![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষমতার লোভে অন্ধ শাসকেরা প্রতিবাদী কন্ঠের মুখ চিরকালের জন্য স্তব্ধ করে দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে সবসময়ে। পরিণতিতে কিন্তু সেই শাসকরাই জনবিচ্ছিন্ন, গণধিকৃত হয়ে অপমানজনকভাবে বিদায় নিয়েছে। যাদের পতন দিবস আজো বিশ্ববাসী ঘৃণাভরে স্মরণ করে।
রুমানিয়ার কমিউনিস্ট নেতা নিকোলাই চসেস্কু ইতিহাসে পরিচিত সেইরকম একজন গণধিকৃত একনায়ক হিসেবে। ১৯৬৭ সালে কমিউনিস্ট রুমানিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ক্ষমতায় আসেন চসেস্কু। তবে সুশাসক হওয়ার খ্যাতি তিনি অর্জন করতে পারেননি। চসেস্কুর সময় রুমানিয়ায় বাকস্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। ক্ষমতাসীনদের যেকোনো ধরনের সমালোচনাই নিষ্ঠুর হাতে দমন করা হতো। দেশের সর্বত্র ছিল গোপন পুলিশের উপস্থিতি। বলা যায় রুমানিয়া সেসময় ছিল একটি সম্পূর্ণ পুলিশি রাষ্ট্র।
১৯৮৯ সালে তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলন ঠেকাতে পাগল হয়ে উঠেন চসেস্কু। আর সেজন্য তিনি গণহত্যা, গণগ্রেফতারসহ স্বেচ্ছাচারী আচরণ শুরু করেন। তবে এতকিছুর পরও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি। ঐ বছর ২২ ডিসেম্বরে রুমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে কমিউনিস্ট পার্টির সদর দপ্তরের বাইরে আন্দোলনকারী বিক্ষুব্ধ জনতা জমায়েত হলে চসেস্কু ও তাঁর স্ত্রী হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যান।
ইতিহাসের এই দিনটিতেই, ১৯৮৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে, ধরা পড়ার পর মাত্র ২ ঘণ্টার বিচার শেষে স্ত্রীসহ মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয় রুমানিয়ার কসাই খ্যাত নিকোলাই চসেস্কুকে। এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে চসেস্কুর দুই দশকের স্বৈরশাসনের। যে দেওয়ালে ঠেকিয়ে নিকোলাই চসেস্কু ও তাঁর স্ত্রী এলিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় সেই জায়গাটি এখন যাদুঘর, অনেক রুমানীয় ও বিদেশি পর্যটক সেটি দেখতে যান।
ভিডিও দেখুন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫
তিক্তভাষী বলেছেন: সহমত।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৩
রাসেলহাসান বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৩
তিক্তভাষী বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৪১
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: হাউকাউ
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
নানাভাই বলেছেন: দুঃখ মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না।