![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ২৮, অক্টোবর ২৮, ২০১৩ তারিখের প্রথম আলোতে “কোন সংবিধান, কার সংবিধান ?” শিরোনামে বদিউল আলম মজুমদার এর একটি নিবন্ধ ছাপানো হয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন- “প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি দলের পক্ষ থেকে কোন সংবিধানের কথা বলা হচ্ছে? নিঃসন্দেহে তাঁরা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কথা বলছেন, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান করা হয়। আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় সংবিধানকে জনগণের ‘এমবডিমেন্ট অব দ্য উইল’ বা ‘অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আসলেই কি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন? নাকি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তেরই ফসল?”
এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য তিনি সংশোধনীটি পাসের ইতিহাস খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। অবশ্য পাঠকের সুবিধার জন্য ইতিহাসটি তিনি বিধৃত করেও দিয়েছেন। বোধগম্য কারণেই তিনি উপসংহার টানেননি, বলেছেন- “এ ইতিহাস থেকে পাঠকেরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কি বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগণের অভিপ্রায়ের, না প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন!”
একই বিষয়ে আজ ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখের মানবজমিনে “শৃঙ্খলিত গণতন্ত্র ” শীর্ষক একটি লেখায় কাজী জেসিন লিখেছেন- “সরকারি দলের নেতাদের কণ্ঠে ছিল সারাদিন সংবিধান এর সুর। তাদের প্রতিটি ভাষণ, প্রতিটি বক্তৃতায় সংবিধানের নানান বিধির বর্ণনা। কিন্তু আমার প্রশ্ন কে লিখেছে এই সংবিধান যার অজুহাতে জনতাকে শাসানো হচ্ছে? সংবিধান পরিবর্তনের আগে কবে, কোন নেতা সাধারণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে এসেছিল, কেমন সংবিধান চাই জানতে? এমনকি কমিটি যাদের বেছে বেছে মতামত দিতে ঢেকেছিল তাদের কারও পরামর্শই শোনা হয়নি। তবে কার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই সংবিধানে? সরকারি দল যখন একটি রায়ের অজুহাতে, সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে সংবিধান নিজেদের মতো করে সংশোধন করে নিলেন তখন আমরা স্পষ্টভাবে নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্রের রূপ দেখলাম।”
এ দুটি লেখাতে বর্তমান সংকটের প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন তোলা উচিত এ পর্যন্ত যতগুলো সংশোধনী হয়েছে তার কোনটিতে জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন ঘটেছে? নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ করলো না, কিংবা গনভোট নিলো না, তাহলে জনমত সম্পর্কে কিভাবে রাজনৈতিক দলগুলো নিশ্চিত হলো? এই সংবিধানে অনেক কাটাছেড়া করা হয়েছে অথচ ৭০ অনুচ্ছেদের মত কিছু কাঁটা রেখে দেয়া হয়েছে যা সংসদীয় গনতন্ত্রের বিকাশের পথে একটি বিরাট বাধা।
সাংসদদের টুঁটি চেপে ধরে কিভাবে গনতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব? দলীয় প্রধান যা বলবেন সেটা বিনা বাক্য ব্যয়ে তাদের মেনে নিতে হবে। আমাদের বড় রাজনৈতিক দলগুলি এই ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের ব্যাপারে কিছু বলেনা, অথচ মুখে সর্বক্ষণ গনতন্ত্রের কথা বলছেন তারা। কিছু স্পর্শকাতর বিষয় বাদ দিয়ে বাকি বিষয়গুলোতো মুক্ত মতামতের জন্য রাখা যেতে পারে। সংবিধান সংশোধনের মতো বিষয়ে দলের নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ না থাকলে গনভোটের ব্যবস্থা এবং ইস্তেহারে উল্লেখ করা হলে সাংসদদের মুক্তভাবে ভোটদানের অধিকার দেয়া জরুরী। আমাদের উচিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর চাপ দেয়া যাতে তারা ক্ষমতায় গেলে এই ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে গনতন্ত্র বিকাশের পথ সুগম করে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৫
তিক্তভাষী বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
তিক্তভাষী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
তিক্তভাষী বলেছেন: ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে করা রিট খারিজ! কোটা পদ্ধতি নিয়ে করা রিট খারিজ! বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট, কি আশ্চর্য!
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
অরিয়ন বলেছেন: নির্বাচিত সরকারই যে গনতান্ত্রিক সরকার হয়না তার চরম উদাহরন হলো এই আওয়ামী সরকার।