![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি রক্তে স্নান করতে পারি, আমি নিজের জীবন বিলাতে পারি আমি আমার দেশের জন্য আমরণ লড়াই করতে পারি। তবে... আমি আমার প্রিয় ধর্মকে সবার চাইতে বেশী ভালোবাসি আমি মিথ্যে চেতনার নামে অসভ্যতাকে খুব বেশী ঘৃণা করি। তাই... আমি আমার ধর্মের প্রশ্নে কভু ছাড় নাহি দিতে পারি
ধরে নিলাম –
রংপুরের ঘটনা দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য হয়েছে।
সরকার ভাবছে- এই সব সাম্প্রদায়িক ঘটনার মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।
কিছুদিন আগে, মোসাদ এজেন্ট শিপন কুমার বসু স্ট্যাটাস দিয়েছিলো- নভেম্বরের মধ্যে সরকারের পতন ঘটানো হবে (http://bit.ly/2xGb8fb)। তাহলে রংপুরের ঘটনা ঘটায় যেসব হিন্দু সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়েছিলো তাদের আগে গ্রেফতার করা উচিত ছিলো। কারণ শিপন কুমার বসু একজন উগ্রহিন্দু এবং সে উগ্রহিন্দুত্বের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটাবে। সেক্ষেত্রে টিটু রায় বা তার পরিবারে সাথে শিপন কুমারের যোগাযোগ থাকা স্বাভাবিক। ওদের আগেই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা যেতো।
কিন্তু সেটা না করে মুসলমানরা ৭ দিন ধরে আন্দোলন করলো সেটা পাত্তাই দিলো না সরকার-প্রশাসন।
দোষটা কার ?
প্রথম দোষ- যে হিন্দু স্ট্যাটাস দিয়েছে। এবং যে হিন্দুরা তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। আড়াল থেকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
দ্বিতীয় দোষ- সরকারের। কারণ সরকার প্রশাসন তার বিরুদ্ধ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে নাই।
তৃতীয় দোষ- যে পুলিশরা গুলি করে ৬ জন মুসলমানকে হত্যা করলো। হিন্দুদের ঘরে আগুন দিলেও কোন হিন্দুকে হত্যা করা হয় নাই। ঘরে আগুন দিলে সেই ঘর নতুন করে বানিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু মানুষ মারা গেলে মানুষ পাওয়া যায় না। পুলিশ গুলি করে মুসলমান মেরে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম বিরাট বিভেদ তৈরী করে দিলো। পুলিশের মধ্যে খুজলে অবশ্যই সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা বা বিজেপি’র এজেন্ট পাওয়া যাবে।
চর্তুথ দোষ- মিডিয়ার। ৬ জন মুসলমান মারা যাওয়ার পরও তারা একচেটিয়ে হিন্দুদের তোষামদ করে যাচ্ছে। মানুষ অন্ধ না। গত ৭ দিন যাবত ইসলাম অবমানান নিয়ে মুসলমানরা আন্দোলন করেছে, কিন্তু সেটা নিয়ে কোন নিউজ তারা করে নাই। কিন্তু হিন্দুর বাড়িতে আগুন দেয়ার সাথে সাথে তারা ক্যামেরা নিয়ে হাজির। অনলাইন-ইন্টারনেটের যুগে সবাই সব কিছু দেখছে। মিডিয়ার একপেশে আচরণে মানুষ আরো বিদ্রোহী হয়ে উঠবে।
পঞ্চম দোষ- সরকার ও প্রশাসনের। সরকার ও প্রশাসনের কাছে সবাই সমান হওয়া উচিত। হিন্দু বলে ভারতের চ্যানেলে বেশি গুরুত্ব পাবে, আর মুসলমান হলে মাইর দিতে হবে, এভাবে পক্ষপাতিত্বের মাধ্যমে দেশে কখনই শান্তি আসবে না। বরং অরাজকতা আরো দৃঢ় হবে।
আমার মতে,
শিপন কুমার বসুর ঘোষণার পর, ফেসবুকে হিন্দুদের এন্টি ইসলামীক যে কোন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সরকারের শক্ত অবস্থানে যাওয়ার দরকার ছিলো। কিন্তু সরকার সেটা তো করেইনি, বরং উল্টো প্রতিবাদরত মুসলমানদের দমন করেছে। আমি বলবো- সরকারই দেশকে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং সেটার ফল প্রাপ্তিতে সেও কিন্তু বাদ যাবে না। শিপন কুমার বসু কিন্তু শুধু সরকারের পতনের ঘোষণা দেয় নাই, আরো বলেছে- সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাকে ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে (http://bit.ly/2ySga8R)। সুতরাং হিন্দুদের তোষণ করে এবং মুসলমানদের গুলি করে মেরে দু’কূল হারিয়ে সরকার সে দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
=============================================
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
জামু বলেছেন: মনে হচ্ছে আমরা কেন জানি সবকিছুই একসেপ্ট করতে শিখে গেছি।
ধন্যবাদ বিষয়টা আলোকপাত করার জন্য।
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: কিছুই মাথায় ঢুকছেনা।
কার দোষ কে নিরাপরাদ কিছুই বুঝতে পারছিনা
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বলেন কি ৬ জন মারা গেছে???
নিউজ অনলাইন টিভি সবই কি মিস করলাম????
তবে আজকে সুষমা স্বরাজের বিবৃতিতে একজন সার্বভৌম বাংলাদেশী হিসেবে কষ্ট পেয়েছি। দেশৈর অভ্যন্তরিন বিষয়ে যেভাবে নাক গলাচ্ছে তারা আপত্তিকর!
আরেকদেশের জাত ভাই স্রেফ হিন্দুদের প্রতি যে দরদ যে অধিকার আর যে প্রভাব দেখিয়েছে!!!
ভারতে সামান্য গরু নিয়ে হাটলেো যেখানে মুসলমানদের মেরে ফেলা হচ্ছে তা নিয়ে আমাদের কোন নেতা প্রশ্ন করা দূরে থাক
নিন্দা বিবৃতি দূরে থাক জি্ঝাসা করারও মনে হয় সাহস রাখে না!!!!!!!!!
আত্ম মর্যাদাবোধকে এত নীচে নামাতেই হয়! কয়েকটা দিন, মান বছরের ক্ষমতা আর গদির জন্য!!!! শেইম!
৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হিন্দু বা মুসলমান না ভেবে আগে মানূষকে মানূষ বলুন।
না জেনে বলে দিলেন পোষ্টটি হিন্দু করেছে।
মুলঘটনা হচ্ছে পোষ্টটি ছিল এক মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদির। পোষ্টটি অনেকদিন তার ওয়ালে ছিল হয়তো এখনো আছে।
উনি অথবা তার চ্যালারা টিটু রায় নামে একব্যক্তির আইডি খুলে সেই স্যাটাস হুবুহু পোষ্ট করে।
এর পর পরিকল্পিত ভাবে সেই পোষ্টটি ফটোকপি করে পাচদিন জাবত মসজিদে মসজিদে প্রচারনা চালায়।
এখন রসুলুল্লাহের(স) অবমাননা কে করলো?
যারা ফটোকপি করে মসজদে মসজিদে নবীর কুৎসা বিলি করলো এরা, না টিটু রায়?
এর আগে ব্রাহ্মনবাড়ীয়ায়ও রসরাজের নামে এক নিরক্ষর জেলের আইডি খুলে সেই একই রকম তান্ডোব চালিয়েছিল এইসব মিথ্যুক মোল্লারা।
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮
দিস ইজ ইব্রাহিম বলেছেন: আমরা মানুষ কে মানুষই ভাবি
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯
দিস ইজ ইব্রাহিম বলেছেন: ক্ষমতার লোভে গোলামি
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭
Prince Evan বলেছেন: এ কেমন বিচার
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: হিন্দু বা মুসলমান না ভেবে আগে মানূষকে মানূষ ভাবতে শিখুন।