নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা ব্লগ ভালবাসি আর সুযোগ পেলেই পড়ি। অনেক কিছু লিখতে মন চায়, কিন্তু লেখার যে হাত!...চেস্টা করে যেতে হবে তবুও।

কাতিআশা

বই এর পোকা, স্কেচ এর নেশা, পেশায় স্থপতী আর বাংলাদেশের প্রতি অসীম ভালবাসা

কাতিআশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিস্ময়কর ফলিং ওয়াটার!!

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:০৪

কি মনে করে বহুদিন পরে ব্লগে লিখতে বসলাম, সবাই হয়ত আমাকে ভুলেই গেছে এতদিনে! কি আর করা, সময়ের বড় অভাব..মাঝেমাঝে ঢু মেরে যাই, ভালো লেখা পেলে পড়ি, কিন্তু মন্তব্য করতে আলসেমী লাগে! যাহোক, কোন কিছুই কারে জন্য পরে থাকেনা..আজ হঠাৎ কিছু লিখতে ইচছা হল, আসলে লেখা তেমন না, নিজের তোলা কিছু ছবি শেয়ার করছি, এই যা!

এবছর সামারে একটা বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলাম ওহাইও তে..তো বাসা থেকে প্রায় ৭০০ মাইল গাড়ি ড্রাইভ করে। মাঝে থেমেছিলাম পেনসেলভেনিয়ার একটা খুব সিনিক, নির্জন গ্রামে। রাতে ওখানকার হোটেলে থেকে পরদিন গেলাম আরো ২০/৩০ মাইল দুরে আমার প্রিয় আর্কিটেক্টের ডিজাইন করা বিখ্যাত "ফলিং ওয়াটার" বাড়ীটা দেখতে। কতদিন অপেক্ষা করেছি,কিন্তু সময় করে উঠতে পারিনি..ফাইনালি,এবার আমরা পরিবারের চারজন মিলে এই অদ্ভূত সুন্দর বিল্ডিং টা কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হল!
Frank Lloyd Wright এর ডিজাইন সব সমই আমাকে মুগ্ধ করে, আর ফলিং ওয়াটার তো সেই বুয়েটে ছাত্রাবস্থায় থাকতেই আমাদের আর্কিটেক্চার ফ্যাকাল্টির সবার স্বপ্ন ছিল, জীবনে একবার হলেও স্বচক্ষে দেখার! এই মায়াবী ডিজাইনের বাড়িটা করা হয়েছিলো Kaufmann নামক ধনী এক ব্যবসায়ীর অবসর যাপনের (Vacation home) জন্য..উনি বেছে নিয়েছিলেন ওনার প্রিয় স্থপতীকে..যে স্থানীয় এলাকার পাথর আর অন্যান্য উপাদান এনে প্রকৃতি, সরু একেবেঁকে চলা ক্যানেল, জলধারা সবকিছুকে কি অপূর্ব শৈল্পীক বুননে আটকে ফেললেন এক মায়াময় ইমারতে!..ফলিং ওয়াটার দেখে মনে হয় যেন, বাড়ীটির প্রতিটা স্ল্যাব/ কাঠামো যেন প্রাকৃতিক ভাবে বের হয়ে আছে..যাকে স্থাপত্যের ভাষায় বলে " Form follows nature"...তা হলে উপভোগ করুন এবার আমার অদখ্য হাতের তোলা সেই তুলনাহীন বাড়িটির কিছু মুহূর্ত!!!!!!!!!



এ যেন পাথরের কবিতা!!!!!!
















আমার বাচচা দুটোও কি অবাক বিস্ময়ে আর মুগ্ধতায় উপভোগ করছে মায়াবী এই বাড়িটি!!!!!!

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লাগলো ফর্ম ফলোস ন্যাচার আর্কিটেকচার।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩২

কাতিআশা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়া এবং ভাল লাগার জন্য!

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:৩৮

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

কাতিআশা বলেছেন: ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ কবিতা কথ্য!

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:৩০

কামাল৮০ বলেছেন: প্রাকৃতিক পরিবেশে এমন সুন্দর বাড়ী বাস্তবে দুরের কথা ছবিতেও দেখি নাই।ঐদিকে গেলে একবার দেখে আসবো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

কাতিআশা বলেছেন: অবশ্যই দেখে আসবেন ..পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ !

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: "ফলিং ওয়াটার" বাড়ীটা দেখতে সত্যিই অসাধারন! এরকম একটা স্থাপনা ছবিতে হলেও দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

কাতিআশা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য!

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখে আরাম পেলাম না।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:২৫

কাতিআশা বলেছেন: হুম বেশী ভালো ছবি তোলা হয়নি।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: বিস্ময়করই বটে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:২৬

কাতিআশা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
আসলেই 'ফলিং ওয়াটার' বাড়িটা খুবই সুন্দর। যদিও আপনি পারতেন ছবিগুলোকে আরেকটু সাজাতে। আপনার ব্যস্ততা হয়তো আপনাকে দিচ্ছে না। যাই হোক, ব্লগে পূর্বের মত এক্টিব হোন, আর আমাদেরকে পূর্বের মতই আরো সুন্দর সুন্দর জায়গার সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। ধন্যবাদ ও শুভকামনা থাকলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:২৬

কাতিআশা বলেছেন: পড়ার ও মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ !

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: আহা কতদিন বাদে আপনাকে ব্লগে পেলাম!!!
গতকাল একবার দেখেছিলাম- পরে কাজের চাপে আর পড়া হয়নি :(

সামনা সামনি চারিপাশের দৃশ্য অনুভুতিকে ভিন্নভাবে নাড়া দিবে নিঃসন্দেহে! ঝর্ণায় কি সারা বছর পানি থাকে?
এখন থেকে নিয়মিত লিখুন। আপনার কিছু ব্যতিক্রমী কাজের ছবি ও বর্ণনা দিন।
ভাল লাগল। ভাল থাকুন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩১

কাতিআশা বলেছেন: শেরজা ভাইয়া, আমি আসলে খুবই ব্যস্ত থাকি..প্রতি উইকএন্ডেই দৌড়াই বাচ্চাদের দেখতে..খালি বাসা, ভালো লাগেনা একদম!
হ্যা, ওখানে সারাবছরই ঝরনার পানি থাকে, কারন ওটা প্রাকৃিতিক। লিখব সময় পেলে,..আপনার লেখা সবসমই পড়ি, কমেনট না পেলে ভাববেন না যেন, আমি পড়িনি ..পড়েছিও, ভালও লেগেছে!
ভাল লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ !

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক আপু !!!!!
কতদিন পর ব্লগে ফিরলেন, দারুণ বিস্ময়কর এক স্থাপত্যের ছবি নিয়ে।
সত্যি ই অবাক করা সুন্দর যেটুকু দেখলাম আপনার ছবি তে।
ধন্যবাদ চমৎকার পোষ্টের জন্যে।
ভালো থাকার শুভ কামনা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৪

কাতিআশা বলেছেন: আপু!!!!!! উপরে শেরজা ভাইয়ার কমেন্টের রিপ্লাই দেখেন..খুব দৌড়ানির উপরে থাকি, তবে আপনাদের লেখা পড়ি। সময় পেলে লিখব অবশ্যই..পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু !

১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ-জেনে আমোদিত হলাম :)
এটুকু প্রশ্নের উত্তর পেলাম না ' আপনার কিছু ব্যতিক্রমী কাজের ছবি ও বর্ণনা দিন?'

২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩৭

কাতিআশা বলেছেন: দিব ভাইয়া..এইতো আরেকটু পরেই বস্টনের দিকে ছুটছি..সময় কই?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.