![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনা ১
জানুয়ারী, ২০১৩
আসলাম চৌধুরী বড়ই ফূর্তিবাজ লোক। শুধু বন্ধু-বান্ধবদের সাথেই নয়, পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা মেলা ঠাট্টা-তামাশা করতে পছন্দ করেন। তার আরেকটি পছন্দের কাজ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা তিনি। তাই সময়ের স্বল্পতার কারণে ইচ্ছে থাকলেও সময় করে কোথাও যেতে পারেন না। এদিকে হাতিরঝিলের দুয়ার খোলা হয়েছে। আসলাম সাহেবের অফিসের সহকর্মী, বন্ধু বান্ধবেরা অনেকেই সেখানে ঘুরে এসেছেন। ফেসবুকে চমৎকার সব ছবি শেয়ার করেছেন। আনন্দ প্রিয় আসলাম সাহেবের মন আর মানছেনা। কবে তিনিও তাদের মত পরিবারের সকলকে নিয়ে হাতিরঝিল দেখতে যাবেন।
একদিন তার ইচ্ছে ও সময় এক সাথেই সায় দিল। তিনিও পরিবারের সকলকে নিয়ে হাতিরঝিল বেড়াতে এলেন। স্ত্রী, এক পূত্র ও এক কন্যা নিয়ে তার ছোট্ট পরিবার। ছেলে ঢাকা শহরের খুব ভাল একটি কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র। মেয়েটাও স্বনামধন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্রী। বাবার সাথে এইখানে প্রথম আসবে বলে দুইজনেই অপেক্ষা করছিল। হাতিরঝিলে এসে তাদেরও চক্ষু ছানাবড়া। লোকমুখে মিথ্যে শোনেনি কেউই। এত ঝামেলার ঢাকা শহরে এত সুন্দর একটি দেখবার কিংবা ঘোরবার জায়গা বুঝি আর হয়না। তারা কেউ এমনটা চিন্তাও করেনি। আসলাম সাহেব নিজের বয়সের হিসেব ভুলে গিয়ে অন্য সকলের মতই নানা রকম স্টাইল করে ছবি উঠালেন। অনেক হৈ হুরুল্লা করে মাঝ রাতে বাড়ি ফিরলেন।
ঘটনা ২
অক্টোবর, ২০১৩
আসলাম সাহেবের পুরো পরিবারকেই চিন্তিত মনে থাকতে দেখা গেল প্রায়ই। মাস খানেক ধরেই তার ছেলাটা একটু বেয়াড়া হয়ে গিয়েছে। তাই বলে এতটা বেয়াড়া হয়েছে তা তিনি কল্পনা করতেও পারেননি। কারো কারো মুখে আলতু ফালতু ছেলেদের সাথে তার মেলামেশার কথা শুনতে পেয়েছেন। তবে বিশ্বাস করেননি। ইদানীং সন্ধ্যের পার করে ঘরে ফেরাতে আসলাম সাহেবও ছেলেকে একটু একটু সন্দেহ করেতে শুরু করেছিলেন।
ঈদের তৃতীয় দিন তার ছেলেটা ঘরেই ফেরেনি। তার স্ত্রী ও মেয়েটা রাত দশটা পর্যন্ত এই কথাটি গোপন রেখেছিল। নানা দিকে খবর লাগিয়ে যখন কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি তখন শেষ সম্বল হিসেবে পরিবারের কর্তাকেই জানাতে বাধ্য হয়েছিল। আসলাম সাহেব হন্ত দন্ত হয়ে ছুটলেন তার ছেলের কথিত আড্ডা মারার স্থানগুলোতে। মাঝ রাত পর্যন্ত খোঁজা খুঁজি করে কোথাও তার ছেলেকে পেলেননা। অবশেষে হতাশ হয়ে হাতিরঝিলে এসে দাঁড়িয়ে রইলেন। হাতিরঝিলের সেই রঙিন আলো তখন আর তাঁকে আনন্দ দিচ্ছিলনা। হঠাৎ করেই পিছন থেকে কেউ তাঁকে আঘাত করল। আসলাম সাহেব বুঝতে পারলেন কোন ছিনতাইকারী হবে। তাই আঘাত সহ্য করেই তাদের কথা মত টাকা পয়সা, মোবাইল সব কিছু বেড় করে দিলেন। একটু দূর থেকেই তিনি খুব পরিচিত কারো গলার আওয়াজ পেলেন। ছিনতাইকারীদের পরবর্তি আঘাত পেয়ে জ্ঞান লোপ পাবার আগেই সেই পরিচিত কন্ঠে আড়ষ্ট ও মদ্যপ গলায় কেউ বলে উঠলো, “দোস্ত তোরা কি করিস রে?”
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
জীবন কঠিন, ঢাকার মতো ভয়ংকর শহরগুলোতে মানুষ সঠিক পথ থেকে হারিয়ে যেতে পারে সহজেই; ছোট লেখায় ভারী একটা সামাজিক দিক উঠে এসেছে।