![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঘের বিড়াল হয়ে যাবার ঘটনা আমরা কয়জনে জানি তা মুখ্য বিষয় নয় কারণ এর মর্মার্থটা অনেকেই বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন ভাবে বুঝে থাকি।
বাঘ ও বিড়াল জ্ঞাতি ভাই, কিন্তু কাউকে বাঘ অথবা বিড়াল যে কোনটির একটির সামনে যেতে বলা হলে সে বিড়ালের সামনেই যেতে চাইবে। এর ব্যাখ্যা দেবার প্রয়োজন পড়েনা, কারণ এর ব্যাখ্যা নিতান্তই বাচ্চাদের শেখানো হয়। বাস্তবতা হল এই, বাঘ কখনোই বিড়াল হয়না, আবার বিড়াল কখনোই বাঘ হতে পারেনা। এটা মানুষের জীবনে ক্ষমতায় থাকার সময় ও ক্ষমতা হারানোর সময়কে রূপক অর্থে ব্যবহার করা যায়।
ধরুন এক দেশের কোন এক বনের রাজা বাঘ। আকারে, উচ্চতায়, বীরত্বে সে সবার চাইতে আলাদা, সে দক্ষ ও শক্তিমান। স্বাভাবিক কারণেই বনের অন্য সকল পশু তাঁকে বনের রাজা মেনে নেয়। কিন্তু বছর না পেরুতেই বন চালানোতে তাঁর অদক্ষতা ধরা পরে। তাঁর গায়ে গতরে শক্তি থাকলে কী হবে, বীরত্বের ইতিহাস তাঁর পক্ষে থাকলে কী হবে, সে যে নিতান্তই গবেট প্রকৃতির তা বুঝতে বন বাসীদের বেশিদিন সময় লাগলনা। দিনকে দিন তাঁর অদক্ষতা, অনাচার আর অবিচারের বিরুদ্ধে বনবাসী পশু পাখি সোচ্চার হতে লাগল। বনের মধ্যে অন্য পশু পাখির বিদ্রোহ এমন পর্যায়ে পৌছাল যে, তাঁর সে বনে টিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে গেল।
ধূর্ত শেয়াল সমাজ এই সুযোগকে কাজে লাগাল। যাদেরকে বন থেকে তাড়িয়েই দেওয়া হয়েছিল, তারাই আবার বিদ্রোহ কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় আসবোর স্বপ্ন দেখতে লাগল। চারদিকের যন্ত্রণায় রাজা বাঘ মশায় হুংকার দিতেও ভয় পেতে লাগলেন। কিন্তু হুংকার না দিলে তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসে। আবার হুঙ্কার দিলেও বিপদ, তাই কি আর করা। জ্ঞাতি ভাই বিড়ালের পরামর্শে হুঙ্কার দেয়া বন্ধ করে দিলেন নিরাপত্তার খাতিরে। এর পরিবর্তে বিড়ালের মত মিউ মিউ করতে শুরু করলেন, কিন্তু নিজের পরিবর্তনের আদৈ কোন চেষ্টা করলেন না। পরিবর্তন করালেন না নিজের বাহিনীর।
©somewhere in net ltd.