নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুনতে তেতো হলেও বলবো।

তিক্তভাষী

দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, শুনিতে তিক্ত হইলেও বলিব।

তিক্তভাষী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোগলাই কৌশল

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কূটকৌশল ইতিহাসে কুপরিচিত। নিজের ভাইবেরাদর এমনকি নিজ ছেলের সাথেও কূটকৌশল প্রয়োগে পেছপা হননি তিনি। ছেলে আকবরকে প্রথমে রাজপুত দমনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন আওরঙ্গজেব। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আকবর সে রকম সুবিধা করতে না পারায় তাকে হটিয়ে সম্রাট অপর ছেলে আজমকে দায়িত্ব দেন। এই অপমানের বদলা এবং সেইসাথে সিংহাসনের লোভে আকবর রাজপুতদের সাথে মিলে সম্রাটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। আর তখনি শুরু হয় আওরঙ্গজেবের কৌশলী খেলা। তিনি আকবরকে উদ্দেশ্য করে একটা জাল চিঠির মুসাবিদা করেন। যেখানে লেখা ছিলো- ‘‘পুত্র আকবর, তুমি রাজপুতদিগকে বিশ্বাস করাইয়াছ যে, তুমি পিতার বিদ্রোহী, যুদ্ধ আরম্ভ হইলেই তুমি রাজপুতদিগকে আক্রমণ করিবে, ইত্যাদি ইত্যাদি’’। এরপর চিঠিটি কৌশলে রাজপুত শিবিরের হস্তগত করানো হয়। রাজপুত যোদ্ধারা এই চিঠি দেখে একেবারেই বিভ্রান্ত হয়ে গেলো এবং স্বাভাবিকভাবেই আকবরের পক্ষ ত্যাগ করলো। ওই এক চিঠিতেই আকবরের বিদ্রোহ শেষ, জান বাঁচাতে দাক্ষিনাত্যে পলায়ন!

আওরঙ্গজেবের আরো একটা বহুল ব্যবহৃত কৌশল ছিলো প্রতিদ্বন্দীর নিকট আত্নীয়-স্বজনকে আটকে রেখে সন্ধির শর্ত পালনে বাধ্য করা। আকবরকে আশ্রয়দেয়া মারাঠারাজ শম্ভূজীকে হত্যার পর তার স্ত্রী যেসুবাই ও শিশুপুত্র সাহু-কে দীর্ঘদিন আটকে রাখেন তিনি। বলা যায়, মুঘল প্রাসাদেই প্রতিপালিত এবং বড় হন সাহু। এদিকে সাহুর অবর্তমানে ক্ষমতা চলে যায় তার চাচা রাজারামের কাছে। আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর ছেলে আজম মারাঠাদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে বিরোধ তৈরীর জন্য আঠারো বছর ধরে আটকে রাখা সাহুকে ছেড়ে দেয়। সিম্পল ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি। কিন্তু সাহু যেন মোগলদের শেখানো কথামতো কাজ করে সেটা নিশ্চিত করতে সাহুর মা-কে আটকে রাখা হয় আরো দশ বছর।

মোগলাই কৌশল আর কাকে বলে!

বাই দ্য ওয়ে, পত্রিকায় দেখলাম, বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ দেখার পর অন্য বিচারপতিরা পক্ষত্যাগ করার প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান বিচারপতি। সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর যাওয়ার কথা থাকলেও বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে বাধার কারণে তিনি যেতে পারেননি। অনেক অনুরোধ জানালেও তাকে ছাড়া হয়নি, তা কী কারণে জানেন নাকি কেউ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

বারিধারা বলেছেন: কারণ আর কিছুই না। জামায়াত নেতাদের বিচার করা পাঁচ বিচারপতির মধ্যে এই একজনই ছিল যার মধ্যে একটু সুবিচার করার প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু বাকী বিচারপতিরা চেতনার কামড়ে এতটাই অতিষ্ট ছিল, যে বিচারপতি সিনহার সামনে আর কোন উপায় ছিলনা তাদেরকে ফাঁসি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হওয়া ছাড়া।

এই অবিচারে ক্ষুব্ধ হয়ে তখন নিজামী-কাদের মোল্লা, মুজাহিদের স্ত্রীরা চোখের পানি ফেলেছিলেন। এখন পালা বিচারপতিদের। সিনহা দিয়ে খেলা শুরু হল। কতদূর যায়, দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রধান বিচারপতি একটা উদাহরণ স্হাপন করেছেন, প্রশাসনের অংশ হয়ে, সরকারকে সমালোচনা করেছেন।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিচার করা পাঁচ বিচারপতির মধ্যে এই একজনই ছিল যার মধ্যে একটু সুবিচার করার প্রচেষ্টা ছিল।

কথাটা এভাবে বললে ভালহত

বিচার করা পাঁচ বিচারপতির মধ্যে এই একজনই ছিল যাকে লন্ডনে বিপুল ঘুষ ও পরবর্তীতে বিগপোষ্ট প্রলোভন গেলানো সম্ভব হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী পরিবারদের সাথে রায়ের আগে মিটিং হয়েছিল লন্ডনে। এটা সিনহাবাবু অস্বীকার করেন নি।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কৌশল ছাড়া শাসন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.