![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলা থেকে ভ্রমের মধ্যে বড় হওয়া, প্রশ্ন করায় শাস্তি পাওয়া। মেয়ে হয়ে তো ষোলকলাই পূর্ণ করলাম। জ্ঞান আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এখন নিজের আর অন্যের ভ্রম হত্যার সংগ্রাম করি যাব।
বেশ কিছুদিন ধরে Neil Tyson, Richard Dawkins, Sam Harris, Lawrance Krauss এর কিছু বিতর্ক দেখছিলাম। তাদের লেকচারগুলো অনেকটা বিজ্ঞান কেন্দ্রিক আর বিজ্ঞান নিয়ে আমার কোন আপোষ নেই। সেটা তার নিজস্ব গুনে চলছে আর আধুনিক বিশ্বের অগ্রগতির পিছনে বিজ্ঞানের ভুমিকা অনেক বেশি । তবে বিজ্ঞানের মাধ্যমে যখন তারা নাস্তিকতাকে প্রমোট করে তখন আমার কাছে কেন জানি অযৌক্তিক মনে হয়। জানি নাস্তিক ভাইদের অবশই এর পিছনে কোন যুক্তি থাকবে। সেই আশায় কমেন্ট করেছিলাম তাদের বেশ কিছু ভিডিওতে। তবে আশানুরূপ কোন উত্তর পাইনি। Quora এখানে ভাল সাহায্য করেছে সেখানে অনেক জ্ঞানি লোক আছে তবে তাদের উত্তরে বেশ প্রখর কঠিন ইংরেজির প্রয়োগ দেখেছি। অখানে অনেক টার্মই আমার কাছে অচেনা ছিল। সেই সুযোগে অনেক নতুন টার্ম জানলেও সোজাসাপটা উত্তর আমি পেলাম না। আমি জানি হয়তো এখানেও ভিন্ন কিছু হবে না তবে জটিল টার্মে না গিয়ে এখানে সোজা সরল ভাষায় জানতে পারবো দেখে প্রশ্ন তুললাম।
কোন রকম ঈশ্বরের সংজ্ঞা
আমার কাছে ঈশ্বরের সংজ্ঞা হচ্ছে সে সব কিছু সৃষ্টি করেছে। যেহেতু সে সময় ও স্থান সৃষ্টি করেছে তাই সে এই দুইয়ের ঊর্ধ্বে। জগতের যা কিছু আছে সে নিয়ন্ত্রণ করছে। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎের যেকোন কিছুর জ্ঞান আছে তার কাছে। তার ক্ষমতাও অতুলনীয়। তবে উত্তরের সময় প্রয়োজনের স্বার্থে আপনি ইসলাম,খ্রিষ্ট, হিন্দু ধর্মের ঈশ্বরের কথা যোগ করতে পারেন , সমস্যা নাই।
ক । ঈশ্বর অনেক সময় এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আসে যাতে নিরীহ মানুষ, শিশু মারা যায়, গরিব মানুষের ধনসম্পদ নষ্ট হয়। কিন্তু ঈশ্বর যেহেতু অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সব জানে। এর পিছনে হয়তো ঈশ্বরের এমন কোন ইচ্ছা আছে, আরও মহৎ যেটা এই ঘতনার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু মানুষের যুক্তির সীমাবদ্ধতার কারনে আমরা সেটা বুঝতে পারছি না। যেমন ধরুন, ৬৪ মিলিয়ন বছর আগে যখন গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে পড়েছিল তখন ঈশ্বর হয়ত পৃথিবীকে বসবাস উপযোগই করার জন্য বৃহৎ সরীসৃপদের ( যারা মানুষের অস্তিত্বকে টিকতে দিবে না এমন ক্ষমতা রাখে) নিধনের জন্য করেছিল। যেটা আমরা ক্ষুদ্র সময় ধরে অনুধাবন করছি বলে বুঝতে পারছি না, এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঈশ্বরের সুদূরপ্রসারি চিন্তার একটা সাময়িক অংশ নয়কি ?
খ । কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিজ্ঞানীদেরও অজানা জগত। এই জগত সম্পর্কে ধারনা করতে পারা বা অনুমান করতে পারা অসম্ভব যেটা ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সে করা সম্ভব। আর কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিরাজ করে প্রতিটি ম্যাটারে। এটা কি ঈশ্বরের জগতের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রমান নয়? যেটা বিজ্ঞানিরা ঈশ্বরের লীলা হিসেবে মেনে নিতে পারছে না সৃষ্টিতে উপস্তিত থাকার কারনে ( আর নাস্তিক বিজ্ঞানীদের একগুয়েপনার কারনে)।
গ । "বাস্তব" বা রিয়ালিটি কেন ঈশ্বরের প্রমান নয়? বাস্তব অস্তিত্বময়, তাহলে ঈশ্বর (যে বাস্তবকে সৃষ্টি করেছে) সে অস্তিত্বময় না ?
ঘ । অনেকে মিলিটেন্ট নাস্তিকরা আস্তিকদের দ্বিধান্বিত করে একটা ছোট্ট প্রশ্নের মাধ্যমে। তা হল "স্রষ্টা যদি সৃষ্টি করে থাকে তাহলে স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করলো?" ব্যাপারটা নিয়ে আমার কথা হচ্ছে, স্রষ্টা চাইলেই নিজের কপি বানাতে পারবে না। কারন সে সময় ও স্থানের ঊর্ধ্বে এক সত্ত্বা। যদি সে তার পর আরেক স্রষ্টা বানাতে চায় তাহলে তাকেও হতে হবে সময় ও স্থানের ঊর্ধ্বে। কিন্তু স্রষ্টা যদি তাকে বানাতে যায় তাকে অবশই একটা স্থানে বানাতে হবে বা সময়ে বানাতে হবে। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না। কেননা সময় আর স্থানের বাইরে সৃষ্টি তো সম্ভব না। তার মানে স্রষ্টারও আরেক স্রষ্টা বানানো সম্ভব না। তাই স্রষ্টার স্রষ্টা বলতে কিছু নাই।
তাছাড়া আরেকটি কারন হতে পারে, স্রষ্টা যদি স্রষ্টা সৃষ্টি করে তাহলে নতুন স্রষ্টা আসলে "সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা" হল না। তার মানে সে আসলে স্রষ্টাই না। বিজ্ঞানিরা বিগব্যাঙ এর আগে কি হয়েছিল সেটাকে ইনভেলিড প্রশ্ন মনে করে স্রষ্টার স্রষ্টা বা স্রষ্টার আরেক স্রষ্টা বানানোও ইনভেলিড। এটার কি কোন জবাব আছে ?
এখানে আমি কোন দিক দিয়ে ভুল , কমেন্ট করুন।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপনার মাঝে প্রজ্ঞা আছে । খোলা চোখে নিরপেক্ষভাবে ভাবুন, অাপনি নাস্তিক হতে বাধ্য! অারজ আলী মাতব্বরের বই পড়তে পারেন । তবে সত্য হচ্ছে, ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপার । বিজ্ঞান ও ধর্ম একসাথে চলতে পারেনা ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: প্রথমত প্রশ্নের উত্তর দিলে খুশি হতাম। আর দ্বিতীয়ত, উল্লেখিত বই আমি পড়েছি। সেখানে বেশ কিছু প্যারাডক্স ছিল, অনেক প্রশ্নের উত্তরই দেয়ার মত ছিল সাথে সাথে এমন কিছু প্রশ্নও ছিল যার উত্তর আসলে আমি খুজে পাইনি। তবে বেশ ভাল বই বলতে হবে।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
নতুন বলেছেন: ক । ঈশ্বর অনেক সময় এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আসে যাতে নিরীহ মানুষ, শিশু মারা যায়, গরিব মানুষের ধনসম্পদ নষ্ট হয়। কিন্তু ঈশ্বর যেহেতু অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সব জানে। এর পিছনে হয়তো ঈশ্বরের এমন কোন ইচ্ছা আছে, আরও মহৎ যেটা এই ঘতনার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু মানুষের যুক্তির সীমাবদ্ধতার কারনে আমরা সেটা বুঝতে পারছি না। যেমন ধরুন, ৬৪ মিলিয়ন বছর আগে যখন গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে পড়েছিল তখন ঈশ্বর হয়ত পৃথিবীকে বসবাস উপযোগই করার জন্য বৃহৎ সরীসৃপদের ( যারা মানুষের অস্তিত্বকে টিকতে দিবে না এমন ক্ষমতা রাখে) নিধনের জন্য করেছিল। যেটা আমরা ক্ষুদ্র সময় ধরে অনুধাবন করছি বলে বুঝতে পারছি না, এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঈশ্বরের সুদূরপ্রসারি চিন্তার একটা সাময়িক অংশ নয়কি ?
আপনি ৬৪ মিলিওন বছরে একটা গ্রহানুর আঘাত সৃস্টি কতার পরিকল্পনা বলছেন বিশ্বাসের কারনে।
আমার কাছে এটা একটা দূঘটনা... কারন এখনো মহাশন্যে গ্রহানু পৃথিবির কাছ দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এই মহাবিশ্ব এতই বিরাট যে একটা সাথে আরেটকার আঘাতের সম্ভবনা কম। আপনার বিশ্বাস যে'' সৃস্টিকতার ইচ্ছা ছাড়া গাছের পাতাও নড়েনা'' তাই আপনি এটা দেখছেন।
কিন্তু গাছের পাতা বাতাসে নড়ে... বাতাসের চাপ/তাপের পরিবত`নের জন্য বাতাসের প্রবাহ সারা পৃথিবিতে হয়। এখন আপনি যদি মনে করেন যে ঐ চাপ/তাপ সবই সৃস্টিকতার ইচ্ছা অনুযায়ী হচ্ছে তবে সেটা প্রমানের দায়ীত্ব আপনার।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: বটে। স্রষ্টা যেহেতু সৃষ্টির ঊর্ধ্বে সেহেতু মেটারিলিস্টিকভাবে তাকে প্রমান করতে পারা যাবে না। আমিও স্বীকার করি যা বললাম মেটারিলিস্টিক যুক্তিতে সেটা দুর্ঘটনা। তবে আপনি এটাকে অন্য দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে বুঝতে পারবেন আমি আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছি।
১৩.৭ বিলিয়ন বছর ধরে এমন অনেক দুর্ঘটনাই হচ্ছে যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছে আমাদের মহাবিশ্বকে। একটা সময় এই সৌরজগত যেখানে সেখানে আবর্জনার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল পূর্বে ধবংস হওয়া নক্ষত্রের অংশ। সেখানে ফিউশনের মাধ্যমে হয়েছে সূর্য। ধুলিকনা ও গ্রহাণুর একত্রীকরণের মাধ্যমে হয়েছে পৃথিবী। সঠিক চাপ ও ম্যাগনেটিক লেয়ার থাকার কারনে প্রানের বিকাশ পাওয়াও সম্ভব হয়েছে, আর প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া বৈশ্বিক মহাদুর্যোগের পরিনামে বিভিন্ন যুগে হারিয়েছে সেই সময়ের প্রেডিটরগুলো যা দুর্বল প্রাণীদের বেচে থাকার ও বিবর্তিত হওয়ার আশা সুযোগ করে দিয়েছে। এক সময় এই লক্ষ কোটি দুর্ঘটনার ফলে মানব জাতি পেয়েছে এমন এক পৃথিবী সেখানে সে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যোগ্যতা রাখে। এত লক্ষ লক্ষ দুর্ঘটনা স্বয়ং মহাবিশ্বের অস্তিত্ব থেকে শুরু করে বুদ্ধিমান মানুষ পর্যন্ত সব কিছুর পিছনে অবদান রেখেছে। আপনি যদি এখন প্রতিটি ঘটনাকে এককভাবে চিন্তা করেন তাহলে অবশই সেটা দুর্ঘটনা। আর যদি সামগ্রিকভাবে চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন এটা একটা খুবই দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া আর পরিনতিতে আপনি আর আমি এখানে আলোচনা করাতে পারছি। অবশই সেটা দুর্ঘটনা (একক ঘটনা হিসেবে চিন্তা করলে) সাথে সাথে এটা সামগ্রিকভাবে ঈশ্বরের সৃষ্টির পরিবর্তন ঘটানোর প্রক্রিয়া হতে পারে না কেন?
৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২
যোগী বলেছেন:
কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিজ্ঞানীদেরও অজানা জগত। এই জগত সম্পর্কে ধারনা করতে পারা বা অনুমান করতে পারা অসম্ভব যেটা ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সে করা সম্ভব। আর কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিরাজ করে প্রতিটি ম্যাটারে। এটা কি ঈশ্বরের জগতের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার প্রমান নয়? যেটা বিজ্ঞানিরা ঈশ্বরের লীলা হিসেবে মেনে নিতে পারছে না সৃষ্টিতে উপস্তিত থাকার কারনে ( আর নাস্তিক বিজ্ঞানীদের একগুয়েপনার কারনে)।
বিজ্ঞানীরা মানতে পারছেনা আর আপনি মেনে নিতে পারলেন??????????????
আপনি কী তাহলে ঈশ্বরের কাছা কাছি কেও?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: নাস্তিক বিজ্ঞানিরা মানতে পারছে না। বিজ্ঞানীদের মধ্যে সবাই তো আর নাস্তিক না।
৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫
নতুন বলেছেন: এত লক্ষ লক্ষ দুর্ঘটনা স্বয়ং মহাবিশ্বের অস্তিত্ব থেকে শুরু করে বুদ্ধিমান মানুষ পর্যন্ত সব কিছুর পিছনে অবদান রেখেছে। আপনি যদি এখন প্রতিটি ঘটনাকে এককভাবে চিন্তা করেন তাহলে অবশই সেটা দুর্ঘটনা। আর যদি সামগ্রিকভাবে চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন এটা একটা খুবই দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া আর পরিনতিতে আপনি আর আমি এখানে আলোচনা করাতে পারছি। অবশই সেটা দুর্ঘটনা (একক ঘটনা হিসেবে চিন্তা করলে) সাথে সাথে এটা সামগ্রিকভাবে ঈশ্বরের সৃষ্টির পরিবর্তন ঘটানোর প্রক্রিয়া হতে পারে না কেন?
১-২-৩ এই ৩টা অংক দিয়ে আপনি কতগুলি সংখ্যা বানাতে পারবেন?... ১২৩,২১৩,৩২১,২৩১,৩১২,১৩২... এই কয়টা...
কিন্তু যখন দুনিয়ার জিনিসের সংখ্যা অনেক বেশি হয় তখন তৌরির সংখ্যাও অনেক বেশি হবে তাইনা।
একটা জিনিস দেখেন আপনি কিন্তু সাফল্য দেখেথাকেন... ব্যথ`তা দেখেন না।
এখন প্রায় ৭ বিলিওন মানুষ দুনিয়াতে আছে....
* প্রতিদিন কতটি নারীর মিসক্যারেজ হচ্ছে?
*কতজন নারী সন্তান ধারনে অক্ষম??
*কতজন পুরুষ সন্তান ধারনে অক্ষম??
*কতজন নারীর সন্তান ১ সপ্তায়..২ সপ্তাহ..<<< ৪০ সপ্তাহে মারা যাচ্ছে???
* কতজন নারীর সন্তান প্রশবের পরে মারা যাচ্ছে??
* কতজন জন্মের পরে ১ সপ্তাহ..২ সপ্তাহ<< মারা যাচ্ছে??
* কতজন সন্তান বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মাচ্ছে??
* কতজন মানুষ বিকলাঙ্গ হয়ে বড় হচ্ছে??? ===<< সংখ্যাটা নিহাত ছোট হবেনা।
এটা যখন হিসাব করবেন তখন দেখবেন ৭ বিলিওন মানুষ হবার পেছনে কতজন মানুষ চলে গেছে.. তখন এটাকে ইন্টেলিজেন্ট/ ডিভাইন ডিজাইন মনে না হয়ে... একটা সাভাবিক একটা প্রকৃিয়াই মনে হয়...
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ, উত্তরের জন্য। জগতে অনেক কেজুলালিটি আছে। আপনি শুধু প্ল্যাঙ্ক যুগের (বিগ ব্যাঙ এর প্রথম সেকেন্ডের ভগ্নাংশের সময়) কথা চিন্তা করেন। ম্যাটার আর আন্টিম্যাটারের মিলিত হওয়ার পর বিস্ফোরণের পর সে অতিরিক্ত ম্যাটার ছিল তাতেই আমাদের মহাবিশ্ব। আর তাড় সংখ্যা ফিজিসিস্টদের মতে প্রতি বিলিয়নে একটা। মানে ব্যাপারটা ০.০০০০০০০১% সফল নাকি ম্যাটার থাকার জন্য ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯৯ কাজে না দরকার ছিল? এখানে আসলে সফলতা বা ব্যর্থতা ব্যাপার কথা না। কথা হচ্ছে তার ফলে আউটকাম কি এসেছে। একটা ম্যাটার তইরির জন্য দরকার ছিল বিলিয়নটা নষ্ট করার। ঠিক তেমনই হয়তো মিসক্যারেজ, অক্ষমতা বা আরও দুর্ঘটনা শেষে ইতিবাচক কোন একটা পরিনাম নিয়ে আসবে যেটা আমরা বুঝতে পারছি না।
আর বাকি প্রশ্নের উত্তরগুলোও দেয়ার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে "ঘ" ।
৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
যোগী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: নাস্তিক বিজ্ঞানিরা মানতে পারছে না। বিজ্ঞানীদের মধ্যে সবাই তো আর নাস্তিক না।
তার মানে কী আপনি বিজ্ঞানী?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আপনি Neil Tyson, Richard Dawkins বা Sam Harris এর লেকচারেও দেখবেন তারা বলছে বিজ্ঞানি কমিউনিটির একটা বড় অংশ স্রষ্টায় বিশ্বাস করে। তবে তারা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে গবেসনায় হস্তক্ষেপ করতে দেয় না। আমার বিজ্ঞানি হওয়া লাগবে না এটার জন্য।
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮
নতুন বলেছেন: আর তাড় সংখ্যা ফিজিসিস্টদের মতে প্রতি বিলিয়নে একটা। মানে ব্যাপারটা ০.০০০০০০০১% সফল নাকি ম্যাটার থাকার জন্য ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯৯ কাজে না দরকার ছিল? এখানে আসলে সফলতা বা ব্যর্থতা ব্যাপার কথা না। কথা হচ্ছে তার ফলে আউটকাম কি এসেছে। একটা ম্যাটার তইরির জন্য দরকার ছিল বিলিয়নটা নষ্ট করার। ঠিক তেমনই হয়তো মিসক্যারেজ, অক্ষমতা বা আরও দুর্ঘটনা শেষে ইতিবাচক কোন একটা পরিনাম নিয়ে আসবে যেটা আমরা বুঝতে পারছি না।
তাহলে সৃস্টিকতা বললেন হও...আর সবকিছু হয়ে গেলো সেটা কতটুকু ঠিক...
এটা একটা ছেলে পড়াশুনা করে পাশ করলো কিন্তু আপনি তার কস্টের ব্যপারে গুরুত্ব না দিয়ে... ঐ পরিক্ষার দিন রেজাল্ট সিটে টাইপিস্ট ছেলেটার নামের পাশে পাশ লিখেছে তার ক্রেডিট বড় করে দেখছেন না কি?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা এ জন্য বললাম কারন প্ল্যাঙ্ক যুগে ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স কাজ করেনি। অনেক বিজ্ঞানিরা মনে করে কোয়ান্টাম ফ্লেকচুয়েসন এর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে, তখন মহাবিশ্ব ছিল একটু কোয়ান্টাম ভেকিউম। এ জন্যই আমার দ্বিতীয় প্রশ্নটি করা। আমার কাছে মনে হয় কোয়ান্টাম ফিজিক্স আসলে স্রষ্টার বিরাজকরার একটু বহিঃপ্রকাশ।
এক হিসেবে ভাল হল ।এখন প্রথম ও দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর মনে হয় এক হয়ে গেল। আশা করি খ, গ আর ঘ এর উত্তরটা পাব।
৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫
নতুন বলেছেন: ঘ । অনেকে মিলিটেন্ট নাস্তিকরা আস্তিকদের দ্বিধান্বিত করে একটা ছোট্ট প্রশ্নের মাধ্যমে। তা হল "স্রষ্টা যদি সৃষ্টি করে থাকে তাহলে স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করলো?" ব্যাপারটা নিয়ে আমার কথা হচ্ছে, স্রষ্টা চাইলেই নিজের কপি বানাতে পারবে না। কারন সে সময় ও স্থানের ঊর্ধ্বে এক সত্ত্বা। যদি সে তার পর আরেক স্রষ্টা বানাতে চায় তাহলে তাকেও হতে হবে সময় ও স্থানের ঊর্ধ্বে। কিন্তু স্রষ্টা যদি তাকে বানাতে যায় তাকে অবশই একটা স্থানে বানাতে হবে বা সময়ে বানাতে হবে। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না। কেননা সময় আর স্থানের বাইরে সৃষ্টি তো সম্ভব না। তার মানে স্রষ্টারও আরেক স্রষ্টা বানানো সম্ভব না। তাই স্রষ্টার স্রষ্টা বলতে কিছু নাই।
তাছাড়া আরেকটি কারন হতে পারে, স্রষ্টা যদি স্রষ্টা সৃষ্টি করে তাহলে নতুন স্রষ্টা আসলে "সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা" হল না। তার মানে সে আসলে স্রষ্টাই না। বিজ্ঞানিরা বিগব্যাঙ এর আগে কি হয়েছিল সেটাকে ইনভেলিড প্রশ্ন মনে করে স্রষ্টার স্রষ্টা বা স্রষ্টার আরেক স্রষ্টা বানানোও ইনভেলিড। এটার কি কোন জবাব আছে ?
জানিনা কেন আপনারা স্রস্টা/সৃস্টির বিতকে পছন্দ করেন।
যদি স্রস্টা আমাদের সৃস্টিজগতের বাইরের কিছুই হয়ে থাকেন তবে তাকে জানার সম্ভনা কতটুকু? আর এই সবের পেছনে কোন সৃস্টিকতা আছে সেটাও প্রমান এখনো করা সম্ভব হয়নাই। পুরুটাই বিশ্বাস..
অবিশ্বাসীদের সামনে কিন্তু প্রমান নেই যে সৃস্টিকতা আছে.... তাই তারা অবিশ্বাসী।
বিশ্বাসীতের সামনেও কিন্তু প্রমান নেই যে সৃস্টিকতা আছে... কিন্তু তারা বিশ্বাস করে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: স্রষ্টা জগতের বাইরে আছে তাই বলে যে সে তার অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো না সেটা কিভাবে বুঝলেন । অনেক ধর্মই মনে করে স্রষ্টা মানুষের কাছে বানী দিয়েছে। যেহেতু সে সৃষ্টি না তাই কোন আকার ধারন করে আসাটা অযৌক্তিক মনে হয় আমার কাছে। তাই হয়ত আমরা আকাশের মধ্যে তাকে বানী বলতে দেখিনি। পেয়েছি তার প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে। আমি এখানে ধর্মকে টানতে চাচ্ছি না। তবে ঈশ্বরের যে স্বয়ং আসতে মহাবিশ্বে অস্তিত্বময় হতে হবে এটা জরুরি না তার ব্যাপারে জানার জন্য।
৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪
যোগী বলেছেন:
ঘুমাবো তাই বেশি খুঁজতে গেলাম না। আমি শুধু আপনার কথা মত একটা কোট পাইছি সেটা এই রকম-
“I am against religion because it teaches us to be satisfied with not understanding the world.”
― Richard Dawkins
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আমি এখানে বিতর্কে deism কে রিপ্রেসেন্ট করছি, কোন ধর্মকে না। তাই এই কোটটা অপ্রান্সঙ্গিক।
১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
নতুন বলেছেন: তবে ঈশ্বরের যে স্বয়ং আসতে মহাবিশ্বে অস্তিত্বময় হতে হবে এটা জরুরি না তার ব্যাপারে জানার জন্য।
তবে কিভাবে জানা যাবে?
আর যদি সৃস্টিকতাই সবকিছু সৃস্টিকরে থাকেন তবে তার ব্যাপারে এতো মতভেদ কেন হবে?
একটা জিনিস হয়... সময়ের সাথে সাথে সত্য প্রতিষ্টিত হয়... কিন্তু ধমের ব্যক্ষায় সৃস্টিকতার বিষয়ে বিভেদ বাড়ছেই কমছে না।
যেমন .. WWF রেসলিং যে পাতানো সেটা বিশ্বাস করার মানুষ এখন বেশি... কমছেনা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আপনার ধারনার আসে হয়তো একমত হতে পারছি না । তবে আমি বুঝতে পারছি আপনার ভিউটা। বাকিগুলোর জবাবও দিবেন।
১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪১
নতুন বলেছেন: তবে ঈশ্বরের যে স্বয়ং আসতে মহাবিশ্বে অস্তিত্বময় হতে হবে এটা জরুরি না তার ব্যাপারে জানার জন্য।
আমি এটা বুঝিনাই।
মানুষের কাছে পৌছাতে হলে মানুষের যোগ্য মাধ্যমে সৃস্টকতাতে আসতে হবে। তখন সৃস্টিকতার অস্তিত্বময় হতে হবে না?
ধমে মানুষের সাথে সরাসরি কথা/মিটিংএর বিষয় এসেছে। তাও ১০৮ বিলিওন মানুষের মাঝে মাত্র হাতে গোনা কয়েক জনের সাথে... সেটা কি ঐ কয়েক জনের হেলুসিনেসন হতে পারেনা কি?
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৫
নরাধম বলেছেন: দারুন পোস্ট। মিলিট্যান্ট নাস্তিকতরা সাধারণত বেকুব বা অবৈজ্ঞানিক পন্থাধারী হয়, যদিও বিজ্ঞানের কথা বলবে। যেমন মিলিটেন্ট নাস্তিকরা প্রায়ই বলে ধর্ম নাকি সব (বা বেশিরভাগ) যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য দায়ী। কিন্তু এটার প্রমাণ দিতে বললে দিতে পারেনা, বলে এই যে তালেবান বা আইসিস এইসবের কথা। কিন্তু তালেবান বা আইসিস যে তাদের সেক্যুলার পাওয়ারগুলাই সৃষ্টি করে সেটাতে আর যায় না। গত শতক ছিল সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ- এবং ধ্বংসময় শতক, আর মানব ইতিহাসে সবচেয়ে ধর্মহীন শতক। তারমানে সবচেয়ে ধর্মহীন শতকই সবচেয়ে ধ্বংস এবং যুদ্ধময়। এসব বললে তারা আমতা আমতা শুরু করবে। আবার ধরেন মানব ইতিহাসে যত যুদ্ধ হইছে তার মাত শতকরা সাতভাগের সাথে ধর্মের কোন কোরিলেশান আছে (সূত্র: এনসাইক্লপিডিয়া অফ ওয়ার)। কজেশান আর কোরিলেশান ভিন্ন জিনিস, তবুও নাস্তিকদের বেনেফিট অব ডাউট দেওয়ার জন্য ধরলাম এই শতকরা সাতভাগ যুদ্ধই ধর্মের জন্য হইছে, তাহলেও বলা যায় শতকরা তিরানব্বই ভাগ অধর্মের জন্য হইছে, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কারনে হইছে। তাহলে ধর্মই সব যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য দায়ী এ ধরণের অযৌক্তিক এবং অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা কেমনে বলা যায়? কিন্তু দেখবেন মিলিট্যান্ট নাস্তিকরা সমানে এরকম বলে যাবে, যুক্তিপ্রমাণ ছাড়াই।
আদতে বলদ না হলে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করা যায় না, কেননা সৃষ্টিকর্তাই মহাবিশ্বের উৎস সেই বিশ্বাস মহাবিশ্বের মত জড়বস্তু আপনা আপনি হইছে সেটার চেয়ে অনেক বেশি যৌক্তিক বিশ্বাস। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তা আছে সেটা আসলে প্রমাণ করার দরকার নাই, কেননা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শুধুমাত্র স্ট্যাটাস কো'র বাইরে কিছু দাবি করলেই শুধু সেটার প্রমাণ দিতে হবে। হাজার বছর ধরে সব সমাজে সব সময়ই আস্তিকদের সংখ্যা (যদি জোর করে চাপিয়ে দেয়া না হয়) অনেক অনেক বেশি ছিল, তার মানে আস্তিক হওয়াটাই স্ট্যাটাস কো, আস্তিক হওয়াটাই নাল হাইপথিসিস, আস্তিক হওয়াটাই স্বাভাবিক আর স্বাভাবিক কিছুর প্রমাণ দিতে হয় না, নাল হাইপথিসিসের প্রমাণ লাগে না, অলটারনেটিভ হাইপথিসিস প্রমাণ করতে না পরলে নাল হাইপথিসিস টিকে থাকে। কেউ যদি "সৃষ্টিকর্তা নাই" এ ধরনের অস্বাভাবিক এবং অযৌক্তিক কিছু দাবি করে, তাকে অবশ্যই প্রমাণ দিতে হবে।
ইশ্বরে বিশ্বাসই যে স্বাভাবিক সেটা সাম্প্রতিক শিশু মনোবিজ্ঞানে প্রমাণিত হয়েছে। যদি একদল শিশুকে কোন একটা দ্বীপে রেখে আসা হয় কোন ধরনের মানুষের বিদ্যমান বিশ্বাস বা আচার-আচরন থেকে দূরে রাখার জন্য, তারা যদি সেরকম দ্বীপ নিরপেক্ষ প্রভাবে বড় হয়, তাহলে তারা আপনাআপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করবে, এটা সাম্প্রতিক চাইল্ড সাইকলজির আবিষ্কার। তার মানে ঈশ্বরবিশ্বাস স্বাভাবিক এবং অবিশ্বাস অস্বাভাবিক, তাই ঈশ্বরের অনস্তিত্ত্বের প্রমাণ লাগবে, কিন্তু অস্তিত্ত্বের প্রমাণ লাগবেনা।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ভাই আমি আসলে ব্যাপারটা মানতে পারলাম না। মিলিটেন্ট নাস্তিকরা সবসময় বিজ্ঞান নিয়েই কথা বলে , আর সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রাসঙ্গিক আর রেফারেন্সপূর্ণ । তবে ঘোড় নাস্তিকতা আর ধর্মান্ধ দুটোই আমার মতে বর্জনীয়। ঘোড় নাস্তিকরা বদ্ধপরিকল্প যে স্রষ্টা নেই। যেখানে বিজ্ঞান কখনো বলেনি স্রষ্টার অস্তিত্ব নেই, বিজ্ঞান বলছে এখনো স্রষ্টার অস্তিত্বের কিছু খুজে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে যারা ধর্মান্ধ ( হোক তারা হিন্দু, মুসলিম , খ্রিস্টান বা অন্য ধর্মের ) তারা নিজের ধর্মকে পরখ করতেও নারাজ। যারা এক ভিন্ন জগতে বাস করে বলা যায়। পৃথিবী সম্পর্কে তাদের ধারনা সম্পূর্ণ তাদের আশেপাশের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া জ্ঞান যেটা সে আস্থাভরে মেনে নিয়েছে। দুটোই মানবতার উন্নয়নের জন্য ভয়াবহ।
আইএস এর ব্যাপারটাও আমি একমত হতে পারলাম না। আর নাল হাইপোথেসিস নিয়ে যা বললেন সেটা খুবই বাজে একটা উদাহরন ছিল । ভাইকিংরা মনে করত "লোকি দেবতা" সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যকে গিলে ফেলতে চায়। সেটাও তাদের কাছে "নাল হাইপথিসিস"। তার মানে সেটা স্বাভাবিক ? সেটার প্রমান দিতে হবে না ?
আর শিশুর ব্যাপারটাও আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হল। যদি এমন হয় তাহলে ঈশ্বরের ধারনা তো মানুষের সৃষ্টি হওয়ার কথা। অন্ধকার রাস্তায় হাটার সময় বিপদের ভয় থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু সেটা তো বিপদের অস্তিত্ব প্রমান করে না। আর " ঈশ্বরের অনস্তিত্ত্বের প্রমাণ লাগবে, কিন্তু অস্তিত্ত্বের প্রমাণ লাগবেনা" এটার কথা আমি ইচ্ছা করে প্রশ্নে করিনাই। কারন উভয়ই প্রমান সাপেক্ষ। ২ এর সাথে ২ বিয়োগ করলে যদি ০ হয়। এখন যদি কেউ বলে আমি বিশ্বাস করি ১ হয় । আর যদি ১ এর অনস্তিত্ত্বের প্রমাণ চায়, সেটা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু না। কারন ০ বাদে সবই এখানে অস্তিত্বহীন।
আমার কাছে মনে হয় আপনি স্রষ্টার সংজ্ঞার ব্যাপারে ক্লিয়ার না। আমার মতে মহাবিশ্বে তার মান হচ্ছে শূন্য। সে সৃষ্টি হলে তখনই তো তাকে কোন মান দেয়া দেয়। সে তার নিজ সংজ্ঞা অনুযায়ীই তো সৃষ্টি থেকে পৃথক। কিন্তু তার নিয়ন্ত্রন করার প্রক্রিয়া হবে অবশই আনপ্রেডিকটেবল। তাই আমি এখানে কোয়ান্টাম ফিজিক্স টেনেছি। কারন সেটা বিজ্ঞানিরাও অনুমান করতে পারে না। এখানে "নতুন" বেশ কিছু সুন্দর উত্তর দিলেও কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর ব্যাপারে চুপ আছে। আমিও জানতে চাই আসলে নাস্তিকরা কিভাবে এটাকে ব্যাখ্যা করবেন।
১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৩৮
চানাচুর বলেছেন: বাপ্রে মানুষের এত ধৈর্য্য ও আছে!!
১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
নৈশ শিকারী বলেছেন: Good post
১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
নতুন বলেছেন: এখানে "নতুন" বেশ কিছু সুন্দর উত্তর দিলেও কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর ব্যাপারে চুপ আছে।
কোয়ান্টাম ফিজিক্সটা এখনো নতুন...আর বিষয়টা নিয়ে আরো পড়রার আছে। তাই এটা নিয়ে ভাল করে না জেনে মন্তব্য করছিনা।
কোয়ান্টার ফিজিক্স আসলে মাল্টভা`স ও আসবে, .... তখন বিষয়টা আরো মজার হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৭
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম......