নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রুপ খুঁজিতে যাই না আর !!

ক্ষয়িষ্ণু বাঙালি

আমার শুরু যেমন বাংলায় , তেমনি শেষটাও হোক বাংলায় ।

ক্ষয়িষ্ণু বাঙালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০ কেজি ইলিশের নির-মমতা , ১১ লক্ষ বাংলাদেশী পর্যটক এবং গোপন ভারতপ্রেম !!

০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

ইয়ে মানে ,
কি আর করিব বর্ণন !!
সূচনাতেই কাহিনীর সমাপন ।

তারপরেও বলগ বলিয়া কথা !! ইখান কথা আর বার্তা কিংবা মনের ক্ষোভ হইতে আনন্দ বেদনা এমনকি উত্তেজনা লিখিয়া প্রকাশ করিতে হইলে কিছুটা গরুর আশ্রয় লইতে হয় !! ইখান , গরুর প্রতি আশ্রয় রুপক অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে । অর্থ্যাৎ , রচনা লিখিবার গুণ থাকা চাই ! নচেৎ , বিপত্তি বাধিবার আশংকা বহুগুণে বৃদ্ধি পায় । এই লিখাটি পাঠকালে কোন পাঠক/পাঠিকার যদি কোনরুপ অনুভূতি দংশন প্রাপ্ত হইয়া থাকে তবে লেখক কে মিস্কল দেয়ার অনুরোধ আগেই রাখিলাম !

আপন অনুভূতির রক্ষা করিবার কালে কত ডাক্তারকে যে বিব্রত হইতে বাধ্য করিয়াছি তাহা বলিয়া বুঝাইতে পারিব না । তবুও একটা ঘটনার কথা প্রকাশ না করিলেই নয় --- সেকালে পোলিওর বড়ই বাড় বাড়ন্ত ! সকল মনুষ্য সন্তান কে পোলিওর টিকা খাওয়াবার জো লাগিল ! লাইনে আমাকে কোলে নিয়া দাঁড়াইয়াছিলেন আমার ঠাকুমা ।

আমার ডাক আসিতেই ঠাকুমা আমাকে ডাক্তারের সামনে লইয়া গেলেন। তারপর ডাক্তার মুখ চাপিয়া ধরিয়া বলিলেন হা কর !! আমি ইতমধ্যে ডাক্তারকে বিব্রত করিয়া ফেলিয়াছি । ডাক্তার নিজের সম্মান বাঁচানোর বৃথা চেষ্টা না করিয়া ঠাকুমা কে বলিলেন--- নাতি আপনার বড়ই সরেশ ! আমাকে ভিজাইয়া ছাড়িল !

ঠাকুমা হাসিয়া কহিল , আপনি আমার নাতির অনুভূতিতে আঘাত দিয়াছিলেন সেই কারনেই সে আপনাকে ভিজাইয়া দিয়াছে !

এই কথা শুনিয়া ডাক্তার নিজেই পোলিওর টিকা মুখে লইয়া বলিল-- কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা !!
এই বলিয়া সেই যে গেল আজ অবধি ঐ ডাক্তার আমার চক্ষুগোচর হয় নাই ।

সেদিন পোলিওর টিকা খাইয়াছিলাম বটে তবে কিছু টিকা হাতে করিয়া লইয়াও আসিয়াছিলাম ! ঠাকুমা বলিল, বিকালে খেও ভাই !! একসাথে এতগুলা খাইতে নাই !!

একদিন , ঠাকুমা আমাকে বলিল -- চল দাদুভাই ভারত হইতে বেড়াইয়া আসি !!

আমি লজ্জিত হইয়া বলিলাম -----
কোন বনমানুষের দল কি আমাদের মন্দির ঘর বাড়িতে আগুন জ্বালাইতে আসিয়াছে ??
ঠাকুমা বলিল, নাহ !!

আমি আবারও প্রশ্ন করিলাম,
কেহ কি বলিয়াছে যে আমরা ভারত যাই না কেন ??
ঠাকুমা বলিল, নাহ !!

আমি আবারও বলিলাম, কেহ কি তবে গরুর মাথা কাটিয়া আমাদের উঠানে রাখিয়া গেছে ??
ঠাকুমা বলিল, নাহ !!

আমি বলিলাম, তবে কিসের তরে ভারত যাত্রা !! ফালতু পয়সা খরচা হবে । তার চেয়ে ঐ টাকা দিয়ে আলুর আড়তটা আরো বড় করিবার চিন্তা আছে । বনমানুষেরা আলু পোড়া খাইতে চাইলে আপত্তি করিবার জো নাই !!

ঠাকুমা বলিলেন, আমি ফেসবুকে দেখিয়াছি, লোকে ভারত যাইবার ভিসা না পাইয়া যে হারে কান্নাকাটি করিতেছিল এই দেখিয়া তাহাদের ইভেন্টে আমিও গোয়িং দিয়াছিলাম !!
আমি বলিলাম তাহারা কারা ?
ঠাকুমার উওর -- আর কারা ??

তারপর আমি বলিলাম, এরা হইলো দুমুখো সাপ । এই যে দেখো তুমি বলিয়া ঠাকুমার হাতে একখানা লিস্টি তুলিয়া দিয়াছিলাম ।
ঠাকুমা জোরে পড়িতে লাগিলেন -- মীর জাফর হইতে মুস্তাফিজ মাঝখানে গোলাম আযম, নিজামী হইতে আশরাফুল এবং আরো অনেকেই যাহারা টাকা নয়তো ক্ষমতার জন্য নিজেকে বেচিয়াছে প্রথমে । সাথে ফ্রি হিসেবে দেশটাও তুলিয়া দিয়াছিল!! হায় দেশমাতা ! হায় জন্মভূমি !! কু সন্তান যদিওবা হয় , কু মাতা কখনো নয় ।

অত:পর ঠাকুমা আফসোস করিয়া বলিল ---
"তিস্তার জল আসে না, গঙ্গার জলও আসে না.
তাই বলিয়া ভারত প্রেমে ঘাটতি দেখি না "

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.