![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অতীত গর্ব যে আমরা দুমরে মুচরে দিয়েছি সেটি অতীত হয়েছে কয়েক দিন আগেই। পাকিস্তান লজ্জাজনকভাবে বাংলাওয়াশ হয়েছে ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে। কিন্তু ক্রিকেটের মোড়লেরা বলে, আসল ক্রিকেট খেলা নাকি টেস্ট ক্রিকেট! সেটা তারা বলতেই পারে। কারণ টেস্ট ক্রিকেটের হাত ধরেই আজকের ক্রিকেট। ওয়ান ডে খেলা শুরু হয়েছে সত্তরের দশকের শেষে, আর টি-টোয়েন্টি শুরু হল সেদিন। সে হিসেবে পুরনো ক্রিকেট দলগুলো একথা বলতেই পারে।
পাকিস্তান বরাবরই বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে ছিল। রমিজ রাজারা প্রায়ই আমাদের খেলা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করত। এবারের সিরিজগুলোতে বাংলাদেশ টাইগারেরা এর জবাব ভালো ভাবেই দিয়েছিল। চিরতরে সমালোচনার মুখ বন্ধও করে দিয়েছিল। ওয়ান ডে ও ট-টোয়েন্টির পর বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট ড্র সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ সৈভাগ্যের জোড়ে জেতেনা। বরং খেলে জেতে ও ধারাবাহিক ভাবে জেতে। আমাদের ক্রিকেট দলটা নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল সিরিজই শেষ করতে যাচ্ছিল। শুধু শেষটা ভালো হলনা। খুব বাজে ভাবেই হেড়েছি আমরা আজ। পাঁচশ এর বেশি রান তাড়া করে চতুর্থ ইনিংসে আজ অবধি কোন দলই জেতেনি। বরং সর্বোচ্চ জেতা ইনিংসটি ৪২০ এর বেশী নয়। সে হিসেবে আমাদের দলের বোলিং ব্যর্থতার পর ব্যাটিংকেও কিছুটা ছাড়া দেয়া যায়। তাই বলে ধারাবাহিক জয়ের পর এত্ত অল্প রানে অলআউট হয়ে যাওয়া কাম্য নয়।
এবারে আসি বাংলাদেশ কেন হেড়ে গেল তার কিছু কারণ নিয়ে।
প্রথমতই আমাদের দলটি আত্ত তুষ্টিতে ভুগছিল। Over confident ছিল আমাদের দলটি।
(টসে জিতে ব্যাটিং নেয়াটাই উচিত ছিল এমন সমালোচনা করা ঠিক নয়। কারণ খেলার মাঠে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি থাকতে হয়। পাকিস্তান টসে জিতলে, বাংলাদেশকে পরেই ব্যাটিং করতে হত। )
নাসিরকে দলে রাখা উচিত ছিল। কারণ তার বোলিংটাও দারুন হচ্ছিল। টেস্টে তার ব্যাটিং গড় চল্লিশের কাছা কাছি।
মাহামুদুল্লা রিয়াদকে আগের টেস্টগুলোর মতই লোয়ার অর্ডারে নামানো যেত।
পাকিস্তানকে হালকা ভাবে নেয়া উচিত হয়নি। কারণ তারা টেস্ট র্যাংকিং এ তিন নম্বর দল। গত দুই বছরে তারা বেশ কয়েকটি সিরিজ জিতেছিল।
অধিকাংশ ব্যাটসমেনই দায়ছাড়া ভাব নিয়ে খেলেছিল। মুশফিক নামের সাথে সুবিচার করেনি।
সমালোচনা করতে ভালো লাগেনা। তারপরেও করলাম। এত্ত কিছুর পরেও বাংলাদেশের প্রাপ্তি কম নয়। মুমিনুল টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে গেছেন। টানা এগাড়ো ইনিংসে তিনি অর্ধশতেরও বেশি রান করেছেন।ত্র আর এক ইনিংস অর্ধশত রান করলেই রেকর্ড স্পর্শ করবেন। আশা করি এবি ডি ভিলিয়ার্স কে ছাড়িয়ে আমাদের মুমিনুলই সে রেকর্ডের মালিক হবে।
শুভকামনা টাইগারদের জন্য।
২| ০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২৮
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কথাবার্তা ভাল লাগছিলো না। আগে অনেকেই অনেক কিছু করেছে, ভারত বাংলাদেশকে টেস্ট স্ট্যাটাস এ একতরফা সাহায্য করেছে। কিন্তু এখন প্রতিযোগী ভাবে। তাই পাকিস্তান আগের অবদান উল্লেখ যোগ্য নয়।
ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই মে, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫
মিতক্ষরা বলেছেন: অনেকেই অনেক কিছু করেছে - এই একটি বাক্য দিয়ে আপনি ভারত এবং পাকিস্তানের সহায়তাটুকু উড়িয়ে দিতে চাইছেন। এটা মানা গেল না।
বাংলাদেশ যেহেতু এগিয়ে এসেছে, তাই বাংলাদেশকে প্রতিযোগী ভাবাটাই খুব স্বাভাবিক।
৪| ১০ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: বাংলাদেশ এতদুর এগিয়েছে তাতে কারো সাহায্য নেই সেটা আমিও ভাবিনা। কিন্তু কারো সাহায্য এজন্য হতে পারেনা যে কারনে তারা যা কিছু ইচ্ছে বলতে পারে। সমালোচনা হওয়া উচিত গঠন মূল্ক। সিধু কিংবা রমিজ রাজাদের মত নয়। বাংলাদেশ নিজ যোগ্যতায় এতদুর এসেছে সেটা কারো নিয়ন্ত্রনে থাকার জন্য নয়। স্বাধীন ভাবে খেলার জন্য।
আমরা এখন স্বার্থপর। কারন আমরা বাংলাদেশি, আমরা টাইগার। মুখে নয় খেলার মাঠেই প্রমাণ করব।
৫| ১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:১২
নাসরীন খান বলেছেন: ভালো কোরুক আরো কামনা রইল।
৬| ১১ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩০
মিতক্ষরা বলেছেন: টেস্ট আর ওয়ান ডে এক নয়। টেস্ট খেলার চেয়ে বাংলাদেশ ওয়ান ডেতে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তিন/চার দিনের খেলা তেমনভাবে হয় না। ফলে দীর্ঘক্ষন পিচে টিকে থাকার দক্ষতা খেলোয়ারদের আসেনি। বাংলাদেশকে ঘরোয়া ক্রিকেটে আরো বেশী তিন/চার দিনের খেলা খেলতে হবে।
পাকিস্তান নিয়ে আপনার কথা মানতে পারছিনা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের পেছনে পাকিস্তানের অবদান রয়েছে। এই খেলাটা বাংলাদেশে প্রথম জনপ্রিয় হয় যখন ইমরান খান তার বাহিনী নিয়ে ঢাকায় আসেন।