![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার শুরু যেমন বাংলায় , তেমনি শেষটাও হোক বাংলায় ।
২০১৪ সনের ৫ ই জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচনের দিন মুসলিম মহিলাদের হিন্দু বানিয়ে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিয়েছিল প্রথম আলো ! প্রথম আলো ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়ানো মুসলিম মহিলাদের কপালে লাল টিপ বসিয়ে দিয়ে প্রমান করতে চেয়েছিল এরাই মূলত আজকের নির্বাচনের ভোটার ! এরাই নৌকার ভোটার ! এরা নৌকায়ই ভোট দেয় !!
এই ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় উস্কানির কারনে প্রথম আলোর নিবন্ধন বাতিল হয় নি আর এর সম্পাদকও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার দোষে দুষ্ট হয় নি । কিন্তু প্রথম আলোর ঐ ছবিযুক্ত রিপোর্টটির কারনে মাঘের শীতের রাতে মালোপাড়ার হিন্দুদের নিজেদের জীবন আর ইজ্জত বাঁচাতে নদীর শীতল জলে ভিজতে হয়েছে । তাদের অতি কষ্টের গোছানো সংসার এবং জীবনকে অভিশাপ উপহার দিয়েছিল প্রথম আলো ।
নির্বাচনে নৌকা জিতে যায় ঠিকই কিন্তু হেরে যায় হিন্দুরা ! তাদের হারানো হয়, হারতে বাধ্য করা হয় ।
২০১৪ - ২০১৬ হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় কোন পরিবর্তন আসেনি । তবে নতুন নতুন পথ আর সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে হিন্দুদের নির্যাতন করা হচ্ছে নিয়মিত । নির্যাতনটা করা শুরু হয় মানষিকভাবে আর শেষ করা হয় শারীরিকভাবে !!
জমি দখল- মন্দির ভাঙচূর-মন্দিরে আগুন দেয়া - প্রতিমা চুরি- প্রতিমা ভেঙে দেয়া - ধর্ষন - কান ধরিয়ে উঠবস করানো - সরকারী চাকুরীতে ওএসডি সবই চলে হিন্দুদের সাথে !! নীরবে নয়তো প্রকাশ্যে !!
ফেনীতে গত বছর লক্ষী পূঁজার রাতে অন্তস্বত্তা হিন্দু গৃহবধূর পেটে লাথি দিয়ে চাঁদা না দেয়ার প্রতিশোধ নিয়েছিল যুবলীগের এক গর্বিত সদস্য !! লাথির চোটে গর্ভের অনাগত সন্তানের মৃত্যু ঘটে !! এগুলো পত্রিকায় আসে নি তেমন । না, জেলে পাড়ার ঐ গৃহবধূও কিন্তু নৌকার ভোটার । তাই এর উপযুক্ত প্রতিফল আর পুরস্কারই তাকে দেয়া হয়েছে !!
অথচ ফোকাস পেয়েছিল এবং জাতীয় টপিকে পরিনত হয়েছিল নিজেদের মধ্যে মারামারির কারনে গর্ভে গুলিবিদ্ধ হওয়া মুসলমানের বউ এর কাহিনী ।
পটুয়াখালিতে নৌকায় তুলে নদিতে ঘুরে বেড়িয়ে হিন্দুর বৌ কন্যাকে ধর্ষন করেছে যুবলীগের নেতারা ।বাহ্ !! নৌকায় হিন্দুর মা বোনের সাথে মুসলমানের বিয়েহীন গণ হানিমুন !! চরম !!
এই ধর্ষিতাদের জন্য পত্রিকার পাতায় কলাম খরচ করা হবে না, এদের জন্য কেউ রাস্তায় নামবে না বিক্ষোভ করতে কারন এরা মালাউনের বউ ঝি , মুসলমানের মেয়ে তনু নয় ।
পটুয়াখালীতে যারা ধর্ষিত হয়েছে তারা কিন্তু নৌকার ভোটার , এরা নৌকায়ই ভোট দেয় তাই এদের ইজ্জতও কেড়ে নেয়া হয়েছে নৌকাতেই ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:২৩
ডক্টর লেকটার বলেছেন: এ নিয়ে তো দাদা মিডিয়ায় কোনো কথা হবে না, কারণ ঘটনা ঘটিয়েছে বঙ্গদেশের একমাত্র হিন্দুবন্ধু আওয়ামি লীগের লোকজন। যাকগে, আপনার পোস্টে অন্তত স্বীকার গেলেন যে হিন্দুরা লীগের অন্ধ সাপোর্টার।
তা দাদা এখন বলি কি - অন্ধ সমর্থন থামান। গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার যখন ক্ষমতায় থাকবে তখন শুধু হিন্দু এবং নৌকার সমর্থক হওয়ার জন্যে আপনারাও কোনো বিশেষ ছাড় পাবেন না। মুসলিমদের পাশাপাশি আপনারাও মরবেন, অনাচারেরও স্বীকার হবেন।