নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রুপ খুঁজিতে যাই না আর !!

ক্ষয়িষ্ণু বাঙালি

আমার শুরু যেমন বাংলায় , তেমনি শেষটাও হোক বাংলায় ।

ক্ষয়িষ্ণু বাঙালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদের নিরাপত্তা এবং চাপাতি !!

১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

সৌদির মসজিদ :-

সৌদি আরবের নিজস্ব সেনা নৌ বিমান বাহিনী আছে !! যার মোট সদস্য সংখ্যা ৪ লাখের উপরে । আর রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে আছে আরও ২ লাখের উপর । এত সৈন্য আর বাংলাদেশের চায়না মেড অস্ত্রের তুলনায় অনেক বেশী আধুনিক সৌদির অস্ত্র ভান্ডার । এতকিছুর পরও সৌদির মসজিদ রক্ষা করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজন পরবে এটা অবাক করার মতনই !!
কিছু প্রশ্ন আছে অবশ্য,

১)- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি ধর্মযুদ্ধ করার জন্য গঠন করা হয়েছে ??

২)- রামুতে যেদিন মুসলিমরা নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছিল এবং বৌদ্ধ মন্দির পোড়াচ্ছিল সেদিন এই সেনাবাহিনীর সদস্যরা কোথায় ছিল , কি করছিল ??

৩)- এত এত মন্দির ভাঙা হয় মুসলিমদের দ্বারা সাঈদী হুজুরের রায়ের পর তখন সেনাবাহিনী কি কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছিল ??

৪)- রাষ্ট্রের ধর্মের সাথে সাথে কি সেনাবাহিনীকেও ইসলামি বাহিনী করে ফেলা হয়েছে ??


চাপাতি :-

শুরু করেছিল যারা তারা ভিসা নিয়ে বিদেশে এখন নিরাপদে !! আরাম আয়েশ করে কি খাচ্ছে এসবের ছবি তুলে মানুষকে দেখাচ্ছে !!
অথচ বেওয়ারিশ কুকুরের মত রাস্তায় কুপিয়ে মারা হয় কেবল হিন্দুর সন্তান !! প্রথমে বলল তাদের ধর্ম কে কটুক্তি করেছে তাই কুপিয়েছে !! বেনজীর আরটিভিতে এসব খুনের পক্ষে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়েছে ।
এখন এসব বাহানার দরকার পরছে না অবশ্য !! হিন্দু হইলো কিছুটা কোরবানীর গরু মতন !! কুপিয়ে জবাই করে ঠিক কিন্তু হিন্দুর মাংস টা আর মুসলমানের খাওয়া হয় না । যদি ধর্মিয় নির্দেশ থাকতো তবে ঠিকই খেয়ে ফেলতো ! এখন যেমন ধর্মিয় নির্দেশ মেনেই কুপিয়ে মারছে !!

চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার এই ম্যারাথন কিলিং এপিসোডে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিন্দা উদ্বেগ জানালেও শান্তির ধর্মের অনুসারী দেশসমূহের গডফাদার সৌদি একদম চুপ । কারন সৌদিরা জানে মদিনা সনদ অনুযায়ী চলছে বাংলাদেশ !!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

রাতমজুর বলেছেন:
১- না, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি ধর্মযুদ্ধ করার জন্য গঠন করা হয় নাই, তবে প্রয়োজনে কিছু পরিমান সেনা পাঠানো যেতে পারে সৌহার্দ প্রকাশে।

২- রামুতে যেদিন মুসলিমরা নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছিল এবং বৌদ্ধ মন্দির পোড়াচ্ছিল সেদিন এই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ক্যান্টনমেন্টে তাদের নিয়মিত ডিউটিতে ছিলো, তবে হ্যাঁ, এরকম ভয়ংকর ধরনের নাশকতার অগ্রীম খবর পেলে অথবা নাশকতা শুরু হয়েছে খবর পেলে সেনাবাহিনী সেখানে পাঠানো উচিৎ ছিলো।

৩- রাজাকার সাঈদীর বিচারের রায়ের পর যখন মন্দির ভাঙা হচ্ছিলো, হিন্দুদের পরিবারের ওপর অত্যাচার হচ্ছিলো, তখনো সেনাবাহিনীর সদস্যরা ক্যান্টনমেন্টে তাদের নিয়মিত ডিউটিতে ছিলো, কারন সেনাবাহিনী পুলিশ নয় যে নিজেরা চাইলেই আসতে পারে কিছু করতে, সরকারী নির্দেশ ছাড়া তারা আসতে পারবে না। সেদিন পুলিস হয়তো ঠেকাতে পারবে না এটা আন=দাজ করে সরকারেরই উচিৎ ছিলো বিজিবি বা সেনাবাহিনী ডেপ্লয় করা।

৪- রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম হয়েছে সংশোধনীতে, ১৯৭২ এর সংবিধা সেকুলার এবং সেইটাকে আবারো আন=দোলন করে ফেরানো খুব প্রয়োজন, তবে সেনাবাহিনী অবশ্যই বাংলাদেশী - মুসলিম/হিন্দু/খ্রিস্টান/বৌদ্ধ না।

২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:০৬

ডক্টর লেকটার বলেছেন: দাদা, মোছলেম আর সউদ নিয়ে লিকে যে গরম করে দিচ্চেন, বলি এই কদিন আগে আপনার দলের ছাত্রলীগের লোকজন যে শুনলুম নৌ ভ্রমণে বেড়িয়ে হিন্দু মা-মেয়ের সর্বনাশ করলো, তা নিয়ে কোনো পোস্ট দিচ্চেন না যে???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.