![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য বলতে কি, বিগত শতাব্দীতে আমাদের দেশের ইমেজ যতটুকু বেড়েছিল, আহলে হাদিস মতবাদের কিছু কট্টরপন্থী লোকদের দ্বারা পরিচালিত জেএমবি এদেশে হাতে গোণা কিছু বোমা হামলা করে সে ইমেজের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিল। যদি কোন মুসলিম দেশের উপর জংগিবাদের কলংক একবার লেগে যায়, সেটা হাজার চেষ্টা করেও পুরোপুরিভাবে মুছে ফেলা সম্ভব হয় না। আমরাও পারিনি। এদেশে সন্ত্রাসবাদ কখনো ধর্ম, কখনো রাজনীতি, কখনো তথ্য প্রযুক্তিতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। পরের দুই সন্ত্রাসের মাফ পেলেও মাফ পায়নি ধর্ম সন্ত্রাস। এটা না পাওয়াটাই কাম্য। ধর্ম সন্ত্রাস বাকি সন্ত্রাসের চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতিকর। আমাদের মত দেশ, যে দেশ চামড়া ও পোশাক শিল্পের রপ্তানির উপর অনেকটাই নির্ভর, সে দেশের বহির্বিশ্ব ইমেজ রক্ষা করাটা জরুরী। কারন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ধর্ম সন্ত্রাসকে চোখে চোখে রাখা হয়।
সারা পৃথিবীতে ধর্ম সন্ত্রাস আইএস আই কে নিয়ে এত্ত বেশি মাতামাতি হচ্ছে যে প্রায় যুদ্ধ বেধে যাবার উপক্রম হয়েছিল যে ইউক্রেন ও রাশিয়ায় সে খবর বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে। এতে লাভবান হয়েছে রাশিয়া। এমনও হতে পারে রাশিয়ার দিক থেকে আন্তর্জাতিক মহলের চোখ ফেরাতেই গোপনে অস্ত্র দিয়ে হঠাত করেই আইএস আইয়ের উত্থান হয়েছে। আবার এমনও হতে পারে অল্প মূল্যে তেল কেনার জন্যেই আমেরিকা ও তার দোসরেরা আইএস আইকে অস্ত্র দিয়ে ইলিশের তেলে ইলিশ ভাজছে। হতেও পারে এটা যুক্তরাষ্ট্রের পড়তি অর্থনীতিকে চাংগা করার নোংরা প্রচেষ্টা।
যদি সারা পৃথিবীর চোখ আইএস আইয়ের দিকেই থাকে তাহলে ইবোলা আক্রান্ত হত দরিদ্র, নিপীড়িত, ক্ষুধার্ত আফ্রিকান দের কি হবে? একটা চোখ সেদিকে রাখলে আরেকটা চোখ এদিকে রাখা দরকার ছিলনা? গত কয়েকদিনে দুইজন আমেরিকান ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সারা পৃথিবীর মিডিয়া নড়েচড়ে বসেছে। আগে থেকেই শুধু যুদ্ধ নিয়ে না থেকে ইবোলা ভাইরাসের ব্যপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হত তাহলে সারা পৃথিবীতেই মানুষ এত বিপদে পড়তো না। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশই ইবোলা আক্রান্তের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারেনি, সেখানে আমাদের মত দেশের নিশ্চয়তা কতটুকু?
আমরা শান্তি চাই, মুক্তি চাই সন্ত্রাস ও ইবোলা ভাইরাস উভয় থেকেই।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৬
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আপনার সাথে আমিও একমত। মাঝে মাঝে মনে হয় মিডিয়ার বাইরে থেকেই চোখ বন্ধ করে চলি।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আমি এই ব্যপারে নিদৃষ্ট কোন দেশকে ধরে কথা বলতে চাইনি। যুক্তরাষ্ট্র এমনিতেই চলে এসেছে। তবে ভারত অন্য দেশে যেয়ে যুদ্ধ করেনা, তারা এই দিক থেকে ভাল।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমরা শান্তি চাই, মুক্তি চাই সন্ত্রাস ও ইবোলা ভাইরাস উভয় থেকেই।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩১
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: শুভকামনা রইল।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমরা শান্তি চাই, মুক্তি চাই সন্ত্রাস ও ইবোলা ভাইরাস উভয় থেকেই।’’---------সহমত
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩২
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভালো কথা বলেছেন, ইবোলা’র ওপর আগেই নজর দিলে, এই পর্যায়ে হয়তো আসতে পারতো না।
প্রিয় তৌফিক মাসুদকে অনেক শুভেচ্ছা
// পরের দুই সন্ত্রাসের মাফ পেলেও মাফ পায়নি ধর্ম সন্ত্রাস। এটা না পাওয়াটাই কাম্য। ধর্ম সন্ত্রাস বাকি সন্ত্রাসের চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতিকর।// মাঝখানের কথাটি কি স্ববিরোধী হলো কিনা দেখে নিতে পারেন
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: ধর্ম সন্ত্রাস এর ভাল দিক আডৈ আমার জানা নেই। পাকিস্তান ব্য্র্থ রাষ্ট্র হয়ে গেছে এই কারণেই। আমাদের দেশে এমন সম্ভাবনা কম থাকলেও সতর্ক থাকাটা জরুরী।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪০
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ মাইনুল ভাই, আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২২
জনাব মাহাবুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪১
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
শাহীন উল্লাহ বলেছেন: আমার কাছে পুরো বিষয়টাই হাস্যকর ,,, আজ আই এস আই জঙ্গী এবং কুদিৃরা পশ্চিমাদের ফেভার পাচ্ছে, আর কয়েকদিন পর এই কুর্দিদের কেই জঙ্গী বলা হবে , লিখে রাখুন,,,,,,
মুসলিম দেশগুলো শক্তি বৃদ্ধি পেলেই পশ্চিমাদের এবং ভারতের মাথা ব্যাথা হয়ে যায়, তারা ইরাকে গিয়ে সাদ্দাম কে উতখাত করে, গাদ্দ্ফী কে উতখাত করে, মুবারক কে করে, একনায়কতন্ত্র বলে,,,, পারলে বলেন না বার্মা থেকে সামরিক শাসন তুলে ফেলে নির্বাচন দিতে ???? সেখানে কচুটাও করতে পারবে না, কারন চীন এখন বিশ্বের বস,,,, আমেরিকার মাতাব্বরির যুগ শেষ, আর কাউকে না কাউকে তো প্রতিবাদ শুরু করতেই হবে,,,,,,,