নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসি সকলকে

তৌফিক মাসুদ

আমি মানুষকে ভালবাসতে চাই।

তৌফিক মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজ দেশ নিয়ে এত সমালোচনা কেন? পর্ব - ২

২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

ইদানীং দেশি পণ্য নিয়ে আমাদের মন্তব্যগুলোও বিরক্তিকর লাগে। অথচ যে পণ্যটি নিয়ে বাজে মন্তব্য করছি সে পণ্যটি একবার চেখেও দেখিনি। আমরা যদি নিজ দেশের পণ্য নিয়ে এত বাজে মন্তব্য করি তাহলে বাইরের দেশের লোকেরা কি বলবে। কিন্তু ইলিশ মাছ নিয়ে, কিংবা গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে কথা বলিনা। কারণ বিদেশিরা এই দুটোকে স্যালুট দিয়েছে। অতএব আমরাও দিচ্ছি। তাহলে আমাদের এইখানে ক্রেডিট কী রইল!

আমাদের প্রতিবেশী দেশ চীনে যে সব দেশ নিজেদের কোম্পানিগুলোকে সে দেশে বাণিজ্যের কথা বলে। চীনারা তাদের দেশে বাণিজ্য করার জন্য স্বাগতম জানায়। এমন অনেক কোম্পানি উৎসাহ নিয়ে পণ্য বাজারজাত করে। কিন্তু কয়েক বছরের মাথায় তাদের ফেরত আসতে দেখা গেছে লোকসানের ভার সহ্য করতে পারছেনা বলেই। অথচ জনসংখ্যার খাতিরে চীন বৃহত্তম। এবং তাদের বাজার সবচেয়ে বড়। তবে কেন এমন হচ্ছে?
গবেষণায় দেখা যায়, চীনারা নিজ দেশের পণ্য কিনতে আগ্রহী। অন্য দেশের পণ্য তারা খুব কম ব্যবহার করে। আজকের চীনের এইখানে আসার পেছনে যতটা না তাদের অভ্যন্তরীণ বৃহৎ বাজার কাজে দিয়েছে, তার চাইতে সে দেশের মানুষের দেশপ্রেম বেশী কাজে দিয়েছে। আমরা খুব ভালো মতই জানি, চীনের পণ্যের সাথে জাপান, আমেরিকা্‌ জার্মান দেশের পণ্যের গুণগত মানের কত পার্থক্য। বিদেশী ভালো পণ্য ,ও আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকার পরেও চীনারা নিজ দেশের পণ্যে বেশ উৎসাহী।
আর আমরা কি করছি?

এবারে আসি ব্যক্তি বিষয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশী হিসেবে সবচাইতে সম্মানিত ব্যক্তি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। কিন্তু তার কথা বললে কেমন যেন আমরা দু’ভাগ হয়ে যাই। অথচ বেশি দুরের দেশ নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মহাত্মা গান্ধী ও জিন্নাহ কে কী সম্মানটাই না করা হয়। আর আমরা কি করি?
আমরা যদি নিজ দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় নেতাকে সম্মান দিতে না জানি তাহলে অন্যেরা কি করবে।

এবার যার কথা বলব ,‌সেও এদেশের আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান কে নিয়ে কিছু কিছু লোকের কথাবার্তা এমন যে, মুক্তিযুদ্ধে একজন সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে এই লোকটির অবদান ঘরের তাকিয়াতে তুলে রাখা হয়েছে। অথচ সর্ব সাধারণের কাছেই তার সম্মান প্রাপ্য ছিল অন্তত পক্ষে একজন সফল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে।

এবার যার কথা বলব, তার সম্পর্কে আমাদের এমন ধারনা যে, তার চাইতে বড় কুলাঙ্গার এদেশে আর একজনও নাই। তিনি নোবেল জয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস। সারা পৃথিবীতে যারা Global Thinker আছেন তাদের পাঁচ জনের মধ্যে একজন তিনি। অথচ এই ব্যক্তিটিকে এদেশের সকল পর্যায়ের লোক কী অপদস্তই না করেছি। আমাদের উচিত ছিল তার ইমেজ ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা।
আমাদের নিজেদের ঘুম ভাঙ্গতে আর কত দিন লাগবে?
চলবে.........

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

বালক বন্ধু বলেছেন: সব কিছু ঠিক ছিল! কিন্তু ইউনুসের কথাটা ঠিক হজম করতে পারলাম না। তার হঠাৎ নোবেল পাওয়া এবং হঠাৎই তার এই দেশের রাজনীতিতে মাথা ঘামানো দুটোই একই সূত্রে গাথা। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক কিছুই হয় যেগুলো আমরা দেশে বসে বুঝতে পাড়ি না।

২| ২১ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: দেশের রাজনীতিতে তার গ্রহণ যোগ্যতা জানা আছে প্রায় সবারই। এদেশে খুব ভাল মানুষেরা রাজনীতি করে সুবিধে পায়না। কিন্তু এই ভাল মানুষ ভাবটা তার জন্য নয়।
আমি বলতে চাইছিলাম, আমাদের দেশের সরকারগুলো প্রথম থেকেই যদি তার ইমেজ ব্যবহার করে অন্য দেশের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য এগিয়ে নিত তাতে খারাপ কি? এদেশের অনেক কুলাংগার আছে, যারা বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। অথচ তিনি গ্রামীনের ছায়াতলে ২৫টি প্রতিষ্ঠান খারা করেছেন। হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছেন। শুধু সুদখোর বলেই তাকে অবজ্ঞা করা ভুল। তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠান গুলোর একটি মাত্র সুদি। বাকিগুলো বৈধ।
আমরা আশা ও ব্রাক ব্যাংক নিয়ে কেন কথা বলিনা। এরাতো আরো বেশি হারে সুদ নেয়।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.