নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখার মতো কিছুই নেই..........

আমিঅন্যরকম

আমি আপাতত নেই

আমিঅন্যরকম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় অবতার শ্রীকৃষ্ণ কে ছিলেন? (তিন)

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

(দুই’র পরে)
ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং আরো বহু হিন্দু মোসলেম পণ্ডিত ও ভাষাবিদ সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ গবেষণা করে এমন অনেক সত্য সনাতন বাণী খুঁজে পেয়েছেন, যার দ্বারা প্রমাণ হয় যে, বৈদিক শ্লোকগুলো ঐশীবাণী এবং বৈদিক ঋষিরা নবী অবতার, অন্তিম ঋষি নরাশংস, কল্কিঅবতার মহানবী মুহাম্মদ (দঃ)। ঐ সব গ্রন্থের বাণী সত্য ও প্রবক্তারা সত্যবাদী না হলে তাঁদের ভবিষ্যৎবাণী কিরূপে সত্য হতে পারে?

কবি নজরুল তাঁর মানুষ কবিতাতে লিখেছেন, মূর্খরা সব শোনো/মানুষ এনেছে গ্রন্থ; গ্রন্থ আনে নি মানুষ কোনো। আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মাদ/কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর, বিশ্বের সম্পদ। এখানে পবিত্র কোর’আনে যাঁদেরকে নবী বোলে সত্যায়ন করা হোয়েছে তাদের সঙ্গে একই কাতারে কৃষ্ণ ও বুদ্ধের উল্লেখ থেকে বোঝা যায় যে, কবি নজরুল তাঁদেরকেও নবী হিসাবে বিশ্বাস কোরতেন।
শ্রীকৃষ্ণের জীবনাচার ও বৈশিষ্ট্য কি বলে?

প্রাচীন যুগ হতে প্রত্যেক ধর্মে কোরবানি বা উৎসর্গের রীতি চালু আছে। কোরবানির সময় এলে শ্রীকৃষ্ণ পশু কোরবানি কোরেছেন। এর মধ্যে একটি গাভীও ছিল (ভগবত, দশম স্কন্দ, অধ্যায়-৫৮)। এছাড়াও শ্রী-কৃষ্ণের জীবনী থেকে আমরা জানি তিনি ছোটবেলায় মেষপালক ছিলেন, যা এসলামের অনেক নবীর জীবনীতেও আমরা পাই। এছাড়াও তাঁর জন্মের পূর্বে উনার জন্মকে ঘিরে ভবিষদ্বাণীও করা হোয়েছিল বলে জানতে পারি, যে ভবিষ্যদ্বাণীর প্রেক্ষিতে কংস রাজা বহু শিশু হত্যা করে। শ্রীকৃষ্ণ এসেছিলেন দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করার জন্য। মহাভারতে আছে
“ধর্মব্যুচ্ছিতি মিচ্ছিন্তো যেই ধর্মস্য প্রবর্তকঃ অর্থাৎ- যারা ধর্মের উচ্ছেদ কামনা করে অধর্মের প্রবর্র্তন করে, সেই দুরাত্মাদেরকে বিনাশ করা একান্ত কর্তব্য (১২/৩৩/৩০)।

ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাঁর সংগ্রাম ছিল আপোষহীন। তিনি কোনো নতুন ধর্ম প্রবর্তন করতে আসেননি (ভগবত ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস, ১ম খণ্ড ১৭২ পৃ.)। তিনি চির-সত্য, সনাতন ধর্মেই প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। মহাভারত বলছে, “সত্যে প্রতিষ্ঠিতঃ কৃষ্ণ সত্যমত্রা প্রতিষ্ঠিতম (মহাভারত ৫/৮৩/১২)।

তিনি কখনো ঈশ্বরত্বের দাবী করেন নি। তিনি ছিলেন একেশ্বরবাদী। ঘরসংসার সমাজ পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি বসবাস কোরেছেন। তার পিতা, মাতা, স্ত্রী, পুত্র সবই ছিল। তিনি জন্ম-মৃত্যুর অধীন মানুষই ছিলেন। যেমন মহাভারতে বলা হোচ্ছে “মানুষং লোকমতিষ্ঠ বাসুদেব ইতিশ্র“ত (মহাভারত ৬/৬৬/৮-৯)।

তিনি একাধিক বিয়ে করেছিলেন। তন্মধ্যে মামাতো ও ফুফাতো বোনদের মধ্যে ভদ্রা, মিত্রবিন্দাকে বিয়ে করেছিলেন। অন্যান্য স্ত্রীদের নাম-রুক্সিনী, কালিন্দী, সত্যা, জাম্ববতী, রোহিনী, লক্ষণা, সত্যভামা, তম্বী। এক কথায় তিনি ছিলেন, “মানুষীং যোনি মস্তায় চরিষ্যতি মহিতলে (মহাভারত ৬/৬৬/১০২)। অর্থাৎ এই ধরার বুকে একজন মানুষের মত মানুষ’। তাঁর যুগের আদর্শ মানব, মহামানব।
তিনি ছিলেন সত্য ধর্মের প্রচারক তথা বৈদিক ঋষিদের প্রচারিত ধর্র্মের বাহক ও প্রচারক যাহা ছিল সত্য, সুন্দর ও মঙ্গলের ধর্ম এসলাম। সত্য ও সত্যধর্মের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। যেমন মহাভারত বলছে “নাস্তি সত্যাত পরোধর্ম” সত্যই ধর্র্ম আর ধর্মই সত্য। আর এই সত্য ধর্মের পবিত্রতা রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতেন। সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হওার পরে তিনি যুদ্ধের অনুমতি দিতেন (ভগবৎ পুরাণ ৫/১৫১/৪৫)।

অন্যান্য নবী-রসুলদের ন্যায় তিনিও অযথা রক্তপাত, অন্যায় যুদ্ধ পছন্দ করতেন না। ভগবৎ পুরাণ দেখুন তাই বলছঃ “সর্বোথা যতমানা নামযুদ্ধ ভিকাংষ্কতাম সান্তে প্রতিহতে যুদ্ধং প্রসিদ্ধং নাপরাক্রমঃ” (ঐ ৫/৭২/৮৯)। তিনি বলেছেন, এই ধর্মযুদ্ধে নিহত হলে, “হতোবা প্রান্স্যসি স্বর্গং স্বর্গলাভ।” অথাৎ- শহীদ ব্যক্তি স্বর্গলাভ করেন (ঐ)।

অন্যান্য নবীদের ন্যায় শ্রীকৃষ্ণের আপনজন আত্মীয়রাই তাঁর প্রধান শত্র“, বিরোধী ছিলেন। (ভগবৎ ধর্মের প্রাচীন ইতিহাস পৃ-৩০০) তারা তাঁর উপর নির্যাতন করেন। উল্লেখ্য যে, মথুরার রাজা কংস বা কনিষ্কো যিনি শ্রীকৃষ্ণের আপন আত্মীয়, মামা ছিলেন। তাঁর অত্যাচারের কারণেই বাধ্য হোয়ে তিনি দ্বারকায় ‘হেজরত’ করেন, যা অনেক নবীর ক্ষেত্রেই সংঘটিত হোয়েছিল।

অনেক ধর্মদ্রোহী শ্রীকৃষ্ণকে বেদ-বিরোধী মনে করে তাঁর বিরোধিতা কোরেছেন (ঐ ২০০ পৃষ্ঠা)। সত্যিকার অর্থে তিনি ঐশী-গ্রন্থ বেদের বিরোধী ছিলেন না। কিন্তু পূর্ববর্তী বিকৃত বৈদিক ধর্মের পুরোহিতরা বেদ ও বেদের নামে বিকৃত প্রক্ষিপ্ত মনগড়া বাণী প্রচার করতো আর তাই তিনি এই বিকৃতধর্ম বাণীর বিরোধিতা করতেন।

( সাথেই থাকুন চলবে …………….)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: মোহাম্মদ সম্পর্কে ' innocence of muslim" মুভিটা কিন্তু অন্য কথা বলে।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাই বাল্মিকির এক কাল্পনিক গ্রন্থ হচ্ছে মহাভারত । এটা গল্প ছাড়া আর কিছু্ই না ।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১১

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাই বাল্মিকির এক কাল্পনিক গ্রন্থ হচ্ছে মহাভারত,
----তাইলে কোরানও মোহাম্মদের কাল্পনিক গ্রন্হ। গালে চড় না খাইলে তোদের ভালো লাগে না।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভয়ংকর বিশু কোরআন মুহাম্মদের স : কাল্পনিক গ্রন্থ হবার সম্ভাবনা নেই । কেননা কোরআনের বর্ণনা এবং ঘটনাসমুহ স্থান কাল পাত্র, চরিত্রগুলো বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত। এবং কুরআন একটি শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান সর্ব শ্রেষ্ঠ সাহিত্য, সর্ব শ্রেষ্ঠ কবিতা । যদি বুঝে থাকেন । নবী রসুলদের সঙ্গে কৃষ্ণ কে তুলনা করে তাকে জাতে তুলতে চাইলেই তো হবে না বাস্তবেও তার অবস্থান থাকতে হবে । তাছাড়া কৃষ্ণ নাকি আবার ভগবান ? যে কিনা মামির শাড়ি ধরে টানাটানি করে ? ছি :

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: শ্রীকৃষ্ণের একটা বানী আমার মনে আছে। "Nothing is unfair in love and war".

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

আলী আকবার লিটন বলেছেন: এ ক্ষেত্রে ইসলামিক পণ্ডিত ডাঃ জাকির নায়েকের একটা লেকচারের কথা মনে পরে গেল। তিনি একটা লেকচারে বলেছিলেনঃ পবিত্র কোরআনে ২৫ জন নবী রাসুলের নাম উল্লেখ করা আছে ।তবে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেনঃ আমি অনেক নবী রাসুল প্রেরন করিছি যাদের কিছু কথা তোমাদের বলেছি আর কিছু বলিনি। এবং আরও অনেক আয়াতে বলা আছে আমি প্রত্যেক জাতির ভিতরেই রাসুল পাঠিয়েছি । সে ক্ষেত্রে রাম কৃষ্ণ নবী হতেও পারে এবং নাও হতে পারে। তবে আমরা মুসলমানেরা রাম কৃষ্ণ কে কখনো নবী হিসেবে মানে নেবনা কারন পবিত্র কোরআনে এদের কোন নামের উল্লেখ নেই এমন কি নবী হবার কোন প্রমান নেই...

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: খুব ভাল লাগল

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১০

ইসু বলেছেন: কবি নজরুল তাঁর মানুষ কবিতাতে লিখেছেন, মূর্খরা সব শোনো/মানুষ এনেছে গ্রন্থ; গ্রন্থ আনে নি মানুষ কোনো।
আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মাদ/কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর, বিশ্বের সম্পদ।

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

আজাদ মোল্লা বলেছেন: মহাভারত একটি ফালতু গল্প ।
আসল হলো বেদ ,
বেদ পড়ুন অনেক কিছুই বাদ হবে যাবে
হিন্দু ধর্ম থেকে ।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৩

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: আমরা মুসলমানেরা রাম কৃষ্ণ কে কখনো নবী হিসেবে মানে নেবনা কারন পবিত্র কোরআনে এদের কোন নামের উল্লেখ নেই এমন কি নবী হবার কোন প্রমান নেই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.