![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন কালে নাকি মানুষেরা পাহাড়ের গুহায় বসবাস করত। পৃথিবীর বহু দেশেই গুহামানবদের আবাসস্থলের সন্ধান পাওয়া যায়। যদিও এই গুহামানবেরা পৃথিবীতে বাস করত হাজার হাজার বছর আগে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যদি কোথাও গুহামানবদের সন্ধান পাওয়া যায় তাও বাংলাদেশের কোন পাহাড়ে। তবে কী সেটা বিশ্বাসযোগ্য হবে? আর বিশ্বাসযোগ্য যদি নাই হত, তাহলে রবি, তপু, রিফাতদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল? কী ছিল পুরনো সেই বইগুলোতে? সত্যিকারের পাহাড়ী গুহা আর গুহামানবের সন্ধান............!!!
--------------------------------------
জানুয়ারী, ১৯৮৬ ইং।
বইয়ের দোকানদার গণেশ ভাল মতই জানত ছেলেগুলোর আগ্রহের কথা। ওরা সব সময় আজগুবী টাইপের, অসত্য কিংবা বিশ্বাসযোগ্য নয় এমন বই পছন্দ করত। তাই কিছুদিন আগেই নিয়ে আসা পুরনো বইগুলো যে ওদের কাছে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ দামে বিক্রি করা যাবে সেজন্যেই অধীর আগ্রহে চেয়ে ছিল কখন ছেলেগুলো আসবে।
তার অপেক্ষার প্রহর শেষ হল মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই। বৃহস্পতিবার, হাফ স্কুল। তাই একটু তাড়াতাড়ি ওদের চারজনের একজনকে দেখা গেল। তপু দ্রুত সাইকেল থেকে নেমেই গণেশকে বলতে লাগল, “মামা নতুন বইয়ের কালেকশন নাকি আপনার কাছে আছে, ওরা না আসতেই তাড়াতাড়ি দেখান”। ওরা সব সময়তেই এমন প্রতিযোগিতা করে বই কিনত। যখন পড়া শেষ হয়ে যেত, আবার পকেটের টাকাও শেষ হয়ে যেত। তখন বাধ্য হয়েই বই শেয়ার করত। তপুর কথা মত গণেশ পুরনো সেই বইয়ের বাণ্ডিলটা বের করল। এত্তগুলো পুরনো বই দেখে তপু কি থেকে কি করবে বুঝে পেলনা। একটা একটা করে ঘেটে ঘেটে সবচেয়ে সুন্দর বাধাই করা বইটাই সে পছন্দ করল। আসলে সেটি ছিল হাতে লেখা। সেজন্যই তার এত্ত আগ্রহ। ওর এমন আগ্রহ দেখে গণেশ বইয়ের দাম চেয়ে বসল প্রায় পাঁচগুণ। তপু বইয়ের পাকা ক্রেতা। সে দাম করতে থাকল। কিন্তু এ বই হাত ছাড়া করতে রাজি নয়। অবশেষে তিনগুণ দামেই বইটা পেল তপু। দাম মিটিয়েই ঝড়ের বেগে সাইকেল চালিয়ে চক্ষুর আড়াল হল সে। আর গণেশ লাভের অংক কষতে লাগল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই রিফাত,সাগর আর রবি হাজির হল। তিনজনে একটি সাইকেলে চড়ে আসায় তপুর চাইতে পিছিয়ে পরেছিল। সাইকেল কোন মতে ফেলে রেখেই গণেশের কাছে আসল। এক সাথে তিন জনে প্রশ্ন করতে লাগল। তপু কি বই নিয়েছে, কয়টা নিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। গণেশ কক্ষনোই মিথ্যে বলত না। সে সব বলে দিল। এতে ওদের তিন জনের মনটা খারাপ হলেও বাকি বইগুলো দেখে মনটা একটু ভাল ঠেকল। তারপর ওরা ওদের নিজ নিজ পছন্দ মত বেশ কয়েকটি বই কিনে চলে গেল।
-----------------------------
পরদিন সকালে গনেশ কেবল দোকান খুলতে যাবে, ঠিক তখনই তপু এসে হাজির। সাধারণত ছুটির দিনে ওদের আসতে দেখা যায়না। গণেশ একটু আশ্চর্যই হল। তপু এসেই গতকালের বইয়ের সেই বাণ্ডিলটা দেখতে চাইল। গণেশ সেটা বের করে দিলে বেশ আগ্রহের সাথেই তপু কিছু একতা খুঁজতে লাগল। প্রত্যেকটা বইয়ের প্রথম পাতা পড়তে থাকল। আধাঘন্টা পরে সে জিজ্ঞেস করল ওরা তিন জনে কি কি বই নিয়েছে, বইগুলো দেখতে কেমন ইত্যাদি। গণেশ বরাবরের মতই সত্য বলল। ওর কথা শুনে তপুর মন বেশ খারাপ হয়ে গেল। গণেশ এমনটা হতে কখনো দেখেনি, তাই সে প্রশ্নই করে বসল, “মামা বইটা পরে ওনাদের থেকে ধার নিয়েন, তাইলেইতো হয়!” তপু কথা অন্যদিকে নিয়ে গিয়ে বলল, “আমি যে বইটা কিনেছিলাম সেটা শেষ হয়নি, অনেক কথাই থেকে গেছে পরের বইগুলোতে। ওগুলো আমার চাই”।
গণেশ বেশ আগ্রহভরে জিজ্ঞেস করল, “কি এমন রহস্য আছে বইগুলোতে?”
তপু উত্তরে শুধু বলল, “সেটা আপনি জানলে কক্ষনোই বইগুল আমাদের হাতে দিতেন না”। এ কথা বলেই তপু চলে গেল।
তপুর কথা শুনে গণেশের মাথা ঘুরে গেল। তার মনে সন্দেহের দানা বাধতে থাকল। চিরকুমার গণেশ ভাবতে লাগল, সত্যি কি জমিদার বাড়ির পুরনো বইগুলোতে কোন কিছুর সন্ধান দেয়া আছে? হাতে লেখা বইয়ে কি কোন গুপ্তধনের সন্ধান আছে? হায়, সে এত অল্পেই এমন সুযোগ হাত ছাড়া করল! একবার বইগুলো পড়েও দেখত যদি!!
চলবে.........
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্য।
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:০৩
আরজু মুন জারিন বলেছেন: প্রাচীন কালে নাকি মানুষেরা পাহাড়ের গুহায় বসবাস করত। পৃথিবীর বহু দেশেই গুহামানবদের আবাসস্থলের সন্ধান পাওয়া যায়। যদিও এই গুহামানবেরা পৃথিবীতে বাস করত হাজার হাজার বছর আগে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যদি কোথাও গুহামানবদের সন্ধান পাওয়া যায় তাও বাংলাদেশের কোন পাহাড়ে। তবে কী সেটা বিশ্বাসযোগ্য হবে? আর বিশ্বাসযোগ্য যদি নাই হত, তাহলে রবি, তপু, রিফাতদের ভাগ্যে কী ঘটেছিল? কী ছিল পুরনো সেই বইগুলোতে? সত্যিকারের পাহাড়ী গুহা আর গুহামানবের সন্ধান............!!!
পড়ছি গল্প তৌফিক ভাই। ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। আপনি এইসব লেখা চমত্কার লেখেন।
অনেক শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
দারুন!! চলতে থাকুক।