নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব... নচেত চুপ থাকিব...

সত্য তখনই দাম পায়, যখন তার পাশে মিথ্যা নামক অদৃশ্য বস্তুটি স্থান পায়......

নহে মিথ্যা

নহে মিথ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব থেকে দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী যে বাইকটি

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯





আচ্ছা আপনাদের কি মনে আছে সেই ১০টি বাইকের কথা, আরে ঐ যে "বিশ্বের সবথেকে দ্রুতগতীর ১০ টি বাইক" লেখাটিতে যে ১০টি বাইকের কথা বলেছিলাম। লেখাটিতে "ডজ টমাহ্যোক" (Dodge Tomahawk) বাইকটির কথা মনে আছে নিশ্চয়। আচ্ছা মনে না পরলে সমস্যা নেই মনে করিয়ে দেই, চার চাক্কার এই বাইক হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে দ্রুতগামী বাইক। এটি ৯৭ মাইল প্রতি ঘন্টার গতীতে উঠতে সময় নেয় মাত্র ২.৫ সেকেন্ড। আর যদি আপনি নিউটনের ৩য় সূত্রের কথা ভূলে যান তাহলে প্রতি ঘন্টায় এই বাইকের গতি ৬৪০ কিমি করে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। যদিও এটা শুধু মাত্র কাগজ কলমে সম্ভব কেননা আমাদের পৃথিবীর মধ্যাকার্ষন শক্তি ও বাতাসের বাঁধার কারনে এই গতীর বাস্তব রূপ দেখা অসম্ভব। ৮.৩ লিটারের ১০ সিলিন্ডার বিশিষ্ট ৫০০ অর্শ শক্তি সম্পন্ন ইঞ্জিন রয়েছে এই বাইকে। তাহলেই বুঝুন কেমন দ্রুতগামি এই বাইক। আর আজ আমি এই বাইক সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।







ডজ টমাহ্যোক ভাইপার ভি-১০ (Viper V-10) প্রজাতির ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়, যা থেকে উতপন্ন হয় ৫০০টি ঘোড়ার সম শক্তি। এই বাইকের শক্তিশালী ইঞ্জিন চালিত হয় পাঁচ জোড়া অর্থাৎ মোট ১০টি পিস্টনের সাহায্যে, যা পাশাপাশি অবস্থিত থাকে, এছাড়াও এই বাইক অন্যান্য বাইকের মত দু'চাক্কার না বরং চার চাক্কার।



এই গাড়ির ডিজাইনার এবং উতপাদনকারি "ক্রাইসলার" (Chrysler) এপর্যন্ত মাত্র ৯টি ডজ টমাহ্যোক বাইক তৈরি করেছেন এবং তা বিক্রি করেছেন বিশ্ব জুড়ে। আর প্রতিটি ডজ টমাহ্যোকের দাম পড়েছে ৫৫৫,০০০ মার্কিন ডলার। দাম শুনে বুঝতেই পারছেন এই বাইকের ক্রেতার সংখ্যা কেন এত কম।







এই বাইকের গতি এত বেশি যে, পৃথিবীর কোন দেশেই ট্রাফিক আইনে জনসাধারনের জন্য নির্মিত রাস্তায় এই বাইক চালাবার অনুমতি নেই। অর্থাৎ আপনি চাইলেই গাদি গাদি টাকা দিয়ে এই বাইক কিনে রাস্তায় চালাতে পারবেন না। যদি চালাতে চান তাহলে আপনাকে চালাতে হবে নিজের তৈরি করা রাস্তায় অথবা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের বিশেষ অনুমতি নিয়ে। আর যারা এত গুলি টাকা দিয়ে এই বাইকটি কিনেছেন, তারা নিশ্চই এরকম রাস্তার মালিক বা ট্রাফিক পুলিশের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি প্রাপ্ত, তা না হলে এই বাইক কেনাটাই বৃথা।



সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে এই বাইকের কোন মালিক যুবক না। মানে তারা বেশ বয়স্ক। এটা আসলেই মজার একটা বিষয়। অবশ্য তার একটা কারন হল, এই বাইক কেনার টাকা যুবক বয়সে অর্জন করাটাও এক কথায় অস্বাধ্য একটা ব্যাপার, তারপরে আবার সাধারন রাস্তায় চালাবার অনুমতি নেই, তাই হয়ত এই বাইকের মালিক সবাই বেশ বয়স্ক।







এখন এই বাইকের গঠন আর আকৃতিতে আসি। অন্যান্য সব বাইকে নিজের ভার বহন করার জন্য একটা শক্ত কাঠামো থাকে, যাকে চ্যাসিস (Chassis) বলে, কিন্তু ডজ টমাহ্যোক বাইকের ক্ষেত্রে এই চ্যাসিস অন্যান্য বাইকের মত না। এই বাইকের বাইরের যে কাঠামো তৈরি করা হয়েছে তা এমন ভাবে নকশা করা হয়েছে যে এর ভিতর দিক একদম ফাঁপা আর এর মূল ভার বহন করে বাইরের এই কাঠামো। এই ধরনের ডিজাইন করা চ্যাসিসকে বলা হয় "Monocoque"। অনেকটা পিংপং বলের মত, ভিতরে ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও বাইরের খোলস অনেক শক্ত থাকে, যা সম্পূর্ন ভার বহন করতে সক্ষম থাকে। এই বাইকটির সম্পূর্নটাই তৈরি করা হয়েছে বিলেট এল্যুমিনিয়াম দিয়ে। এই বিলেট এল্যুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয় "ওডি" (Audi) সহ নাম করা সব গাড়ি নির্মাতা কম্পানির রেসিং কার।



সত্যিকার অর্থেই এই ডজ টমাহ্যোক বাইক এপর্যন্ত তৈরি করা সকল বাইক থেকে সম্পূর্ন আলাদা। এর গঠন প্রনালি যেমন ভিন্ন তেমন এর দ্রুততার ধারে কাছে কোন বাইক নেই। যা হোক এবার চলুন এই বাইকের কিছু ছবি দেখে নেই,



















































লেখাটি প্রথম লিখেছিলামঃ রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৩

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

যুগের নকিব বলেছেন: দেখি দাম কমুক
তখন না হয় ১টা কিনব।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

নহে মিথ্যা বলেছেন: এই কারনেই এই বাইকের সব মালিক বুইড়া :P

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২২

ঢাকাবাসী বলেছেন: কিনে ঢাকায় চালাবো কোথায়? তাই কেনার চিন্তা বাদ। চমৎকার পোষ্ট।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ... :)

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: বলতে ভুলে গেছি, বুড়োদের তাচ্ছিল্য করছেন নাকি? তা দয়া করে করবেন না, আপনিও একদিন বুড়ো হবেন, চামড়া কুঁচকে যাবে, চুল প্রায় সব পড়ে যাবে, কোমরে ব্যাথা হবে, সকাল বিকাল এক গাদা অষুধ খাবেন! কিছু মনে করবেন না ফান করলুম। ধন্যবাদ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

নহে মিথ্যা বলেছেন: আসলে এখানে যেটা বুঝিয়েছি তা হল... এটির দাম এত বেশি যে এটি কেনার অর্থ জোগাড় করতে আপনার যৌবন পার হয়ে যাবে... আর কিছুই না...

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কি অসম্ভব একটা বাইক!! এই বাইক চালাইয়া মাইষে যাবে কই!!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৯

নহে মিথ্যা বলেছেন: টাংকি মারতে =p~

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: দারুন!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১০

নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.