![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(এটি একটি কাল্পনিক রচনা। কারো সাথে মিলে গেলে, সেটা দৈবক্রমে ঘটেছে বলেই গণ্য করা হবে। ধন্যবাদ।)
পাত্র পাত্রিদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
লালু ওরফে লাউল্যা- বাংলাদেশি
মিস্টার ওফ অফ - অভিবাসন দপ্তরের কর্মকর্তা
মিস্টার এহ ওহ - মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা
* ওফ অফ আর এহ ওহ কিছুদিন বাংলাদেশে ছিলেন বলে ক্লাইভের উচ্চারনে বাংলা বলতে পারেন। আর আমাদের লাউল্যার জ্ঞান ইংরেজি কম বলে, উনারা বাংলায় কথা বলতেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।*
ঘটনাস্থলঃ প্রথম বিশ্বের একটি দেশ। একজন বাংলাদেশি লোক বসে আছে সে দেশের অভিবাসন দপ্তরের একজন হোমড়া চোমড়ার সামনে। রুমে মানবাধিকার সংস্থার আরেক হোমড়া চোমড়াও বসে আছে। সাংবাদিক আছে দুই একজন।
---ওফ অফ ঃ মিস্টার লাল, হামি দেখিতেছি তুমি বলিটেছো যে তুমি বাংলাদেশের সাংবাডিক। সত্য?
-- ইয়েচ চার। আমার চৌদ্দ গুষ্ঠির কসম। বিশ্বাস না হইলে আমার আদা চান্দিছোলা ওস্তাদরে জিগায়া দ্যাখতে পারেন।
---ওফ অফ ঃ টা টুমি কোন সাব্জেক্টের উপর বেশি লিখচো?
- ( আপন মনে) লিখছি আর কৈ? সবই তো চোথা। আর যে ছাইপাশ লিখছি দেশেই তো বেইল নাইক্কা।
এর পর সম্বিত ফিরে পেয়ে... চার... যে সব লেখলে আপ্নেরা ভালা পান, সব নিয়াই লিখছি। ধরেন গিয়া, বাংলাদেশে সব লোক হইলো ইসলামি জঙ্গিবাদি, বাংলাদেশ তালেবান হইয়া গেছে, ইসলাম বর্বর ধর্ম, মুসলমানরা অসভ্য জাতি, বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনে বার্মার চেয়েও আগাইয়া আছে...
---ওফ অফ ঃ (অবাক হয়ে) টুমি এই সব কঠা দেশের পট্রিকায় লিখচো?
- (আমতা আমতা করে) ইয়ে মানে আওয়ামী লিগ ক্ষমতার আসার পর আর ল্যাখা হয় নাই। মাগার আন্তর্জাতিকভাবে এই কতাগুলান ঠিকই কইছি। বিশ্বাস না হইলে ওই সাংবাদিক আপারে জিগাইতে পারেন। ( সেখানে উপস্থিত ভারতীয় লাস্যময়ি সাংবাদিকের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে)
মিস্টার ওফ অফ, বিশেষ দৃস্টি নিয়ে সেই সাংবাদিকের দিকে তাকাতেই, মোহিনী হাসি দিয়ে সেই সাংবাদিক মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলেন।
---ওফ অফ ঃ কাগজে দেখিতেছি, টুমি যে পট্টিকার সাংবাডিক, সেই পট্টিকার কঠা নাকি পাব্লিক বিশ্বাস করে না?
- আর বইলেন না হুজুর ... দেশের মানুষ সব কয়টা হারামির হাড্ডি। আগেই তো কইলাম, ওরা ভালা কথা শুনতে চায় না। কত বড় হারামি ওরা, যেইখানে আপনেরা কইতাছেন ইসলাম বর্বর, মুসলমানরা বর্বর জাতি, সেইখানে ওরা ইরাক আফগানিস্তান আর ইসরাইল নিয়া আপনেগো সমালোচনা করে। এমন কি আমাগো জানের জান পরাণের পরাণ বিজেপি-আদভানি-মোদি হুজুর গো নামেও উল্টা পাল্টা কথা কয়।
এবার প্রশ্ন করলেন মিস্টার আহ ওহ
-- আচ্ছা মিস্টার লাঊল্যা, টুমি টো কম্যুনিস্ট ছিলা। এখন ক্যাপিটালিস্ট হইলা খি খরে?
- তোবা তোবা। কি যে কন না স্যার। ওই স্টুডেন লাইফে কয়েকটা বড় ভাই আমার মগজ ধোলাই কইরা দিছিলো। মানবাধিকারের ভাষায় যারে কয় মেন্টাল এবিউজ। (ফোস ফোস করে কান্না করে) স্যার আমি আপ্নেগো সার্ভেন্ট স্যার। আমার আদা চান্দিছোলা ওস্তাদের কসম খাইয়া কই, আমার মত গোলামের ঘরের গোলাম আর পাইবেন না স্যার।
---ওফ অফ ঃ টুমি কোন ওস্তাদের কঠা বলিতেছো?
এমন সময় মহিলা সাংবাদিক আর মিস্টার আহ ওহ, ফিস ফিস করে মিস্টার ওফ অফকে কিছু বললেন। তাদের কথা শুনে মাথা মিস্টার ওফ অফ, লালুর দিকে তাকিয়ে স্বগোক্তি করলেন, " এই ল্যাছড়া তাইলে ওই পালের গোদার চামচা!"
মিস্টার আহ ওহ মানবাধিকারের প্রশ্ন ছুড়লেন
-- টুমি কি র্যাবের বিরুদ্ধে কিছু লিকিয়াছো?
- (এক গাল হেসে) কি যে কন আর না কন না? র্যাবের চৌদ্দ গুস্টিরে ফানাফিল্লা কইরা দিছি। হালারা কত্ত বড় হারামি চিন্তা করেন। আমাগো দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদ আর উকিল গো প্যাটে লাত্থি দেওনের লাইগ্যা সন্ত্রাসি ইয়ে মানে নিরাপরাধ মানুষ মাইরা সাফা কইরা দিতেছিল। যেইখানে আপনেরা কইতাছেন, মুরগি মিলন, পিচ্চি হেলাল, গলাকাটা মজিবর নির্দোষ, সেইখানে এই র্যাব হারামীরা ওগো ক্রসফায়ার কইরা মাইরা ফেললো? (এর পর বিলাপ করে কান্না শুরু) ওরে... মিলন ভাই রে, ওরে... হেলাল ভাইরে... ওরে মজিবর ভাইরে... উউউউউ...
সাথে সাথে রুমের বাকি সবার চোখ অশ্রু সজল হয়ে উঠলো। বেশ কিছুক্ষন নিরব থাকার পর মিস্টার আহ অহ আবারো মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করলেন
-- আচ্ছা মিস্টার লাউল্যা, এই কারণে কি টুমি অট্যাচারিত হইয়াছো?
- এইটা কি জিগাইলেন স্যার? এর পর গায়ে জামা খুলে কিছু ক্ষত চিহ্ন দেখিয়ে আবারো উচ্চস্বরে বিলাপ... এই দেখেন স্যার, আমারে মাইরা হাড্ডি গুড্ডি ছুডাইয়া হালাইছে। উউউউ... স্যার ইমুন মাইর দিছে, আমাবস্য পুর্ণিমায় হাড্ডি চাবায়। বইলে উঠতে পারি না, উঠলে বইতে পারি না, খাইলে ক্ষিদা লাগে না, ঘুমাইলে চোখে দেখিনা। ও বাবা রে... ও মা রে...... । (এর পর রাগত স্বরে মনে মনে বললো, মওকা পাইয়া বাড়ির কামের ছ্যামড়া আর দারোয়ানটা আমারে যে বানানটা দিছে, র্যাবেও এমুন পিডানি পিডাইতে পারতো না)
মিস্টার ওফ অফ আর আহ ওহ একসাথে বললেন "ভেরি স্যাড ভেরি প্যাথেটিক"।
---ওফ অফ ঃ আচ্ছা মিস্টার লাউল্যা, এই সব কঠা টুমি কাহাকেও জানাও নাই?
- কি যে কন স্যার। সোনিয়াজি, মনমহনজি, মোদিজি, আদভানিজি, প্রনব জি, বুশ হুজুর, ওবামা হুজুর, বান কি মুন হুজুর, সবাইরেই কইছি। কেউ পাত্তা দিলো না। ( ফোস ফোস করে কান্না)... আর দেশের কারে জানামু, সবাই তো আমারে টাউট বাটপার কয়। (মনে মনে) কইবো না ক্যান? কম মানুষের লগে তো আর বাটপারি করি নাই।
- এর পর ধরেন হুজুর আমার আদা চান্দিছোলা ওস্তাদের ভিডিঊ থেইক্কা কাটপিস কইরা ইন্টারনেটেও ছাইড়া দিছি। (মনে মনে) ওস্তাদ হালায় এই কথা জানলে আমার খবর আছে। ধুর জানবো কেমনে? ওস্তাদ হালায় নিজেই তো নন মেট্টিক।
এই সময় সাংবাদিক আপা আর মানবাধিকার কর্মকর্তা দুজনে মিলে, লাউল্যার পক্ষ্যে আরো কিছু কাগজ পত্র দিলেন মিস্টার ওফ অফকে।
এর কয়েকদিন পর আবারো ওরা সবাই মিলিত হলো।
---ওফ অফ ঃ মিস্টার লাল, টুমাকে আমরা আশ্রয় ডিলাম। বেকার ভাতা, আর ফ্রি থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হইলো। টুমার পরিবারকেও আনার ব্যাবস্থা করা হইবে। কিন্তু একঠা শর্ত আচে!
লাল ওরফে লাউল্যা, তার পায়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো, "স্যার ইউ আমার ড্যাড স্যার, আমার বাপেরও ড্যাড, আমার পোলারও ড্যাড। আপনেগো এই উপকার করার লাইগ্যা আমি আমার পরিবার দেশ সব বেইচ্যা দিমু। খালি একবার হুকুম দিয়া দ্যাখেন স্যার।"
---ওফ অফ ঃ আরে কি করিটেছো টুমি, পা ছাড়। হামাকে ড্যাড বানাতে লাগবে না। খালি যেখানে যাবা ওরে মা রে... ওরে বাবা রে... বলে বাংলাদেশের বদনাম করিবা। পারিবা ঠো?
- পারমু না মানে? এই অফিস থেইক্যা বাইর হওনের লগে লগে দেশে বিদেশে ইন্টারনেটে, ব্লগে যেইখানে যামু খালি এই একই প্যাচাল পারমু।
এর পর থেকে লাউল্যার সেই বিলাপ আর প্রলাপ চলছেই। যারা বুদ্ধিমান তারা মুচকি হাসছেন। বাকিরা ওর তালে তালে মিলিয়ে বলে চলছে, ওফ অফ, আহ ওহ।
০৯ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:২৫
ধীবর বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহি ভাই। এই লিস্টিতে আরো দুইটা নয়া যোগ হইছে। একটা তো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলিরে ধবংস করার উস্কানি দিসিলো। প্যাদি খাইয়া সিধা বাপের দেশে পলাইছে। আরেকটা ঘন ঘন কোলিকাতায় গিয়া ধর্মনিরপেক্ষতার লেকচার ঝারে। এই হালায় দেখি আইজকাল ঘন ঘন চারিদিকে, খেয়ে ফেল্লো রে মেরে ফেল্লো রে বইলা, বাংলা সিনেমার হিরোইন গো মত কান্না কাটি মার্কা পোস্টায়। লগে আবার ভিডিও ভি দিয়া দেয়। এই হালায় পুরুষ নামের কলংক।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:২২
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: +। এদের মুখোশ উন্মোচিত হৌক। সুন্দর লেখার জন্য ধীবর ভাইকে ধন্যবাদ।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৫:৫৪
ধীবর বলেছেন: বা-জি ভাই, আমি আপনি দুজনেই জানি যে এই সব আতেলরা কত বড় বেঈমান দালাল।এদের শুধু মুখোশ উন্মোচন নয়, দিগম্বর করে দেয়া উচিত।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:১৩
দেশী পোলা বলেছেন: খেক, উনারে নাকি আসলেই র্যাব ধরেছিল, গবেষনা তো তাই বলে
তবে কতটা পিটিয়েছে তা নিয়ে মতভেদ আছে
অমি পিয়াল ও ফারুক ওয়াসিফ উনারে দৃক-এ দেখেছে। ওয়েটিং ফর দেম ফর মোর ইনফো
১০ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:৪৬
ধীবর বলেছেন: ভাই, দেশে কি আর সাংবাদিক নাই? সুধু উনারেই কেন ধরলো? খোজ নিলে আরো মজা পাওয়া যেতে পারে। খিকজ...
৪| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:১৬
শয়তান বলেছেন: হায়রে পলিটিক্যাল এ্যাজাইলাম । মানুষ এর জন্য কত নিচেই না নামতে পারে । ধিক ।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:৫০
ধীবর বলেছেন: হ্যা ভাই, এই রকম অনেক কেসই আছে। এরা সাধারন মানুষকে পাত্তা দেয় না, বিশ্বাসও করেনা। কিন্তু এই কিসিমের পাব্লিক পেলে জামাই আদর করে রাখে।
৫| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:৫৮
ফারযানা বলেছেন: প্লাস দিলাম
১০ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:২৫
ধীবর বলেছেন: ধন্যবাদ ফারযানা।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৮:৩৩
dvWfu বলেছেন: হা...হা.....দারুণ স্যাটায়ার.....এইসব কাহিনীতে জানতাম না...ভালোই হইলো.......
১০ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:২৫
ধীবর বলেছেন: হেহেহে... জানার আছে অনেক কিছু
৭| ১০ ই জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:৩৪
মুঘল সম্রাট বলেছেন: ১০০+।
১০ ই জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:২৩
ধীবর বলেছেন: ধন্যবাদ আলমপনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ৯:১৯
বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত বলেছেন: হাসতে হাসতে পেটে ব্যাথা|
বিদেশে আছি অনেক বছর হলো| আপনি একটা সত্য ঘটনা তুলে ধরেছেন, স্যাটায়ারের ভিতর দিয়ে|
বিদেশে এসে পলিটক্যাল এসাইলামের আশায় এরা দেশকে বেচে দিতে কুন্ঠাবোধ করে না|
বি.এন.পি -জামাত আমলে কত নীচুমানের সা;বাদিক যে দেশের বদনাম করে "গ্রীন কার্ড" বাগাইছে, ভাবলে অবাক হতে হয়|
কয়েকজনের নাম না বললে হয়, একজন সেলিম সামাদ, সে এখন কানাডায় বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে লেকচার মারে, বা;লাদেশের হেন বদনাম নাই সে করে না| বিনময়ে পকেটে "ইনভেলাপ" পায়|
আরেকজন ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন| লীগ শাসনামলে ৫ টা বছর জাপানে মাল কামাইয়া শেষে দেশে না গিয়া সরাসরি কানাডা...। দেশে গেলে নাকী তার জীবন বিপন্ন হবে.....!!!
হায় খোদা, বড় বড় রাজনীতিবিদের দেশের কোন সমস্যা নাই, এই জোকারের না-কী জীবন বিপন্ন|
( লেখায় প্লাস )