![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিরিয়া গৃহযুদ্ধের প্রাথমিক অবস্থায় মনে হচ্ছিল, আসাদকে নিয়ন্ত্রণ করা আমেরিকার সময়ের ব্যপার। সেখানে বিদ্রোহীদের বিভিন্ন শহর দখল করে নেবার খবরও মিডিয়াতে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু আসলেই কতটা কি হয়েছিল তা সময় বলে দেবে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হিজবুল্লার সহায়তায় সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের দমানোর যে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছিল, তাতে আসাদ সরকারকে সফল বলেই মনে হচ্ছিল। তাই বিদ্রোহীদের আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ওবামা সরকার তাদের হাতে আরও উন্নত অস্ত্র তুলে দিতে বদ্ধ পরিকর মনে হচ্ছিল। কারণ এই মুহূর্তে বিদ্রোহীরা কোণঠাসা হয়ে গেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার পক্ষ শক্তির পরোক্ষ পরাজয়। আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে কোন প্রকার সমাধান না করে সেই দেশগুলো থেকে চলে যাওয়া ও সিরিয়ায় পরাজিত হওয়াটা তাদের জন্য এখন ইমেজের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ওবামা প্রশাসন বেশ কিছু দিন ধরেই সিরিয়ান বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে তোড়জোড় করছিল। যাতে অন্তত আফগানিস্তানের মত সিরিয়া থেকেও খালি হাতে তাদের ফিরতে না হয়। তাদের এই কাজে মিসর সহ বেশ কিছু সুন্নি মুসলিম দেশ তাদের সহায়তা করার কথাও বলেছিল। নানা ঘটনা পরিক্রমাতেই মনে হচ্ছিল সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র পৌঁছে যাওয়া সময়ের ব্যপার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বেশ কিছু ইউরোপীয় নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যে ওবামা প্রশাসনের এই উদ্যোগে ভাটা পরে। সংবাদ মাধ্যমেও প্রেসিডেন্ট ওবামা এ ব্যপারে কথা বলছেন না। সিরিয়ায় আসাদের পতন করতে এত বড় উদ্যোগ কেন সফলতার মুখ দেখলনা তার মূল কারণ নিয়ে বিশ্ব নেতারা কেউ কথা বলছেননা। অথচ তাদের আশায় যারা যুদ্ধে নেমেছিল মুক্তির জন্য তারা এখন পরেছে বিপাকে। নির্বিবাদে হত্যা করা হচ্ছে তাদের।
বিশ্ব নেতারা অস্ত্র প্রদানের ব্যপারে খুব একটা কথা না বললেও মিডিয়া এই ব্যপারে চুপ নেই। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মতে, সিরিয়ায় বেসামরিক লোকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিলে সে অস্ত্র চলে যাবে আল–কায়দার হাতে, যেটা আরেক তালেবানের সৃষ্টি করবে। কারণ সিরিয়ার সাধারণ মানুষ অস্ত্র চালনা ও যুদ্ধের পরিস্থিতির সাথে অভিজ্ঞ নয়। তাদের পরিকল্পনাও খুব দুর্বল। আর এই সুযোগেই আল কায়দা সেখানে প্রবেশ করবে। আল কায়দা সুন্নি পন্থী ও কট্টর ইসলামিক হওয়ায় সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে জঙ্গি গোষ্ঠী গুলোকে সহজেই নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিবে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ইরাকে।
যদি সত্যি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেয়া হয়, তবে সিরিয়া হবে আরেক ইরাক, আরেক লজ্জা পশ্চিমাদের জন্য। কিন্তু মূল ক্ষতিটা হয়ে যাবে সিরিয়ার সাধারণ মানুষের, যারা এর কিছুই বোঝেনা কিংবা জানেনা। এমন মুক্তি তারা চায়না।
©somewhere in net ltd.