নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পূর্বের পোস্টের সমর্থক এটি। এটি সহজভাবে লেখা।
নাস্তিকরা বিশ্বাস করে যে এই মহাবিশ্ব হঠাৎই সৃষ্টি হয়েছে কারন ছাড়াই। কেউ সৃষ্টি করেনি বরং এটা এভাবেই ছিলো। আর এটা ধ্বংসও হবেনা। বরং একরূপ থেকে আরেক রূপে রুপান্তরিত হবে। তাদের সকল বিষয় এই চিন্তার আলোকে বিশ্লেষন করতে চায়।
আরেকটা বিশ্বাস হল মহাবিশ্বসহ সকল কিছু এতটাই পরিকল্পিত ও ভারসাম্যপূর্ণ,বিজ্ঞানময় যে এটি কারো দ্বারা সৃষ্ট। হঠাৎ করে এমনটা ঘটতে পারেনা। বিগ ব্যাং হল একটি বিস্ফোরন,অার একটি বিস্ফোরন কখনও নির্ভূল সিস্টেম তৈরী করতে পারেনা। আর মহাবিশ্ব হল কিছু বস্তুর ও প্রানীর সমন্বয়। এরা নিজেরা নিজেদের সৃষ্টি করতে পারেনা। যেমন বৃহৎ সূর্য হল জ্বলন্ত হিলিয়াম গ্যাস। বাজার থেকে খানিক হিলিয়াম গ্যাস কিনে তাতে আগুন ধরিয়ে জ্বালালে যা হবে সূর্য হল সেটাই। উভয়ের মধ্যে পার্থক্য এই যে,সূর্য আকারে অনেক বড়। কিন্তু বৈশিষ্ট্য এক। মঙ্গলগ্রহ যদি পাথরের তৈরী হয়,তাহলে আমার হাতে থাকা এক খন্ড পাথর আর মঙ্গল গ্রহের ভেতর পার্থক্য হল এই যে, গ্রহটা এটার থেকে অনেক বড় কিন্তু বৈশিষ্ট্য এক। এরকমই গ্রহ নক্ষত্র বা বস্তু মিলেই মহাবিশ্ব। আর এদের কারো স্রষ্টা হওয়ার ক্ষমতা নেই। আর যে নির্ভল সিস্টেমে গোটা প্রকৃতি চলছে সেটা এমনিতেই সৃষ্টি হতে পারেনা। বেশীরভাগ বিজ্ঞানীই এই মত বিশ্বাস করে।
আল্লাহ তায়ালা গোটা মহাবিশ্ব,ও এর উপরের আসমানসমূহ তৈরী করেছেন নিখুতভাবে। এখানে সিস্টেম চলতে চলতে যেসব এক্সিডেন্ট হয় সেটাও আল্লা কতৃক নির্ধারিত নিয়মের ভেতরের বিষয়। যেমন একটি আয়াতে আল্লাহ বলছেন-"শপথ সেই স্থানের যেখানে তারকাপুঞ্জ পতিত হয়" বিজ্ঞানীরা দেখেছেন মহাবিশ্বে জ্বলতে জ্বলতে ও কক্ষপথে চলতে চলতে একসময় তারকাসমূহ প্রায় নিষ্প্রভ হয়ে আসে, তখন তারা অন্ধকার গহবর বা ব্লাকহোলের ভেতর পতিত হয়ে চিরতরে অন্ধকার হয়ে যায়। .....তো এই ধ্বংসও আল্লাহর তৈরী করা নিয়মের ভেতরের বিষয়। কোনো কিছুই তার নিয়ন্ত্রনের বাইরের নয়। কিন্তু প্রত্যেকের জন্যেই একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত রয়েছে।
আল্লাহ যে নিয়ম কানুন তৈরী করেছেন,সেখানে আল্লাহ ইচ্ছা করলেই হস্তক্ষেপ করতে পারেন এবং তিনি মানুষকে দেখানোর জন্যে বা অনুধাবন করানোর জন্যে প্রকৃতিতে কখনও উলোটপালট করেন। যেমন তিনি পৃথিবীর ভেতর যে প্লেটসমূহ তৈরী করেছেন(সম্ভবত ট্যাকটনিক প্লেট)সেটা নড়াচড়া করে। এর কারনে মহাদেশসমূহ একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে অথবা দূরে সরে যায়। এটা বিজ্ঞান প্রমান করেছে। কিন্তু এই প্লেটসমূহ কেন নড়াচড়া করে এর সদূত্তর জানা নেই। আবার বিজ্ঞানীরা কার্য-কারন অনুধাবন করে বা কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসরন করে অনুমান করেন, এই প্লেটটি এত বছর পর ওইদিকে সরে যেতে পারে অথবা এরকম কিছু। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কোনো রকম নিয়মের তোয়াক্কা না করেই পৃথিবীর কোনো স্থানে অস্বভাবিকভাবে নড়াচড়া হয়ে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে। নাস্তিকদের কাছে এটার ব্যাখ্যা হল সেই প্লেটের গতিবিধী দেখা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কারন তারা এর পেছনে গেলে সেখানে সৃষ্টিকর্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন রয়েছে,ফলে তারা প্রাকৃতিক যুক্তি দিয়ে সকল ঘটনা ব্যাখ্যা করে। কোনো উত্তর না পেলে বলে বিজ্ঞান সামনে হয়ত এর কারন উদঘাটন করবে।
কিন্তু বিজ্ঞান হল কিছু নিয়ম কানুনের সমষ্টি,যার সবকিছু পরিক্ষাগারে পরিক্ষা করা সম্ভব নয়। আর এর যেসব থিওরী রয়েছে তা বিজ্ঞানীদের কল্পনা নির্ভর বিষয়। এমনকি পরিক্ষাগারে প্রমানিত "ল" ও অন্য বিজ্ঞানীদের বিপরীত পরিক্ষায় ভুল প্রানিত হয় কখনও। নাস্তিকরা শুধুমাত্র ঘটনা বা উপসর্গ দেখে বিচার বিবেচনা করে। তাদের থিওরীগুলোও এইসব ঘটনা নির্ভর। কিন্তু ঘটনার পেছনে কোনো দক্ষ চিন্তা কাজ করছে কিনা সেটা তারা বিবেচনা করেনা। তাদের দৃষ্টিতে সেটা চিন্তা করা অবৈজ্ঞানিক।
ধরুন একজন মেশিনগান দিয়ে একটি দেওয়ালে অত্যন্ত নিখুতভাবে গুলি করে পাশাপাশি ফুটো তৈরী করল। কিছু বিজ্ঞানী ফুটোগুলো পর্যবেক্ষন করল,ফুটোগুলোর পারষ্পরিক দূরত্ব,গভীরতা নির্ণয় করল। এরপর এই সিদ্ধান্তে আসল যে প্রথম ফুটোটিই শুরু আর এই ফুটোটিই অন্যদের সৃষ্টি করেছে। কারন প্রথমটির সাথে অন্যদের বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি মিলে গেছে। এরকমটাই হল নাস্তিকদের থিওরী। অথচ যে লোকটি ফুটো করল,তাকে দেখল না। কি দিয়ে ফুটো করল তাও এড়িয়ে গেল। এবং যিনি উক্ত ফুটো তৈরী করেছেন,তিনি যে আরও ফুটো তৈরী করতে পারেন সেটাও অনুধাবন করল না। বরং এরকম ভাবনাটাকেই অবৈজ্ঞানিক বলে এড়িয়ে গেল।
আল্লাহ তায়ালা সবকিছু একটি নিয়মে তৈরী করেছেন। সেটা সেভাবেই চলছে। কিন্তু তিনি ইচ্ছা করলেই সেই নিয়মে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। আল্লাহর হস্তক্ষেপের বিষয়টিকে আমরা মিরাকেল বলতে পারি। নিশ্চয় এর ব্যাখ্যা রয়েছে কিন্তু এটি আল্লাহ জানেন। আল্লাহর কাছে এটি মিরাকেল নয়।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
দ্য েস্লভ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জনাব
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৪
shiponblog বলেছেন: ভালো বলেছন
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৭
দ্য েস্লভ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়রান
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৯
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো লেখা।
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নাস্তিকরে আউল ফাউল কথা দিয়ে তো ভালই ঝাড়লেন। কিন্তু কতটা ভ্রান্তি ঢুকিয়ে রেখেছেন সেটা হয়তো নিজেও জানেন না।
একটাই বলি..... মংগল গ্রহ কি কেবল পাথরের? আপনি তো এটাই বললেন।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২২
দ্য েস্লভ বলেছেন: আরেকবার পড়লে বুঝবেন আমি বলেছি.....মঙ্গলগ্রহ যদি পাথরের তৈরী হয়,তাহলে আমার হাতে থাকা এক খন্ড পাথর আর মঙ্গল গ্রহের ভেতর পার্থক্য হল এই যে, গ্রহটা এটার থেকে অনেক বড় কিন্তু বৈশিষ্ট্য এক।
বলেছি- যদি সেটা পাথরের তৈরী হয়.....ওই গ্রহ পাথরের না হয়ে প্লাস্টিকের হলেও বিষয় একই। মূল থিম ছিলো এসব বস্তু নিজেরা নিজেকে বানানোর বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নয়। সবকিছু ও এগুলোর নিখুত সিস্টেম প্রমান করে এগুলো কারো দ্বারা সৃষ্ট।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: একমত। আজকে আমরা যে ডিজিটাল যুগে আছি এটাই তো এই সিস্টেম এর উদাহরন।