নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায় মানুষ সেই অতীত থেকেই নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারনে যুদ্ধ করে আসছে। বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র বিষেশ করে বিভিন্ন বন্দুকের নাম শুনলেও সুদূর অতীতে যখন এই বন্ধুক আবিস্কার হয়নি তখনও কিন্তু যুদ্ধ হত। আর তৎকালীন সময়ে যুদ্ধে ব্যাবহৃত হত নানা রকমের মারন অস্ত্র। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব এরকম কিছু বিখ্যাত মারন অস্ত্রের সাথে যেগুলি বিভিন্ন সময়ে মানুষ ব্যাবহার করেছে।
১৫) কাচি তলোয়ারঃ
কাচি তলোয়ার (Hook Swords) অতীত থেকেই বিখ্যাত শাওলিন বৌদ্ধ সাধুদের ব্যাবহৃত অস্ত্র হিসেবে। এই তলোয়ারের মাথা কাচির মত বাকানো থাকে। যাতে দু'টি তলোয়ারকে এক সাথে লাগিয়ে এক তলোয়ার হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। এই তলোয়ার ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় আর কাছাকাছি যুদ্ধের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর অস্ত্র।
১৪) শুদ্ধ গদাঃ
শুদ্ধ গদা (Mere Club) সর্বাধিক ব্যাবহৃত হত নিউজিল্যান্ডের মাওরি উপজাতিদের (Maori Tribes) দ্বারা। ১২ থেকে ২০ ইঞ্চি লম্বা এই গদা বানানো হত নেফ্রাইট (Nephrite) এবং জেড (Jade) এর সংমিশ্রিত ধাতু দ্বারা। মাওরি উপজাতিরা এই গদাকে আধ্যাতিক অস্ত্র বলে মনে করত। তাদের ধারনা ছিল এই গদার নিজের আত্মা আছে আর তা যুদ্ধে ক্ষেত্রে যোদ্ধার আত্মার সাথে মিলে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে সহায়তা করে।
১৩) কাল্ভারিনঃ
কাল্ভারিন (Culverin) ছিল মধ্য যুগের বন্দুকের প্রথম সংস্করন। প্রথম যখন এটিকে আবিস্কার করা হয় তখন এটি সহজেই বহন করা সম্ভব না হলেও একজন ব্যাক্তির পক্ষে বহন করা সম্ভব ছিল। এটি একটি ফাঁপা পাইপের মত ছিল যার মধ্যে বারুদ আর লোহার বল ঢুকানো যেত। অবশ্য এটি যে শুধু মাত্র বন্দুকের প্রথম সংস্করন তা নয়, বলতে পারেন কামানেরও প্রথম সংস্করন এটি। পরবর্তিতে এটি আরো বড় আঁকারে বানিয়ে কামান বানানো হয়। আর সেই কামানের ওজন ছিল ৪০ পাউন্ড।
১২) কেপিংগাঃ
কেপিংগা (Kpinga) অস্ত্রের বহুল প্রচলন ছিল আজেনদে উপজাতিদের মধ্যে। এই উপজাতিদের বসবাস ছিল বর্তমান ইজিপ্টের দক্ষিন অঞ্চলে এবং সুদানের উত্তরাঞ্চলে। এগুলি ছিল ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুড়ে মারার চাকু, যাতে লাগানো থাকতো তিনটি ব্লেড। আজেনদে উপজাতিদের মধ্যে এই কেপিংগা নিয়ে একটা মজার হৃতি চালু ছিল। যখন এই কেপিংগার মালিক বিয়ে করত তখন যে তার ব্যাবহৃত কেপিংগা বৌয়ের পরিবারকে উপহার হিসেবে দিত। এখন কেন দিত তা জানা সম্ভব হয়নি। হয়ত দিত যাতে বৌয়ের সাথে উল্টা পালটা কিছু করলে যেন তাকে মারার জন্য অস্ত্র কষ্টো করে খোঁজাখুঁজি করা না লাগে। মজা করছিলাম আবার সত্যি ভেবে বসেন না।
১১) ক্যাল্ট্রপঃ
ক্যাল্ট্রপ (Caltrop) খুবই সাধারন একটি অস্ত্র। এটি বানানো হয় তিন বা ততোধিক পেরেকের সমন্বয়ে। তবে এমন ভাবে বানানো হয় যেন ক্যাল্ট্রপের একটি প্রেক সব সময় উপর দিকে থাকে। এই ক্যাল্ট্রপের আকৃতি সাধারনত চতুস্তলক আকৃতি হয়ে থাকে। সুদূর অতীতে এর ব্যাবহার যেমন ছিল তেমনি আজও এর ব্যাবহার আছে। বিশেষ করে বিশাল মিছিলের গতিরোধ বা বিশাল গাড়ি বহরের গতিরোধ করতে আজও ক্যাল্ট্রপ ব্যাবহৃত হয়।
চলবে.........................
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৮
নহে মিথ্যা বলেছেন: অবশ্যই
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
ফিলিংস বলেছেন: হ দিয়েন....
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৮
নহে মিথ্যা বলেছেন:
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ইন্টারেস্টিং।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯
নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
আশাফ আনিস বলেছেন: গডা থেকে গদামম ম ম ম ম ম ম
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯
নহে মিথ্যা বলেছেন: দ আর ড নিয়ে প্যাচায় গেছি... :p
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫
ড. জেকিল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। পরের পর্ব শীঘ্রই আশা করছি।