নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি ভাবছেন ভেজাল খাবার না বলে জাল খাবারের কথা কেন বললাম, তাই না? আসলে টাকা যেমন জাল হয় তেমন কি খাবারও জাল হয়? অন্য কোথাও জাল খাবার পাওয়া না গেলেও চায়নাতে যে পাবেনই তা বলে দিতে। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব চায়নার জাল খাবারের সাথে। যা দেখে আমার মতই অবাক হবেন তাতে কোণ সন্দেহই নেই।
০১) জাল নুডুলসঃ
২০১০ সালে চায়নার ডনগোয়ান অঞ্চলের ৫০টি কারখানা বন্ধো করে দেয় দেশের সরকার। কেননা এই সকল কারখানায় পচে যাওয়া শস্য এবং কিছু ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হত জাল নুডুলস। এই সকল কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ছিল অনেক, কারখানাটি বন্ধো করার সময় ১.১ মিলিয়ন পাউন্ড জাল নুডুলস আটক করা হয়।
০২) জাল দুধঃ
মেলামাইন মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর। এটা কোন ভাবেই মানুষের খাবার হতে পারে না। কিন্তু ২০০৯ তে প্রায় ৫৩,০০০ শিশু অসুস্থ হয়ে পরে মেলামাইন দিয়ে তৈর জাল দুধ খেয়ে। ঐ সকল দুধ তৈরি করার কম্পানি বলেছিল দুধে প্রোটিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য তারা মেলামাইন ব্যাবহার করেছিল। কিন্তু ঘটল তার উল্টা।
০৩) জাল শুকরের মাংসঃ
২০১১ সাল প্রথম সকলের নজর কারে যখন এক জন মহিলা দেখতে পান যে তার রেখে যাওয়া খাবারের অবশিষ্ট অংশ অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছে। পরে জানা যায় যে এই মাংসের উপাদান গুলির মধ্যে মূল একটি উপাদান 'Phosphorescent Bacteria', যে ব্যাকটেরিয়া ব্যাবহার করে এই মাংস গুলি প্রস্তুত করা হয়েছে। আর ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
০৪) জাল ডিমঃ
একটু অবাক হচ্ছেন তাই না যে ডিম কিভাবে জাল হতে পারে? আরে ভাই এটা চায়না বলে কথা এখানে কি না হতে পারে?! বুঝলাম না চায়নায় কি মুরগী নাই নাকি মুরগির ডিম দেওয়া পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করা সম্ভব না। যা হোক চায়নায় গেলে আপনি কিন্তু এই জাল ডিম দিয়ে মজা করে নাস্তাও করে ফেলতে পারেন, তবে তা বুঝবেন কিনা তা বলা সম্ভব না। এবার চলুন দেখে নেই এই জাল ডিম বানায় কিভাবে।
০৫) জাল আখরোটঃ
চায়নায় আখরোটের দাম বৃদ্ধি পাবার কারনে কিছু অর্থ লোভি লোকেরা আখরোটের খালি খোসা যোগাড় করা শুরু করে। এর পরে সে গুলির মধ্যে পাথর আর কাগজ দিয়ে পূর্ন করে তা বাজারে বিক্রি করা শুরু করে।
নকল আখরোট
আসল এবং নকল আখরোট
০৬) জাল গরুর মাংসঃ
এই জাল খাবার মনে করেন চায়নার সব থেকে সহজ লোভ্য খাবার। এটা আপনি খুঁজে পাবেন চায়নার যে কোন অঞ্চলে। পুলিশের কাছে অনেক রিপোর্ট আসলেও তারা এই বিষয়ে তেমন কোন কিছুই করতে পারে নাই। তবে এটা যে কোন ভাবেই স্বাস্থ্যকর না তা বুঝি আর বলা লাগবে না। এই ইঁদুর গুলিকেই গরুর মাংস বলে চালিয়ে দেওয়া হয় চায়নার অনেক জায়গায়। তাই বলি চায়নায় গেলে আর যাই করেন হোটেলে গরুর মাংস এর অর্ডার দিয়েন না।
০৭) জাল চালঃ
আসলে ধান উৎপাদন করা বেশ কষ্টোকর কাজ তাই না? তাই চলুন এত কষ্টো করে উৎপাদন না করে সরাসরি বানিয়েই ফেলি চাল। এই জাল চাল তৈরি করতে ব্যাবহার করা হয় আলু এবং প্লাষ্টিক। সব থেকে ভয়ংকর তথ্য হচ্ছে এই চালের তৈরি তিন বাটি ভাতের মধ্যে থাকে একটি প্লাষ্টিক ব্যাগের সম পরিমান প্লাষ্টিক।
০৮) জাল বানঃ
'মামা একটা চিকেন বান দেও', এই কথা বলে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে অনেকেই চেচিয়েছেন, কিন্তু এখানে চেল্লালে চেল্লান ভুলেও চায়নাতে খাবার আগে একটু চিন্তা করে নিবেন। ২০০৭ সালে চায়নার একটি পত্রিকা প্রথম এই বিষয়টি সকলের সামনে তুলে আনে। কিছু অসাধু ব্যাবসায়ি হার্ড বোর্ডকে কোন এক রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে ঢুবিয়ে নরম করে তৈরি করে এগুলি। অবশ্য কিছু পরিমান শুকরের মাংস থাকে এগুলির মধ্যে যাতে খাবার সময় বুঝতে না পারা যায়।
০৯) জাল পাতাকপিঃ
এ নিয়ে এর আগে 'চাইনিজ পাতাকপি' লেখায় আলোচনা করেছিলাম তাই এখানে আর কিছু লিখলাম না।
লেখাটা পরে যদি খুব মজা পেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু একদম ভুল করছেন, কেননা সে দিন বাজারে দেখলাম চাইনিজ লালকপি বিক্রি হচ্ছে। খুব বেশি দিন দেরি নেই যে দিন এই বিষাক্ত খাবার গুলি হয়ত উঠে আসবে আপনার থালেও।
লেখকঃ জানা অজানার পথিক AKA নহে মিথ্যা।
উৎসঃ Chinese Fake Food
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
নহে মিথ্যা বলেছেন:
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাপ রে কি অবস্থা...
আল্লাহ এত বুদ্ধি দিছে ভাল কাজে ব্যায় কর তা না।
মন খারাপ হয়ে গেল
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭
নহে মিথ্যা বলেছেন: সব জায়াগাতেই খারাপ ভাল থাকে... আর অর্থ লোভিতো থাকেই... আমাদের এখানেও আছে... শুধু তফাত একটু আর তা হল ওদের চিন্তা ভাবনা গুলি একদম নতুন... আর তা আমাদের চিন্তার বাইরে...
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
আছিফুর রহমান বলেছেন: চায়না গেলে নিজে রাইন্ধা খামু তাও হোটেলে যামু না
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
নহে মিথ্যা বলেছেন: আমাকেও একটু রেঁধে দিয়েন যদি এক সাথে কভু চায়না যাবার সুযোগ মেলে...
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
নতুন বলেছেন: নকল ডিম এবং নকল সবজী কখনোই সাধারনের কাছে বিক্রির জন্য বাজারে আসে না...
নকল ডিম উতপাদনে যেই খরচা তার চেয়ে মুরগীর ডিম সস্তা... হুজুগে সবাই এই জিনিস নিয়া আলোচনা করে সবাইকে সাবধান হতে বলে....
পাবলিক হুজুগে বিশ্বাস করে তাই নকল ডিমের পোস্ট দেখে সেয়ার করা শুরু করে...
নকল ডিম/সবজী অনেক আগে থেকেই তৌরি হচ্ছে ...
কিন্তু এই সব ব্যবহার হয় রেস্টুরেন্টের খাবারের ডিসপ্লের জন্য... বাইরে সাজিয়ে রাখার জন্য.... যাতে কাস্টোমাররা তৌরি খাবার কেমন হবে তা দেখতে পারে...
এই খাবার বাজারে বিক্রি করেনা কখনোই... ( আমাদের কান নিয়ে ছে চিলে জনগন বিশ্বাস করে বাজারে এই গুলি সাধারন ডিমের সাথে সবজীর সাথে বিক্রি হয়)
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
নহে মিথ্যা বলেছেন: আমার মনে হয়ে আপনি একটু বেশি বুঝে বেশি বকে ফেলেছেন...
কথায় এবং বোঝায় মিতব্যায়ি হবেন বলে আশা রাখি...
আপনার প্রতিটা কথাই স্পষ্ট করেছে আপনি মূর্খ এবং তর্ক প্রিয় প্রজাতির ব্যাক্তি তাই আপনার মন্তব্যতে যথার্থ প্রতিউত্তর থাকা সত্ত্বেও চুপ থেকে আপনাকে এড়িয়ে গেলাম...
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
নতুন বলেছেন: আমি তো বেশি বুঝি... মানলাম... কারন ডিসপ্লের বানানো সবজী/ডিম নিজের চোখে দেখেছি তো তাই...
আপনি সমালচনা সহ্য করতে পারেনা এটা ব্লগে উল্লেখ করলে কমেন্ট করতাম না....
ধন্যবাদ ...
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
নহে মিথ্যা বলেছেন: পুনঃব্যাক্ত
আপনার প্রতিটা কথাই স্পষ্ট করেছে আপনি মূর্খ এবং তর্ক প্রিয় প্রজাতির ব্যাক্তি তাই আপনার মন্তব্যতে যথার্থ প্রতিউত্তর থাকা সত্ত্বেও চুপ থেকে আপনাকে এড়িয়ে গেলাম...
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চায়নার মানুষও বুঝি এখন চেক করে দেখতে হবে আসল না নকল