নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দ্য েস্লভ

দ্য েস্লভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোয়ান্টাম ফিসিক্সের সহায়তায় স্রষ্টার অস্তিত্ব ভুল প্রমাণের চেষ্টা হল নাস্তিকতার "অন্ধ বিশ্বাস" ও যুক্তির ফ্যালাসির বহিঃপ্রকাশ

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৮




“কোয়ান্টাম ফিসিক্স আমি বুঝি না, পৃথিবীর কেউ বুঝে না। এই কোর্স শেষ হওয়ার পর থেকে তোমরাও আর বুঝবে না” (প্রফেসর রামামূর্তি শঙ্কর, YALE UNIVERSITY - বর্তমান সময়ের বিশ্বখ্যাত থিওরিটিকাল পদার্থ বিজ্ঞানী)

এই উক্তি দিয়ে একারণে শুরু করলাম মুষ্টিমেয় কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সাধারণত কোন সিরিয়াস একাডেমিসিয়ান বা বিজ্ঞানী কোয়ান্টাম থিওরি নিয়ে নাস্তিকতার বিতর্কে লিপ্ত হয় না (কেন হয় না তা পরে আলোচনা করছি)। যেসব নাস্তিকরা লিপ্ত হয় তাদের এই অর্থহীন আলোচনা কে আমরা বলতে পারি Rational dilemma of cliché Atheist narrative। তারা কিছু misplaced premise এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টির ক্লাসিক্যাল র‍্যাশনাল আর্গুমেন্টকে খণ্ডাতে চায়। তাই কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মৌলিক কিছু বিষয় আগে বোঝা দরকার।

আমরা অনেকেই হয়তো জানি না বিজ্ঞানী আইনস্টাইন নোবেল পুরস্কার Theory of Relativity-র কারনে পাননি, বরং পেয়েছিলেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সে তার অবদানের জন্য। তা সত্ত্বেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে কোয়ান্টাম থিওরি কে মেনে নিতে পারেননি কারন তা দ্বারা আমাদের বাস্তবতার ব্যাখ্যা দেয়া যায় না। প্রকৃত একাডেমিসিয়ানদের এই সময় এবং মানসিকতাও নেই যে, কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডের তত্ত্বগুলো নিয়ে নাস্তিকতার পক্ষে যুক্তি দাড় করানোর মতো ফিলসফিকাল রোমান্টিসিসমে (Philosophical Romanticism) ভোগার। এছাড়া যেসব নাস্তিকরা কোয়ান্টাম তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে তাদের স্বপক্ষে যুক্তি টানে তাদের সেই বিশ্বাস মূলত “অন্ধ বিশ্বাস” (Blind Belief)। কারন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিষয়গুলো (যেমন, Quantum Barrier Tunneling, Fluctuating Energy Wave, Quantum Vacuum State, Heisenberg’s Uncertainty Principle etc.) কে যদি যথাযথভাবে এপ্রিশিয়েট করতে হয় তাহলে এই ডিসিপ্লিনে টানা ৩/৪ বছর Abstract Mathmetics এর ওপর পড়াশোনা করতে হবে। এটা পূর্বশর্ত যা নরমাল নাস্তিকরা করবে না, আর যারা সিরিয়াস একাডেমিক নাস্তিক তারা কোয়ান্টাম তত্ত্ব টেনে এনে বিতর্কে জড়াবে না। এভাবে পড়াশোনার কাজ এড়িয়ে কোয়ান্টাম যুক্তি উপস্থাপন করা হল Romanticism & Blind Belief।

এখন আসা যাক মূল আর্গুমেন্টে বা Angle of reasoning-এ। কোয়ান্টাম জগতের মাধ্যমে ক্লাসিক্যাল জগতের (যেটাতে আমাদের বসবাস) phenomenon বোঝার চেষ্টা করাই হল বিশাল এক বৈজ্ঞানিক ফ্যালাসি। Probability (সম্ভাবনা) এক্ষেত্রে একটি মৌলিক পার্থক্য নির্ণয় করে এই দুই জগতের ভেতর। একটা পয়সা টস করার উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ক্ল্যাসিকাল পরিসংখ্যানে একটি পয়সার ঘনত্ব, ওপরের দিকে ছুড়ে মারার সময়কার Angular Momentum, Air Viscosity ইত্যাদি ভ্যারিয়েবল বলে দিলে তাত্ত্বিকভাবে বলে দেয়া সম্ভব হবে পয়সাটা টস করার পর head নাকি tail আসবে। কিন্তু বাস্তব জীবনে এতো ভ্যারিয়েবল বের করা সম্ভব হয় না। তাই পয়সাটি যদি Uniformly Dense থাকে, তাহলে ক্ল্যাসিকাল পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫০% সম্ভাবনা থাকে Head অথবা Tail পরার। But in reality, it is quite impossible to have all of these variables at hand for our disposal and hence we use many many trials of tossing the coin and observe the probabilistic outcome of such trials. This is known as classical probability and this probability is fundamentally a result of our “Ignorance of knowledge”. After we toss the coin, the outcome is either a head or tail. Our act of observing has no affect on the outcome. There is a pre-existing reality of either being a head or tail. The reality is already determined in the classical world.

এখন আসেন এই পয়সা টসের (Coin Toss) বিষয়টিকে কোয়ান্টাম তত্ত্বের আলোকে বোঝার চেষ্টা করি। অন্যভাবে যদি বলি Coin Toss যেটি হল একটি ক্ল্যাসিকাল জগতের (যে জগতে আমাদের বসবাস) বাস্তবতা এবং যেটিকে আমরা “Ignorance of Knowledge” তথা ক্ল্যাসিকাল পরিসংখ্যানের সম্ভাবনা দিয়ে সাধারণত বুঝার চেষ্টা করি, সেটিকে আমরা কোয়ান্টাম রিয়ালিটি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি। নাস্তিক যারা এভাবে বোঝার চেষ্টা করে এখানেই তাদের প্রেমিস গত বিশাল লজিকাল ফ্যালাসি কাজ করে কারন কোয়ান্টাম পরিসংখ্যানের বাস্তবতা হল “Inherently Probabilistic”, এটা “Ignorance of Knowledge” না, অর্থাৎ কোয়ান্টাম জগতে আপনি পয়সা টস করলে বলতেই পারবেন না Head নাকি Tail আসবে। This quantum probability is quite a different mathematical beast and profoundly different from our known classical probability। সেই জগতে এটাকে বলে “Two State System” অর্থাৎ Coin Toss করলে Head এবং Tail একই সময় একই সাথে পরবে!. কোয়ান্টাম ফিল্ডে তাই কোন “Preexisting Reality” নাই অর্থাৎ বাস্তব জীবনে পয়সা টস করলে হয় Head না হয় Tail পরবে, কিন্তু কোয়ান্টাম ফিল্ডে তা কখনই হবে না। আরও যদি বলি, সে জগতে আপনি যদি একটি বুলেট (hypothetical) দেয়ালের দুটি ছিদ্রকে উদ্দেশ্য করে ছোঁড়েন, তাহলে একই সময় দুটি ছিদ্র দিয়ে ওই সিঙ্গেল বুলেটটি একই সাথে ভেদ করে!! সেই জগতে ফুটবলকে (hypothetical) আপনি সামনে লাথি মারলে তা পেছনে, ডানে, বামে যেকোনো দিকে যায়! সে জগতে একটি বস্তু একি সময় কয়েক জায়গায় থাকে! Quantum Entanglement নামেও ভৌতিক একটা ব্যাখ্যা আছে। যদি ইংরেজিতে এভাবে বলা ব্যাখ্যা করে যায় - Where two sub-atomic particles are prepared in an entangled state and separated by an enormous amount of distance. When we probe one of the particles i.e. something happens to one particle, the other entangled pair knows simultaneously. If we think classically, it means either the information travelled more than the speed of light or both the particles are present at both the places at the same time. Do we see the dilemma of appreciating classically of a phenomenon which is by itself its own definition and has classical analog? এই সময়ের এই দ্বৈত চরিত্র তথা “Two State System” কে তাই বলা হয় Superposition of Two States। কেন এই জগতে Subatomic Particle এরুপ ভূতুড়ে আচরণ কেন করে এটার রহস্য আজ পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানী বের করতে পারেনি। তাই বলা হয়ে থাকে কোয়ান্টাম অবস্থার কোন “Classical Analog” নাই (অর্থাৎ ক্লাসিকাল জগতে আমরা যেভাবে বস্তু/ব্যক্তির অবস্থা নির্ণয় করি, কোয়ান্টাম জগতে তা অসম্ভব)। Therefore the crux of the idea that we trying to propose is that “there is no classical analog of quantum property”.

তাই ওপরের আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি Cause & Effect সম্পর্ক ক্ল্যাসিকাল জগতের আলোচনা। আল্লাহ্‌র (সু) অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য যে Kalam Cosmological Argument আমরা ব্যবহার করি সেটা হল Cause & Effect এর আলোচনা যার দ্বারা আমরা বলি সব সৃষ্টির পেছনে “কারন” থাকবেই, তাই মহাবিশ্বের সৃষ্টির পেছনে রয়েছে সবচেয়ে বড় Cause i.a. আল্লাহ (সু)। এই যুক্তি খণ্ডাতে না পেরে মূর্খ নাস্তিকরা যুক্তি টানা শুরু করেছিল এই বলে যে, কোয়ান্টাম জগতে তো কোন Cause নাই। কারন ছাড়াই সব কিছু হচ্ছে এবং সেটা দিয়ে তারা এই ক্লাসিক্যাল জগতের ঘটনা বুঝতে যায়। দুটার প্রেমিস সম্পূর্ণ আলাদা এবং Mutually Exclusive, তাই আপনি একটার ভেতর দিয়ে আরেকটা বুঝবার চেষ্টা করাটাই হচ্ছে ফ্যালাসি। শুরুতেই তাই বলেছি এরুপ উন্মাদের মতো চিন্তা কোন সিরিয়াস বিজ্ঞানীরা করেন না। Lawrence Krauss এর মতো পাগলরা করতে গিয়েছিল কিন্তু সফল হয়নি। এই সাধারণ পার্থক্যটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগে না। তাই কিছুদিন আগে Hamza Zsortiz এক বিতর্কে Lawrence Krauss এর এরুপ ভুল ধরিয়ে দিয়েছিল এবং পরবর্তীতে ক্রস তার মত আবার পরিবর্তন করে।

এভাবে নাস্তিকরা যারা চিন্তা করে সেটার ব্যাপারে আমার বড় ভাইয়ের এক রাশিয়ান প্রফেসরের যুক্তি শুনি। প্রফেসর Relativistic Quantum Electro Dynamics এর ক্লাস নিচ্ছিল এবং এক পর্যায়ে বললঃ “এখন ধর তোমরা খোদা এবং কম্পিউটারে তোমাদের ইউনিভার্সের জন্য আইন তৈরি করবা। এখন মহাবিশ্বের যে সুশৃঙ্খল নিয়ম এবং ব্যালেন্স, আইনের এই ব্যালেন্স তোমরা কখনই তৈরি করতে পারবনা, এটলিস্ট আমি পারবো না”।

আরেক প্রফেসরকে জিজ্ঞাস করায় তিনি বললেনঃ

কোয়ান্টাম বিশ্বের Inherent Probability-র (উপরে উল্লিখিত) কারনে সেই ফিল্ডের তত্ত্বের দ্বারা কখনই মহাবিশ্বের সৃষ্টির ব্যাখ্যা দিতে পারবনা আমরা। Quantum Probability-র ওপর ভিত্তি করে এই বইটি (ওনার হাতে একটি বই ছিল) তৈরি করতে গেলে পুরো Age of the Universe শেষ হয়ে যাবে, আর মহাবিশ্বের কথা (নাস্তিকরা যেটাকে বাই চান্সে আসছে বলতে চায়) না হয় বাদই দিলাম” (অর্থাৎ ক্লাসিক্যাল “by chance” যুক্তি দিয়ে এই মহাবিশ্ব স্রষ্টা ছাড়া আসছে যেমন বলা অসম্ভব, ঠিক কোয়ান্টাম জগতের “by chance” যুক্তি বিবেচনায় নিলে মহাবিশ্ব দূরে থাক একটা বইও এমনি আসছে বলা সম্ভব না।)

Therefore we must restrict ourselves from using the quantum phenomenon of having no pre-existing reality, uncaused event, etc in classical rational understanding of cause and effect. We are classical macroscopic subject and we must keep our premise separate. If we are to use quantum inherent probability and think of the chances of a book being manifested out of sheer quantum probability, it would take more than the age of the universe. This clarity of thinking of addressing the premise in its proper context is missing in atheist discourse.

এখন নাস্তিকদের আরেকটি যুক্তি দেখা যাক যেটা তারা দেয় Quantum Vacuum এর ওপর ভর করে “Creation of something out of nothing” যুক্তিটিকে মজবুত করার জন্য তারা বলে কোয়ান্টাম জগতে তো শূন্য থেকে পার্টিকেল সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু আবারো বলছি in atheist discourse, the mixing of classical and quantum premise is apparent. The classical definition of vacuum or nothing is the absolute absence of anything not even time and space. In quantum world, quantum vacuum is not same as the classical definition of the absence of absolutely anything. Rather in quantum vacuum, there is a sea of fluctuating fields. In mathematical terms, the nothing in quantum world is represented by zero energy state or ground state. There is no particle in zero state or ground state. Only fluctuating fields which averages out to be zero. তাই এই zero or ground state-এ আমরা যদি particles অনুসন্ধান করি, আমরা কিছু পাবো না ঠিকই কিন্তু আমরা যদি fields (some fields are mathematical construct and hence cannot be measured such as Dirac field) গুলোকে পরিমাপ করতে চাই, আমরা অবশ্যই zero state energy value পাবো. In layman terms, when excite any fields from its ground state, we create particles with state of higher energy i.e. simply put the particles are excitation of zero or ground state. আর এখানে বরং আমরা চাইলে আমাদের ক্লাসিক্যাল কালাম কসমোলজিক্যাল যুক্তি টেনে আনতে পারি – এই energy গুলো প্রথমত আসল কোত্থেকে যেগুলো থেকে পার্টিকেল তৈরি হচ্ছে?

তাই পরিশেষে এটা বলতে চাই। বাস্তবতাকে আমাদের যথাযথ কন্টেক্সটের আলোকে বুঝতে হবে। আমরা কোয়ান্টাম বিহেভিয়ার বুঝি না, কেউ বুঝে না। এটা সম্পূর্ণ বিপরীত ক্লাসিক্যাল world view যেখানে আমরা হলাম classical being। তাই ক্ল্যাসিকাল ও কোয়ান্টাম প্রেমিসকে মিক্স করে ক্ল্যাসিকালি বোঝার চেষ্টা চরম মিথ্যার দিকে আমাদের নিয়ে যাবে। We can at best say the quantum phenomenon is a reality in its own term and we will use it until something better comes along. A long never ending journey awaits for humanity towards unveiling the mystery of the universe.

সংগৃহীত

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: পড়তে শুরু করেছিলাম। অর্ধেকটা পড়ার পর মনে হল, এরকম সিরিয়াস বিষয় সিরিয়াসলি পড়া উচিত। তাই, বাকিটা অফিস থেকে ফিরে সময় নিয়ে পড়ব। প্রসঙ্গটা ইন্টারেস্টিং।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

কালো যাদুকর বলেছেন: পড়লাম, আধা আধি বুঝলাম

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম, কিঞ্চিত ব্যস্ত তাই পড়ে সময় সুযোগ বুঝে ঠান্ডা মাথায় পড়বো।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ। পুরা পুরি না বুঝলেও অন্তর্দশন চর্চায় যা পাই-তাতে মনে হয়-বিজ্ঞান একনো শিশু শ্রেণীর ছাত্র!

প্রাপ্ত ব্স্তু আর অবস্থানকে ব্যখ্যা করতেই ঘাম ঝড়ছে!!! বাস্তবতা বহু যোজন দূরে!

তবে এগিয়ে যাওয়াইতো জীবন! একসময় সন্ধান পাবে। তখন সময় থাকবে খুব কম!

++++++++++++++++++

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বন্তু, তর্কে বহুদূর!

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫১

তিথীডোর বলেছেন: ইনটেরেসটিং!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.