আছে সব বাজারে একই ঘটনা ঘটেছে। আপনি সঠিক বলেছেন তথ্য প্রমাণ নিয়ে আর কোনো বিতর্ক না। যা হয়েছে তা হয়েছে। সমাপ্ত।

৩৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১০ হাজার বছর আগে কোন একটা সভ্যতা কিভাবে গড়ে উঠেছে, কতজন লোক ছিল, কিভাবে তারা মারা গেছে তাও জানা যায় অথচ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ হইছে কতজন লোক মারা গেছে তা আমরা আজও জানতে পারলাম না রাজনৈতিক দলের ফায়দা লোটার কারণে।
সরকার আন্তরিক হলে এখনো শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা সম্ভব। আমার ধারণা সঠিক তালিকা প্রকাশ হলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি উভয়ই হতাশ হবে।

চমৎকার লেখাটি সামু ষ্টিকি করায় সামুকে ধন্যবাদ আপনাকে অভিনন্দন।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, বাংলাদেশে কি পরিমাণ মানুষ হত্যা হয়েছেন তার পরিসংখ্যান বার বার ইতিহাসের বইয়ে, পত্রিকা ম্যাগাজিন সহ নানান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও যদি প্রশ্ন আসে বিতর্ক আসে। থাকুক প্রশ্ন থাকুক বিতর্ক। ফিলিস্তিনিদের কারণে আজ হিটলারও ভালো মানুষ হয়ে গিয়েছেন। আগামীতে হিটলারের নাম হিটলার থেকে হযরত হিটলার নামে পরিচিত হবে বাংলাদেশ থেকে।


৩৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১৭

সামছুল আলম কচি বলেছেন: আগস্ট মাসে মুক্তিযুদ্ধের কথা কেন ?? অবশ্য ভাদ্র মাসে যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে !! মৃতের সংখ্যার ব্যাপারে আপনার কাছেও তো কোনও অকাট্য প্রমান নেই !!! মনে চাইছে, তাই লিখে দিলেন !! প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য সংখ্যা-তথ্যের জন্য কেউ চেষ্টাও করেনি !! চেয়ারে বসে শুধু হুক্কা-তামাকু খেয়েছে আর চুরি করেছে !! সম্পদ ফেলে পালানোদের সবাই হিন্দু জনগোষ্টির না মশায় !!! বরং বলেন যে স্বাধীনতার পরই হিন্দুদের ঘরবাড়ি বেশী দখল হয়েছে। কারা করেছে; হিন্দু ভাইয়েরা-ই তো দেখি মাঝে মাঝে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির দিকে এ জন্য আঙ্গুল তোলেন !! আপনি কী জানেন; স্বাধীনতার পর জাতীয়করন কৃত বাংলাদেশের ৭৮ টা জুট মিল, ৭৩ টা কটন/টেক্সাইল মিল এবং ১৮ টা সুগার মিলের মালিক বেশীর ভাগ কারা ছিল ??? ওই গুলা কোনও টং-মিস্টির দোকান বা ঘরবাড়ি কিংবা এদেশের কয়েক ব্যক্তির খাজানা বাক্স ছিল না !! সোনা-গহনা-সম্পদ বিক্রি করে, ব্যাংকে ধার করে, পশ্চিমা উন্নত কারিগরী প্রযুক্তি এদেশে এনে - সে সব করেছিল পাকিস্তানী-বিহারী ব্যবসায়ী'রা (স্বাধীনতার পর তারা তাদের সব সম্পদ ফেলে পালিয়েছিলো) ; যেখানে এ দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ চাকরী করতো। তারা একদম কম রেট-এ ফ্যক্টরীর নিজস্ব কম্পাউন্ডে থাকতো, ফ্যক্টরীর স্কুলে বাচ্চাদের পড়াতো, কল/কারখানা/ফ্যক্টরীর নিজস্ব যানবাহনে চলাচল করতো। পৃথিবীর সেরা ; শুধু আদমজী জুট মিলে ২৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতো মশায় (২০০২ সালে বিএনপি'র এক কুলাঙ্গার মন্ত্রী ওটা বন্ধ করে দিয়েছে) !!
অকর্মন্য আর মেরুদন্ডহীনেরা পারে শুধু- মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির দোহা্ই দিয়ে লুটপাট আর মানুষ হত্যা করতে !!
লেখালেখি যেহেতেু করেন; সততার তাগিদে সত্য কথা কিছু বলেন; নয়তো থামেন !!

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার লেখাটি কোনো রাজনৈতিক লেখা নয় তারপরও আপনি রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন। মৃতের হিসাব আছে শত সহস্র পত্রিকা ম্যাগজিনে ইতিহাসের বইয়ে, লেখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র ১৫ খন্ড। তারপরও আপনার কাছে নতুন করে তথ্য দিতে হবে - আপনি কে?

আপনার এতো কষ্ট পাওয়ার কারণ কি, কষ্ট কি একটু বেশি পেয়েছেন?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সামছুল আলম কচি সাহেব, সততা শব্দটি সকলের মুখে মানায় না। আপনি সততার কথা আর কখনও অন্তত আামার কাছে আর বলবেন না।


৩৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:১৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রাজাকারের ছানাপোনাদের কাছে একাত্তরে কোনো গণহত্যা হয়নি। এরা ২৪ নিয়ে আলোড়িড কিন্তু একাত্তর নিয়ে বিরক্ত।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দেশে সরকার আসে সরকার যায়। দেশের জনগণের সরকার নিয়ে শত সহস্র অভিযোগ থাকে জানি। লোভ লালসা সরকার দলে কিছু লোক থাকে লোভ লালসায় সরকার বিরুদ্ধেও কিছু লোক থাকে। কিন্তু স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যে এতো লোক আছে তা চিন্তার বিষয়।

৩৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীন বাংলাদেশ আমাদের অস্তিত্বের মূলভিত্তি। দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা শহীদের সংখ্যা নিয়ে কূটকচালি করছে, মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তারা সংবিধান পরিবর্তনের ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। শহীদের মর্যাদা সংখ্যা দিয়ে মাপা যায় না- একজন শহীদের রক্তও পুরো জাতিকে ঋণী করে দেয় আজীবন।

শহীদের মর্যাদা সবার ঊর্ধ্বে, তাদের ত্যাগ আমাদের জাতীয় গৌরবের মূল সোপান। যে শক্তি স্বাধীনতার চেতনাকে খাটো করার অপচেষ্টা করছে, তারা আসলে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। শহীদের রক্তের ঋণ কখনও শোধ করা যায় না, কেবল তা রক্ষা করতে হয় সততা, সাহস আর দেশপ্রেম দিয়ে।

শহীদের মর্যাদা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা মানেই বাংলাদেশের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। তাই এখন সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে আরও গভীরভাবে পৌঁছে দেওয়ার, যেন কোনো অন্ধকার শক্তি আর কখনো মাথা তুলতে না পারে। জা-শি দের চিরদিনের জন্য স্তব্ধ করে দেওয়ার সময় এখনই।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দেশবিরোধী আর স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এরা কারা? সত্যি সত্যি জানতে চাইছি এরা কোন দেশের মানুষ? ১৯৭১ এর যুদ্ধে নির্বিচারে গণহত্যা হয়েছে বাংলাদেশে এটি বিশ্ব স্বীকৃত। এখন আজ ৫৪ বছর পর এই নিয়ে বিতর্ক করছে কারা পাকিস্তানি নাকি বাংলাদেশি মানুষ! যদি এরা বাংলাদেশি হয়ে থাকে তাহলে এরা কোন বাংলাদেশের?

৩৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সত্য এভাবেই উঠে আসবে
..................................................................
বর্তমান অস্হির দুনিয়ায় আরও অনেক কিছু দেখতে
হতে পারে, তবে ৫৪ বৎসর পর যার জন্ম হয়নি
তাদের মুখে অশোভনীয় কথাবার্তা মানায় না ।
..................................................................
সামু টীম সত্যর পথে আছেন বলে তা ষ্টিকি করেছেন
এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দেশে কতো সরকার আসবে যাবে কে কার কথা মনে রাখে? অনেক সরকারের নামও মনে নেই চেহারা মনে থাকবে দূরের কথা। দেশে সরকার আসে সরকার যায়। দেশের জনগণের সরকার নিয়ে শত সহস্র অভিযোগ থাকে জানি। লোভ লালসা সরকার দলে কিছু লোক থাকে লোভ লালসায় সরকার বিরুদ্ধেও কিছু লোক থাকে। কিন্তু স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যে এতো লোক আছে তা চিন্তার বিষয়। তাও মুক্তিযুদ্ধের শহীদ আর নিহতের সংখ্যা নিয়ে এতো এতো অভিযোগ কারণ কি? দুঃখ কি?

৩৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় নিমো, এই দেশ আমার দেশ। এই দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করা প্রশ্ন করা আমার অধিকার।
কিছু হইলেই রাজাকার, পাদা আর পাকিস্তানে পাঠিয়ে দে। বিরাট আমার দেশ প্রেমিক আসছেন উনি। আপনার বাপের কেনা দেশে থাকিও না- আপনার চৌদ্দগুষ্টির পয়সায় খাইও না। এইসব ডায়লগবাজি অন্য জায়গায় কইরেন। আমি দেশে থেকে সরকারকে যে ট্যাক্স ভ্যাট দিই সেটা আপনার জমিদারি থেকে না। যে কোন প্রশ্ন আমি করতে পারি- এই ব্লগে সেই অধিকার আমার আছে। যাকে প্রশ্ন করি তার সমস্যা নাই কিন্তু আপনার এত চুলকায় ক্যান ভাই?

৩৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

পুরানমানব বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ লইয়া কাহারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নহে। তবে পাকিস্তানি মাসোহারা প্রাপ্ত জাতির পিতার ভুল করিয়া ৩০ লক্ষ্য বলিয়া ফেলার কারণে মানুষের মধ্যে ইহকালে আকাঙ্খা জন্মিয়াছে সত্য জানার। এখন প্রযুক্তি সহজলভ্য হ্যইবার কারণে সবাই বিভিন্ন জায়গায় ঘাটাঘাটি করিবার ফলে নানানরকম সংখ্যা উঠিয়া আসিতেছে। ইহার মানে এই না যে মুক্তিযুদ্ধকে কেহ অসম্মান করিতেছে। সত্য কখনো চাপা থাকিবে না। তবে দুই হাজার বলাটা বেমানান, ৩ লক্ষ্য হইলে হিসাবে মিলে মোটামুটি। ৩০ লক্ষ্য কেমন জানি বেখাপ্পা লাগে। আমারে আবার পাকিস্তান পাঠাইয়েন কেহ।
পোস্ট স্টিকি হইতে দেখিয়া ভাবিয়াছিলাম তথ্যবহুল লেখা। তেমন কিছু পাইলাম না, আপনার আবেগকে সম্মান জানাইলাম।

৪০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

পুরানমানব বলেছেন: আমারে আবার পাকিস্তান পাঠাইয়েন না কেহ।
মন্তব্যে একদম জায়গামতো ভুল হইয়া গিয়েছিলো :P

৪১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২০

কথামৃত বলেছেন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা একটি গৌরবময় ও বেদনাদায়ক অধ্যায়। বিভিন্ন historical source এবং গবেষণায় এই সংখ্যা ৩০ লক্ষ বলে উল্লেখ করা হয়।

এটি একটি আনুমানিক সংখ্যা, এবং কিছু গবেষক এই সংখ্যাকে প্রতীকী হিসেবে দেখেন, যা যুদ্ধের ভয়াবহতা ও ত্যাগের বিশালতাকে নির্দেশ করে। যুদ্ধের সময় ও পরে পরিচালিত জরিপ এবং গণকবরের evidence এই সংখ্যাকে সমর্থন করে।

এছাড়াও, যুদ্ধে ২ থেকে ৪ লক্ষ নারী নির্যাতনের শিকার হন, যা মানব ইতিহাসের অন্যতম বর্বর ও মর্মান্তিক অধ্যায়।

মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা

১. ৩০ লক্ষ সংখ্যাটির উৎস

এই সংখ্যাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রথম সরকারী ঘোষণা থেকে এসেছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই সংখ্যাটি উল্লেখ করেন। এটি ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর atrocities-এর ভয়াবহতা বিশ্বদরবারে তুলে ধরার একটি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত।

২. সংখ্যাটির প্রতীকী তাৎপর্য

ইতিহাসবিদগণ মনে করেন, এই সংখ্যাটি একটি প্রতীকী ও collective memory-র প্রতিনিধিত্ব করে, যা নিম্নলিখিত বিষয়গুলি symbolise করে:

· যুদ্ধের বিশালতা ও গণহত্যার ভয়াবহতা।
· জাতীয় identity-র অংশ হিসেবে sacrifice-কে স্মরণ করা।
· একটি সুনির্দিষ্ট গণনা অসম্ভব ছিল, কারণ যুদ্ধপরিস্থিতিতে লাশ গণনা, নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া বা গণকবর দেওয়া হয়েছিল।

৩. গবেষণা ও বিকল্প অনুমান

কিছু academic ও বিভিন্ন demographic model-এর মাধ্যমে ভিন্ন সংখ্যা দিয়েছে (e.g., ৩ লক্ষ থেকে ২৬ লক্ষ পর্যন্ত), কিন্তু সেগুলো বাংলাদেশের mainstream history-তে দেয়া হয়নি। সরকারীভাবে ও জাতীয়ভাবে ৩০ লক্ষ শহিদ-এর সংখ্যাটিই শ্রদ্ধার সাথে সংরক্ষিত।

৪. সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণযোগ্যতা

বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষ্যক্রম, monument (সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ), ও সরকারী discourse-এ এই ৩০ লক্ষ সংখ্যাটিই অত্যন্ত মর্যাদার সাথে ব্যবহার করা হয়। এটি কেবল একটি সংখ্যা নয়, বরং একটি জাতির collective sacrifice-এর চিহ্ন।

সারমর্ম:

৩০ লক্ষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ-এর সংখ্যা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত, এবং জাতীয় identity-র সাথে গভীরভাবে যুক্ত। এটি historical sources, আন্তর্জাতিক reports ও জাতীয় স্মৃতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত একটি symbol যা বাংলাদেশের জনগণের অসামান্য ত্যাগের প্রতীক।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।


৪২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের গ্রামে অজিত নামে একজন শহীদ হয়েছে। রাজাকার যখন হিন্দু বাড়িকে জামায়াতে ইসলামের বাড়ি বলছিল তখন অজিত মুক্তি দা বলে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে এসেছে। তখন হানাদার তাকে গুলি করে মারে এবং রাজাকারের পাছায় বন্দুক দিয়ে বাড়ি দিয়ে বলে এ ক্যাসা জামায়াতে ইসলাম হ্যায়? এ ছাড়া আমাদের গ্রামে কোন সমস্যার কথা শুনা যায়নি। আমাদের গ্রামে কোন রাজাকার ছিল না। যে রাজাকারের কথা বললাম সে ছিল পাশের গ্রামের। আমাদের এলাকায় মানুষ পরে তাঁকে খুব সম্মান করতো। তিনি বিপুল ভোটে বাজার কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন। পরে তাঁকে জামায়াতে ইসলামের রাজনীতিতে যুক্ত হতে দেখিনি।আমাদের গ্রামের দু’জন মুক্তিযোদ্ধার একজন ডাকাত ও অন্যজন পুলিশ ছিলেন। যিনি ডাকাত ছিলেন তাঁর পরিবার আওয়ামী লীগ। যিনি পুলিশ তাঁর পরিবার বিএনপি। ডাকাতের পরিবারের কেউ এখন ডাকাতির সাথে যুক্ত নয়। আওয়ামী লীগের বিপদের দিনেও তাদের প্রতি মানুষের সমিহ আছে। কারণ ডাকাত সাহব নিজ এলাকায় ডাকাতি করতেন না। আর তিনি দুষ্ট লোকদের সম্পদ লুট করতেন। তাঁর গ্যাং এর সদস্যদের সবাইকে মানুষ ভালোবাসে।

৪৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:১৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: @পুরানমানব, রাজাকারের বাচ্চারা নিজেদের পরিচয় লুকাতে চাইলেও মন্তব্যে বোঝা যায়। এই যে দেখুন আপনার পাকি বাপ কী বলে? এ কিন্তু আপনার গোলাম আজম, চন্দ্রমানব সাঈদি বা নিজামীর নাম বলেনি। মুক্তিযুদ্ধ, শেখ, শহিদ এ জাতিয় ইস্যু সামনে আসলে রাজাকার শাবকদের কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। পুরোনো ক্ষত জেগে উঠে।

৪৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১৬

নিমো বলেছেন: @পুরানমানব,মাসোহারা যেহেতু নিয়েছে তার প্রমাণও নিশ্চয়ই আছে। সেটা একটু দেখানতো। এখন আবার বলিয়েন না অমুক লেখক তমুক বইয়ে এটা দাবি করেছেন। আপনারা যোহেতু প্রমাণ চান, তাই আমিও চাইলাম। দেখিয়েন আবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোন জালিয়াতি আমদানি করিয়েন না।

৪৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৫৮

রোবোট বলেছেন: বাংলাদেশ বা তার আগে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা গ্রাফ পেপারে প্লট করুন। ৫৫, ৬০, ৬৫, ৭০, ৭৫, ৮০, ৮৫..
দেখবেন ৭৫ আগের বা পরের ট্রেন্ড অনুযায়ী ৭০-৭৫ এ জনসংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। তার কারণ হলো ১৯৭১ এ লাখো মানুষের মৃত্যু। সবাই যে পাক বাহিনীর গুলি-বোমায় নিহত হয়েছে তা না। যুদ্ধজনিত কারণে যে অনাহার বা রোগের মৃত্যু, সেটা কি ৭১এর শহীদের হিসাবে আসবে না?
এই হিসাব চাওয়া লোকজন কিন্তু আর কোনো গণহত্যার হিসাব চায় না।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মাতা পিতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য, প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য, ভাই বোনের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য, দেশের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য এইগুলো বুঝতে হলে জানতে হলে বিবেক থাকতে হয়। দেশবিরোধী কার্যকলাপে যরা জড়িত তাদের বিবেক থাকে না। এরা দেখতে মানুষের মতোই কিন্তু সঠিক মানুষ না। আপনি যতো অংক দিয়েই বোঝাতে চেস্টা করুন সম্ভব না। মগজ ধোলাই হয়ে গিয়েছে আর কাজ করবে না।

৪৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমার দাদীর কাছে মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনেছি, আমার বাবা ছিলেন মুক্তি যুদ্ধা, বড় চাচা আর্মি। পাকিস্তানে বন্ধি ছিলেন স্বাধীনতা উত্তর চাকুরীতে বহাল ছিলেন। ওরা মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে গর্ব করতেন। একদম ইয়াং দুই চাচা পুরো ৯ মাস যুদ্ধ করেননি ২৫ দিন আগে বাড়ি চলে আসছিলেন। বাড়ির পাশে ছিল পাকিস্তানি আর্মির বিশাল ক্যাম্প। পাকিস্তানিদের লাগানো আগুনে আমার বাড়ির গরুর খাওয়ার খর ৭দিন জ্বলেছিল। মায়ের মূখে শুনেছি পাকিস্তানিদের ভয়ে মা নাকি ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থেকেছেন, কুচুরীপানা মাথায় দিয়ে পানিতেও লুকাতেন। আমাদের পরিবারের ২৫ জনের উপরে মুক্তি যুদ্ধা রয়েছে। আমাদের গ্রামের রাজাকারও ছিল। দুইজন রাজাকারকে মেরে ফেলেছে স্বাধীণতার পরপরই। আর একজনকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন এই বলে সে নাকি মুক্তিযুদ্ধাদের উপকার করতেন। আমার গ্রামের রয়েছে কয়েকজন কমান্ডার, একজন বীর প্রতীক । যুদ্ধের বয়াবহতা যে কি ছিল আমার অঞ্চলের সবাই বলতে পারবে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ঘরের শত্রু বিভীষণ। আজ যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন করছে মুক্তিযুদ্ধের হতাহত নিয়ে প্রশ্ন করছে এরা কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের মানুষ। তবে কোন বাংলাদেশের মানুষ আমি জানি না।

১৯৭১ এ ও একদল লোকজন পাকিস্তানের পক্ষে চলে যায়, তারা বাড়ি বাড়ি আগুন দেয় লুটতরাজ করে। নিরহ নিরস্ত্র মানুষ সহ নারী ও শিশু নির্যাাতন করে হত্যা করে। খুব নির্মম ভাবে হিন্দুদের হত্যা করে। আজ নিহত ও শহীদের সংখ্যা নিয়ে তারা প্রশ্ন করছে কারণ তারা অতীতে একই করেছে। দেশের প্রতি এতোটা বিরুদ্ধাচরণ সত্যি সত্যি দেশের জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়।

৪৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:১১

বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগে আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি, কিন্তু আপনার এ পোস্টে একটা লাইক এবং আপনাকে একটা ধন্যবাদ না দিলে নিজের বিবেকের কাছে দায়ী থাকবো বলে আবার লগইন করা।

আমি একটু ভিন্ন ভাবে বিষয়টা বলতে চাই। ধরি আমার একটা বিশাল পরিবার আছে যার সদস্য সংখ্যা কয়েক কোটি, এখন এ পরিবারের কয়েক লক্ষ সদস্য কে যদি হত্যা করা হয় তবে আমি এ পরিবারের সদস্য হয়ে কি এর জন্য দুঃখ, কষ্ট, ক্ষোভে জর্জরিত থাকবো না নিহত সদস্যর সংখ্যা বেশি বলা হয়েছে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকবো! নিহতের সংখ্যা বেশি বলা হলো কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকবে যারা এ দেশীয়........
আর এসব প্রশ্ন যারা তুলেন তারা কেউ ইতিহাসবিদ বা গবেষক নন যে সত্য/মিথ্যা নির্ণয়ের নির্মোহ আকাঙ্খা থেকে এসব প্রশ্ন করেন। তাদের ৭১ এর শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটাই কারণ থাকে, ৭১ কে ছোট করার চেষ্টা করা।

ধন্যবাদ।


২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাংলাদেশের মানুষ কি পরিমাণ অভাবে ছিলো কষ্টে ছিলো তা কিন্তু আমি আমার পোস্টে লিখেছি। অভাবের তাড়নায় পেটের ক্ষুধার জ্বালায় ভাত যোগার করবে নাকি মৃতের সংখ্যা মনে করে বিলাপ করবে? আজ এখন ২০২৫ সনে এখনও যদি গরিব পরিবার লক্ষ্য করেন - দেখতে পাবেন মাতা পিতার লাশ সন্তানের লাশ কবরে নামিয়ে দিন মুজুরি করতে কাজে চলে গিয়েছে।

বাংলাদেশে ১৯৭১ এর যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষেরও অধিক মানুষ নিহত ও শহীদ হয়েছেন। এই সংখ্যার কোনো ভুল বা মিথ্যা প্রমাণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এই ক্ষতি সমগ্র বাংলাদেশের ক্ষতি, এই ক্ষতি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের ক্ষতি না, দেশবিরোধীদেরও ক্ষতি না। তাই তারা প্রশ্ন করতেই পারে কিন্তু প্রশ্নের বিপরীতে সলিড কোনো ডকুমেন্টস তাদের কাছে নেই।

সব সময়ই সরকার বিরোধী লোকজন থাকে, থাকতেই পারে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী যারা এরা দেশবিরোধী। দেশবিরোধী লোকজন সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর, দেশের জন্য ক্ষতিকর এমনকি সে তার নিজ পরিবারের জন্যও ক্ষতিকর।

৪৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৪৬

লোকমানুষ বলেছেন: লেখাটি পড়তে গিয়ে বুকের ভেতর চাপা কষ্ট আর গর্ব একসাথে জেগে উঠলো। ইতিহাসের মহান এই অধ্যায়ে সন্দেহ তোলা বা অপপ্রচার ছড়ানো মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, যুদ্ধে শহ‌ীদদের সংখ্যা নিয়ে এখনো যারা প্রশ্ন তোলে, তারা আসলে শহীদদের রক্তের মর্যাদা বোঝে না; দেশপ্রেমের মূল্য বোঝে না।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দিনের পর দিন আমি মানুষের লেখা পড়েছি, মানুষের কথা শুনেছি। লেখাগুলো পড়ে এইটুকু বুঝতে পারছি এদের মগজ ধোলাই হয়ে গিয়েছে। কোনো কিছু দিয়ে আর বুঝিয়ে কাজ হবে না। সরকার বিরোধী আর দেশ বিরোধী এক না। এরা দেশবিরোধী মানুষ।

৪৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:২৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সামনে আরও অনেক কিছু দেখবেন

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি জানি আরও অনেক কিছু দেখতে হবে। কিছু করারও নেই। ঘরের শত্রু যদি বিভীষণ হয় তাহলে আর কিইবা করার থাকে!



৫০| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৪২

পুরানমানব বলেছেন: অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: @পুরানমানব, রাজাকারের বাচ্চারা নিজেদের পরিচয় লুকাতে চাইলেও মন্তব্যে বোঝা যায়। এই যে দেখুন আপনার পাকি বাপ কী বলে?
@অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য আমার কোন পাকী বাপ নাই, বাংলাদেশি বাপ আছে এক খানা।
মোদির বীর্যের তেজ কমে নাই এখনো? আপনার মাম্মার লগে গেলেই পারতেন দিল্লি। চামার কোথাকার।

৫১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:৪৩

জনারণ্যে একজন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের অনেক অনেক পরে আমার জন্ম। দেশ ছেড়েছি তাও অনেকদিন হয়ে গেলো। সত্যি বলতে কি - দেশ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন কোনো আবেগ কাজ করে না। বাবা-মায়ের মুখে ওই সময়ের কথা শুনেছি। ছোট ছিলাম তখন - জানিনা কতটুকু বুঝতে পেরেছিলাম। বড়ো হওয়ার পরেও মনে হয়না তেমন বোঝার কিংবা জানার চেষ্টা করেছি। যে দেশের নিরানব্বই শতাংশ মানুষ অসৎ, মিথ্যাবাদী, ভন্ড, ইতর, মৌলবাদী, জোচ্চোর - সেই দেশ নিয়ে আমার আর কোনো ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই। আর সুনির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতার জন্য বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে মতামত জানানোও সম্ভব নয়।

তবে দেশ নিয়ে আপনার আবেগ, ভালোবাসা আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে। কিছু কটু কথা বলেছিলাম, ক্ষমা চাইছি এজন্য।

ভালো থাকবেন আপনি। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। আপনাদের মতন মানুষ আজ বড়ো প্রয়োজন ওই দেশের।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি জানি না, সত্যি সত্যি জানি না এই অভাগা দেশের সমস্যা কোথায়? লক্ষ্য করুন ১৯৭১ এর যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা ও বাংলাদেশি রাজাকার মিলে বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে আর আজ সেই হত্যা জায়েজ করতে হত্যার সংখ্যা নিয়ে যারা বিতর্ক করছে তারা বাংলাদেশি। জানি না এরা কোন বাংলাদেশের আর আমি আপনি কোন বাংলাদেশের। জানি না সত্যি সত্যি জানি না, এই দেশে এতো এতো দালাল কিভাবে জন্ম নিলো।

আপনার ভালোবাসা সন্মানে আমি কৃতজ্ঞ আমি ঋণী। আপনিও ভালো থাকবেন আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা।

৫২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:০১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: @পুরানমানব, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা সন্দেহ পোষণ করে তারা হয় পাকি জন্মা অথবা বেজন্মা। ব্যাটা তোর পাকি বাপ যেহেতু নাই তাহলে তুই বেজন্মা। বাংলাদেশে থেকে একাত্তর নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে সেটা নিয়ে গর্ব করিস, লজ্জা করে না? আমার কোনো মন্তব্যে বা লেখ‍ায় কি মনে হয়েছে আমি ভারতপ্রেমী? তোর মতো বেজন্মাদের জন্য শেখ হাসিনাই ঠিক ছিল। আগে তোরা বলতি একাত্তরকে আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করেছে। এখন তো দেখা যাচ্ছে খারাপ হলেও যতটুকু সম্মান ওই আওয়ামী লীগই দিয়েছে। তোর মতো বেজন্মারা তো একাত্তরে বিশ্বাসই করে না। আবার বিরাট দেশপ্রেমিক সাজে।

৫৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:২১

পুরানমানব বলেছেন: @অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য
মুরুক্ষসোধা, সুধীর ভাই, আমার মন্তব্য খানা আবার পড়িয়া দেখ মুক্তিযুদ্ধ লইয়া কোন সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছি কিনা।
তোর বাপ মুজিবের বলা সংখ্যা লইয়া আমার মত কোটি কোটি মানুষের কনফিউশান আছে যার পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি তর্ক আছে। মন্তব্যে আমার মতখানা খুব ভদ্রভাবে প্রকাশ করিয়াছিলাম। তুই হুদায় আমারে পাকী বানাইতে আইলি কেন?
বেজন্মা ইতর। ৮ বছর ব্লগিং করিয়া আমার মতো বাচ্চার সহিত গাইল খাইয়া লজ্জা থাকলে চুপ করিয়া থাকবি সামনের ৮ বছর।

৫৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৮:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: কল্পনা করুন, আজ থেকে ৫০ বছর পরে স্বাধীন দেশ প্যালেস্টাইনে একজন গাজাবাসীর সাথে আপনার দেখা হয়েছে। ধরা যাক, তার নাম মাহমুদ, বয়স ৬৮। ইসরাইল ৫০ বছর আগে যখন গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল, তখন মাহমুদের বয়স মাত্র ১৮। নরকের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মাহমুদের বেঁচে ফেরার কথা ছিল না। যে কোনো সময় শক্তিশালী বোমার আঘাতে উড়ে যেতে পারতো ১৮ বছটের সেই তরুন। কোনো ধ্বংসস্তূপের নিচে মাটিচাপা পড়ে পচে-গলে যেতে পারতো তার শরীর। আইডিএফ-এর গুলি ঝাঁঝরা করে দিতে পারতো তার বুকের পাঁজর আর শিরদাঁড়া।

তখন নির্বিচারে গুলি করে, বোমা ফেলে দিনের পর দিন গণহত্যা চালাচ্ছিল ইসরাইল। লক্ষ লক্ষ গাজাবাসী প্রাণভয়ে সন্তানকে বুকে জড়িয়ে, সামান্য খাবারের পোটলা হাতে একবার গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণে, আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটে যাচ্ছিল। একই দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তি চলছিল দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। নরকযন্ত্রণায় দিন-রাত্রির পার্থক্য গিয়েছিল মুছে। শুধু আতঙ্ক, কখন আবার বোমা পড়ে! এ এক পরিকল্পিত গণহত্যা। এর সাথে ভয়ংকর যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল দুর্ভিক্ষ, যাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় সমগ্র গাজাবাসী।

সেই হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি সদ্যোজাত শিশু। ১২ বছরের কিশোরের বুক লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল চল্লিশটিরও বেশি গুলি। ১৩ বছরের স্কুলগামী কিশোরীকে হত্যার জন্য সব গুলি খরচ করা হয়েছিল স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের। ত্রাণ আনতে যাওয়া ১২ বছরের ছেলেকে আটার বস্তা মাথায় নিয়ে ফেরার পথে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল ইসরাইল ও তার দোসরেরা। সেই গণহত্যা থেকে রক্ষা পায়নি গর্ভবতী নারী, অশীতিপর বৃদ্ধ, এক-দুই-পাঁচ বছরের শিশু, ১০ বছরের কিশোর, ১২ বছরের কিশোরী। হত্যা করা হয়েছিল সকলকে, সব কিছু। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা, প্রতিটি দালান, রাস্তা, পার্ক, অফিস, দোকান।

এই নির্মম গণহত্যা, ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ আর বিদীর্ণ নরকযন্ত্রণার সাক্ষী মাহমুদ। তার সাথে যখন আপনার দেখা হলো, আপনি প্রশ্ন করলেন, “ইসরাইল-হামাসের যুদ্ধে তো মাত্র ৬০ হাজার মানুষ মারা গেছে, রেকর্ড তো সে কথাই বলে। এই যুদ্ধে প্রকৃত শহিদদের সংখ্যা আপনি কত মনে করেন?” মাহমুদ এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেন না। তার মুখে যেন কেউ কালি লেপে দিল। তিনি কোনো কথা বললেন না, শুধু নীরবে ব্যথিত হলেন। কী এমন বাক্য আছে যা দিয়ে এই গোঁয়ার ও অমানবিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়?

মাহমুদ জানেন, গাজার গণহত্যায় নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার নয়। এটা ইসরাইলি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার তৈরি ভুয়া সংখ্যা। প্রকৃত সংখ্যা অন্তত চার লাখের বেশি। কিন্তু সংখ্যাটা আসল বিষয় নয়। তিনি যে নির্মম গণহত্যা ও ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ নিজের চোখে দেখেছেন, তার দুঃখ-বেদনা, ক্ষোভ আর হতাশা কোনো সংখ্যায় প্রকাশ করা যায় কি? সন্তানের মৃত্যুর যন্ত্রণা কি সংখ্যা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়? পুরো পরিবার হারানোর বেদনা কি কোনো পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝানো সম্ভব হবে?

গণহত্যাকে সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যায় না। যখন রাজাকার-আলবদরেরা শহিদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন তাদের প্রশ্নটি ইতিহাসক জানার কৌতূহল থেকে নয়, করা হয় মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে। এতদিন মুক্তিযুদ্ধ ছিল তাদের অপরাধী মুখকে আয়নায় দেখানোর নাম, এতদিন তারা এটাকে চাপা দিতে পারলে বাঁচতো; কিন্তু এখন সুযোগ এসেছে একে প্রশ্নবিদ্ধ করার।

অপরাধী থেকে একেবারে নায়ক সাজার সুযোগ এবার পেয়েছে তারা। সুযোগ যখন পেয়েছে, সমানে তারা মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে, ব্যঙ্গ করে চলেছে, একে বস্তাপচা বলার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের তারা বলা শুরু করেছে "বিশ্বাসঘাতক", আর রক্তপিপাসু হানাদারদের নাম দিয়েছে "শহিদ"। তারা বলে, "হেমা মালিনির নাচ দেখে বীর মুক্তিযোদ্ধা।" এই ধরনের বক্তব্য নিছক রসিকতা নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধকে ব্যঙ্গ ও খাটো করার উদ্দেশ্যমূলক প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ঐতিহাসিক বাস্তবতা নয়, বরং একটি তুচ্ছ ঘটনা।

৭১ এ ত্রিশ লক্ষ মানুষেে নিহত হওয়ার কথা বহু আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ সংখ্যা কমবেশি হতে পারে, কিন্তু তাতে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব কমে না। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনা আর স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও লুটপাটের রাজনীতি দুটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু রাজাকার-আলবদরেরা সচেতনভাবে ঐতিহাসিক ঘটনার সাথে এই ঘটনাকে মেশাতে চায়।

মুক্তিযুদ্ধ ছিল হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির শক্তিগুলোর মহাসংঘটন। তার কেন্দ্রে সবচেয়ে স্পষ্ট ও প্রধান ছিল অসাম্প্রদায়িকতা। ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি মুক্তির লড়াইয়ে এক হয়েছিল। ধর্মের নাম করে যারা প্রতারণা, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে চেয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালির আধুনিক মনন, প্রগতিশীল চেতনা ও সাম্যের আকাঙ্ক্ষার সুস্পষ্ট ঘোষণা।

ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাস বা ধর্মীয় পরিচয়ের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সংঘাত ছিল না; বরং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল এমন এক আধুনিক রাষ্ট্র গঠন, যেখানে রাষ্ট্র ধর্মের ঊর্ধ্বে থেকে সকল নাগরিককে সমান মর্যাদা দেবে। ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সেকুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শপথই আমরা নিয়েছিলাম।

অর্থনৈতিক বৈষম্য মোচন আর সাম্যের লড়াইও ছিল মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ ছিল এটি। মুক্তিযুদ্ধ মানে দাসত্ব থেকে মুক্তি, আত্মমর্যাদা অর্জন আর বিশ্বসভায় মাথা উচু করে দাঁড়ানোর অদম্য প্রেরণা।

হায়, সেই স্বপ্ন আজ ধূলিসাৎ হতে চলেছে! মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পরিকল্পিতভাবে বিকৃত করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য আমাদের আত্মশক্তি ভেঙে দিয়ে পাকিস্তানি দাসত্বের মানসিকতায় ঠেলে দেওয়া। কিন্তু আমরা ভুলিনি যে, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের রক্তে লেখা আর তাকে কখনোই মুছে দেওয়া যাবে না।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



একটি বিশেষ প্রতিমন্তব্য:

স্বাধীনতার আজ পঞ্চাশ বছর পর কেউ বা কোনো দল যদি এসে বলে, না তারা ত্রিশ লক্ষ হত্যা করে নি। তারা তিনশত মানুষও হত্যা করেনি! তারা হত্যা করেছে মাত্র তিনজন! আর তিনজন হত্যা করেছে পেঁয়াজ রসুন কাটার ছোট চাকু দিয়ে, আস্তে আস্তে গলা কেটেছে যাতে বেশি ব্যথা না লাগে। গলা কাটার সময় তারা সান্তনাও দিয়েছে “বাবা বেশি ব্যথা লাগবে না, এই যে আস্তে আস্তে গলা কাটছি, এই যে মাত্র দশ সেকেন্ড, এই যে কাজ শেষ।

- এখন করণীয় কি?:


৫৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:১৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: দেশ ভাগ আর স্বৈরাচার শাসক হটানো
এক জিনিস নয় যারা বলবে মুক্তিযোদ্ধা
জুলাই আগস্ট একই তারা ভুল বলবে
দুটাই আলাদা জিনিস---------

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কবি সাহেব। আপনি বুঝতে পেরেছেন জেনে আমি কৃতজ্ঞ। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।


৫৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭

কালো যাদুকর বলেছেন: সবার কথা গুলো আপনি বলে দিলেন। এইজন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি ।

কতজন মারা গেল সেটি বড় কথা নয়। এই কথা গুলো বলে মুক্তি যুদ্ধ কে প্রশ্ন করা হচ্ছে , এইটিই প্রধান সমস্যা।

বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুল করে না, এবার করবে না । এই অমানুষদেরও একদিন বাংলাদেশের মানুষরা ফিরিয়ে দেবে । ওয়েট এন্ড সি ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দেশে এখন ঘরে ঘরে শিক্ষিত মানুষ! বিবিএ পাশ এমবিএ পাশ, তবে কেমন শিক্ষিত জানি না। শিক্ষিত মানুষ কেমন করে ম্যানিপুলেটেড হয়েছে কাদের দ্বারা ম্যানিপুলেটেড হয়েছে যে, দেশবিরোধী হয়ে গেলো, স্বাধীনতা বিরোধী হয়ে গেলো, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হয়ে গেলো?

৫৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমাদের মহান মক্তিযুদ্ধকে কেন বার বার প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় ? সংখ্যা একটু এদিখ সেদিক হতে পারে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অবদান বিশ্বাসতো থাকা উচিৎ সব প্রজন্মের।

সরকার পরিবর্তন হলে ইতিহাস পরিবর্তন হয় এদেশে তাইতো আজ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে নতুন প্রজন্ম অন্ধকারে এর দায় ভার কার ? পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র যদি সঠিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ না শিখায় এর ফল তো আমাদেরই ভোগ করতে হবে। ভালু থাকনু। ওপারে ভালো থাকুক সবল শহীদগণ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভালো করলে ভালো পাবেন মন্দ করলে মন্দ। যেমন কর্ম তেমন ফল। অর্থাৎ যার যার নিজের দায়ভার।

৫৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:১৩

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমার অস্তিত্ব, আমার গর্বের ধন, আমার স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে যারা তামাশা করে ওরা করা??

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



এরা কেউ না। এরা পরিচয়হীন মানুষ।


৫৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬

ক্লোন রাফা বলেছেন: Click This Link
জেনারেল নিয়াজীর ১৯৭১ সালের ২০শে আগস্টেই বলেছিলো ১৫/২০ লক্ষ। এটা ৩০ লক্ষের বেশি ডিসেম্বরে ১৬ তারিখ পর্যন্ত।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



হত্যাকারী ও হত্যাকারীর সহযোগী ও তাদের উত্তরসূরি, মগজ ধোলাই হয়ে তেলাপোকার জীবন যাপন করছে। এছাড়া তাদের আর কিইবা করার আছে।

৬০| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৪

জাদিদ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে সময় নিহত মানুষের লোক সংখ্যা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। তারা এক জন মারুক আর দশজন - সেটা আমার কাছে কোটি মানুষ হত্যার সমতুল্য।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



একটি বিশেষ প্রতিমন্তব্য: -

ধরে নিচ্ছি ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ না মাত্র তিনশত মানুষ হত্যা হয়েছেন! না, না তাও না, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে মাত্র তিন জন মানুষ হত্যা হয়েছে। হত্যা করেছে কারা? - পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকার। আর নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন করছে কারা, কেনো প্রশ্ন করছে আর এই প্রশ্নের কারণ কি, এদের পরিচয় কি? মিনিমাম কোনো উত্তর তো প্রয়োজন নাকি?

৬১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব দরকার ছিল এমন একটি পোস্টের। ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্যে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি একটি বিষয় বুঝতে পারছেন? হত্যা করেছে পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি রাজাকার। - আর হত্যার পক্ষে হত্যার সংখ্যা যাচাইয়ে প্রশ্ন করছে বাংলাদেশি! - এরা কেমন বাংলাদেশি?

৬২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: আপনার সাথে একমত। আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় টগবগে তরুণী ছিলাম । এই ভাবে প্রটেষ্ট করেছি প্রসেসান বের করেছি । সামনের সারিতে লেখা হাতে ছিলাম তাই কেউ(বিহারী) ফটো তুলে পাকিস্তানীদের হাতে দিয়েছে । ব্লাকমেলিং করেছে বাবার সাথে। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে । অনেক স্মৃতি আছে । লেখা যায় । লেখা হয়নি । তবে এখন যা ঘটছে তাতে আহত হচ্ছি। আমার দেশ ভালো নাই। মানুষ ভালো নাই। কিন্তু তারুণ্য নাই। ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো শক্তি নাই।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



রাজনীতি আর দেশবিরোধী কার্যকলাপ এক না। এরা দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়েছে। যারা তাদের ইউজ করছে তারা তাদের টয়লেট টিস্যুর মতো ব্যবহার করে আবার ফেলে দিবে।


৬৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:১৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আবেগময় পোস্ট। তবে, স্টিকি হওয়ার মতো নয়।

আরো, তথ্যবহুল করা যেতো।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি ব্লগের এডমিন হলে শ্রাবণধারা’র একটি পোস্ট Click This Link মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী অপশক্তি, হুঁশিয়ার! এই পোস্ট অবশ্যই ষ্টিকি / পিনপোস্ট করে দিতাম। আমি লেখালেখির ওজন বুঝি।

৬৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদের নিয়ে যারা এখনো প্রশ্ন করেন, তারা বুঝ দিলে বলেন না।

খোদা তাদের ক্ষমা করুন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সব অপরাধ খোদা ক্ষমা করতে পারেন না। তিনি আমাদের কাছে অঙ্গিকারবদ্ধ।


৬৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০

বিজন রয় বলেছেন: আগেই বলেছি এটা অত্যন্ত মূল্যবান পোস্ট।
সঠিক সময়ে সঠিক পোস্ট। খুবই দরকার এমন সব পোস্টের।

আশাকরি আরো আসবে এমন পোস্ট।

সামুকে ধন্যবাদ স্টিকি করার জন্য।
আর এটি অনেক দিন স্টিকি থাকবে আশাকরি।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮

আরইউ বলেছেন:



এই পোস্ট ব্লগের অনেকেরই পছন্দ হয়নি, ভালো লাগেনি, খুব ব্যাথা পেয়েছে অনেকে। অনেক জামাত-শিবির-রাজাকার ছানাপোনা হাজিরা দিয়ে গেছে, অনেকে লুকিয়ে পোস্ট পড়ে পশ্চাৎদেশে ব্যাথা নিয়ে ফিরে গেছে। কেউ কেউ দেখছি পোস্ট স্টিকি হওয়ায় নিজের হত্যাকারী ধর্ষক রাজাকার বাপ-দাদাদের কথা মনে পরে গেছে বলে স্টিকি হওয়ার মত নয় বলে মতামত জানিয়ে গেছে। খুব ভালো!

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



যারা মন্তব্য করছেন প্রশ্ন করছেন আমি আমার জানামতে সাধ্যমতে উত্তর দিতে চেষ্টা করছি। কিন্তু আমার প্রশ্নের তো কেউ উত্তর দিচ্ছেন না। ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে নিরহ নিরস্ত্র মানুষ নির্মমভাবে হত্যা হয়েছে। হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আর বাংলাদেশি রাজাকার। এখন এই হত্যার সংখ্যা যারা যাচাই করতে চাইছে বা যারা বলছে ত্রিশ লক্ষ নিহত ও শহীদ হয়নি এরা কারা? এরা কার পক্ষে প্রশ্ন করছে? এর উত্তর কে দিবে?

৬৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২০

নাহল তরকারি বলেছেন: আমিও দেশপ্রেমিক। কিন্তু হ্যা, এটা ঠিক যে, আমি হয়তো ১৯৭১ সালে সাহস করে যুদ্ধ যেতে পারতাম না। এই যুদ্ধের পেছনে ভারত ও পাকিস্তানের কি যে রাজনৈতিক কু-মতলব ছিলো কে জানে? তাদের শত্রুতার জন্য আমাদের দেশে যুদ্ধ হয়েছে। যাই হউক। এই যুদ্ধের ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছি এটা বড় কথা।

আমরা জানি ভারত ও পাকিস্তান ভাগ হয়েছে হিন্দু মুসলিম দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে। ইংরেজ আমল থেকেই মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে শত্রুতা চলে এসেছে। এখন ভারত তো চাইবেই পাকিস্তান কে শায়েত্বা করতে। কারন তারা মুসলিম। মুসলিম কে শায়েস্তা করলেই ভারত নিজেকে নিরাপদ মনে করে।

ধরলাম পাকিস্তানী অনেক হিন্দু মেরেছে। হিন্দু মেরেছে ধর্মীয় বিশ্বাসে না। তাদের র এর এজেন্ট বা মুক্তিবাহীনির সাথে লিংক আছে সন্দেহে হত্যা করা হয়েছিলো। এই মুক্তিবাহীনির সন্দেহে মুসলিমদেরও কিন্তু হত্যা করা হয়, সেটা তো কেউ বলে না।


আর শহীদের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কেন? সরকার বা রাষ্ট্র এই নিয়ে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করেছে না কেন? এই কাজ তো ১৯৭২ সালের মধ্যেেই কমপ্লিট করার দরকার ছিলো।তখন করলে মিনিমাম ৯৮% নিভুর্ল তথ্য পাওয়া যেতো। এখন তদন্ত করলে কতটুকু সত্য পাওয়া যাবে, সেটা বলার বাহিরে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।


৬৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২১

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আমাকে কেউ দেশ বিরোধী মনে করিয়েন না।

৬৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: @ নাহল তরকারী,ঠাকুর ঘরে কে———-।আপনার লেখাই বলে দেয় আপনি কোন পক্ষের।

৭০| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২৮

আমি নই বলেছেন: ব্যাস্ততার কারনে পরে আসতে পারি নাই, আপনাকে বলেছিলাম প্রশ্ন করতেও লজ্জা লাগে, প্রমান নিমো সাহেব দিয়ে দিয়েছেন। আমাকে নাকি পাকিস্থান যেতে হবে। আর আপনিও সুন্দর ভাবে অমানুষ বললেন। প্রশ্ন করার কারনে আমি অমানুষ, পাকিপন্থী হয়ে গেলাম আর যারা শহীদদের বিক্রি করে খায় বা খাওয়াকে সমর্থন করে তারা বড় দেশপ্রেমিক?

জনাব নিমো, আপনি কি মানলেন বা না মানলেন তাতে কারই কিছু যায় আসেনা। আমার মন্তব্যে আমি বলিনাই যে শহীদের সংখ্যা কম বা পাইক্যারা কিছু করে নাই। আমি বলেছি একটা জরিপ করলে সমস্যা কোথায়? শহীদের সংখা ৩০ লাখের যায়গায় ৩৫ লাখ হলে কি আপনার শ্রদ্ধা বাড়বে অথবা ৩০ লাখের যায়গায় ২৯ লাখ হলে শ্রদ্ধা কমে যাবে?

মোটামুটি একটা সঠিক সংখ্যা বের করা গেলে তা আমাদের জন্মের ইতিহাসের জন্য ভাল না খারাপ?

লেখক বলেছেন:
আপনার জেনে ভালো লাগবে, ১৯৭১ এর নিহত ও শহীদের সঠিক তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করা আছে।


আমার জানা নাই কোনো জরিপ হয়েছিল কিনা, জরিপ ছারা কোনো সংখ্যাই (পত্রিকা-ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সংখ্যা) সঠিক হওয়ার সম্ভাবন খুই কম। তবে আমি সবজান্তা নই।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




যারা প্রশ্ন করেছেন তাদের লিস্টে তো মনে হয় আপনি নেই। আপনি যেই প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর আমি দিয়েছি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ত্রিশ লক্ষ মৃত্যুর ডাটা সংরক্ষিত আছে।

তারা বলেছে, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ হয়নি এর পক্ষে তাদের কাছে কি ডাটা আছে?

৭১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




নিরপরাধ একজন মানুষের রক্তও যদি পড়ে থাকে, সেটা খোদার আদেশকে অমান্য করার সমান।

তাই, কয়েক কোটি মরুক কি ১-জন মরুক, সেই প্রশ্নটা অবান্তর।

আপনি প্রশ্ন করতে জানেন না। ইন্টারোগেশন তো নয়ই। আপনাদের প্রশ্নের ধরণ শুনলে হাসি পায়। তেলবাজরা আরও প্রশ্রয় পায়।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



এটা ব্লগ, ইন্টারোগেশন সেল না। আপনি হাসুন, অনেক দিন ধরে আপনার হাসি নেই। আজ আমার লেখা পড়েই হাসুন।

৭২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৫৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



লেখক বলেছেন:
এটা ব্লগ, ইন্টারোগেশন সেল না। আপনি হাসুন, অনেক দিন ধরে আপনার হাসি নেই। আজ আমার লেখা পড়েই হাসুন।
==============

ব্লগ ইন্টারোগেশন সেল নয়! আমি তো ব্লগকে যুদ্ধের ময়দান মনে করি।

জেনারেশন একাত্তর ভাইকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি যুদ্ধ ঘোষণা করে দিন। যুদ্ধ কিভাবে ঘোষণা করতে হয় তা জানেন? গুগল করেও জানতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।

আপনি ধর্ম নিয়ে যেই পোস্ট দিয়েছেন সম্পূর্ণ ভুল একটি পোস্ট।

৭৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ত্রিশ লক্ষ নিহত ও শহীদ হয়নি এরা কারা?
এরা কার পক্ষে প্রশ্ন করছে? এর উত্তর কে দিবে?

........................................................................
আপনার এই প্রশ্নর উত্তর ৫৪ বৎসর পর কেউ দিতে আসবেনা,
শুধু অনুমান করা যায় যে, সাধারন ক্ষমার আড়ালে যারা বেঁচে গিয়েছেন
সেই বিষবৃক্ষ দিন দিন বড় হয়ে আজ বটবৃক্ষে পরিনত হয়েছে্।
সুযোগ বুঝে হায়নার মতো একযোগে ঝাঁপায়ে পড়ারর এখনই
সুবর্ণ সময় ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আপনি প্রশ্ন করতে জানেন না। ইন্টারোগেশন তো নয়ই। - আমার সাধারণ প্রশ্নেরই কেউ উত্তর দেয় না। আর কঠিন করে প্রশ্ন করলে কেউ উত্তর দিবে? এই কথা সত্যপথিক শাইয়্যানের কল্পনার বাইরে।

তাহারা আসলে কেউ না। আর কেউ হয়েই তাহারা দিনের পর দিন ইউজ হচ্ছে। এবং একদিন টয়লেট টিস্যুর মতো তাদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে তাহারা বুঝবেও না।

৭৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৩৬

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: আমার মনে হয় মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহীদ হয়েছেন সেই প্রশ্নটা দেশবিরোধী নয়, বরং ইতিহাসকে পরিষ্কারভাবে জানার জন্য জরুরি। শেখ মুজিব যখন ৩ মিলিয়ন বলেছিলেন, সেটা কোনো গবেষণা নয়, অনুমাননির্ভর একটা বক্তব্য ছিল। আজও পর্যন্ত কোনো সরকার আন্তরিকভাবে শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করেনি - এটা সত্যিই দুঃখজনক। আশ্চর্য লাগে, হাজার হাজার বছর আগে কোন সভ্যতায় কত মানুষ বাস করত, কীভাবে মারা গেছে - সে তথ্য ইতিহাসবিদরা বের করতে পেরেছেন। অথচ মাত্র পঞ্চাশ বছর আগের ইতিহাসে আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না কতজন মানুষ প্রাণ হারালেন! এটা মূলত রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য সংখ্যাটাকে ব্যবহার করা হয়েছে।

আরেকটা দিক হলো - যুদ্ধের সময়ে শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নয়, সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, হিন্দু সম্প্রদায়সহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সেইসব মানুষের নাম ও পরিচয় আজও অজানা থেকে গেছে। তাদের আত্মত্যাগ আমরা লেখায় স্মরণ করি, কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি ও সঠিক হিসাব দিই না। যদি সরকার আন্তরিক হয়, এখনও সম্ভব শহীদদের নামের তালিকা তৈরি করা। এতে হয়তো অনেক পক্ষ খুশি হবে না, তবে ইতিহাস অন্তত পরিষ্কার হবে।

প্রশ্ন তোলা মানেই দেশবিরোধী হওয়া নয়। বরং আমি করদাতা নাগরিক হিসেবে এই দেশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করার অধিকার রাখি। কেউ প্রশ্ন করলে তাকে রাজাকার বা পাকিস্তান পাঠানোর বুলি ছোড়া আসলে দুর্বল মানসিকতার প্রকাশ। ইতিহাসে মীরজাফর যেমন ছিল, তেমনি অতিরিক্ত আবেগ দেখিয়ে সত্যকে ঢাকার চেষ্টাকারীরাও ভবিষ্যতে ভালোভাবে মূল্যায়িত হবে না। মুক্তিযুদ্ধ কারো বাবার সম্পত্তি নয় - এটা আমাদের সবার ইতিহাস, আর সেই ইতিহাসকে সঠিকভাবে জানাই প্রকৃত দেশপ্রেম।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কতজন শহীদ হয়েছিল সেটা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গবেষক ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা তুলে ধরেছেন। স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশ সরকার আনুমানিক ৩ মিলিয়ন নিহতের কথা বলেছিল, কিন্তু এর পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক জরিপ ছিল না। বিস্তারিত পড়ুন: https://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh_genocide

অন্যদিকে পাকিস্তান সরকারের গঠিত Hamoodur Rahman Commission মাত্র ২৬,০০০ জন নিহত হওয়ার দাবি করে, যা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে ধরা হয়। লিংক: https://en.wikipedia.org/wiki/Hamoodur_Rahman_Commission

ভারতীয় গবেষক Sarmila Bose তাঁর Dead Reckoning বইতে মাত্র ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ জন নিহতের অনুমান দিয়েছেন। তবে এটি প্রচণ্ড বিতর্কিত। বিস্তারিত: https://www.theguardian.com/books/2011/jul/01/dead-reckoning-sarmila-bose-review

২০০৮ সালে British Medical Journal-এ প্রকাশিত Obermeyer, Murray, Gakidou এর গবেষণায় বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা সম্ভবত ১,২৫,০০০ থেকে ৫,০৫,০০০ জনের মধ্যে। লিংক: https://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh_genocide

Uppsala University এবং PRIO (Peace Research Institute Oslo) আগের একটি গবেষণায় প্রায় ৫৮,০০০ নিহত হওয়ার অনুমান দেয়। লিংক: https://ciss.org.pk/PDFs/Myth-of-Bangladeshi-Genocide.pdf

আমেরিকান রাজনৈতিক বিজ্ঞানী Rudolph Rummel তাঁর গণহত্যা গবেষণায় মৃত্যুর সংখ্যা আনুমানিক ১.৫ মিলিয়ন বলে উল্লেখ করেছেন। লিংক: https://en.wikipedia.org/wiki/Bangladesh_Liberation_War

অন্যদিকে ইতিহাসবিদ Christian Gerlach এবং আরও কিছু গবেষক মনে করেন মোট নিহতের সংখ্যা ৫,০০,০০০ থেকে ১,০০০,০০০ হতে পারে। বিস্তারিত: https://www.cambridge.org/core/books/civilianization-of-war/east-pakistanbangladesh-19711972-how-many-victims-who-and-why/A133E09382910B5E4332412FAD212721

সর্বশেষে, শরণার্থী শিবিরে মৃত্যুর ওপর করা নতুন এক গবেষণা (Adhikari et al.) বলছে শুধু শিবিরগুলোতেই অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৬২,৯১৫ (নিম্ন সীমা ৩২৩,৫৬২ থেকে উচ্চ সীমা ৮০২,২৬৮ জন)। লিংক: https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/40184376

সব মিলিয়ে দেখা যায়, কেউ ২৬,০০০ বলছে, কেউ ৫০,০০০ থেকে শুরু করে ১ মিলিয়ন বা তারও বেশি। আবার বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই ৩ মিলিয়ন ধরে রেখেছে। আসল সত্য হলো এখনো পর্যন্ত সঠিক তালিকা তৈরি হয়নি, আর তাই এত বৈপরীত্য রয়ে গেছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অনেক কষ্ট করে অপ্রয়োজনীয় একটি মন্তব্য করেছেন।


৭৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬

নাহল তরকারি বলেছেন: কামাল১৮ বুঝছেন। আর কেউ বুঝে না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমিও বুঝতে পেরেছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


৭৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৩

ফ্রি ইনকাম ফর্মেশন বলেছেন: ফ্রি ইনকাম করতে চাইলে এখনি ক্লিক করুন

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি ব্লগ এডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন। তিনি আপনাকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন। বেকার থেকে ইন্টারনেটে এইসব আজে বাজে কাজ করে জীবনের সময় নষ্ট করছেন।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.