নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা ব্লগ ভালবাসি আর সুযোগ পেলেই পড়ি। অনেক কিছু লিখতে মন চায়, কিন্তু লেখার যে হাত!...চেস্টা করে যেতে হবে তবুও।

কাতিআশা

বই এর পোকা, স্কেচ এর নেশা, পেশায় স্থপতী আর বাংলাদেশের প্রতি অসীম ভালবাসা

কাতিআশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরেকিার দিনগুলো---প্রথম সংসার!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

কয়েকদিন ধরে ভাবছি, আমার গত ২২ বছরের আমরেকিায় প্রবাস জীবনরে কিছ স্মৃতি, কিছু ঘটনা সিরিজ আকারে তুলে ধরব। কিন্ত সময় বড় নিস্ঠুর!..আমাকে একেবারেই ধরা দেয়না! ব্লগে নিয়মিত লেখা আমার জন্য একটু কঠিন বটে..তবু যতটিকু পারা যায়, লিখতে চেস্টা করব!
২২ বছর আগে বিয়ে হবার পরে ছাত্রী অবস্থায় এদেশে চলে এসেছিলাম। ... আমি খুব ভাগ্যবতী এইজন্য যে, আমি চমৎকার একটা ফ্যামিলীতে বউ হয়ে এসেছিলাম, বিশাল একটা পরিবার /মানে আমার শশুরবাড়ীর লোকেরা বহু আগেই, ৭০ এর দশকে এখানে সেটেলড। প্রথমে এসেই বড় ননাশের অপূর্ব সুন্দর, ১ একরের মত জায়গা নিয়ে, গাছগাছালি ভরা বিরাট বাড়ীতে উঠেছিলাম। ঐ বাসায় তখন আমার দুই ননাশের পরিবার, শাশুড়ি, দেবর, এক মামা শশুড় আর আমরা (আমি আর আমার স্বামী) থাকতাম...এখন সবার বাসা আলাদা! খত মজা যে করেছি ও বাসায়..একবার তো বাথরুম গুলো সব বদ্ধ/clogged হয়ে গেল এতগুলো মানুষের চাপে! :D

প্রথম ৮ মাস ঐ বাসায় থাকার পড়ে, আমি ইউনিভারসিটি ভর্তির পরে সেটার কাছের শহরে চলে আসি। ননাশের বাসা থেকে ঘন্টা খানেক দুরে আমাদের নতুন ছোট্ট আ্যাপার্টমেন্ট, গ্লেন কোভ নামের সুন্দর, কিছুটা পাহাড়ি, সমুদ্র ঘেসা (Long Island Sound) শহর! এর পড়ে কত জায়গা বদলেছি, গ্লেন কোভের মত এত মায়াবী, কিছুটা ইউরোপীয়ান ধাঁচের শহর আমি ভুলতে পারিনি---এখানেই আমার প্রথম হাড়িপাতিল খেলার মত ছোট্ট সংসার, নতুন ইউনিভারসিটি আর সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন করা, প্রথম মা হওয়া!...
মন খারাপ হলে, দেশের কথা মনে পড়লে বাসার পেছনে হাটা পথে বীচের ধারের জংগলে চুপচাপ বসে থকতাম..মন ভালো থাকলে, শহরটা হেটে হেটে ঘুরে ঘুরে দেখতাম..পুরনো আমলের চার্চ, ফুটপাথে বসা কফি পানরত মানুষজন, রঙীন জামা পড়া বাচ্চারা মায়েদের হাত ধরে রাস্তা পার হচ্ছে --- এইসব দেখতাম আ্যাপার্টমেন্টের রিটেইনিং দেয়ালটায় বসে!


মায়াবী, বীচঘেষা গ্লেন কোভ

ম্যাপে পূব-পশ্চিম, লম্বাল্মবি দ্বীপ লং আইল্যান্ডে গ্লেন কোভ শহরের অবস্থান




কিছুটা ইউরোপীয়ান ধাঁচের বাড়ীঘর, পুরনো চার্চ...এগুলো চোখে পরে এই শহরে!



বাসার পেছনে ১০ মিনিটের হাটাপথের পরে এত সুন্দর বীচ আর পার্ক----মরগ্যান মেমোরিয়াল পার্ক! উপরের ছবিতে গ্রিষ্মের সজীবতা, আর নীচেরটা তে শীত কালিন রুক্ষতা!


আমার ইউনিভারসিটির ভেতরে ঢুকার পরে আর্কিটেকচার ভবনে যাওয়ার পথ!..মনটা কেমন উদাস করা, পাগল পারা এই পধ--ঝতু পরিবর্তনের সাথে পাতায় রং ধরেছে কেমন!

আমার আর্কিটেকচার ভবনের এরিয়াল ভিউ!

...চলবে..

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নোয়াখালি বিভাগ চাই

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৭

কাতিআশা বলেছেন: মানে?..বুঝলাম না! যা হোক, পড়ার জন্য আনেক ধন্যবাদ!

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১২

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
চলবে বলে রেখে দিছেন আমাদের। তাড়াতাড়ি পরের পর্ব চাই...

ছবি গুলো কি আপনার তোলা। খুব সুন্দর লাগতেছে ছবিগুলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৬

কাতিআশা বলেছেন: না, ছবিগুলে কিছু গুগল, কিছু আমার তোলা! পড়ার জন্য আনেক ধন্যবাদ!

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২১

রাফা বলেছেন: বাহ্ বেশ চমৎকার শুরু করেছেন‘তো! একটু করে হলেও লিখুন।
শুভকামনা রইলো,কাতিআশা।ধন্যবাদ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

কাতিআশা বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
আমি সারা জীবন আমেরিকা যেতে চেয়েছি। কিন্তু এখন আমেরিকা আমার সেকেন্ড চয়েস।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

কাতিআশা বলেছেন: প্রথম চয়েস কি? ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

অবলাল রশ্নি বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে।আরও লেখা চাই আপু

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

কাতিআশা বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল আপু। বুয়েটে কোন ইয়ার/টার্ম পর্যন্ত পড়েছেন?
পরের পর্ব গুলি পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

কাতিআশা বলেছেন: থার্ড ইয়ার পর্যন্ত। আনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

কাতিআশা বলেছেন: খুশি হলাম পড়ার জন্য!

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অপূর্ব সব ছবি !!
একদম রূপকথার মত , অনেক অনেক সুন্দর।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

কাতিআশা বলেছেন: আসলেই জায়গা টা সুন্দর..আনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: আগামী পর্বের অপেক্ষায় আছি। সময় করে লিখবেন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

কাতিআশা বলেছেন: সময় পেলে তাড়াতাড়ি লিখব, আনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

ওমেরা বলেছেন: লিখায় ভাল লাগা !

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

কাতিআশা বলেছেন: থ্যান্কস..ভালো থেক!

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

নজসু বলেছেন: শুরুটায় আগ্রহ তৈরি হলো।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

কাতিআশা বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!..দোয়া করবেন!

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪০

শায়মা বলেছেন: ছবিগুলো দেখে তো মন জুড়ালো প্রান ভরালো!!!!!! আপুনি!!! :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৮

কাতিআশা বলেছেন: আপনার মন্তব্যেও মন ভরে গেল আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!!!..খুব খুশি হলাম পড়ার জন্য!

১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

কাতিআশা বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ ফারিহা!

১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: এত সুন্দর জায়গা! চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো।


আপনার প্রবাস কাহানি অসম্ভব ভালো লাগল। প্রথম দিকে মানিয়ে নেওয়া বেশ কষ্টকরই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৩

কাতিআশা বলেছেন: আনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য!

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৩৫

চাঙ্কু বলেছেন: ইহুদি-নাসারাদের দেশডা সৌন্দর্য আছে! লং আইল্যান্ড কত লং মানে লম্বা? লং আইল্যান্ড এর পাশে কি শর্ট আইল্যান্ড আছে?

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৫৪

কাতিআশা বলেছেন: শুধু খালি ইহুদি-নাসারাদের দেশ হবে কেন?.. বিদ্রুপ করছেন বুঝতে পারছি!..না, লং আইল্যান্ড মুল ভূখন্ড- কুই্নসের এর সাথে যুক্ত। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ! ভালো থাকবেন।

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:০৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: সূর্য উঠলে আলো ছড়াবেই I সেফ হবার পরে খুব সুন্দর করে প্রথম লেখাতেই ব্লগে আবার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন অনেক (আগেও অবশ্য দিতেন)I যাক, আমেরিকার শুরুতেই যে আপনার এখনকার জায়গা নিউ ইয়র্কের মতো স্নোতে আসেননি সেটা ভালো হয়েছে I দেশ থেকে এসে শুরুতেই নিউয়র্কের স্নোতে পড়লে এতো ভালোলাগার লেখাটা নাও হতে পারতো (আমি আসার দ্বিতীয় দিনেই NY-র ব্ল্যাক আইসে আছাড় খেয়ে মনে হয়েছিল আটলান্টিকের অন্য দিন থেকে কেউ আমাকে লক্ষ্য করে নিশ্চিত মিসাইল ছুড়েছে)| নিউইয়র্ক -এও কিন্তু একটা গ্লেন কোভ আছে তাই না লং আইল্যান্ডের আশেপাশে ? ভালো লাগলো আপনার লেখা I

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৫০

কাতিআশা বলেছেন: আমি নিউইর্য়্রকের লং আইল্যান্ডের গ্লেন কোভের কথাই বলেছি ভাইয়া!...খুব ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য!, হ্য১, আমি সামারে এসেছিলাম!

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

শুভবাদী রোদ বলেছেন: ভালো লেগেছে। প্রত্যেকের অভিজ্ঞতার স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন। প্রত্যকের কাহিনি তাই ইউনিক।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৫৫

কাতিআশা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

১৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ফটোগুলো দেখে একটু সন্দেহ হয়েছিলো কিন্তু স্নোর কোনো ফটো না দেখে আমি ভেবেছিলাম আপনি গ্রেন কোভ ফ্লোরিডার কথা বলেছেন I তাছাড়া আপনার "মায়াবী, বীচঘেষা গ্লেন কোভ " হেডিংটা পড়েও মনে হচ্ছিলো আপনি ফ্লোরিডার কথা বলেছেন ('মায়াবী' কে 'মায়ামি' পড়েছিলাম)| কিন্তু সেই সাথে আর সাগরের মাঝে পাহাড় দেখে ভাবছিলাম এটা ফ্লোরিডার কোথায় হতে পারে I অনেক ভালোলাগা লেখায় আবারো জানাচ্ছি |

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

কাতিআশা বলেছেন: আবার অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

১৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের জীবনটা স্মৃতিনির্ভর। ২২ বছর পেছনে তাকিয়ে আপনি কিছু স্মৃতির কথা তুলে ধরেছেন এখানে, সচিত্র। ভাল লেগেছে। ছবিগুলো খুব সুন্দর। আপনার ইউনিভার্সিটির আর্কিটেকচার ভবনে যাবার রাস্তাটা দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। মনে পড়ে গেল, ক্যাডেট কলেজে নবম দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় আমার শ্রেণীকক্ষের জানালা দিয়ে একটা রাস্তা দেখতে পেতাম। আপনার এ রাস্তা আর আমার স্মৃতির রাস্তাটার মধ্যে পার্থক্য আছে-আপনারটা ক্লোজ শটে নেয়া, আমার স্মৃতিতে যেটা আছে সেটা লং শটে নেয়া। মেইন গেট থেকে এসে প্রিন্সিপাল এর অফিসের পেছন দিয়ে গিয়ে রাস্তাটা গড়িয়ে পড়েছিল একটা ঢালুতে। আপনার এ রাস্তাটা বৃক্ষশোভিত, শীতল ছায়ার পরশের অনুভূতি দেয়, আমারটা বাঙলার চৈত্রের তাপদগ্ধ মধ্যাহ্নে বিজন পীচ ঢালা পথে ধীরে চলা কিছু মহিষের গাড়ীর কথা মনে করিয়ে দেয়। মিলের চেয়ে অমিল বেশী, শুধু নিরিবিলি নির্জনতাটুকু কমন। তবুও এটা দেখে সেটার কথাই মনে পড়লো। পুরনো স্মৃতি মধুময়!
লেখাটা পড়ে প্লাস + আগেই দিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তখন মন্তব্য করা হয়নি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:২০

কাতিআশা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম খায়রুল ভাই! এত সুনদর বর্নণা আপনার!

২০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

নক্ষত্র নীড় বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে মনে হলো, কবিতা লেখাটা অপচেষ্টা। আসলে, পারি না। সব পড়বো। মনে হয়, নিজের জীবন(টাই সামনে এসে দাড়ালো)। আমার নীড়ে সুস্বাগতম!

২১| ২২ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:৫৬

বলেছেন: পাগলপারা এ পথ,,, ভালো লাগলো

২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:১০

কাতিআশা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.