নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝংকার

জীবনের মুহূর্তগুলো ভালবাসার স্পর্শে রঞ্জিত হোক,জীবনের মুহূর্তগুলো স্বাধীনতার স্পর্শে মুখরিত হোক **

তিথির অনুভূতি

মানবতা, সুস্থ উপলোব্ধি ও সঠিক মূল্যবোধ ও সত্যিকারের ভালবাসার চর্চা হোক **

তিথির অনুভূতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার কিছু প্রিয় জ়ীবনানন্দ দাশের কবিতাগুচ্ছ

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২৬

১/জীবনে কখনো প্রেম হয়েছিল বুঝি;

দূরে কাছে মানুষের সঙ্গে সদ্ভাব

হয়েছিল কোন এক ভোরের আলোয়,

মনস্থির করে কিছু জ্ঞান সত্য লাভ৷



২/আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন-কতদিন আমিও তোমাকে

খুজি নাকো; এক নক্ষত্রের নিচে তবু-একই আলো পৃথিবীর পারে

আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,

প্রেম ধীরে মুছে যায় নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়,



৩/

অন্ধকার থেকে খুঁজে কখন আমার হাত একবার কোলে তুলে নিয়ে

গালে রেখে দিলো তার: 'রোগা হ'য়ে গেছ এত- চাপা প'ড়ে

গেছ যে হারিয়ে

পৃথিবীর ভিড়ে তুমি-' ব'লে সে খিন্ন হাত ছেড়ে দিলো ধীরে;



৪/

কোথায় হারায়ে তুমি গিয়েছ কখন।

মাথার উপরে সব নক্ষত্রেরা ছুরির মত বিচক্ষণ

সময়ের সূতো কেটে- অবিরাম সময়ের সূতো কেটে ফেলে

আমার চোখের পরে রাত্রির প্রাঞ্জলতা ঢেলে;

কোথাও বাতাবী উষ্ণ হয়ে ওঠে- ঘুরে যায় মাকরশাপোকার লাটিম,

ভাঁড় হাসে,- সম্রাজ্ঞীর অবয়ব হয়ে থাকে হিম;



৫/

তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনও

আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রে নীল,

দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা,

বিকেলের উপকন্ঠে সাগরের চিল,

নক্ষত্র, রাত্রির জল যুবাদের ক্রন্দন সব–

শ্যামলী, করেছি অনুভব।



৬/

এদিকে কোকিল ডাকছে - পউষের মধ্য রাতে;

কোনো-একদিন বসন্ত আসবে ব'লে?

কোনো-একদিন বসন্ত ছিলো, তারই পিপাসিত প্রচার?

তুমি স্থবির কোকিল নও? কত কোকিলকে স্থবির হ'য়ে যেতে দেখেছি,

তারা কিশোর নয়,

কিশোরী নয় আর;

কোকিলের গান ব্যবহৃত হ'য়ে গেছে।



৭/

যতবার নক্ষত্রেরা জাগিয়াছে উপরে আকাশে

ততবার ভাবিয়াছি তোমারে ভুলিয়া গেছি আমি ;

ততবার ভাবিয়াছি প্রেম নাই-তুমি নাই পাশে ;

নক্ষত্রেরা গেছে তাই আকাশের বুক থেকে নামি...



৮/

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,

যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;

**যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই- প্রীতি নেই - করুণার আলোড়ন নেই

**পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।

যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি

এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক ব'লে মনে হয়

মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা

**শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।

৯/

নক্ষত্র,

পথ বাতলে দাও;

কোন পথে বাধাঁ

কোন পথে ধাঁধাঁ!

যাযাবর ভাবনারা

পথ খুঁজে পায় না-

দিশেহারা তারা.......



১০/জানি আমি, খুঁজিবে না আজিকে আমারে

তুমি আর; নক্ষত্রের পারে

যদি আমি চলে যাই,

পৃথিবীর ধুলো মাটি কাঁকরে হারাই

যদি আমি —

আমারে খুঁজিতে তবু আসিবে না আজ;

তোমার পায়ের শব্দ গেল কবে থামি

আমার এ নক্ষত্রের তলে! —

জানি তবু, নদীর জলের মতো পা তোমার চলে —

তোমার শরীর আজ ঝরে

রাত্রির ঢেউয়ের মতো কোনো এক ঢেউয়ের উপরে!

যদি আজ পৃথিবীর ধুলো মাটি কাঁকরে হারাই

যদি আমি চলে যাই

নক্ষত্রের পারে —

জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!



১১/

এক ক্ষুধা এক স্বপ্ন এক ব্যথা বিচ্ছেদের কাহিনী ধূসর

যেখানেই যাও চলে, হয়নাকো জীবনের কোনো রূপান্তর;

এক ক্ষুধা এক স্বপ্ন এক ব্যথা বিচ্ছেদের কাহিনী ধূসর

ম্লান চুলে দেখা দেবে যেখানেই বাঁধো গিয়ে আকাঙ্খার ঘর’

-বলিল অশ্বত্থ সেই নড়ে-নড়ে অন্ধকারে মাথার উপর।



১২/

মৃত্যুরেও তবে তারা হয়তো ফেলিবে বেসে ভালো!

সব সাধ জেনেছে যে সেও চায় এই নিশ্চয়তা!

সকল মাটির গন্ধ আর সব নক্ষত্রের আলো

যে পেয়েছে — সকল মানুষ আর দেবতার কথা

যে জেনেছে — আর এক ক্ষুধা তবু — এক বিহ্বলতা

তাহারও জানিতে হয়! এইমতো অন্ধকারে এসে! —

জেগে জেগে যা জেনেছ — জেনেছ তা — জেগে জেনেছ তা —

নতুন জানিবে কিছু হয়তো বা ঘুমের চোখে সে!

সব ভালোবাসা যার বোঝা হল — দেখুক সে মৃত্যু ভালোবেসে!



১৩/

আমাদের এ-পৃথিবীর যতদুর উন্নত হয়েছে

ততদূর মানুষের বিবেক সফল।

সে-চেতনা পিরামিডে পেপিরাসে প্রিন্টিং-প্রেসে ব্যাপ্ত হয়ে

তবুও অধিক আধুনিকতর চরিত্রের বল।



১৪/

হে ক্ষমতা, বুকে তুমি কাজ কর তোমার মতন! —

তুমি আছ — রবে তুমি — এর বেশি কোনো নিশ্চয়তা

তুমি এসে দিয়েছ কি? — ওগো মন, মানুষের মন —

হে ক্ষমতা, বিদ্যুতের মতো তুমি সুন্দর — ভীষণ!



১৫/

এ-রকম হয়েছে অনেক দিন-রৌদ্রে বাতাসে,

যারা সব দেখেছিলো-

যারা ভালোবেসেছিলো এই সব- তারা

সময়ের সুবিধার নিলেমে বিকিয়ে গেছে আজ।

তারা নেই।



১৬/

কোথাও রয়েছ, জানি, তোমারে তবুও আমি ফেলেছি হারায়ে;

পথ চলি, ঢেউ ভেজে পায়ে;

রাতের বাতাস ভেসে আসে,

আকাশে-আকাশে

নক্ষত্রের পরে

এই হাওয়া যেন হা হা করে!

হু হু করে ওঠে অন্ধকার!



১৭/

'জানি আমি তোমার দু'চোখ আজ আমাকে খোঁজে না

আর পৃথিবীর 'পরে-'

বলে চুপে থামলাম, কেবলি অশত্থ পাতা পড়ে আছে ঘাসের ভিতরে

শুকনো মিয়োনো ছেঁড়া; অঘ্রান এসে আজ পৃথিবীর বনে;

সে সবের ঢের আগে আমাদের দুজনের মনে

হেমন্ত এসেছে তবু;



১৮/

যেতে হবে ব'লে

তুমি গেছ চ'লে

দূরে গেছ স'রে;-

যেতে হবে! তাই আমি হাতখানা ধ'রে

তোমারে আনি নি ডেকে কাছে!



১৯/

আজকের জীবনের এই টুকরো টুকরো মৃত্যু আর থাকত না:

থাকত না আজকের জীবনের টুকরো টুকরো সাধের ব্যর্থতা ও অন্ধকার;

আমি যদি বনহংস হতাম,

বনহংসী হতে যদি তুমি;



২০/মনে হয় শুধু আমি, আর শুধু তুমি

আর ঐ আকাশের পউষ-নীরবতা

রাত্রির নির্জনযাত্রী তারকার কানে কানে কত কাল

কহিয়াছি আধো আধো কথা!

আজ বুঝি ভুলে গেছে প্রিয়া!

পাতাঝরা আঁধারের মুসাফের-হিয়া

একদিন ছিল তব গোধূলির সহচর, ভুলে গেছ তুমি!

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৩৬

বন্ধুহারা বলেছেন: ধন্যবাদ

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৬

তিথির অনুভূতি বলেছেন: :)

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫০

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

আমার অনেক অনেক প্রিয় কবির কবিতা
দেখে অনেক ভাল লাগল ।
আমি কিন্তু ধানসিঁড়িটির তীরেই থাকি
এই তীরেই বাঁচি ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আমি ছেলে নই তার পরও এই কবিতাটা আমার ভাল লাগে

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল-সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয়-সাগরে
... অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরও দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন ।

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর
হাল ভেঙ্গে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'
পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মত
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পান্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে - সব নদী - ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫৪

তুিহন িড েখাকন বলেছেন: জ্যোৎছনায়-শীতে
কাহারে সে চাহিয়াছে? কতদূর চেয়েছে উড়িতে?
মাঠের নির্জন খড় তারে ব্যাথা দিতে
এসেছিলো? কোথায় বেদনা নাই এই পৃথিবীতে?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০৭

তিথির অনুভূতি বলেছেন: মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়;
অতীতের থেকে উঠে আসে আজকের মানুষের কাছে..
.আরও ভালো-আরো স্থির দিকনির্ণয়ের মতো চেতনার পরিমাপে নিয়ন্ত্রীত কাজ কতো দূর অগ্রসর হয়ে গেল জেনে নিতে আসে।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০২

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমার কিছু প্রিয় জ়ীবনানন্দ দাশের কবিতাগুচ্ছ......... এটা না বলে......
... আমার প্রিয় জীবনানন্দ দাশের কিছু কবিতাগুচ্ছ.......... এটা বললে ভাল শোনাত........
যেমন খাঁটি গাভীর দুধ না বলে গাভীর খাঁটি দুধ বললে বাক্য যেমন সঠিক হয় তেমনি শুনতেও ভাল লাগে...

যাহোক........

সাতসকালেই প্রিয় কবির প্রিয়কিছু কবিতা পড়ানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন
শুভসকাল।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০৬

তিথির অনুভূতি বলেছেন: জীবনানন্দ দাশ প্রিয় হইয়েছে কবিতার কারনে
তাই তো কবিকে প্রিয় না বলে কবিতাগুলিকে প্রিয় বলতে চেয়েছি,
আমি তো কবিকে চিনি কবিতা পড়ার পর
ভালবাসি তার কবিতাকে পরে তাকে শ্রদ্ধা করি
এই জন্যি নামটি এমন রাখা **

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০৪

আমিনুল ইসলাম মামুন বলেছেন: ভালো লাগলো।
উদ্যোগের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১০

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আমাদের স্পর্শাতুর কন্যাদের মন
বিশৃঙ্খল শতাব্দীর সর্বনাশ হ'য়ে গেছে জেনে
সপ্রতিভ রূপসীর মতো বিচক্ষণ,
যে-কোনো রাজার কাজে উৎসাহিত নাগরের তরে;
যে-কোনো ত্বরান্বিত উৎসাহের তরে;
পৃথিবীর বারগৃহ ধ'রে তারা উঠে যেতে চায়

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১১

অণুজীব বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আমাকে খোঁজ না তুমি বহুদিন___কতদিন আমিও তোমাকে
খুঁজি নাকো__এক নক্ষত্রের নিচে তবু __একই আলোকপৃথিবীর পারে
আমার দুজনে আছি;পৃথিবীর পুরোনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,
প্রেম ধীরে মুছে যায়,নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়,
হয় নাকি?'__বলে সে তাকাল তার সঙ্গিনীর দিকে;
আজ এই মাঠ সূর্য সহধর্মী অঘ্রান কার্তিকে
প্রাণ তার ভরে গেছে ।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
তাহলে ভাতের নাম গবর রাখেন আর গবরের নাম ভাত, জলের নাম দুধ রাখেন আর আর দুধের নাম ছাই,
আর ছাইয়ের নাম রসগোল্লা................

আর আমার নাম তিথির অনুভূতি আর আপনার নাম প্রজাপতি.............
সাত সকালেই আপনাকে মজা আর হাসি দিয়ে গেলাম।

ভাল থাকুন সারাদিন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:২০

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ভাই আপনি খেপেন না,
একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করেন,
কবিতা পড়ে মন ভাল করেন

চারিদিকে নীল সাগর ডাকে অন্ধকারে, শুনি;
ঐখানেতে আলোকস্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে ঢের
একটি-দুটি তারার সাথে;- তারপরেতে অনেকগুলো তারা;
অন্নে ক্ষুধা মিটে গেলেও মনের ভিতরের
ব্যথার কোনো মীমাংসা নেই জানিয়ে দিয়ে আকাশ ভ’রে জ্বলে।
শুভসকাল**

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩০

দ্যা ডক্টর বলেছেন: জীবনানন্দের কবিতা যেটাই পড়ি না কেন, মনে হয় আগে কখনো পড়েছি।
থ্যাংকস :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৪

তিথির অনুভূতি বলেছেন: কি তারা গিয়েছে দিয়ে-
নষ্ট ধান, উজ্জীবিত ধান?
সুষুম্না নাড়ীর গতি-অজ্ঞাত;
তবু আমি আরো অজ্ঞান
যখন দেখেছি কৃষাণকে....

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩৮

এ্যাপেলটন বলেছেন: কোথাও রয়েছ, জানি, তোমারে তবুও আমি ফেলেছি হারায়ে ;;

....মাঝে মাঝে মনে হয় শুধু কবিতার মাঝে জীবনের লক্ষ হওয়া উচিত !!!!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৫

তিথির অনুভূতি বলেছেন: তারপর একদিন উজ্জ্বল মৃত্যৃর দূত এসে
কহিবে : তোমারে চাই- তোমারেই,নারী;
এইসব সোনা রূপা মসলিন যুবাদের ছাড়ি
চ'লে যেতে হবে দূর আবিষ্কারে ভেসে।

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০২

দিপ বলেছেন: সেইরকম রুচি আপনার মানে।

মেনে অনেকটা আমার মত।

যাই হোক। ভালোলাগা

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৭

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ঘরের ভিতরে দ্বীপ জ্বেলে ওঠে- ধিরে ধিরে বৃষ্টি ক্ষান্ত হয় সন্ধ্যায়
যখন ঘরের দ্বীপ জ্বলে ওঠে অন্ধায় -ধিরে ধিরে বৃষ্টি ক্ষান্ত -হয়

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১২

আসিফ নেওয়াজ বলেছেন: কেউ কথা রাখেনি,
৩৩ বছর কাটলো,
কেউ কথা রাখেনি।

ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান
হঠাত থামিয়ে বলেছিল,
শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে।
এরপর কত চন্দ্রভুক অমাবশ্যা এলো,
কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলো না।
২৫ বছর প্রতিক্ষায় আছি।

মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল,
বড় হও দাদাঠাকুর, তোমায় আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাব
যেখানে পদ্ম ফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে।
নাদের আলী আমি আর কত বড় হব?
আমার মাথা এই ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্ষ করলে তারপর
তুমি আমায় বিল দেখাতে নিয়ে যাবে?

বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল নিয়ে বরুনা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে,
সেদিন আমার বুকেও এইরকম গন্ধ হবে।
ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি,
দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড়,
বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুজে এনেছি ১০৮টি নীল পদ্ম।
তবু কথা রাখেনি বরুনা।
এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ।
এখনও সে যে কোন এক নারী।

কেউ কথা রাখেনি,
৩৩ বছর কাটলো,
কেউ কথা রাখেনা. ......

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪১

তিথির অনুভূতি বলেছেন: সকল লোকের মাঝে বসে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার পথেই শুধু বাঁধা?

তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি?
তাহাদের মন আমার মনের মতো না কি?
তবু কেন এমন একাকী?""

হঠাৎ নিজের সেই চিরচেনা একাকিত্বকে মনে পড়ে গেল.....
তবু আমি এমন একাকী!!!!

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১২

শিশিরের শব্দ বলেছেন: Shokale uthei kobitagulo dkhe onnorokom onuvuti hcche,apu..2,10 r 12 tomo kobitaguli beshi valo :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আমার এ-গান
কোনোদিন শুনিবে না তুমি এসে-
আজ রাত্রে আমার আহ্বান
ভেসে যাবে পথের বাতাসে,
তবুও হৃদয়ে গান আসে।
ডাকিবার ভাষা
তবুও ভুলি না আমি-
তবু ভালোবাসা
জেগে থাকে প্রাণে;
পৃথিবীর কানে
নক্ষত্রের কানে
তবু গাই গান;
কোনোদিন শুনিবে না তুমি তাহা, জানি আমি-
আজ রাত্রে আমার আহ্বান
ভেসে যাবে পথের বাতাসে-
তবুও হৃদয় গান আসে।

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪৮

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: :) :) :)

শুভসকাল........কবিতাময় অভিনন্দন..... অসাধারণ পোস্টের জন্য।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০০

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আমার জীবনের মৃত সব অরণ্যেরা বুঝি বলেঃ
কেন যাও পৃথিবীর রৌদ্র কোলাহলে
নিখিল বিষের ভোক্তা নীলকণ্ঠ আকাশের নিচে
কেন চলে যেতে চাও মিছে;
কোথাও পাবে না কিছু;
... মৃত্যুই অনন্ত শান্তি হয়ে
অন্তহীন অন্ধকারে আছে
লীন সব অরণ্যের কাছে

১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৪

ইউসুফ খান বলেছেন: জীবনবাবু আমার খুবই প্রিয় একজন কবি। ভালো লাগলো। :) :) :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০১

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ভালবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
অবহেলা করে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
ঘৃণা করে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;
আমারে সে ভালবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে,
ঘৃণা করে চলে গেছে-যখন ডেকেছি বারে বারে
ভালবেসে তারে;
তবুও সাধনা ছিল একদিন,- এই ভালবাসা;

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সহজ ___ জীবনানন্দ দাস

আমার এ গান
কোনোদিন শুনিবে না তুমি এসে–
আজ রাত্রে আমার আহ্বান
ভেসে যাবে পথের বাতাসে–
তবুও হৃদয়ে গান আসে!
ডাকিবার ভাষা
তবুও ভুলি না আমি–
তবু ভালোবাসা
জেগে থাকে প্রাণে!
পৃথিবীর কানে
নক্ষত্রের কানে
তবু গাই গান!
কোনোদিন শুনিবে না তুমি তাহা, জানি আমি–
আজ রাত্রে আমার আহ্বান
ভেসে যাবে পথের বাতাসে–
তবুও হৃদয়ে গান আসে!

তুমি জল, তুমি ঢেউ, সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন
তোমার হেদের বেগ– তোমার সহজ মন
ভেসে যায় সাগরের জলে আবেগে!
কোন্‌ ঢেউ তার বুকে গিয়েছিল লেগে
কোন্‌ অন্ধকারে
জানে না সে!– কোন ঢেউ তারে
অন্ধকারে খুজিছে কেবল
জানে না সে! রাত্রির সিন্ধুর জল,
রাত্রির সিন্ধুর ঢেউ
তুমি একা! তোমারে কে ভালোবাসে! — তোমারে কি কেউ
বুকে করে রাখে!
জলের আবেগে তুমি চলে যাও —
জলের উচ্ছ্বাসে পিছে ধু ধু জল তোমারে যে ডাকে!

তুমি শুধু এক দিন — এক রজনীর!–
মানুষের ুমানুষীর ভিড়
তোমারে ডাকিয়া লয় দূরে — কত দূরে!
কোন্‌ সমুদ্রের পারে — বনে — মাঠে — কিংবা যে আকাশ জুড়ে
উল্কার আলেয়া শুধু ভাসে! —
কিংবা যে আকাশে
কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদ
জেগে ওঠে, ডুবে যায় — তোমার প্রাণের সাধ
তাহাদের তরে!
যেখানে গাছের শাখা নড়ে
শীত রাতে — মড়ার হাতের শাদা হাড়ের মতন! —
যেইখানে বন
আদিম রাত্রির ঘ্রাণ
বুকে লয়ে অন্ধকারে গাহিতেছে গান!–
তুমি সেইখানে!
নিঃসঙ্গ বুকের গানে
নিশীথের বাতাসের মতো
একদিন এসেছিলে —
দিয়েছিলে এক রাত্রি দিতে পারে যত!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১০

তিথির অনুভূতি বলেছেন: এ-রকম হয়েছে অনেক দিন-রৌদ্রে বাতাসে,
যারা সব দেখেছিলো-
যারা ভালোবেসেছিলো এই সব- তারা
সময়ের সুবিধার নিলেমে বিকিয়ে গেছে আজ।
তারা নেই।

১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমার প্রিয় কবিতা কিন্তু 'বোধ'
অনেক জায়গা নিয়ে নিচ্ছে।
প্রয়োজনে মুছে দিয়েন।

আলো — অন্ধকারে যাই — মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে!
স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!
আমি তারে পারি না এড়াতে
সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাছ তুচ্ছ হয়, পন্ড মনে হয়,
সব চিন্তা — প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়!
সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে!
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে
সহজ লোকের মতো! তাদের মতন ভাষা কথা
কে বলিতে পারে আর! — কোন নিশ্চয়তা
কে জানিতে পারে আর? — শরীরের স্বাদ
কে বুঝিতে চায় আর? — প্রাণের আহ্লাদ
সকল লোকের মতো কে পাবে আবার!
সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর
স্বাদ কই! — ফসলের আকাঙক্ষায় থেকে,
শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,
শরীরে জলের গন্ধ মেখে,
উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে
চাষার মতণ প্রাণ পেয়ে
কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর পরে?
স্বপ্ন নয়, শান্তি নয়,কোন এক বোধ কাজ করে
মাথার ভিতরে!

পথে চলে পারে — পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে:
মড়ার খুলির মতো ধ’রে
আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারি পাশে!
তবু সে চোখের চারি পাশে!
তবু সে বুকের চারি পাশে!
আমি চলি, সাথে সাথে সেও চলে আসে!

আমি থামি —
সেও থেমে যায়;

সকল লোকের মাঝে বসে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার পথেই শুধু বাধা?
জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে
সন্তানের মতো হয়ে —
সন্তানের জন্ম দিতে দিতে
যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়
কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়
যাহাদের ; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজক্ষেতে আসিতেছে চলে
জন্ম দেবে — জন্ম দেবে বলে;
তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি? — তাহাদের মন
আমার মনের মতো না কি?
–তবু কেন এমন একাকী?
তবু আমি এমন একাকী!

হাতে তুলে দেখি নি কি চাষার লাঙল?
বালটিকে টানি নি কি জল?
কাস্তে হাতে কতবার যাই নি কি মাঠে?
মেছোদের মতো আমি কত নদী ঘাটে
ঘুরিয়াছি;
পুকুরের পানা শ্যালা — আঁষটে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে
গিয়েছে জড়ায়ে;
–এই সব স্বাদ
–এ সব পেয়েছি আমি — বাতাসের মতন অবাধ
বয়েছে জীবন,
নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন
একদিন;
এই সব সাধ
জানিয়াছি একদিন — অবাধ — অগাধ;
চলে গেছি ইহাদের ছেড়ে —
ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়ে মানুষেরে,
অবহেলা করে আমি দেখিয়াছি মেয়ে মানুষেরে,
ঘৃণা করে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;
আমার সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে,
ঘৃণা করে চলে গেছে — যখন ডেকেছি বারেবারে
ভালোবেসে তারে;
তবুও সাধনা ছিল একদিন — এই ভালোবাসা;
আমি তার উপেক্ষার ভাষা
আমি তার ঘৃণার আক্রোশ
অবহেলা করে গেছি; যে নক্ষত্র — নক্ষত্রের দোষে
আমার প্রেমের পথে বারবার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা ভুলিয়া গেছি;
তবু এই ভালোবাসা — ধুলো আর কাদা — ।

মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয় — প্রেম নয় — কোনো এক বোধ কাজ করে।
আমি সব দেবতার ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়?
অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?
কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!
মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন!
শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন!

এই বোধ — শুধু এই স্বাদ
পায় সে কি অগাধ — অগাধ!
পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ
চায় না সে? করেছে শপথ
দেখিবে সে মানুষের মুখ?
দেখিবে সে মানুষীর মুখ?
দেখিবে সে শিশুদের মুখ?
চোখে কালোশিরার অসুখ,
কানে যেই বধিরতা আছে,
যেই কুঁজ — গলগন্ড মাংসে ফলিয়াছে
নষ্ট শসা — পচা চালকুমড়ার ছাঁচে,
যে সব হৃদয়ে ফলিয়াছে
— সেই সব।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৫

তিথির অনুভূতি বলেছেন: কোথাও রয়েছ, জানি, তোমারে তবুও আমি ফেলেছি হারায়ে;
পথ চলি, ঢেউ ভেজে পায়ে;
রাতের বাতাস ভেসে আসে,
আকাশে-আকাশে
নক্ষত্রের পরে
এই হাওয়া যেন হা হা করে!
হু হু করে ওঠে অন্ধকার!
.............

কোথাও রয়েছ জানি;
হয়তো আড়ালে নিভৃতে;
হয়তো ভোরের প্রথম নিষ্পাপ আলোতে,
হয়তো গোধূলির ছায়াতে;
হয়তো আকাশের হাজার তারার মাঝে,
হয়তো বা রংধনুর ভাঁজে;
কোথাও তো রয়েছ জানি.....
......
হারিয়ে যেতে হবে যদি তোর, তবু কেন কাছে এলি
নদীর জলে সুরুজের ঝিক মিক
স্মৃতি তোর ঝলমলে তেমন
মোর চোখে জল চিক চিক।
বাতাসে গন্ধ ভেসে আসে আজ
যেমন আসে ঘুর্নীঝড়ের পর
কোন এক লাশ দাফন হয়নি
ভাসে নোনা জলে।
.......
আমার এ পাড়,
ভাঙ্গিয়া তুমি গড়েছ ওপাড়,
জানিনা কাহার সে পাড়,
শুধু জানি নয় আমার।
রংধনুর সাত রঙ্গে,
সমুদ্রের সারা অঙ্গে,
ভোরের শালিকের ডানায়,
বিকেলের লালসে আভায়,
এখনো দেখি তুমায়।
তুমারও কি মনে পরে আমায়?

১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩৩

সায়েম মুন বলেছেন: পোষ্টে অনেক ভালোলাগা! প্রিয়তে রাখলাম।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৭

তিথির অনুভূতি বলেছেন: যেতে হবে ব'লে
তুমি গেছ চ'লে
দূরে গেছ স'রে;-
যেতে হবে! তাই আমি হাতখানা ধ'রে
তোমারে আনি নি ডেকে কাছে!

১৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০২

ডেজা-ভু বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৯

তিথির অনুভূতি বলেছেন: শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে
বলিলাম: ‘একদিন এমন সময়
আবার আসিয়ো তুমি, আসিবার ইচ্ছা যদি হয়!–
পঁচিশ বছর পরে!’
এই বলে ফিরে আমি আসিলাম ঘরে;
তারপর কতবার চাঁদ আর তারা,
মাঠে মাঠে মরে গেল, ইদুর — পেচাঁরা
জোছনায় ধানক্ষেতে খুঁজে
এল-গেল। –চোখ বুজে
কতবার ডানে আর বায়ে
পড়িল ঘুমায়ে
কত-কেউ! — রহিলাম জেগে
আমি একা — নক্ষত্র যে বেগে
ছুটিছে আকাশে
তার চেয়ে আগে চলে আসে
যদিও সময়–
পঁচিশ বছর তবু কই শেষ হয়!

১৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০১

গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: আপনার পছন্দতো বেশ ভালো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: মনে হয় শুধু আমি, আর শুধু তুমি
আর ঐ আকাশের পউষ-নীরবতা
রাত্রির নির্জনযাত্রী তারকার কানে কানে কত কাল
কহিয়াছি আধো আধো কথা!
আজ বুঝি ভুলে গেছে প্রিয়া!
পাতাঝরা আঁধারের মুসাফের-হিয়া
একদিন ছিল তব গোধূলির সহচর, ভুলে গেছ তুমি!

২০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০১

নিরুদ্দেশ বলেছেন: প্রিয় কবির প্রিয় কবিতাগুলো শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। এগুলোর সাথে আমার আরেকটি প্রিয় হল---


হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!
তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে।
পৃথিবীর রাঙ্গা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো?
কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!

হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৩

তিথির অনুভূতি বলেছেন: আজকের জীবনের এই টুকরো টুকরো মৃত্যু আর থাকত না:
থাকত না আজকের জীবনের টুকরো টুকরো সাধের ব্যর্থতা ও অন্ধকার;
আমি যদি বনহংস হতাম,
বনহংসী হতে যদি তুমি;
কোনো এক দিগন্তের জলসিড়ি নদীর ধারে
ধানক্ষেতের কাছে।

২১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫১

অথৈ সাগর বলেছেন: পোস্ট টা কবিতাময় হয়ে উঠেছে :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৩

তিথির অনুভূতি বলেছেন: তোমার নিকট থেকে সর্বদাই বিদায়ের কথা ছিলো
সব চেয়ে আগে; জানি আমি।
সে-দিনও তোমার সাথে মুখ-চেনা হয় নাই।
তুমি যে এ-পৃথিবীতে র’য়ে গেছো।
আমাকে বলেনি কেউ।
কোথাও জলকে ঘিরে পৃথিবীর অফুরান জল
র’য়ে গেছে;-
যে যার নিজের কাজে আছে, এই অনুভবে চ’লে
শিয়রে নিয়ত স্ফীত সুর্যকে চেনে তারা;
আকাশের সপ্রতিভ নক্ষত্রকে চিনে উদীচীর
~সূর্য নক্ষত্র নারী
কোনো জল কী ক’রে অপর জল চিনে নেবে অন্য নির্ঝরের?
তবুও জীবন ছুঁ’য়ে গেলে তুমি;-
আমার চোখের থেকে

২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১৯

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: এই লোকটা কত্ত মানুষের ভালোলাগা প্রকাশের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে।

ভালোলাগলো আপনার প্রিয় কবিতাগুচ্ছগুলো। প্রায় সবগুলোই আমারো ভীষন প্রিয়। বার বার পড়তে ভালোলাগে।

ভালোথাকবেন। :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৫

তিথির অনুভূতি বলেছেন: তোমাকে দেখার মতো চোখ নেই- তবু,
গভীর বিস্ময়ে আমি টের পাই- তুমি
আজো এই পৃথিবীতে র'য়ে গেছো
কোথাও সান্ত্বনা নেই পৃথিবীতে আজ;
বহুদিন থেকে শান্তি নেই।
নীড় নেই
পাখির মতন কোনো হৃদয়ের তরে।
পাখি নেই।

২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সাগর রহমান বলেছেন: মনে পড়ে, এমন লাইনগুলো সেই স্কুল বেলা থেকে খাতায় ডায়রীতে বইয়ে লিখে রাখতাম, হঠাৎ হঠাৎ ভাললাগা লাইনগুলো পড়তে এত ভালো লাগে....
দারুন সংগ্রহ করেছেন, অনেক সময় পুরো কবিতাটি পড়ার সময় সুযোগ নাও হতে পারে, তখন প্রিয় কিছু লাইন দুর্দান্ত অনুভূতি এনে দেয়।।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৬

তিথির অনুভূতি বলেছেন: মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিব না আর;
দেখিব না হেলেঞ্চার ঝোপ থেকে এক ঝাড় জোনাকি কখন
নিভে যায়; দেখিব না আর আমি পরিচিত এই বাঁশবন,
শুকনো বাঁশের পাতা-ছাওয়া মাটি হয়ে যাবে গভীর আঁধার
আমার চোখের কাছে; লক্ষ্মীপূর্ণিমার রাতে সে কবে আবার
পেঁচা ডাকে জ্যোৎস্নায়; হিজলের বাঁকা ডাল করে গুঞ্জরণ;

২৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: কেবলি আরেক পথ খোঁজো তুমি; আমি আজ খুঁজি
নাকো আর;
পেয়েছি অপার শূন্যে ধরবার মতো কিছু শেষে
আমারি হৃদয়ে মনে; বাংলার ত্রস্ত নীলিমার
নিচে ছোটো খোড়ো ঘর- বনঝিরি নদী চলে ভেসে

২৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৩

অনিক আহসান বলেছেন: শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে
অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের ক্ষেতে
মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার — চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ,
তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান,
দেহের স্বাদের কথা কয় –
বিকালের আলো এসে (হয়তো বা) নষ্ট করে দেবে তার সাধের সময়!
চারি দিকে এখন সকাল –
রোদের নরম রঙ শিশুর গালের মতো লাল!
মাঠের ঘাসের পরে শৈশবের ঘ্রাণ –
পাড়াগাঁর পথে ক্ষান্ত উৎসবের পড়েছে আহ্বান!



আর "দু'জন" কবিতাটার কিছু অংশ দেয়ার জন্য একটা মস্তবড় +
উদাস হয়া গেলাম ..যাই একটা বিড়ি টাইনা আসি .. /:)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩০

তিথির অনুভূতি বলেছেন: যত দিন বেঁচে আছি আলেয়ার মতো আলো নিয়ে —
তুমি চলে আস প্রেম — তুমি চলে আস কাছে প্রিয়ে!
নক্ষত্রের বেশি তুমি — নক্ষত্রের আকাশের মতো!
আমরা ফুরায়ে যাই — প্রেম, তুমি হও না আহত!
বিদ্যুতের মতো মোরা মেঘের গুহার পথ দিয়ে
চলে আসি — চলে যাই — আকাশের পারে ইতস্তত!
ভেঙে যাই — নিভে যাই — আমরা চলিতে গিয়ে গিয়ে!
আকাশের মতো তুমি — আকাশে নক্ষত্র আছে যত
তাদের সকল আলো একদিন নিভে গেলে পরে
তুমিও কি ডুবে যাবে, ওগো প্রেম, পশ্চিম সাগরে!

২৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: প্রিয়তে রাখার মত নয়।
প্রায় ১০ জন কবির কবিতা আমার সংগ্রহে আছে।
তবে তাহার কবিতা প্রীতির জন্য ভাল লাগা জানালাম।

২৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৮

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ৮নং প্লাস দিলাম !!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৪৯

তিথির অনুভূতি বলেছেন: সেই মেয়েটি এর থেকে নিকটতর হ'লো না;/
কেবল সে দূরের থেকে আমার দিকে একবার তাকালো/
আমি বুঝলাম/
চকিত হয়ে মাথা নোয়ালো সে/
কিন্তু তবুও তার তাকাবার প্রয়োজন—সপ্রতিভ হয়ে/
সাত—দিন আট—দিন ন—দিন দশ/
সমস্ত চোখ দিয়ে আমাকে নিদিষ্ট করে/
অপেক্ষা করে-- অপেক্ষা করে/
সেই মেয়েটি এর থেকে নিকটতর হ'লো না;/

২৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ভেজা পালকের গান

সভ্য হতে চাইনি কখন
বাধিনি ঘর সুরে
শ্যাওলা গায়ে কাদা পায়ে
হারিয়েছি দূরে
সেই দূরে থাকা বৃষ্টির
...কথা ছিল সৃষ্টির
ভেজা পালকের গান

মিথ্যা ছিল বৃষ্টি
তাই ঘুম নাই তাই আলো নাই
অনুভুতি গুলো কোথায় জমাট
আমার কোন প্রাণ নাই

তাই ভয়ে কাপে ঘাস
তাই ভয়ে কাপে ঘাস
ঘাসের কেউ নাই

ভোরের আলোয় শিশুর মুখ
কান্নায় ভেজা চোখ
পেছন ফিরেই মুখোশ বদল
সময়ের সংকট

সেই দূরে থাকা বৃষ্টির
কথা ছিল সৃষ্টির
ভেজা আগুনের গান

২৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:০৬

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
প্রিয় কবির কবিতা গুলো আবার পড়লাম
ধন্যবাদ আপনাকে ......।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৯

তিথির অনুভূতি বলেছেন: :)

৩০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২৫

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

আবার আসতেই হল ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৯

তিথির অনুভূতি বলেছেন: :)

৩১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

সালমাহ্যাপী বলেছেন: হুম পড়লাম।

অনেক অনেক ভালো লাগা দিয়ে গেলাম

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫০

তিথির অনুভূতি বলেছেন: :)

৩২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০২

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: প্রিয় কবির কবিতাগুলো আবার পড়লাম । +++++++++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৩

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ধন্যবাদ **

৩৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২২

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: আহা জীবনানন্দ........কবিতা কবিতা কবিতা..........অনেক ধন্যবাদ...আবার পড়লাম...............

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৮

নেক্সাস বলেছেন: darun valo laglo post ti..onek onek thnx

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ধন্যবাদ **

৩৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১

নেক্সাস বলেছেন: আপনি কি জীবনানন্দ প্রেমিক। যদি তাই হোন তবে মিলে গেলো...

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৮

তিথির অনুভূতি বলেছেন: :)

৩৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৮

অদৃশ্য মানবী বলেছেন: আমার প্রিয় কবির প্রিয় কবিতাগুলো অনেক ভাল লাগলো।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

তিথির অনুভূতি বলেছেন: :)

৩৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৫

নুভান বলেছেন: +++

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১২

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ধন্যবাদ **

৩৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৫

চতুষ্কোণ বলেছেন: প্রিয় কবির প্রিয় কবিতারা।
+++

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩৫

তিথির অনুভূতি বলেছেন: ধন্যবাদ **

৩৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:৩৮

ছেড়া পলিথিন বলেছেন: পোষ্ট টা আমার বুকমার্ক করা, প্রায় ই পড়ি, আকজকেও এসেছিলাম, ভাবলাম আপনাকে জানিয়ে দেয়া দরকার :)

২৬ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:১৩

তিথির অনুভূতি বলেছেন: :)

৪০| ২২ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:০০

সাজিদ. বলেছেন: অসাধারণ লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.