নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখার মতো কিছুই নেই..........

আমিঅন্যরকম

আমি আপাতত নেই

আমিঅন্যরকম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালো পাথরে চুমা দেওয়ার উদ্দেশ্য কী?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২২



হাদিসে হাজরে আসওয়াদকে বেহেশতি পাথর বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রোকনে আসওয়াদ অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইব্রাহিম বেহেশতের দুটো ইয়াকুত পাথর।’(তিরমিজি)

প্রতিবছর হজের সময় হাজিদের অন্যতম কাজ আল্লাহর প্রেমে ব্যাকুল হয়ে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত ও তাওয়াফ করা। হাজরে আসওয়াদ তাওয়াফ শুরুর স্থানে অবস্থিত। প্রথমে এখান থেকেই তাওয়াফ শুরু করতে হয়। ‘বায়তুল্লাহ’ বা কাবাগৃহ তাওয়াফ ও প্রদক্ষিণের সময় হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ ও চুম্বন করতে হয়।
হাজরে আসওয়াদে চুমু খাওয়ার ফজিলত নিয়ে আলোচনা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু এর কারণ কী, এতে ব্যক্তির কী লাভ হয়, জাতির কী লাভ হয় তা আমরা অনেকেই জানি না। আজকে এ বিষয়ে কিছু কথা বলব।

হজ্বের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার মূলে আছে জাতির চারিত্রিক প্রশিক্ষণ। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ঐক্য সৃষ্টি। পবিত্র ক্বাবা হচ্ছে উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। সেই ঐক্যের কেন্দ্রভূমিতে বছরে একবার উপস্থিত হয়ে মুসলমানরা উপলব্ধি করে যে, তারা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, যে অবস্থাতেই থাকুক, তারা এক অখণ্ড জাতি এবং সেই অখণ্ডতার প্রতীক হচ্ছে পবিত্র ক্বাবা। এই চেতনা থেকে যখন তারা ক্বাবায় মিলিত হয়, তখন সেই ক্বাবাগৃহের নির্দিষ্ট একটি ঐতিহ্যবাহী পাথর, হাজরে আসওয়াদ হয়ে ওঠে জাতির ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মূর্ত প্রতীক।
চুম্বন হচ্ছে সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার প্রকাশ। আরবরা তাদের পাস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা প্রকাশ করে চুম্বনের মাধ্যমে। এই ভালোবাসার বন্ধনকে হজ্বে আগত লাখ লাখ মুসলমানের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহ একটি নির্দিষ্ট পাথরকে ব্যবহার করেছেন- এই হচ্ছে মূল বিষয়।

সব মানুষ একটি নির্দিষ্ট পাথরে চুমু খাওয়ার মাধ্যমে কার্যত নিজেদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধনকেই আরও দৃঢ় করার প্রয়াস পায়। অথচ এক ময়দানে সমবেত হয়ে এক পাথরকে চুমু খেয়ে বাড়ি ফিরে আজ এই জাতি নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, একে অপরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ রটনা করে, একে অপরকে বোমা মেরে হত্যা করে, একজন অপরজনের ক্ষতি করে বেড়ায়। যেখানে আল্লাহ ঐক্যসৃষ্টির বহু বহু ব্যবস্থা রাখার পর শেষাবধি একটি পাথরকেও জাতির ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব তৈরির অনুষঙ্গ হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন, সেখানে এই জাতি কীভাবে নিজেদের মধ্যে হাজারো বিভেদের দেয়াল তৈরি করে রাখে?

অনেকে বলতে পারেন- কাবা তাওয়াফের জন্য, অর্থাৎ কতবার চক্কর দেওয়া হলো তার গণনার সুবিধার্থে এটা একটি চিহ্নিত স্থান হিসেবে কাজে লাগে। হ্যা, সেটা হতে পারে। তবে তাতে আমার বক্তব্যের সত্যতায় কোনো প্রভাব পড়ে না। হাজরে আসওয়াদে চুম্বনের এটাই যৌক্তিক কারণ বলে আমার ধারণা। অন্য কোনো যৌক্তিক কারণ কারও জানা থাকলে আমাকে জানালে খুশি হব।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: কেউ জানলে জানান।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এটা আপনার নিজস্ব ধারণা নাকি অথেনটিক কোন সোর্সের ব্যাখ্যা?

যদি আপনার ধারণা হয়ে থাকে - তাহলে, অনেক ভাল ভাবেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। +

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

আমিঅন্যরকম বলেছেন: ধন্যবাদ রক্তিম দিগন্ত

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: রোমান দেবী ভেনাস কে নিয়ে পড়ালেখা করেন।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১১

এম এ মুক্তাদির বলেছেন: কালো পাথরে কোন রকম সন্মান দেখানো অনেক প্রাচীন ধর্মে আছে । প্রাচীন ভারতীয় ধর্মে কালো পাথর পূজা করার বিধান ছিল । মেয়েরা নানা ভাবে এটি ব্যবহার করতো বলে জানা যায় । আধিনিক কালে তারা এটা পরিত্যাগ করেছে । ইসলাম শুরু থেকে একই জিনিস ধরে আছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.