![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলা থেকে ভ্রমের মধ্যে বড় হওয়া, প্রশ্ন করায় শাস্তি পাওয়া। মেয়ে হয়ে তো ষোলকলাই পূর্ণ করলাম। জ্ঞান আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এখন নিজের আর অন্যের ভ্রম হত্যার সংগ্রাম করি যাব।
ড; জাকির নায়েকের মত ইসলামিক স্কলার পৃথিবীতে কমই আছে। হিন্দু ধর্ম, ক্রিস্টান ধর্ম, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তাঁর বিতর্কগুলো আমার খুব ভাল লাগে। তাঁর বিতর্কের ধরন খুবই সুন্দর।
আমার খুব অবাক লাগে যখন এত বড় স্কলার বিজ্ঞান নিয়ে যখন ব্যাখ্যা করতে যায় তখন অনেক সময়ই সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না। প্রথমে ভেবেছিলাম মানুষকে সহজভাবে বুঝানোর জন্য তিনি একটু ভিন্ন ধারায় ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু যে পরিমান টার্ম সে ব্যাবহার করেন সেটা শুনে মনে হয় না সহজভাবে উপস্থাপন করা এখানে কোন ইসু। ফলে আমার মত অনেকেই খুব কনফিউসড হয়ে যাচ্ছি।
এমন এক জ্ঞানির লোকের মাধ্যমে এমন ধরনের জিনিস পেলে মাথায় দুইটা জিনিস কাজ করে।
১। হয়তো তথ্যগুলো তাঁর কাছে যায়নি।
২।তিনি ভুল জেনেও এটা বলছেন কোন এক অজানা কারনে।
আমি বিজ্ঞানের ব্যাপারে খুব বেশি কিছু জানতাম না। তাঁর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় আমি একটু খোজা শুরু করলাম। প্রথমে যে জিনিসটা আমাকে খুব অবাক করেছে সেটা হল সে খুব ঠাণ্ডা মাথার লোক, কিন্তু আর ইউটিউব থেকে পাওয়া এই ভিডিও দেখে আমি খুব অবাক হলাম। ভিডিওটির লিঙ্ক আমি দিচ্ছি।
ডঃ জাকির নায়েক এই প্রশ্নের উত্তর অনেকগুলো কনফারেন্সে দিয়েছেন। কিন্তু কেউ তাকে থিউরি আর হাইপোথেসিস নিয়ে পাল্টা জবাব দেননি। ভিডিওর যেই অংশে ছেলেটি পাল্টা জবাব দেন সেটা অংশটি হচ্ছে
ডঃ জাকির নায়েক বিরক্ত হয়ে কথা আর চালিয়ে যেতে চান নাই। প্রশ্নকর্তাকে তিনি বলেন "Absurd" । আচ্ছা হতেও পারে মেডিকেল সাইন্স পড়া এই ছেলেটি বোকা আর অজ্ঞ। কিন্তু ডঃ নায়েকের উচিত ছিল এনসাইক্লপেডিআর ডেফিনেশান দেয়ার (যেটা তিনি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে করা লেকচারে করেছেন বেশ কিছুবার)।
এখানে বেশ কিছু টার্ম সামনে এসেছে আপনি যদি ভিডিওর অংশটা ভাল করে দেখেন। কেমন Law, Theory, Fact আর Hypothesis. নিচের ৭ মিনিটের ভিডিও এই কনফিউশন দূর করতে পারে।
আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এই ভিডিওতে সরাসরি বলা হয়েছে বিবর্তন আসলে ফ্যাকট। কিন্তু কেন ? সেটা সাহায্য করতে পারে এই 2টি ভিডিও।
উপসংহারঃ
ডঃ নায়েকও মানুষ। সে হয়তো যখন মেডিকেল স্টুডেন্ট ছিল তখন এই ব্যাপারগুলো জানতো না। আর পরে যখন রিসার্চ করেছেন তখনও মনে হয় বিবর্তন নিয়ে করা রিসার্চগুলো তাঁর কাছে আসে নাই। তাই হয়ত তাঁর ব্যাখ্যা কনফিউসিং। আমি তাঁর মেইলে অনেকগুলো রিসার্চ রেফারেন্স ও তাঁর ভিডিওর কনফিউশনগুলো তুলে ধরে কয়েকবার মেইল করেছিলাম। তাঁর ইউটিউব চ্যানেল আমি রোজ দেখি কোন সময় কে বিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করে উঠলে যদি সে নতুন করে ব্যাখ্যা দিয়ে ভুল ধরিয়ে যদি দেয়।
এটা মানতে পারা যায়না যে ধর্ম ভুল হতে পারে। কারন অগাধ বিশ্বাসই প্রমান দেয় যে ধর্মই সঠিক। হয়তো ডঃ নায়েকের ব্যাখ্যায় কোন সমস্যা আছে। কারো বিবর্তন নিয়ে ভাল ব্যাখ্যা থাকলে উত্তরে দিবেন । পথভ্রষ্ট থাকতে চাই না। ধন্যবাদ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২২
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আমার মতে উনি ডারউইনের বিবর্তনবাদের কথা বুঝিয়েছেন।
আরেকটা লেকচারে সে বলেছিলেন "যদি পৃথিবীর অন্য প্রাণীর ক্ষেত্রে বিবর্তন হয়ে থাকে তাহলে ইসলামের সাথে সেটা সাংঘরসিক হবে না। কিন্তু মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে হয়নি। আদমই প্রথম মানুষ।"
আর এটা জিনিস খুব অবাক লাগে, ডঃ জাকির নায়েক যখন বিবর্তনবাদ দিয়ে কথা বলে তখন যুক্তি হিসেবে তিনি শত বছর আগে চলে যান। সেই ডারউইনের সময়। তিনি সমালোচনা করেন ডারউইন ও তাঁর বিশ্লেষণকে নিয়ে। ড;জাকির নায়েক বর্তমান সময়ের বিবর্তন নিয়ে কোন সমালোচনা করেন না। ব্যাপারটা খুবই কনফিউজিং। এই শতাব্দীতে এসে বিজ্ঞানিরা হোমো সাপিএন্টসহ হাজারটা ভিন্নপ্রজাতির প্রাণীর ভ্রূণতত্ত্ব, জেনেটিক্স, ফসিল প্রমান, ডিএনএ সিকুয়েন্স,শারীরিক গঠন এই সবকিছু বিশ্লেষণ করে এই যবনিকার এসেছে যে বিবর্তন ফ্যাক্ট। ১৮৫৯ সালের ডারউইনের বই যে বিবর্তনবাদের ১৬ আনা নয় সেটা তো তাঁর জানার কথা।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৮
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
সায়েন্সে 'থিওরি' শব্দটা অর্থে ব্যবহার করা হয় আর নরমাল কথাবার্তায় 'থিওরি' শব্দটা যেভাবে ব্যবহার করা হয় সেখানে পার্থক্য আছে। জাকির নায়েক না জেনে চিৎকার করে বোকা আউডিয়েন্সকে আরো বোকা বানায়। হাস্যকর। ছেলেটা যা বলেছে সবকিছু সঠিক। আমার বায়োলজি প্রফেসর প্রথম দিনই বলেছে, ননসায়েন্টিফিক ওয়ার্ল্ডে 'থিওরি' শব্দটা ব্যবহার করা হয় কোন একটা ইভেন্টকে বর্ননা করার জন্য, যেটার বেশি প্রমান থাকে না, সর্ট অব লাইক আ হাইপোথিসিস। বাট ইন সায়েন্স, আ থিওরি হ্যাজ আ ট্রেমেন্ডাজ অ্যামাউন্ট অব এভিডেন্স সাপোর্টিং দ্যা কনসেপ্ট অ্যান্ড প্যাটার্নস ইট ডেস্ক্রাইবস।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬
দরবেশমুসাফির বলেছেন: আসলে জাকির নায়েককে যে প্রশ্নটি করা হয়েছে সেই প্রস্নেই উত্তর লুকিয়ে আছে
প্রস্নকারি মানব কঙ্কাল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে হোমো ইরেকটাস থেকে হোমো সেপিয়েন্স বিবর্তনের উদাহরন দিয়েছেন। লক্ষ্য করুন এখানে আমরা দেখি যে মানব প্রজাতি নিজেদের ভেতর বিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু তারা শুরু থেকেই মানুষ ( হোমো ) ছিল। এটিই কিন্তু প্রজাতিগত বিবর্তন। যা একটি বাস্তবতা ( মানব কঙ্কাল এর গঠন দ্বারা প্রমানিত )
অন্যদিকে ডারউইনের বিবর্তনবাদ বলে যে সকল প্রাণীই কোন আদি প্রাণী থেকে উৎপন্ন।যার কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান নেই ( যেমনটা প্রজাতিগত বিবর্তনের ক্ষেত্রে আছে)। অর্থাৎ এটি একটি হাইপথিসিস।
ধর্ম কিন্তু প্রজাতিগত বিবর্তন সমর্থন করেঃ
এবং আদ গোত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচন্ড ঝঞ্জাবায়ূ,যা তিনি প্রবাহিত করেছিলেন তাদের উপর সাত রাত্রি ও আট দিবস পর্যন্ত অবিরাম। আপনি তাদেরকে দেখতেন যে, তারা অসার খর্জুর কান্ডের ন্যায় ভূপাতিত হয়ে রয়েছে।----সুরা হাক্কাহ (৬-৭)
অর্থাৎ ধর্ম বলছে একসময় মানুষ খর্জুর কান্ডের ন্যায় লম্বা ছিল। যা প্রজাতিগত বিবর্তনকেই সমর্থন করে।
আর আমরা জানি প্রজাতিগত বিবর্তনই ফ্যাক্ট, ডারউইনের বিবর্তনবাদ হাইপথিসিস।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার উত্তরের জন্য। তবে কিছু কনফিউশন আছে। প্রজাতিগত বিবর্তনবাদ ব্যাপারটা আসলে কি ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদের একটা অংশ নয়কি ? মানে প্রতিটি প্রাণীর অবস্থাকে যদি আপনি টাইমস্কেলে চিন্তা করেন তাহলে দেখা যাবে যত অতিতে যাচ্ছেন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য ততই ভিন্ন। একটা সময় সেই প্রাণীকে আপনি সেই প্রজাতিভুক্ত বলতে পারেন না। একটা সময় সেই শাখা থেকে একাধিক প্রজাতি ভিন্নভাবে বিবর্তিত হয়েছে। ঠিক সেইভাবেই কোটি কোটি বছর পিছনে ফিরে যেতে থাকলে যেখানে যাবে পৃথিবীর সকল প্রাণী একটা কমন এনচেস্টর থেকে এসেছে যা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নেচারাল সিলেকশন ও জেনেটিক মিউটেশনের মাধ্যমে বৈচিত্র্য পেয়েছে। আমি নিচে কিছু ছবি দিচ্ছি। আমার প্রশ্ন যদি অস্পস্থ হয়ে থাকে তাহলে আশা করি ছবিগুলো আমার কনফিউশনের জায়গাটা ভাল মত ধরিয়ে দিবে।
এখানে হাতির চিত্রে আপনি নিচের ৪ টা স্টেপকে প্রজাতিগত বিবর্তন বলতে পারেন। কিন্তু এর আগে সেটাকে হাতি বলা যায় না। ঠিক সেইভাবেই বিবর্তনবাদিরা একটা নির্দিষ্ট স্টেইজের আগে গেলে সেটাকে আর "হমিনিড" বলে না বরং "এপ" বলে।
প্রশ্ন যেঁ করেছে সে শুধু শেষের ৩টি স্টেপের কথা তাঁর প্রশ্নে বলেছে homo Sapiens, Homo Erectus, Homo habilies । কিন্তু ঠিক এর থেকে ২.৫ মিলিয়ন বছর আগে আমরা আর মানুষ এর হোমস ছিল না। সেই সময় ছিল Australopithecus, এর আগে ছিল Ramapithecus যাদের বৈশিষ্ট্য, ফসিল প্রমান থেকে বুঝা যায় তারা দাড়াতে সক্ষম এপ ছিল তারা কথা বলতে পারতো না কারন ভোকাল কর্ড তখনো উন্নত হয় না। কিন্তু বুদ্ধিমান এপগুলো দলবদ্ধ হয়ে শিকার করত। বিজ্ঞানিরা আফ্রিকার নানা জায়গায় মিলিয়ন বছর আগের প্রাণীর কঙ্কাল থেকে তাদের শারীরিক গঠন, ডিএনএ পরীক্ষা করেছেন আর থিউরি হয়ে এসেছে যে ডারউইনের বিবর্তনবাদের ফল।
তাছাড়া ডারউইনবাদের ভাল প্রমান হিসেবে বিজ্ঞানিরা দেখান প্রাণীদের শরীরের অপ্রয়োজনীয় অর্গানগুলোকে। যেমন মানুষের ক্ষেত্রে আছে ।
ক। এপেনডিক্স ( যেটা মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে যখন এনচেস্টররা গাছে থাকতো আর সুধুমাত্র সবুজ খাদ্যের উপর নির্ভর ছিল তখন সেটা পরিপাকতন্ত্রের একটা অংশ হিসেবে কাজ করতো)
খ । টেইল বোন (জেনেটিক মিউটেশনের ফলে লেজ মিলিয়ন বছর আগেই বাহ্যিকভাবে লোপ পায় হমিনিডদের, কঙ্কালকাঠামোতেও আসতে আসতে লোপ পেয়েছি , তবে এখনো কিছু অবশিষ্ট অংশ রয়ে গিয়েছে।)
গ । গুসবাম্ব বা ভয়/চমকিত হওয়ার সময় লোম খারা হওয়া ( স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে যাদের থেকে আমরা বিবর্তিত হয়েছি বলা হচ্ছে তাদের মতও আমাদের মাসল ফাইবারে একই রকম মেকানিজম বিদ্যমান )
আরও কিছু জিনিস আছে যেমন দুধ দাত, ছেলেদের নিপল, চোখের ভিতরের পর্দা, ঢেঁকুর তোলা ইত্যাদি। অন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রেও আছে। তবে এখানে মানুষের উদাহরনটা বেশি প্রাসঙ্গিক তাই বললাম।
আমার জানতাম না খর্জুর কান্ডের ন্যায় এত লম্বা মানুষের কোন অস্তিত্ব ছিল। অথেনটিক কোন এভিডেন্স পাইনি এই ব্যাপারে। এমন কোন এভিডেন্স লিঙ্ক থাকলে একটু কষ্ট করে দিবেন।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৩
দরবেশমুসাফির বলেছেন: আমার জানতাম না খর্জুর কান্ডের ন্যায় এত লম্বা মানুষের কোন অস্তিত্ব ছিল। অথেনটিক কোন এভিডেন্স পাইনি এই ব্যাপারে। এমন কোন এভিডেন্স লিঙ্ক থাকলে একটু কষ্ট করে দিবেন।
আমি ওটা প্রমানিত হয়েছে তা বোঝাতে চাইনি।( নেটে এর কিছু প্রমান আছে বলে দাবি করা হয় তবে আমার কাছে সেগুলো নির্ভরযোগ্য মনে হয় নি)।আমি বোঝাতে চেয়েছি যে এটি প্রজাতিগত বিবর্তন সমর্থন করে এবং প্রজাতিগত বিবর্তন একটি ফ্যাক্ট।
homo Sapiens, Homo Erectus, Homo habilies এর থেকে ২.৫ মিলিয়ন বছর আগে আমরা আর মানুষ এর হোমস ছিল না। সেই সময় ছিল Australopithecus, এর আগে ছিল Ramapithecus যাদের বৈশিষ্ট্য, ফসিল প্রমান থেকে বুঝা যায় তারা দাড়াতে সক্ষম এপ ছিল তারা কথা বলতে পারতো না কারন ভোকাল কর্ড তখনো উন্নত হয় না।
জীববিজ্ঞানে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। ( আমি মুলত পদার্থবিজ্ঞানে ও গনিতে অল্প কিছু দক্ষ ) ।
আমি আপনার কথা বুঝতে পারলেও জ্ঞান সল্পতার কারনে এখনই কিছু বলতে পারছি না। আপনি যদি আমাকে
homo Sapiens, Homo Erectus, Homo habilies ও Australopithecus,Ramapithecus কিভাবে সম্পর্কিত সেটির কোন চার্ট দেখান তবে হয়ত আমার কিছু বলার থাকতে পারে।
ডারউইনবাদের ভাল প্রমান হিসেবে বিজ্ঞানিরা দেখান প্রাণীদের শরীরের অপ্রয়োজনীয় অর্গানগুলোকে।
হয়তো পূর্বে কোন প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানর জন্য অর্গানগুলো মানুষের পূর্বপুরুষদের মধ্যে উৎপন্ন হয়েছিল। যা অন্য অনেক প্রাণীতেও উৎপন্ন হয়েছিল। কালক্রমে মানুষের জন্য অর্গানগুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছে।
ক। এপেনডিক্সঃ
হয়তো মানুষের পূর্বপুরুষ গাছে থাকত এবং সবুজ খাদ্যর উপর নির্ভর করত। ( তার মানে যে তারা মানুষ ছিল না এমন নয় ) তাই তাদের মধ্যে এপেনডিক্স উৎপন্ন হয়েছিল। জেনেটিকালি সেটা আমাদের মধ্যে চলে এসেছে।
খ । টেইল বোনঃ
এটা খুবই কনফিউজিং লাগছে আমার কাছেও।এ ব্যাপারে আমার বিস্তারিত জানা নেই। জানালে উপকৃত হব।
গ । গুসবাম্ব বা ভয়/চমকিত হওয়ার সময় লোম খারা হওয়াঃ
হয়তো পূর্বে কোন প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানর জন্য গুসবাম্ব বা ভয়/চমকিত হওয়ার সময় লোম খারা হওয়া মানুষের পূর্বপুরুষদের মধ্যে উৎপন্ন হয়েছিল। যা অন্য অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণীতেও উৎপন্ন হয়েছিল একই পরিস্থিতে খাপ খাওয়ানর জন্য। জেনেটিকালি যা অন্য সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর মত আমাদেরও মধ্যে চলে এসেছে।
আপনার সাথে কথা বলে আমি অনেক উপকৃত হচ্ছি। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আপনাকে উপকৃত করতে পারছি না। কেননা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে জীববিজ্ঞানের যতটুকু গভীর জ্ঞান লাগবে তা আমার মোটেও নেই।
কিন্তু যেহেতু আমিও আপনার মতই সত্যটা জানতে চাই তাই আশা করি কথা চালিয়ে যাবেন।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৪
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: homo Sapiens, Homo Erectus, Homo habilies ও Australopithecus,Ramapithecus কিভাবে সম্পর্কিত সেটির কোন চার্ট দেখান তবে হয়ত আমার কিছু বলার থাকতে পারে।
এই ইমেজটা পেলাম। তাছাড়া এই উইকি পেইজে অনেকগুলো রেফাইন্সলিঙ্ক সম্মিলিত করে একটা ডিটেইলড টাইমলাইন দেয়া আছে।
হয়তো পূর্বে কোন প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানর জন্য অর্গানগুলো মানুষের পূর্বপুরুষদের মধ্যে উৎপন্ন হয়েছিল। যা অন্য অনেক প্রাণীতেও উৎপন্ন হয়েছিল। কালক্রমে মানুষের জন্য অর্গানগুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে গিয়েছে।
হয়তো পূর্বে কোন প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানর জন্য গুসবাম্ব বা ভয়/চমকিত হওয়ার সময় লোম খারা হওয়া মানুষের পূর্বপুরুষদের মধ্যে উৎপন্ন হয়েছিল। যা অন্য অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণীতেও উৎপন্ন হয়েছিল একই পরিস্থিতে খাপ খাওয়ানর জন্য। জেনেটিকালি যা অন্য সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর মত আমাদেরও মধ্যে চলে এসেছে।
বিবর্তনবাদিদের মতে বিবর্তন ২টি জিনিসের কারনে হয়। (১) রেন্ডম জেনেটিক মিউটেশন (২) ন্যাচারাল সিলেকশন।
রেন্ডম জেনেটিক মিউটেশন হচ্ছে প্রজননের সময় ডিএনএ কপি করার সময় কিছু ভুল হয় সেটা শারীরিকভাবে যে পরিবর্তন আনে সেটা। এটা রেন্ডম হয়। অর্থাৎ কোন প্রাণীর অর্গানের উন্নতি প্রয়োজন তাই বলে এই মিউটেশন আসবে এটা নয়। আর দ্বিতীয় হচ্ছে ন্যাচারাল সিলেকশন। এটা রেন্ডমের ঠিক বিপরীত। মিউটেশনের ফলে যে নতুন বৈশিষ্ট্যগুলো প্রাণী লাভ করে তাঁ যদি পরিবেশের সাথে মানানসই হয় তাহলে সেই প্রাণী বেচে থাকার ও নতুন ডিএনএ সিকুয়েন্স তাঁর উত্তরাধিকারদের মাঝে প্রসার করতে পারে। প্রয়োজনের তাগিদে বিবর্তন হয় না, বরং শারীরিক বৈশিষ্ট্য প্রয়োজন মিটাকে পারলে সেটা টিকে থাকে। একই সময় পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য হাজার ধরণের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে একই সময়ে অর্গানগুলো এসেছে সেটা এটা অসম্ভব। বিবর্তন নিয়ে যে মিসকনসেপশন আছে সেটা এই ভিডিওতে সুন্দর করে উপস্থাপন করা আছে
view this link
যে অপ্রয়োজনীয় অর্গানগুলো আমাদের শরীরে আছে সেগুলো যেইসব প্রাণীর মধ্যে আছে তাদের সাথে আমাদের কমন রুট আছে। উদাহরনস্বরূপ গুসবাম্ব এসেছে Repenomamus এর কাছ থেকে arrector pili muscles এর মাধ্যমে। সে প্রায় সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর কমন এনচেস্টর। এ জন্য প্রায় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে এটা দেখা যায়। অন্যদিকে মাত্র লক্ষ বছর আগে চোয়াল ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়ে ছোট হয়ে আসায় একমাত্র অস্তিত্বময় হোমিনিড প্রাণী হোম সাপিএন্ট মানুষ এর দুধদাত হয়।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
দরবেশমুসাফির বলেছেন: homo Sapiens, Homo Erectus, Homo habilies এর থেকে ২.৫ মিলিয়ন বছর আগে আমরা আর মানুষ এর হোমস ছিল না। সেই সময় ছিল Australopithecus, এর আগে ছিল Ramapithecus যাদের বৈশিষ্ট্য, ফসিল প্রমান থেকে বুঝা যায় তারা দাড়াতে সক্ষম এপ ছিল তারা কথা বলতে পারতো না কারন ভোকাল কর্ড তখনো উন্নত হয় না। ]
আপনার এই সমস্যার একটি সমাধান পেয়েছিঃ
Australopithecus, ও Ramapithecus হচ্ছে গণ ( genus )। একটি গনের অধীনে অনেক প্রজাতি থেকে থাকে । এই ২ টি গণ বা এর মত আরও কিছু গণ থেকে এপ বা শিম্পাঞ্জি প্রকৃতির প্রাণী এসেছে।
কিন্তু হতে পারে এমন আরও একটি গণ ছিল যা থেকে মানুষের উৎপত্তি হয়েছে। যা ওই ২ টি গণ ( Australopithecus, ও Ramapithecus ) থেকে ভিন্ন।
তাই যতদিন পর্যন্ত হমিনিডের সকল গনের সন্ধান না পাওয়া যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না যে মানুষ এপ বা শিম্পাঞ্জ প্রকৃতির প্রাণী থেকেই এসেছে। কেননা শুধু Australopithecus, ও Ramapithecus গণ থেকেই এপ বা শিম্পাঞ্জি প্রকৃতির প্রাণী এসেছে। হয়তোবা অন্য কোন গণ থেকে আধুনিক মানুষের উৎপত্তি।
এক্ষেত্রও দেখা যাচ্ছে আমরা নিশ্চিতভাবে আন্তপ্রজাতিক বিবর্তন সঠিক বলতে পারছি না। এটা হাইপথিসিসই রয়ে যাচ্ছে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: কিন্তু হতে পারে এমন আরও একটি গণ ছিল যা থেকে মানুষের উৎপত্তি হয়েছে। যা ওই ২ টি গণ ( Australopithecus, ও Ramapithecus ) থেকে ভিন্ন।
তাই যতদিন পর্যন্ত হমিনিডের সকল গনের সন্ধান না পাওয়া যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না যে মানুষ এপ বা শিম্পাঞ্জ প্রকৃতির প্রাণী থেকেই এসেছে। কেননা শুধু Australopithecus, ও Ramapithecus গণ থেকেই এপ বা শিম্পাঞ্জি প্রকৃতির প্রাণী এসেছে। হয়তোবা অন্য কোন গণ থেকে আধুনিক মানুষের উৎপত্তি
এক্ষেত্রও দেখা যাচ্ছে আমরা নিশ্চিতভাবে আন্তপ্রজাতিক বিবর্তন সঠিক বলতে পারছি না। এটা হাইপথিসিসই রয়ে যাচ্ছে।
এটা আসলে মলিকিউলার বাইয়লজির মাধ্যমে প্রমান করা হয়েছে। এর একটা শক্ত পরীক্ষার মাধ্যম ছিল ডিএনএ। ডিরেক্ট এনচেষ্টার, কমন এনচেষ্টার এগুলো বোঝার জন্য বিজ্ঞানিরা ডিএনএ সিকুয়েন্স মেচিং করে দেখে। এটা অনেক সময় মানুষের ক্ষেত্রেও বুঝা হয়। ডিএনএ সিকুয়েন্স ম্যাচ করে সহজেই বুঝা যায় সেটা ডিরেক্ট এনচেষ্টার নাকি অন্য প্রজাতির এঞ্চেস্টার। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় এমন অনেক কঙ্কালের অংশ পাওয়া গিয়েছে যেটা দেখে বোঝা সম্ভব না সেটা কি। তখন ডিএনএ টেস্ট করে বুঝা যায় এটা কোন প্রাণীর পূর্বপুরুশ হতে পারে। ডিএনএ টেস্ট এতটাই সহজ করে দিয়েছে এই রিসার্চ যেঁ ধরুন আপনার সামনে আপনার চাচা আর আপনার বাবার ডিএনএ রাখা আপনি চাইলেই পরীক্ষা করে বের করতে পারবেন কোনটা আপনার বাবার। একটা ফানফ্যাক্ট বলি Ancestry.com ডিএনএ টেস্ট করে বলতে আপনার হাজারহাজার বছর আগের Ethnical ব্যাকগ্রাউন্ড বলতে পারবে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আপনি খেয়াল করেছেন আমি আপনার " হতে পারে" গুলো বন্ড করেছি। এটার কিছু ব্যাক্তিগত কারন আছে। আসলে আমিও ডারউইন বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রমান খুজছি। আমার মাথায় অনেকগুলো হতে পারে ঘুর ঘুর করছে। চাইলেও সেটা আমি বলতে পারছি না কারন সেটার শক্ত কোন বেস নেই। তবে, আপনার উত্তরগুলোর জন্য ধন্যবাদ। নতুন অনেক কিছু আলোচনায় আসলো যেটা একা একা ভাবলে আসতো না।
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
দরবেশমুসাফির বলেছেন: আমার মনে হয় নিচের ২ টি ভিডিওতে আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেনঃ
https://www.youtube.com/watch?v=Q8DDIe_2cHM
এটি অনেক বড় ভিডিও। অল্প কথায় আপনার প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেনঃ
https://www.youtube.com/watch?v=F5fN7s7Ds9I
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ, দ্বিতীয় ভিডিওটি খুব সাহায্য করেছে। তবে সেখান থেকে নতুন কিছু প্রশ্নের উদয় হয়েছে। সেটা বলছি। আগে প্রথম ভিডিও নিয়ে কিছু কথা বলি। আমি ধৈর্য সহকারে ভিডিওটি দেখছিলাম প্রায় ২০ মিনিট দেখার পর এই লোকের অজ্ঞতা দেখে ও চতুর যুক্তি মেনে নেয়ার গ্রহনযোগ্যতা হারায়। তাঁর কথায় ভুলগুলো ও কনফিউশনগুল বলতে গেলে একটা মেগাপোস্ট লেখা যাবে। তিনি Microwave Radiation, Cosmic Horizon, X-Ray, Gama-Ray, Inferred, Gravitational Force সম্পর্কে কোন ধারনা রাখেন কিনা জানি না। বিগ ব্যাঙ, পৃথিবীর গঠন নিয়ে তিনি কিছুক্ষণ যা ইচ্ছা বললেন। আমি চেয়েছিলাম মৌলিক সমস্যাগুলো লিস্ট করে কমেন্টে বলতে। পরে আমি সার্চ করে Debunked ভিডিও পেলাম। তাঁর ভিডিওর সেটার লিঙ্ক এখানে দিচ্ছি Click This Link
আর দ্বিতীয় ভিডিওটা আসলে আপনার আর ডঃ জাকির নায়েক উভয়ের কথার সাথে ভিন্নমত পোষণ করছে। ডঃ জাকির নায়েক বিবর্তনকে হাইপোথেসিস বলেই আর কথা বাড়াচ্ছে না। আপনি বললেন প্রজাতিগত বিবর্তনের কথা । কিন্তু ডঃ রানা দাজানি জিনি নিজে একজন মলিকিউলার বাইয়লজিস্ট তাঁর উত্তরের গ্রহনযোগ্যতা বেশি ছিল কারন তিনি এই বিষয়ে জ্ঞানি। সে ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদকেই সাইন্টিফিক ফ্যাক্ট বলছেন। তিনি এটাও বলেছেন যে একটা সময় ফসিল এভিডেন্স ছিল বিবর্তনবাদকে প্রমান করার একটা হাতিয়ার। কিন্তু এখন ডি,এন, এ আর মিলিকিউলার বাইওলজির কারনে আমরা এখন শক্তভাবে জানি বিবর্তন একটি ফ্যাক্ট।
তবে প্রশ্নটা জেগেছে যখন তিনি ইসলাম নিয়ে কথা বললেন। প্রথমে তাকে প্রশ্ন করা হল তাহলে মানুষও কি বিবর্তনের ফল। তিনি অস্বীকার করলেন না। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করা হল তাহলে হজরত আদম (আঃ) কে ছিলেন তাহলে। তিনি তখন বললেন ধর্মীয় গ্রন্থের প্রথম মানবের কথাকে উপমা (" metaphor for humanity 'in general' ) হিসেবে নেয়ার কথা। তিনি এটাও বললেন যে " He or a Group of people" । ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদ তো প্রথম মানুষের কনসেপ্টের পরিপন্থি। এভাবে চিন্তা করলে তো ১৪০০ বছর পর্যন্ত কি আমরা তাহলে ভুল ব্যাখ্যা জেনে এসেছি আদম (আঃ ) সম্পর্কে? যদি তাই হয় তাহলে কি Group of people জান্নাতের নিষিদ্ধ ফল খেয়েছি? আদম (আঃ ) ও বিবি হাওয়া কে শত শত বছর পর আরাফাতের ময়দানে মিলিত হয়েছিল সেটা কি একদল পুরুষ আর একদল মহিলা বিচ্ছিন্ন ছিল, সেখানে সবাই এক হয়েছিল ? নাকি এপ থেকে হমিনিড থেকে হোমো সাপিএন্ট এই পর্যায়ে যারা ছিল সবাই আদম ছিল ? প্রশ্নের সমুদ্র এসে দাঁড়ায় যখন ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদকে ফ্যাক্ট বলা হয়।
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১
দরবেশমুসাফির বলেছেন: ড কেন্ট এর বিবর্তন সম্পর্কিত কথাগুলো আমার কাছেও কিছুটা অদ্ভুত লাগছিল। এখন আপনার মাধ্যমে মোটামুটি নিশ্চিত হলাম যে তাঁর কথার যৌক্তিক ভিত্তি নেই।
আর দ্বিতীয় ভিডিওটা আসলে আপনার আর ডঃ জাকির নায়েক উভয়ের কথার সাথে ভিন্নমত পোষণ করছে।
অবশ্যই। কিন্তু আমি তো আমার মতকে প্রমানিত সত্য বলেই দাবি করছি না। আমি ভিডিওটি দেখে আমার মত পরিবর্তন করেছি। কেননা সত্যটা জানাই আমার উদ্দেশ্য ছিল।
১৪০০ বছর পর্যন্ত কি আমরা তাহলে ভুল ব্যাখ্যা জেনে এসেছি আদম (আঃ ) সম্পর্কে?
১৪০০ বছর আগে মুহাম্মাদ সাঃ কুরআনের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো বর্ণনা করেছিলেন। ব্যাখ্যা করেন নি। কেননা তিনিও মানুষ ছিলেন। তাই নিজ থেকে ব্যাখ্যা করতে গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাঁকে আল্লাহ শুধু কুরআন বর্ণনা করতে বলেছিলেন ব্যাখ্যা করতে নয়। কেননা আল্লাহই শুধু আসল ব্যাখ্যা জানেন।
যদি তাই হয় তাহলে কি Group of people জান্নাতের নিষিদ্ধ ফল খেয়েছি?
জান্নাতের নিষিদ্ধ ফলও তো উপমা হতে পারে? বিবর্তনের ফলে যখন চিন্তাশীল মানুষ উৎপন্ন হল তখন মানুষ ভাল খারাপ চিন্তা করতে শিখল। একসময় মানুষ লোভ ও আকাঙ্খায় সাড়া দিয়ে পাপ করতে অগ্রসর হল। কুরআনে জান্নাতের নিষিদ্ধ ফল বলতে লোভ ও আকাঙ্খাকে বুঝান হতে পারে নিশ্চয়ই??
আদম (আঃ ) ও বিবি হাওয়া কে শত শত বছর পর আরাফাতের ময়দানে মিলিত হয়েছিল ।
এটি কুরআন বা সঠিক হাদিসের গ্রন্থগুলোর কোথায় আছে জানালে উপকৃত হব।
নাকি এপ থেকে হমিনিড থেকে হোমো সাপিএন্ট এই পর্যায়ে যারা ছিল সবাই আদম ছিল ?
যেহেতু আদাম আঃ এর ভাল মন্দ বোঝার ক্ষমতা ছিল বা চিন্তাশক্তি ছিল তাই বলা যায় বিবর্তনের যে পর্যায় এ মানুষের পূর্বপুরুষগণ চিন্তাশক্তি লাভ করেছিলেন আদম ছিলেন তাদের অন্তর্গত।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ১৪০০ বছর ধরে যারা কুরআন (বা আগের আসমানি কিতাবগুলো) পড়ে এসেছে তারা সবাই বলবে আদম(আ) প্রথম মানুষ ও নবী। সে প্রাণীদের থেকে ভিন্ন, সৃষ্টির সেরা জীব। আদম(আ) ও বিবি হাওয়া জান্নাতে থাকতো। তারা নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর আল্লাহ তাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়। কোন তাফসীরে, কোন হাদিসে ভিন্নমত পোষণ করেনি।
এরপর হঠাৎ বিজ্ঞানের একটা ইস্যু আসলো আর এটা সাইন্টেফিক ফ্যাক্ট হয়ে গেল যে প্রথম মানুষ বলতে কিছু নেই। সবাই গ্রাজুয়াল বিবর্তনের মাধ্যমে এই অবস্থায় এসেছে। এরপর হঠাৎ ব্যাখ্যায় পরিবর্তন। এখন যদি আমরা বলি সেটা হতে পারে উপমা। এমন হলে নন-মুসলিমরা মনে করবে মুসলিমরা ধর্মীয় একটা ডগমার মধ্যে আছে, অন্ধবিশ্বাসে আছে, আর যখনই কোন বিতর্ক আসে মুসলিমরা কৌশলগত ডিফেন্স মেকানিজম করে।
এখন হয়ত (১) ১৪০০ বছর ধরে মানুষ ভুল মেনে এসেছে আদম ও হওয়ার ব্যাপারে। অথবা (২) আমরা বিজ্ঞানের সাথে ধর্মকে মানানসই করার জন্য ব্যাখ্যা পালটিয়ে ফেলেছি। আর ভুল মানছি যেটা ১৪০০ ধরে মানুষ সঠিক মানা হত।
১ আর ২ এর ব্যাপারে চিন্তা করলে আসলে খুব অদ্ভুত অনুভুতি আসে। সত্যকে মানতে ব্রত হয়েছি তাই ডারউইনিয়ান বিবর্তনের ফ্যাক্টকেউ ফালিয়ে দিতে পারছি না।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
দরবেশমুসাফির বলেছেন: ১৪০০ বছর ধরে যারা কুরআন (বা আগের আসমানি কিতাবগুলো) পড়ে এসেছে তারা সবাই বলবে আদম(আ) প্রথম মানুষ ও নবী।
আমি একমত। এখন দয়া করে কুরআনের আরেকটি আয়াত দেখুনঃ
সূর্যের ক্ষমতা নেই সে চাঁদকে ধরে ফেলে আর না রাত দিনকে ছাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারে।সবকিছুই নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটছে --- সুরা ইয়াসিন ৪০
এখন ১৪০০ বছর আগে যারা কুরআন পড়েছেন তারা ভেবে থাকতে পারেন "সবকিছুই নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটছে" এর মানে গ্রহ নক্ষত্র পানির উপর অবস্থিত। তাই নয় কি??
কিন্তু আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সুবাদে আমরা জানি মহাবিশ্বের সব কিছু ডার্ক ম্যাটার নামক পদার্থের ভেতর ডুবে আছে। আর সকল গতিশীল বস্তু যেন এই ডার্ক ম্যাটার এর সমুদ্রে সাঁতার কাটছে ।
অর্থাৎ আল্লাহ "সবকিছুই নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটছে" বলতে সবকিছুই নিজ নিজ কক্ষপথে ডার্ক ম্যাটার এর সমুদ্রে সাঁতার কাটছে বুঝিয়েছেন তাই নয় কি?? ( উনি নিশ্চয়ই পানি বুঝান নি?? )
এখন ১৪০০ বছর আগে মানুষ জ্ঞানের অভাবে কুরআনের বক্তব্য ঠিকভাবে নাও বুঝে থাকতে পারে তাই বলে তাদের বক্তব্যই আমাদের আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে??
আমরা যদি আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে কুরআন এর সঠিক অর্থ বের করতে পারি তবে কি এমন হলে নন-মুসলিমরা মনে করবে মুসলিমরা ধর্মীয় একটা ডগমার মধ্যে আছে, অন্ধবিশ্বাসে আছে, আর যখনই কোন বিতর্ক আসে মুসলিমরা কৌশলগত ডিফেন্স মেকানিজম করে????
আপনি কি বলবেন, আমি কৌশলগত ডিফেন্স মেকানিজম ব্যবহার করে পানিকে ডার্ক ম্যাটার বলছি??
নাকি বলবেন আল্লাহ ডার্ক ম্যাটারই বুঝিয়েছেন কিন্তু মানুষ জ্ঞানের অভাবে পানি মনে করেছিল।
১৪০০ বছর আগে একইভাবে বিবর্তনের জ্ঞানের অভাবে মানুষ আদাম আঃ ব্যাপারে কি ভুল করতে পারে না?? ( যেভাবে তারা ভেবে থাকতে পারেন "সবকিছুই নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটছে" এর মানে গ্রহ নক্ষত্র পানির উপর অবস্থিত। )
এখন ১৪০০ বছর আগে মানুষ জ্ঞানের অভাবে কুরআনের বক্তব্য ঠিকভাবে না বুঝে থাকলে তাদের বক্তব্যই কি আমাদের আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে??
নিশ্চয়ই নয়। কারন আল্লাহ সত্যটাই বুঝিয়েছেন।তিনি সবসময়ই সত্যই প্রকাশ করেন।কিন্তু মানুষ তার জ্ঞানের অভাবে যুগে যুগে বুঝতে ভুল করেছে।
আমাদেরকে আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে কুরআন এর সঠিক অর্থ বের করতে চেষ্টা করতে হবে। কারন গবেষণার কারনেই বের হবে কুরআন ঠিক কি আমাদের বুঝিয়েছে। কোনটি উপমা আর কোনটি বাস্তব। যেমন গবেষণার কারনে আমরা জানি যে আল্লাহ
"সবকিছুই নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটছে" এর মানে গ্রহ নক্ষত্র পানির উপর অবস্থিত বোঝান নি বরং বুঝিয়েছেন সবকিছুই নিজ নিজ কক্ষপথে ডার্ক ম্যাটার এর সমুদ্রে সাঁতার কাটছে। ( ডঃ রানা দাজানি জিনি কিন্তু তাঁর ভিডিওর শেষে এই কথাগুলোই বলেছেন )
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য।
তবে সমস্যাটা কোথায় জানেন ভাই। আমরা মতের ব্যাপারে মানুষকে এক করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আপনি খুবই আপনাকে খুব রেশনাল মনে হল। তাই আপনি কিছু ক্ষেত্রে নিজের মত পরিবর্তন করতে আর আমার দ্বিধাদ্বন্দ্বগুলো ক্লিয়ার করে দিয়ার চেষ্টা করেছেন। এখন যদি যদি এলাকার ইমামকে যদি আমি বলতে যাই আদমের ব্যাপারটা আসলে উপমা। হতে পারে এটা একজন না হয়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মানুষের অবস্থান বুঝিয়েছে তখন হয়ত ভ্লেসফেমিক , মুরতাদ এমন অনেক কিছুই শুনতে হতে পারে। তাছাড়া আরেকটা ব্যাপারে কনফিউসনের উদয় হল। সেটা ক্লিয়ার করে দিলে আশা করি ব্লগটা সার্থকতা পাবে।
"যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল।" (সূরা আন-নিসাঃ ৮০)
যে কেউ আমাদের এ দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু আবিস্কার করে যা তার অন্তর্ভুক্ত নয় তা পরিত্যাজ্য” [বুখারী ও মুসলিম]
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- “আমার সাহাবীগণকে আঃ সম্মান কর। কেননা তোমাদের মধ্যে তাহারা সর্বোত্তম। তারপর তাহাদের পরবর্তীগণ। তারপর তাহাদের পরবর্তীগণ। তারপর মিথ্যার আর্বিভাব ঘটিবে” (সহিহ বুখারি)
হুযাইফা [রা:] বলেন- প্রতিটি ইবাদত যা মুহাম্মদ [সা:] এর সাহাবাগণ করেননি তা কর না। কারণ তাঁরা পরবর্তীদের জন্য কিছুই ছেড়ে যাননি বা বাদ রাখেননি।
ইমাম আওজা'য়ী (রহ বলেন: তুমি সালাফদের (সাহাবী ও তাবেঈ) পদাঙ্ক অনুসরণ কর যদিও মানুষ তোমাকে বর্জন করে। আর মানুষদের মতামত পরিহার কর যদিও তাকে তারা চাকচিক্য ও সজ্জিত করুক না কেন।
মানে কথা হচ্ছে নবীজি আর সাহাবারা যেভাবে যা বর্ণনা করেছেন ব্যাখ্যা করেছেন সেটাই ধর্ম। তারা উপমা বললে উপমা, না বললে না। নতুন কিছু যোগ করা বিদাত। এখন ডঃ জাকির নায়েক যখন বিজ্ঞান ও ইসলামের সিমিলারিটি দেখান তখন দেখা যায় অনেক নতুন তাফসীরের মধ্যে এমন অনেক কিছু দেয়া থাকে যেটা বিজ্ঞানের পরিপন্থি। তিনি তখন সেই ১৪০০ বছর আগের সেই শব্দতে কি বুঝানো হত সেটায় চলে যান। নতুন করে কিছু যোগ করেন না। সাম্প্রতিক সময়ের বিজ্ঞ ইসলামিক স্কলারদের দেখিনি নিজের অপিনিওন দিয়ে ব্যাখ্যা করতে যেটা আগে ব্যাখ্যা করা আছে। বরং তারা বেশি মননিবেশ করে সম্প্রতি সময়ের ইসু নিয়ে। যেমনঃ রোজার সময় ইন্সুলিন ব্যাবহার, মোবাইলে সূরা রিংটন হিসেবে রাখা ইত্যাদি। তারা কুরআন-হাদিসকে ব্যবহার করে এই ব্যাপারগুলোর জন্য ইসলামিক নিয়ম বুঝিয়ে বলেন। আমরা এগুলো বলা হয় ইজমা,কিয়াস।
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
দরবেশমুসাফির বলেছেন:
আমাদেরকে আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে কুরআন এর সঠিক অর্থ বের করতে চেষ্টা করতে হবে। কারন গবেষণার কারনেই বের হবে কুরআন ঠিক কি আমাদের বুঝিয়েছে। কোনটি উপমা আর কোনটি বাস্তব।
ডঃ রানা দাজানি জিনি কিন্তু তাঁর ভিডিওর শেষে এই কথাগুলোই বলেছেন
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
দরবেশমুসাফির বলেছেন: আপনাকে আমি আগে বলেছিলাম যে আমি পদার্থবিজ্ঞানে ও গনিতে অল্প কিছু দক্ষ।
আমি কুরআনে পদার্থবিজ্ঞান ও গনিতের এত এত বিস্ময় খুঁজে পেয়েছি যে কুরআনকে ঐশী গ্রন্থ হিসেবে স্বীকার আমাকে করতেই হয়েছে। উপরে তো শুধু এরকম একটি বিস্ময় উল্লেখ করলাম ( সুরা ইয়াসিন ৪০ )।
সত্যকে মানতে ব্রত হয়েছি বলে কুরআনকেও ফেলে দিতে পারছিনা আবার বিবর্তনবাদও অস্বীকার করতে পারছি না। এজন্যই বিবর্তনবাদের উপর ভিত্তি করে কুরআনের বর্ণনা করার চেষ্টা করছি। (ডঃ রানা দাজানি জিনির মত )
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২২
দরবেশমুসাফির বলেছেন: "যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল।" (সূরা আন-নিসাঃ ৮০ )
আমি অবশ্যই একমত। তবেঃ
তিনি কি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে কুরআনের কোন কিছুর নতুন ব্যাখ্যা খোঁজা যাবে না?? তিনি আদাম আঃ এর কাহিনি বর্ণনা করেছেন কেননা আল্লাহ তাঁকে বর্ণনা করতে আদেশ দিয়েছিলেন। আর তিনি ঠিক তাই বলেছেন যা তাকে বলতে বলা হয়েছে।
তিনি শুধু কুরআন পড়ে শুনিয়েছেন।
যে কেউ আমাদের এ দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু আবিস্কার করে যা তার অন্তর্ভুক্ত নয় তা পরিত্যাজ্য” [বুখারী ও মুসলিম]
এই নতুন কিছু বা বিদআত ২ প্রকার। ১ বিদআতে হাসানা ও ২ বিদআতে শাবাবা বোধহয় ( আমার পুরোপুরি মনে আসছে না )।
বিদআতে হাসানা হচ্ছে ইসলামের ব্যাখ্যা বা তাফসির। বা উপকারি আবিষ্কার। বিদআতে হাসানা অনুমোদিত। কেননা ইসলামের ব্যাখ্যা বা তাফসিরও নতুন কিছু যা নবি অথবা সাহাবাদের সময়ে ছিলনা। কিন্তু তারমানে কি আমরা ধরে নিব সব তাফসির বা কুরআনের ব্যাখ্যাই দ্বীনের ব্যাপারে নতুন কিছু??
না। বরং সেগুলো দ্বীনের স্পষ্ট ব্যাখ্যা। কোন আধুনিক মতবাদ দিয়ে কুরআন বোঝার চেষ্টাও নিশ্চয়ই ইসলামের ব্যাখ্যা বা তাফসির। বা উপকারি আবিষ্কার। যা অনুমোদিত।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- “আমার সাহাবীগণকে আঃ সম্মান কর। কেননা তোমাদের মধ্যে তাহারা সর্বোত্তম। তারপর তাহাদের পরবর্তীগণ। তারপর তাহাদের পরবর্তীগণ। তারপর মিথ্যার আর্বিভাব ঘটিবে” (সহিহ বুখারি)
সাহাবিদের ব্যাপারে তাহলে একটি বিষয় আপনার জানা প্রয়োজন। কোন সাহাবির ব্যক্তিগত জীবন অবশ্যই পালনীয় আদর্শ
কিন্তু কোন সাহাবি কখনই বলেন নি যে তারা কুরআনের ব্যাখ্যায় ১০০% সঠিক। কেননা সব কিছু জানা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। যে দাবি করে সে সবকিছু জানে সে নিজেকে আল্লাহর সাথে তুলনা করে। যা স্পষ্ট শিরক। ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় অপরাধ। সাহাবিরা কুরআনের ব্যাখ্যায় নিজেদের ১০০% ঠিক দাবি করে শিরক করবেন তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তাদের আচরন ও চরিত্রের দিক থেকে তারা অবশ্যই সর্বোত্তম। কিন্তু থিওরিটিকাল কোন বিষয়ে বা কুরআনের ব্যাখ্যায় তারা ১০০% সঠিক ছিলেন তারা তা কখন দাবি করেন নি। কেননা এটি হত শিরক। তারা মানুষ ছিলেন। আল্লাহ শুধু একজনই।
প্রতিটি ইবাদত যা মুহাম্মদ [সা:] এর সাহাবাগণ করেননি তা কর না। কারণ তাঁরা পরবর্তীদের জন্য কিছুই ছেড়ে যাননি বা বাদ রাখেননি।
এটা আপনার নিজেরই বোঝার কথা। এখানে ইবাদতের ( উপাসনা) কথা বলা হয়েছে। থিওরিটিকাল কোন বিষয়ে বা কুরআনের ব্যাখ্যার ব্যাপারে বলা হয় নি।
মানে কথা হচ্ছে নবীজি আর সাহাবারা যেভাবে যা বর্ণনা করেছেন ব্যাখ্যা করেছেন সেটাই ধর্ম। তারা উপমা বললে উপমা, না বললে না।
আমি আবারও বলছিঃ
মুহাম্মাদ সাঃ কুরআনের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো বর্ণনা করেছিলেন। ব্যাখ্যা করেন নি। কেননা তিনিও মানুষ ছিলেন। তাই নিজ থেকে ব্যাখ্যা করতে গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাঁকে আল্লাহ শুধু কুরআন বর্ণনা করতে বলেছিলেন ব্যাখ্যা করতে নয়। কেননা আল্লাহই শুধু আসল ব্যাখ্যা জানেন।
মুহাম্মাদ সাঃ কুরআনের সবকিছুর ব্যাপারে কোনটি উপমা কোনটি বাস্তবতা তা বলেন নি। তাঁর সাহাবিরাও বলেন নি।
আল্লাহ তাঁকে বলতে বলেছেনঃ
বল, ............
আর তিনি ঠিক তাই বলেছেন যা তাকে বলতে বলা হয়েছে।
তিনি শুধু কুরআন পড়ে শুনিয়েছেন। আর যে সকল ইবাদাত বা কাজ দৈনন্দিন জীবনে করা প্রয়জন তার বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি কখনও বলেন নিঃ
"এই লোকেরা শোন আমি এখন যা বললাম তা কিন্তু উপমা নয় বাস্তব।" বা "আমি এখন যা বললাম তা বাস্তব উপমা নয়।"
সাহাবিরাও এমন কিছু কখনই বলেন নি। কেননা এধরনের বক্তব্য রাখা হত স্পষ্ট শিরক। কুরানের কোনটি উপমা কোনটি বাস্তব তাতো আল্লাহই ভাল জানেন।
আশা করব আল্লাহ, নবি ও সাহাবিদের অবস্থানের পার্থক্য আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ইমাম আওজা'য়ী (রহ বলেন: তুমি সালাফদের (সাহাবী ও তাবেঈ) পদাঙ্ক অনুসরণ কর যদিও মানুষ তোমাকে বর্জন করে। আর মানুষদের মতামত পরিহার কর যদিও তাকে তারা চাকচিক্য ও সজ্জিত করুক না কেন।
আমি সাহাবিদের অনুসরন করারই চেষ্টা করছি। তারা কখনই আল্লাহর সাথে কাউকে তুলনা করেন নি। ( নিজেদেরকে তুলনা করার তো প্রশ্নই ওঠে না )। আমিও আল্লাহর সাথে কারও তুলনা করতে রাজি নই।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন:
তিনি কি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে কুরআনের কোন কিছুর নতুন ব্যাখ্যা খোঁজা যাবে না?? তিনি আদাম আঃ এর কাহিনি বর্ণনা করেছেন কেননা আল্লাহ তাঁকে বর্ণনা করতে আদেশ দিয়েছিলেন। আর তিনি ঠিক তাই বলেছেন যা তাকে বলতে বলা হয়েছে।
তিনি শুধু কুরআন পড়ে শুনিয়েছেন।
একমত। তিনি কুরআন নাজিলের সময় কোনপ্রকার ব্যাখ্যা দেননি যাতে কুরআনের ব্যাপারে কেউ কনফিউসড না হয়। তবে কুরআন নাজিল শেষে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। যা আমরা হাদিসে পেয়েছি।
বিদআতে হাসানা হচ্ছে ইসলামের ব্যাখ্যা বা তাফসির। বা উপকারি আবিষ্কার। বিদআতে হাসানা অনুমোদিত। কেননা ইসলামের ব্যাখ্যা বা তাফসিরও নতুন কিছু যা নবি অথবা সাহাবাদের সময়ে ছিলনা। কিন্তু তারমানে কি আমরা ধরে নিব সব তাফসির বা কুরআনের ব্যাখ্যাই দ্বীনের ব্যাপারে নতুন কিছু?? না। বরং সেগুলো দ্বীনের স্পষ্ট ব্যাখ্যা। কোন আধুনিক মতবাদ দিয়ে কুরআন বোঝার চেষ্টাও নিশ্চয়ই ইসলামের ব্যাখ্যা বা তাফসির। বা উপকারি আবিষ্কার। যা অনুমোদিত।
একটা জিনিসের ব্যাপারে একটু খটকা লাগছে। সাহাবারা জীবিত অবস্থায় সম্পূর্ণ কুরআনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিদআতে হাসানা হচ্ছে ধর্মের মূলনীতি, নিয়ম কানুন ও সুন্নাতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এর সাথে কিয়াস করা হয়েছে। মিলাদ, মাইকিং করে আজান দেয়া ইত্যাদি এই অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর কোনটাই হাদিস,কুরআনের পরিপন্থি নয়। নবীজি ও সাহাবারা আদমের ঘটনাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেননি (উল্লেখ্য যে সাহাবারা যা করেছেন তাকে সুন্নাতে সাহাবা বলে)। এখন যদি আমরা এই ১৪০০ বছর পরে এসে নতুন করে সেগুলো ব্যাখ্যা করি (যেটা ইতমধ্যে ব্যাখ্যা দেয়া আছে) তাহলে সেটা কেন "বিদআতে সাইয়া" হবে না ?
সাহাবিদের ব্যাপারে তাহলে একটি বিষয় আপনার জানা প্রয়োজন। কোন সাহাবির ব্যক্তিগত জীবন অবশ্যই পালনীয় আদর্শ
কিন্তু কোন সাহাবি কখনই বলেন নি যে তারা কুরআনের ব্যাখ্যায় ১০০% সঠিক। কেননা সব কিছু জানা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। যে দাবি করে সে সবকিছু জানে সে নিজেকে আল্লাহর সাথে তুলনা করে। যা স্পষ্ট শিরক। ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় অপরাধ। সাহাবিরা কুরআনের ব্যাখ্যায় নিজেদের ১০০% ঠিক দাবি করে শিরক করবেন তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
তাদের আচরন ও চরিত্রের দিক থেকে তারা অবশ্যই সর্বোত্তম। কিন্তু থিওরিটিকাল কোন বিষয়ে বা কুরআনের ব্যাখ্যায় তারা ১০০% সঠিক ছিলেন তারা তা কখন দাবি করেন নি। কেননা এটি হত শিরক। তারা মানুষ ছিলেন। আল্লাহ শুধু একজনই।
কোন সাহাবাই ১০০% সঠিক দাবি করেননি। আল্লাহ ও রাসুলই তাদের অনুসরণ করার আদেশ দিয়েছেন। আমরা তাদের উত্তর চরিত্র ও জ্ঞানের প্রমান পাই ইসলামিক গ্রন্থগুলোতে। তারা ১০০% সঠিক দাবি করার মত অহংকারি ছিলেন না। তার মানে এই নয় সে তাদেরকে শতভাগ বিশ্বাসযোগ্য মনে উচিত নয়। তাদের নির্ভুলতার দলিল হিসেবে আছে আল্লাহ ও নবীজির কথা।
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬
দরবেশমুসাফির বলেছেন: ডঃ জাকির নায়েক যখন বিজ্ঞান ও ইসলামের সিমিলারিটি দেখান তখন দেখা যায় অনেক নতুন তাফসীরের মধ্যে এমন অনেক কিছু দেয়া থাকে যেটা বিজ্ঞানের পরিপন্থি। তিনি তখন সেই ১৪০০ বছর আগের সেই শব্দতে কি বুঝানো হত সেটায় চলে যান। নতুন করে কিছু যোগ করেন না।
জাকির নায়েক যে ভুল করছেন সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়ই একমত?? তিনি বিবর্তনের ফ্যাক্ট মানতে চাচ্ছেন না। তিনি কিছু অজ্ঞ লোকের মত ওই পুরনো ব্যাখ্যাই আঁকড়ে ধরতে চাচ্ছেন। সেটা জাকির নায়েকের নিজের পদ্ধতি। অন্য যেকোনো মানুষের মত তাকেও ১০০% সঠিক মনে করা অনেক বড় ভুল হবে।
১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
দরবেশমুসাফির বলেছেন: কুরআনকে আসলে উপমা হিসেবে নিলেও কিছু সমস্যা হতে পারে। এই ভিডিওটি দেখার পর আমি বিষয়টিকে উপমা হিসেবে নিতে পারছি নাঃ
https://www.youtube.com/watch?v=DPuoGVlCjZ0
এই ভিডিওতে করা ব্যাখ্যাটি আমার কাছে সর্বোত্তম মনে হচ্ছে। এই ব্যাখ্যাটি দেখার পর আশা করি আপনিও দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ভিডিওটা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখলাম। তবে তার কথায়ও বেশ কিছু সমস্যা আছে বলে আমার মনে হল । সে বললেন আদম (আ) ও নুহ(আ) এর মাঝে ১০টি প্রজন্ম ছিল। এখন তিনি বিবর্তনের প্রমানের সাথে মিলানোর জন্য প্রতিটি প্রজন্মকে হাজার বছর বুঝিয়েছেন। মানে নূহ(আ) এর বাবার জেনারেশনে মানুষের আয়ু ছিল হাজার বছর, তার আগেও হাজার বছর। এভাবে। তিনি বললেন আদম (আ) যখন ছিলেন সেটা ৫০,০০০ বছর আগের বেশি হওয়ার কথা না। হলে সেটা নূহ(আ) এর সাথে ১০ জেনারেশনের পার্থক্য খাপ খায় না। কিন্তু হোমো সাপিয়েন্ট ক্রমশ বিবর্তিত হয়েছে *** বছর আগে। আর হাজার বছর কোন মানুষই সেই সময় বেচে থাকতো না। আধুনিক পরীক্ষানিরিক্ষার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি সেই সময় খাবারের অপর্যাপ্ততা, চিকিৎসা ও নানা কারনে মানুষের life spans ছিল গড়ে ৩০ বছরেরও কম। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল নিয়েন্ডাটলের সাথে মানুষের সঙ্গমের কথা ও প্রজাতিতে মিশ্রণ হওয়ার কথা। কিন্তু সেই ব্যাপার তিনি কিছুই বললেন না। তাছাড়া তিনি মানুষের বিশেষত্বকে বুঝানোর জন্য Metacognition, Language ইত্যাদি বুঝিয়েছেন। যেটা তিনি বলেছেন আধুনিক বিজ্ঞানও সম্মতি জানায়। কথাটা সঠিক নয়। তিনি সব ভাষা এসেছে আদম থেকে (Adamic Language) সেটাও ভুল। ভাসাতাত্তিক প্রমান বলে আদম হিব্রুভাষী ছিলেন। আদম এর সন্তানদের নাম শুধু হিব্রুতেই অর্থবহ। অন্যভাষায় না। আর হিব্রু প্রাচীনতম ভাষা ছিল না।
Dr. Yasir Qadhi বলেছেন কুরআনিক পেরাডাইম বলে ইব্রাহিম, নুহ এগুলো মিলিয়ন বছর আগের না। ইব্রাহিমের ব্যাপারে তিনি বলেন প্রায় ৫০০০ বছর আগের কথা। নূহ ও ইব্রাহিমের পার্থক্যও ছিল ১০ প্রজন্ম। সব মিলিয়ে তিনি হিসেব করে দেখবেন (প্রতি প্রজন্মকে ১,০০০ বছর ধরে)। তার মতে homo sapiens এসেছে ৩০-৪০ বা ৫০ হাজার বছর ধরে। তিনি এটাও বলেন এর চেয়ে বেশি দীর্ঘ করতে গেলে সেটা ইসলামিক পেরাডাইমের সাথে সাংঘরসিক হয়ে যাবে। Homo Sapiens এর ক্রমশ বিবর্তন হতে থাকে প্রায় ২ লক্ষ বছর আগে (টু হান্ড্রেড থাউজেন্ড)। তিনি শেষে তার পার্সোনাল অপিনিওন বলেছেন "Theory of Evolution is not problematic at all except for human evolution"
১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫১
দরবেশমুসাফির বলেছেন: তারা ১০০% সঠিক দাবি করার মত অহংকারি ছিলেন না। তার মানে এই নয় সে তাদেরকে শতভাগ বিশ্বাসযোগ্য মনে উচিত নয়।
তাদেরকে শতভাগ বিশ্বাস করাই তো ১০০% সঠিক মনে করা। তাই নয় কি??
সে বললেন আদম (আ) ও নুহ(আ) এর মাঝে ১০টি প্রজন্ম ছিল। এখন তিনি বিবর্তনের প্রমানের সাথে মিলানোর জন্য প্রতিটি প্রজন্মকে হাজার বছর বুঝিয়েছেন। মানে নূহ(আ) এর বাবার জেনারেশনে মানুষের আয়ু ছিল হাজার বছর, তার আগেও হাজার বছর। এভাবে। তিনি বললেন আদম (আ) যখন ছিলেন সেটা ৫০,০০০ বছর আগের বেশি হওয়ার কথা না। হলে সেটা নূহ(আ) এর সাথে ১০ জেনারেশনের পার্থক্য খাপ খায় না।
উনি কুরআনের কোন রেফারেন্স সাইট পারেন নি যে আদাম আঃ ও নুহ আঃ এর মধ্যে ১০ জেনারেশনের পার্থক্য। তিনি কিন্তু ভিডিওতে বলেছেন যে এগুলো তাঁর অপিনিয়ন। ঠিক নাও হতে পারে। কুরআনে কোথাও জেনারেশনের সংখ্যা বা সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। ( আমার জানা মতে )
ভাসাতাত্তিক প্রমান বলে আদম হিব্রুভাষী ছিলেন। আদম এর সন্তানদের নাম শুধু হিব্রুতেই অর্থবহ। অন্যভাষায় না। আর হিব্রু প্রাচীনতম ভাষা ছিল না।
প্রমাণটা একটু উপস্থাপন করবেন কি? কারন আমি কুরআনে কোথায়ও পাইনি যে আদাম আঃ হিব্রুতে কথা বলতেন।
Theory of Evolution is not problematic at all except for human evolution
এজন্যই তো নতুন করে ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ল। যদি সাংঘরশিক নাই মনে হত তাহলে তো ব্যাখ্যারও প্রয়োজন হত না।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২২
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: তাদেরকে শতভাগ বিশ্বাস করাই তো ১০০% সঠিক মনে করা। তাই নয় কি??
তারা ধর্মের ব্যাপারে যে যে পথ দেখিয়েছেন সেটাকে অনুসরনের কথা আল্লাহ ও রাসুল বলেছেন। সেগুলো ১০০% সঠিক না মনে করাই অনুচিত ও ধর্ম বহির্ভূত হবে। ব্যাক্তিগত জীবনে তারা ১০০% সঠিক ছিল কিনা সেটা নিয়ে আমাদের কোন আসে যায় না। সেটা থাকতেই পারে, মানুষ বলে কথা। তবে আলোচ্যসুচি ধর্মীয় আর সেই দিকে তাদের সম্পূর্ণ সঠিক মনে করাই মুসলিমদের উচিত।
উনি কুরআনের কোন রেফারেন্স সাইট পারেন নি যে আদাম আঃ ও নুহ আঃ এর মধ্যে ১০ জেনারেশনের পার্থক্য। তিনি কিন্তু ভিডিওতে বলেছেন যে এগুলো তাঁর অপিনিয়ন। ঠিক নাও হতে পারে। কুরআনে কোথাও জেনারেশনের সংখ্যা বা সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। ( আমার জানা মতে )
ভাই আমি একটা সঠিক এক্সপ্লেনেশন আশা করছিলাম। আপনি আমার কনফিউশন দূর করার জন্য এমন একটা ভিডিও দিলেন যেই লোক নিজেই সঠিক কিনা সে ব্যাপারে সন্দিহান। তার ভিডিও আরও দ্বিধান্বিত করে দিল।
ভাসাতাত্তিক প্রমান বলে আদম হিব্রুভাষী ছিলেন। আদম এর সন্তানদের নাম শুধু হিব্রুতেই অর্থবহ। অন্যভাষায় না। আর হিব্রু প্রাচীনতম ভাষা ছিল না।প্রমাণটা একটু উপস্থাপন করবেন কি? কারন আমি কুরআনে কোথায়ও পাইনি যে আদাম আঃ হিব্রুতে কথা বলতেন।
এই লিঙ্ক দেখতে পারেন । সুন্নিফোরামে দেখলাম এটা দেয়া আছে, Al-Tabaraani narrated in al-Awsat that Abu Hurayrah (may Allaah be pleased with him) said: The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “I am an Arab, and the Qur’aan is Arabic, and the language of the people of Paradise is Arabic.” । এমন হলে ব্যাপারটা আরও আজগবি হয়ে যায়। কেননা আরবি অনেক সমৃদ্ধ ভাষা। হাজার হাজার বছর আগে ছিল খুব সরল ও কম শব্দবহুল ভাষা। এত সুশৃঙ্খল ভাষা পরিহার করে একবারে নতুন করে ভাষার বিবর্তন হওয়াও খাপ খায় না। হেব্রুর ক্ষেত্রেও অবশ্য এটা প্রযোজ্য।
১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৫
নতুন বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=bk5q9TeGo14
ডা: জাকির নায়ক মাঝে মাঝে উল্টা পাল্টা কথাও কন্ফিডেন্সের সাথে বলেন। তার শ্রোতারা গুগুলে সাচ` করে দেখে না কি বললো। তারা সুবাহানাল্লাহ বলে মেনে নেন।
আরেকটা বিষয় কিন্তু ভেবে নেওয়া যায় তা হলে কোরানের কাহিনি অনুযায়ী<<<
পৃথিবির কথা কিন্তু এসেছে মানুষ সৃস্টির আগে<< ( আদম আ: সৃস্টির আগেই ফেরেস্তাদের কাছে ইচ্ছা প্রকাশের সময়)
আর যখন আদম আ: কে পৃথিবিতে পাঠানো হলো তখন তো সব প্রানি আছে।
আর মাঝে মাঝে মনে হয় পৃথিবিতে মানুষ এসেছে বাইরের থেকে<< মানে আমরা এলিয়েন
কারন মানুষ জাতি পৃথিবির সিসটেমের বাইরের জিনিসের মতন আচরন করছে। পৃথিবির সিসটেমের অংশ হলে মানুষ পৃথিবি ধংষ করতে পারতো না।
১৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
দরবেশমুসাফির বলেছেন: তারা ধর্মের ব্যাপারে যে যে পথ দেখিয়েছেন সেটাকে অনুসরনের কথা আল্লাহ ও রাসুল বলেছেন। সেগুলো ১০০% সঠিক না মনে করাই অনুচিত ও ধর্ম বহির্ভূত হবে। ব্যাক্তিগত জীবনে তারা ১০০% সঠিক ছিল কিনা সেটা নিয়ে আমাদের কোন আসে যায় না। সেটা থাকতেই পারে, মানুষ বলে কথা। তবে আলোচ্যসুচি ধর্মীয় আর সেই দিকে তাদের সম্পূর্ণ সঠিক মনে করাই মুসলিমদের উচিত।
সেই পথ হচ্ছে নামাজ কিভাবে পড়তে হবে। অজু কিভাবে করতে হবে এগুলো। কুরআনের ব্যাখ্যা নয়। কুরআনের ব্যাখ্যায় সাহাবিরা যদি ১০০% সঠিক হন তবে সাহাবিদের মৃত্যুর পর এত এত তাফসীর লেখা হল কেন???
তাদেরকে যদি কুরআনের ব্যাখ্যায় ১০০% সঠিক মনে করা হত তাহলে বলা হত সাহাবিরা যা বলেছেন সেটাই সঠিক। আর কোন তাফসিরের প্রয়োজন নেই।
আপনি যদি বলে থাকেন সাহাবিরা কুরআনের ব্যাখ্যায় ১০০% সঠিক ছিলেন তার মানে আপনি বলছেন তাদের জ্ঞান অসীম। কেননা কুরআন পুরোপুরি বুঝতে গেলে অসীম জ্ঞানেরই প্রয়োজন হবে যা শুধু আল্লাহ্রই আছে। আর নিজেকে আল্লাহর সমান দাবি করা শিরক যা সাহাবিরা কখনও করবেন না।
ভাই আমি একটা সঠিক এক্সপ্লেনেশন আশা করছিলাম। আপনি আমার কনফিউশন দূর করার জন্য এমন একটা ভিডিও দিলেন যেই লোক নিজেই সঠিক কিনা সে ব্যাপারে সন্দিহান। তার ভিডিও আরও দ্বিধান্বিত করে দিল।
যিনি বলেন যে "আমি যা বলছি তাতে কোন ভুল থাকতে পারে না" তার কথা আমি শুনতে রাজি নই। কিন্তু যিনি বলেন "আমার কথায়ও ভুল থাকতে পারে" তিনিই সত্যিকার জ্ঞানী। আমি তাঁর কথাই শুনতে প্রস্তুত।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আপনার লিংকে দেয়া আছেঃ
The Adamic language is, according to Jews (as recorded in the midrashim) and some Christians,
অর্থাৎ এটা Jew এবং Christians দের বিশ্বাস। আমরা এখানে ইসলাম নিয়ে কথা বলছি তাই নয় কি??
তাই আশা করি কুরআন থেকে রেফারেন্স দেবেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৫
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: সেই পথ হচ্ছে নামাজ কিভাবে পড়তে হবে। অজু কিভাবে করতে হবে এগুলো। কুরআনের ব্যাখ্যা নয়। কুরআনের ব্যাখ্যায় সাহাবিরা যদি ১০০% সঠিক হন তবে সাহাবিদের মৃত্যুর পর এত এত তাফসীর লেখা হল কেন??? তাদেরকে যদি কুরআনের ব্যাখ্যায় ১০০% সঠিক মনে করা হত তাহলে বলা হত সাহাবিরা যা বলেছেন সেটাই সঠিক। আর কোন তাফসিরের প্রয়োজন নেই।
কুরআনের প্রতিটা আয়াতের ব্যাখ্যা সাহাবাদের থাকাকালিন সময়ই ব্যাখ্যা করা / তাফসীর ব্যাখ্যা আছে। এরপরও সালাফে- সালিহিনের ব্যাখ্যাও গ্রহনযোগ্য। এরপর নতুন কিছু তৈরি করা বিদআতে সাইয়া হতে পারে (কুরআন, হাদিস ও ৩ প্রজন্মের শুদ্ধ কিয়াস বিরোধী হলে)। কারন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- “আমার সাহাবীগণকে আঃ সম্মান কর। কেননা তোমাদের মধ্যে তাহারা সর্বোত্তম। তারপর তাহাদের পরবর্তীগণ। তারপর তাহাদের পরবর্তীগণ। তারপর মিথ্যার আর্বিভাব ঘটিবে”
আপনি যদি বলে থাকেন সাহাবিরা কুরআনের ব্যাখ্যায় ১০০% সঠিক ছিলেন তার মানে আপনি বলছেন তাদের জ্ঞান অসীম। কেননা কুরআন পুরোপুরি বুঝতে গেলে অসীম জ্ঞানেরই প্রয়োজন হবে যা শুধু আল্লাহ্রই আছে। আর নিজেকে আল্লাহর সমান দাবি করা শিরক যা সাহাবিরা কখনও করবেন না।
আমার কথা স্পষ্ট ছিল। "তার মানে" কিছু ছিল না। আপনি দয়া করে ব্যাপারটায় হলুদ রঙ লাগাবেন না। কুরআন বুঝতে গেলে অসীম জ্ঞানই যদি প্রয়োজন হত তাহলে কুরআন নাজিল করাই অযথা হওয়ার কথা। এমন গ্রন্থ আল্লাহ কেনই বা দিবেন যেটা মানুষ বুঝতেই পারবে না। কুরআনের কিছু আয়াত এখানে দিচ্ছিঃ
"কুরআন মানবজাতির জন্য সুস্পষ্ট দলীল এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথনির্দেশ ও রহমত।" (৪৫:২০)
"এই সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ।আমি একে আরবী ভাষার কুরআন বানিয়েছি যাতে তোমরা তা বুঝতে পারো।" (সূরা আয্ যুখরুফঃ২-৩)
আর সাহাবাদের শিরকের কথা যেটা বললেন সেটার উত্তর আমার আগের কমেন্টই যথেষ্ট ছিল। আমি আবার কপি পেস্ট করলাম। ব্যাক্তিগত জীবনে তারা ১০০% সঠিক ছিল কিনা সেটা নিয়ে আমাদের কোন আসে যায় না। সেটা থাকতেই পারে, মানুষ বলে কথা। তবে আলোচ্যসুচি ধর্মীয় আর সেই দিকে তাদের সম্পূর্ণ সঠিক মনে করাই মুসলিমদের উচিত। তাদের অনুসরনের ব্যাপারে আল্লাহ ও রসূলই দলিল। আপনি আমি ভিন্ন কথা বললে তো আর হবে না।
যিনি বলেন যে "আমি যা বলছি তাতে কোন ভুল থাকতে পারে না" তার কথা আমি শুনতে রাজি নই। কিন্তু যিনি বলেন "আমার কথায়ও ভুল থাকতে পারে" তিনিই সত্যিকার জ্ঞানী। আমি তাঁর কথাই শুনতে প্রস্তুত।
আমি এখানে একটা ইসলামিক উত্তর আশা করছিলাম। কারো পার্সোনাল অপিনিওন না।
প্রসঙ্গঃ আদমের ভাষা আমরা এখানে ইসলাম নিয়ে কথা বলছি তাই নয় কি??তাই আশা করি কুরআন থেকে রেফারেন্স দেবেন ।
আমি ওখানে একটা হাদিসের রেফারেন্সও সাথে দিয়েছিলাম। যেখানে বলা আছে রাসুল(সা) বলেছেন "আমি আরব, কুরআন আরবি। আর জান্নাতবাসিদের ভাষাও আরবি। "
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত আদম (আ.) আরবি ভাষায় কথা বলতেন।
১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
দরবেশমুসাফির বলেছেন: কুরআন বুঝতে গেলে অসীম জ্ঞানই যদি প্রয়োজন হত তাহলে কুরআন নাজিল করাই অযথা হওয়ার কথা। এমন গ্রন্থ আল্লাহ কেনই বা দিবেন যেটা মানুষ বুঝতেই পারবে না।
কুরআন বুঝতে গেলে অসীম জ্ঞানই যদি প্রয়োজন হত তাহলে কুরআন নাজিল করাই অযথা হওয়ার কথা। এমন গ্রন্থ আল্লাহ কেনই বা দিবেন যেটা মানুষ বুঝতেই পারবে না।
আচ্ছা বেশ। তাহলে নিচের আয়াতটি দেখুনঃ
তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। [সুরা ইমরান: ৭]
সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না।
এখন আশা করি বুঝতে পারছেন যে কুরআনের পুরোপুরি ব্যাখ্যা শুধু আল্লাহই বলতে পারেন। আর আপনি বলছেন কুরআনের ব্যাখ্যার জন্য সাহাবিরা ১০০% সঠিক ( আল্লাহ ক্ষমা করুন )। যা তাদেরকে আল্লাহর সাথে তুলনা করা এবং সুস্পষ্ট শিরক।
দয়া করে অজ্ঞতাবশত শিরক করবেন না। এই পাপের ক্ষমা নেই।
আমি এখানে একটা ইসলামিক উত্তর আশা করছিলাম। কারো পার্সোনাল অপিনিওন না।
এটা আমার অপিনিয়ন নয়। এটাই আল্লাহর আদেশ। আল্লাহই বলেছেন যে বলে "তার কথায় কোন ভুল নেই" সে শিরককারী। কেননা আল্লাহ ছাড়া আর যে কারও ভুল হবেই।
"আমি আরব, কুরআন আরবি। আর জান্নাতবাসিদের ভাষাও আরবি। "
তাঁর মানে পৃথিবীতেও আদাম আঃ এর ভাষা আরবি ছিল। কিভাবে শিওর হলেন।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত আদম (আ.) আরবি ভাষায় কথা বলতেন।
হাদিসটা কোন গ্রন্থের??
এখন হিব্রু থেকে আরবি বানিয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা বেশ। কিন্তু আগেই বলেছি হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) মানুষ এবং সাহাবি। কুরআনের ব্যাখ্যায় তাঁরও ভুল হতে পারে।
আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। - আলে ইমরান ৭
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে। আমি তাহলে রুপকের ব্যাপারে আপনার সাথ বিনাদিধায় একমত হতে পারি । সত্যকে মেনে নেয়াই আসলে আমার ব্লগের মুল উদ্দেশ্য।
৩:৭ নং আয়াত অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে কোরানের অনেক আয়াত আছে যা রূপক , তার অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ বোঝে না।
প্রশ্ন হলো কোরানে কোথাও বলা নাই কোন আয়াত সুস্পষ্ট আর কোন আয়াত রূপক, সেটা থাকার কথাও না। এমতাবস্থায় , যে কোন ব্যাক্তি তার সুবিধামত কোন আয়াতকে সুস্পস্ট আর কোন আয়াতকে রূপক ধরে নিয়ে কোরানের ব্যখ্যা করবে এবং তার নিজের মত অর্থ করে একটা নিজস্ব ইসলাম তৈরী করবে যা বলা বাহুল্য অন্য একজনের ব্যখ্যার সাথে মিলবে না। সুফিবাদিরা প্রায় পুরো কুরআনকেই রুপক মনে করে। অন্যদিকে এক্সট্রিমিস্টরা প্রায় পুরোটাকে লিটারাল মনে করে।
আমি আপনি বিবর্তনবাদ ও আদমের ঘটনাকে বিজ্ঞানের ফ্যাক্ট এর সাথে সামঞ্জস্য করানোর জন্য এর সাথে প্রাসঙ্গিক আয়াতগুলো রুপক ধরে নিতে পারি, কিন্তু অধিকাংশই সেটাকে মেনে নিবে না। আর আপনি কাউকে ভুলও বলতে পারবেন না। কেননা আমরা নিজেরাই জানি না আসলে কোনটা রুপক কোনটা রুপক না।
১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
দরবেশমুসাফির বলেছেন: হলুদ রং আমি লাগাচ্ছি না। আমি শুধু কুরআন অনুসরন করার চেষ্টা করছি।
সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। - আল ইমরান ৭
আশা করব আপনিও কুরআন অনুসরন করার চেষ্টা করবেন। ( যদি সত্যিই কুরআনে বিশ্বাস করে থাকেন )
১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
দরবেশমুসাফির বলেছেন: প্রশ্ন হলো কোরানে কোথাও বলা নাই কোন আয়াত সুস্পষ্ট আর কোন আয়াত রূপক, সেটা থাকার কথাও না। এমতাবস্থায় , যে কোন ব্যাক্তি তার সুবিধামত কোন আয়াতকে সুস্পস্ট আর কোন আয়াতকে রূপক ধরে নিয়ে কোরানের ব্যখ্যা করবে এবং তার নিজের মত অর্থ করে একটা নিজস্ব ইসলাম তৈরী করবে যা বলা বাহুল্য অন্য একজনের ব্যখ্যার সাথে মিলবে না।
এজন্যই তো জ্ঞানে বিজ্ঞানে উন্নতি প্রয়োজন। আমরা বিজ্ঞান কর্তৃক আবিষ্কৃত ফ্যাক্ট এর সাথে কুরআনের যে সকল আয়াত মেলে তাঁকে সুস্পষ্ট আয়াত আর যে সকল আয়াত লিটারালি মেনে নিলে বিজ্ঞান কর্তৃক আবিষ্কৃত ফ্যাক্ট এর সাথে না মেলে তাঁকে রুপক ধরে নিতে পারি। এজন্যই আল্লাহ কুরআনে বলেছেন তিনি কিভাবে সৃষ্টি করেছেন তা পর্যবেক্ষণ করতে। কারন এর মাধ্যমেই আমরা সঠিকভাবে কুরআন বুঝতে শিখব।তবে নিজেদের কখনই ১০০% ঠিক ভাবা যাবে না।
আমি আপনি বিবর্তনবাদ ও আদমের ঘটনাকে বিজ্ঞানের ফ্যাক্ট এর সাথে সামঞ্জস্য করানোর জন্য এর সাথে প্রাসঙ্গিক আয়াতগুলো রুপক ধরে নিতে পারি, কিন্তু অধিকাংশই সেটাকে মেনে নিবে না।
অধিকাংশের কিছু মনে করলেই তা সত্য হয়ে যায় না। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই মূর্খ ( কারন তারা নিজেদের ১০০% ঠিক মনে করে )। আপনি যেহেতু কারও পার্সোনাল অপিনিওনের ওপর নির্ভর করেন না। তাহলে একাধিক লোকের পার্সোনাল অপিনিওনের ওপর নির্ভর করবেন কেন। সত্য খুঁজে বের করাই যদি আপনার উদ্দেশ্য হয় তবে আশা করি আপনি অধিকাংশের মতের বদলে যা সত্য হতে পারে তাকেই সমর্থন করবেন।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৭
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্য। খুবই চমৎকার আলোচনা চলেছে আমাদের মাঝে
।
২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৯
গরল বলেছেন: ধর্ম যেহেতু বিবর্তন সমর্থন করে না আমি এক ইসলাম বিষেশজ্ঞকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আচ্ছা আদম তো একজন ছিলেন কিন্তু পৃথিবীতে এখন এতরকম মানুষ কেন? খাট, লম্বা, সাদা, কালো, মোটা বা চিকন, মুখাবয়ব এক এক জাতির এক এক রকম, ভাষা এক এক রকম, খাবার ভিন্ন রকম, পোষাক, আচার আচরণও ভিন্ন। কারণ কি। কেউতো আসল আদমের মত না বা থেকে থাকলেও ভিন্নরা আসল কোথা থেকে। উনার উত্তর ছিল মানুষ বিভিন্ন যায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়ায় পরিবেশের কারনে এই পরিবর্তন ঘটেছে। আমি তাকে বল্লাম যে এটাইতো আসলে নেচারাল বিবর্তন কারণ এতে জ্বীনগত পরিবর্তন লক্ষনীয়। উনি আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন যে বিবর্তনের কারণেতো সব জীবেরইএকাধিক স্পেশিস আছে কিন্তু মানুষের একটাই স্পেশিস সেটা হল Homo sapiens। অন্যদের মত একই সাথে একাধিক স্পেশিস বর্তমান নাই কেন? আমি উনার প্রশ্নের জবাব দিতে পারি নাই কারণ আমি এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানি না। আপনি কি আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন এর উত্তর কি হবে। যেমন ধরুন ইলিশের কয়েকটি প্রজাতি হল Clupea ilisha (Hamilton, 1822), Clupea palasah Cuvier, 1829, Tenualosa ilisha, tenualosa toli (Toli shad মাছ যা উত্তর আমেরিকার ইলিশ)।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আপনি বলছেন ধর্ম বিবর্তন সমর্থন করে না, কিন্তু দরবেশ মুসাফির ভাই এর কমেন্টগুলো একটু পড়েন।
বিজ্ঞানিরা প্রমান পেয়েছে আজ থেকে ৪০,০০০ হাজার বছর আগেও নিয়ান্থাটল জীবিত ছিল। যারা আমাদের মতই হমিনিড। তারাও হাতিয়ার ব্যবহার করতো, কবর দিত, দেহকে আবৃত করতো। আর আজ থেকে ২ লক্ষ বছর আগে আমাদের মত প্রায় ৫টি হিমিনিড শ্রেণীর প্রাণী জীবিত ছিল। নিয়ান্থাটলদের সবচেয়ে লেটেস্ট প্রমান পাওয়া গিয়েছে পশ্চিম ইউরোপে। ধারনা করা হয় বরফ যুগের সময় তারা খাবারের অভাবে বিলুপ্ত হয়েছিল। আর দুই লক্ষ বছর আগের হিমিনিডদের বিলুপ্তি সম্পর্কে এখনো আমরা নিশ্চিত নয়। অনেকের ধারনা বুদ্ধিমত্তা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল হিমিনিডদের জন্য। তাই এক প্রকার হমিনিড আরেক প্রকার হমিনিডদের হত্যা করেছে। ব্যাপারটা নিয়ান্থাটলদের ক্ষেত্রেও পাওয়া প্রমানের খাপ খায়। কেননা ইউরোপে একই জায়গায় খুব কাছাকাছি নিয়ান্থাটল আর সাপিয়েন্টদের বসাবাসের প্রমান পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু পরে সেখান থেকে সাপিয়েন্টদের মাইগ্রেসনের প্রমান মিলেছে কিছু নিয়ান্থাটলের না। হতে পারে তারা খাবারের অভাবে মারা গিয়েছে, অথবা তাদের হত্যা করা হয়েছে।। তবে এটা ঠিক যে এখন Homo Sapiens ছাড়া আর কোন Hominid প্রাণী নেই। তবে সাপিয়েন্ট থেকে অন্য শাখা প্রশাখা তৈরি হওয়ার একটা সুযোগ ছিল যদিনা বিশ্বায়ন হত। যেমন তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চলের মানুষরা কম অক্সিজেনে টিকে থাকার মত জেনেটিক বৈশিষ্ট্য পেয়েছে Natural Selection এর মাধ্যমে। প্রতিটি জাতিই এমন কোন না কোন বৈশিষ্ট্য টিকেছে। এখন এই Sapiens জাতিগুলো যদি হাজারহাজার বছর পৃথকভাবে থাকতো তাহলে আমাদের মাঝেই আরও অনেক প্রজাতি দেখতে পেতাম। তবে এখন আর কোন হিমিনিড নেই, এটা বিবর্তনকে ভুল প্রমান করে না। কারন প্রায় ১২-১৩টি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন পরীক্ষামাধ্যম সবগুলোই মানুষের বিবর্তনের প্রমান দেয়।
২১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৭
আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: প্যারিডলিয়া টার্মটির সাথে নিশ্চয় পরিচিত? কুরানকে ব্যাখ্যায় এই ব্যপারটি চলে আসছে না তো?
https://en.m.wiktionary.org/wiki/pareidolia
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
দরবেশমুসাফির বলেছেন: ডারউইনের বিবর্তনবাদ ধর্ম সমর্থন না করলেও প্রজাতিগত বিবর্তন ধর্ম সমর্থন করে। এখন জাকির নায়েক ঠিক কোন বিবর্তনবাদ নিয়ে কথা বলছেন তা বুঝতে আমার সমস্যা হচ্ছে । তাঁর কথা আরও কয়েকবার শুনতে হবে।
এখন আপনি যদি আমাকে বোঝাতে পারেন যে জাকির নায়েক ঠিক কোন বিবর্তনবাদ নিয়ে কথা বলছেন তাহলে হয়তবা এ ব্যাপারে আমার বলার কিছু থাকতে পারে।