![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(এক’র পরে)
এসলামী চিন্তাবিদ ও মোসলেম মনীষীদের দৃষ্টিতে শ্রীকৃষ্ণ
ভারতীয় মোসলেম চিন্তাবিদ ও এসলামিক দার্শনিকগণ শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধে যেসব সুচিন্তিত মতামত রেখেছেন এবং কোর’আন হাদিসের আলোকে তাঁর সম্বন্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন ঐসব মতামতও বক্তব্য বিচার-বিশ্লেষণ করে এই ধারণা সৃষ্টি হয় যে, শ্রীকৃষ্ণ একজন নবী।
• মোজাদ্দেদে আলফেসানী সরহিন্দ (রাঃ) কাশ্ফে প্রায় ৩০-৫০ জন ভারতীয় নবীর সমাধি দর্শন কোরেছেন বলে হাদীকা মাহমাদিয়া গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে।
• ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত এসলামী চিন্তাবিদ ও রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব আবুল হাশিম তাঁহার বিখ্যাত “ঈৎববফ ড়ভ ওংষধস” গ্রন্থে গৌতম বুদ্ধকে আল্লাহর নবী বলে তথ্যপ্রমাণ দিয়েছেন এবং নবীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত দরুদ ও সম্মানসূচক আলাইহে সালাম (আঃ) ব্যবহার কোরেছেন।
• খ্যাতনামা তাপস মির্জা মাজহার জানজানান এক স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণ এবং রামচন্দ্রকে নবীরূপে স্বীকার করে ‘মাকামাতে মাজহারি’ গ্রন্থে উল্লেখ কোরেছেন।
• দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মোহাম্মদ কাসেম নানুতবী শ্রীকৃষ্ণ এবং রামচন্দ্রকে নবীরূপে সত্য নবী বলে স্বীকার কোরেছেন (মাবাহাসা শাহজাহানপুর সৎ ধর্ম প্রচার)।
• মাওলানা জাফর আলী খান লিখেছেন, এমন কোনো জাতি বা দেশ নেই; যার দোষ-ত্র“টি সংশোধনের জন্য উপযুক্ত সময়ে আল্লাহ তা’লা কোনো নবী রসুল প্রেরণ করেন নাই। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় উল্লেখ কোরেছেন যে , শ্রীকৃষ্ণ মহান প্রভুর রেসালতের ধারায় ভারতীয় নবীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন (প্রতাপ, ২৮ শে আগস্ট ১৯২৯)।
• উপমহাদেশের প্রখ্যাত এসলামী চিন্তাবিদ ও মহানবী মোহাম্মদ (দঃ) এর জীবনীকার “সীরাতুন্নবীর” (দঃ) রচয়িতা “আল্লামা শিবলী নোমানী, ভারতীয় নবীদের সম্বন্ধে মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে মন্তব্য কোরেছেন যে, শ্রীকৃষ্ণ ও অন্যান্য ভারতীয় নবীদের জীবনী ও সত্যিকার পরিচয় আজ নানারূপ কল্পকাহিনীর আড়ালে ঢাকা পড়ে আছে।
• আল-কোর’আনের তাফসির গ্রন্থ “তাফসীরে ওয়াহিদী”-তে মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান অকাতরে স্বীকার কোরেছেন যে, “শ্রীকৃষ্ণ আল্লাহর এক প্রিয় ও সৎপথ প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন। এবং নিজ যুগ ও জাতির জন্য খোদার পক্ষ হতে সতর্ককারীরূপে আবির্ভূত হোয়েছিলেন।”
• খাজা হাসান নিজামী বলেছেন, শ্রীকৃষ্ণ প্রকৃতপক্ষে দুকৃতিকারীদের বিনাশকল্পে প্রেরিত অবতার ছিলেন (কৃষণবিতি)।
• উপমহাদেশের আরও একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত, এসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা সোলেমান নদভী হিন্দুদের পূজ্য অবতার শ্রীরামচন্দ্র, কৃষ্ণ ও গৌতম বুদ্ধকে নবীরূপে স্বীকার করে তাঁর “সিরাত মোবারক” ১৯৮২ গ্রন্থে উল্লেখ কোরেছেন।
• আল-কোর’আনের ব্যাখ্যাতা প্রখ্যাত তাফসিরকারক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফতি এবং প্রখ্যাত তাফসির গ্রন্থ “মা’আরেফুল কোর’আন” এর রচয়িতা (আটখণ্ড) মুফতি মোহাম্মদ শফি, তাঁর গ্রন্থের ৩য় খণ্ডে উল্লেখ কোরেছেন যে, আর্য ধর্মগ্রন্থ বেদের সকল ঋষিগণই নবী-অবতার ছিলেন।
শ্রীমদভাগবতগীতার উদ্গাতা শ্রীকৃষ্ণের সঠিক পরিচয়কে উদ্ঘাটন কোরতে গিয়ে বহু মনীষী, জ্ঞানী-গুণী পণ্ডিত ব্যক্তি সুগভীর গবেষণা কোরেছেন। তাদের অনেকেই অভিমত দিয়েছেন যে, আল্লাহ সকল জাতিগোষ্ঠীতে ও জনপদে ঐ এলাকার ভাষায় রচিত ধর্মগ্রন্থ সহকারে তাঁর নবী-রসুলদেরকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ঐ নবীদের বিদায়ের পরে তাঁর শিক্ষা ও ধর্মগ্রন্থ বিকৃত কোরে ফেলা হোয়েছে। ফলে ঐ এলাকার মানুষকে নতুন কোরে পথ দেখাতে আবির্ভূত হোয়েছেন অন্য নবী যারা পূর্বের বিকৃত গ্রন্থকে রদ ঘোষণা কোরেছেন এবং নতুন বিধান জাতিকে প্রদান কোরেছেন। কেউ তাকে মেনে নিয়েছে, কেউ মেনে নেয় নি। এভাবে জন্ম হোয়েছে একাধিক ধর্মের। কালক্রমে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, এক এলাকার ধর্মের অনুসারীরা অন্য এলাকায় অন্য ভাষায় নাযেলকৃত ধর্মকে ধর্ম হিসাবে এবং ঐ ধর্মের প্রবর্তককে নবী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। যেমন ইহুদিরা ঈসা (আঃ) কে আল্লাহর প্রেরিত বোলে স্বীকার করে না, খ্রিস্টানরা আখেরী নবী মোহাম্মদ (দঃ)-কে নবী হিসাবে স্বীকার করে না একইভাবে মোসলেমরা ভারতীয় অঞ্চলে ভারতীয় ভাষার মানুষের প্রতি আল্লাহর প্রেরিত বৌদ্ধ ও শ্রীকৃষ্ণ এঁদেরকে নবী হিসাবে স্বীকার করেন না। কিন্তু তাদের প্রচারিত ধর্মগ্রন্থের মধ্যে আখেরী নবীর আগমনের বহু ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখিত আছে যা গবেষণা কোরলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে ঐ ধর্মগুলিও আল্লাহরই প্রেরিত (যা এখন বিকৃত হোয়ে গেছে), এবং স্বভাবতই সেগুলির প্রবক্তারা আল্লাহরই বার্তাবাহক অর্থাৎ নবী ও রসুল। এমনই একজন গবেষক ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং ধর্মীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও ইসলাম প্রচার মিশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ কে.এম.এ হোসাইন তার গবেষণা গ্রন্থ ‘ইসলাম কি ও কেন’- তে গৌতম বুদ্ধ ও শ্রীকৃষ্ণের নবী হওয়ার পক্ষে বিস্তারিত যুক্তি ও প্রমাণ উল্লেখ কোরেছেন। নিুলিখিত প্রবন্ধটি এমনই একটি গবেষণাকর্ম যাতে জনাব কে.এম. হোসাইনের বইসহ আরও বেশ কিছু বইয়ের সহায়তা নেওয়া হোয়েছে।
মাসিক পত্রিকা “পৃথিবীতে” মন্তব্য করা হোয়েছে যে, “গীতার শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন একেশ্বরবাদী। এই পরমপুরুষের উল্লেখ করে মহানবী বিশ্বনবী মুহাম্মদ (দঃ) বলেছেন “কানা ফিল হিন্দে নবীয়ান আসওয়াদুল লাওনা ইসমুহু কাহেন।” (হাদিসে দোলমী, তারিখে হামদান, বাবুল কাফ।) অর্থাৎ “ভারতবর্র্ষে এক নবীর আবির্ভাব ঘটে, যিনি কৃষ্ণবর্ণ এবং কানাই নামে পরিচিত।” আমরা সবাই জানি যে, শ্র্রীকৃষ্ণের আসল নাম কানাই। আর শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সিফতি নাম। মাসিক পত্রিকা ‘পৃথিবী’ আরো উল্লেখ কোরেছে যে, ভারতের বৈদিকযুগ ছিল এসলামের যুগ। (মাসিক পৃথিবী, ফেব্রয়ারি ১৯৮৮)।
এসলামের চতুর্থ খলিফা, জ্ঞানের দরজা নামে খ্যাত, নবী করিম (দঃ) এর প্রিয়তম ভ্রাতা ও জামাতা এসলামের ইতিহাসে খ্যাতনামা সমরবিদ আলী (রাঃ) বলেছেন, “আল্লাহ তা’লা কৃষ্ণবর্ণের এক নবী পাঠিয়েছিলেন, যার নাম কোর’আনে উল্লেখ করা হয় নাই।” (কাশশাফ, মাদারেক) এই বর্ণনা থেকে একজন কৃষ্ণ বর্ণের নবীর আবির্ভাবের সংবাদ পাওয়া গেল, যা নবী করিম (দঃ) কর্তৃক ইতোপূর্বে উল্লেখিত হাদিসের “আসওয়াদুল ও এসমুহু কাহেন” কৃষ্ণবর্ণ ও কানাই নামে ভারতীয় নবী-অবতার শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
( সাথেই থাকুন চলবে …………….)
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১০
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন:
চারিদিকে দেখি একটি শান্তির ধর্মের জয়জয়কার!!
কি সুন্দর!!
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিষয়টিতে কোন সন্দেহ নাই। যদিও প্রথাগত বিশ্বাসীদের তা মানতে অনেক বিস্ময় জাগে এবং কষ্ট হয়!
কিন্তু আপনার তথ্যে সাথে আরও এরকম বহু গবেষনা আছে-যা এই সত্যকেই প্রতিষ্ঠিত করে।
ভারতীয় এক প্রফেসরের কালকি অবতার নামের এক গবেষনা পত্রেও সেই সত্যকেই প্রকাশিত হতে দেখি!
ওম শান্তি! বুদ্ধং শরনং গচ্ছামি! সালামুন আলাইকুম! সেই মহা শান্তি শুভ কামনার ভিন্ন ভাষিক প্রকাশ। অন্তমিলে একে একাকার।
+++
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
নীল আকাশ বলেছেন: এসব ভন্ডামি বন্ধ করেন। শ্রীকৃষ্ণ এর চরিত্র কি ছিল তা জানেন ? কোনো নবীর চরিত্র তা হত পারে ? রাধা তার সম্প্ রকে কি ছিল জানেন? উল্টা পল্টা পোস্ট করবেন না । ধর্ম নিয়ে পোসট করার আগে ভালো করে জেনে নিন। আল্লাহ আপনাকে তওফিক দান করুক।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন:
যাক এতদিনে শ্রীকৃষ্ণ তবে বৈধতা পাইল।
ধন্য কৃষ্ণ, ধন্য তুমি ছিলে হিন্দু অবতার আজ থেকে তুমি মুসলিম নবী।
তাই তোমার আর কোন দোষ নাই!!!
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
কবি হাইড্রা বলেছেন: sri kishno judi nobi hoi....tobe ei juge jara eveteasing o rape kore tara r o boro nobi......nowojubillah! kun dristante apni emon lompot krishno ke nobider katare niyea aslen allah valo jane. allah apnk hedayet koruk.
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: হালায় ওয়াজ মারে।