নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একুশ

তানভীর তুষার

আসসালামু আলাইকুম।

তানভীর তুষার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শার্লক হোমস

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

আমার এই লেখাটা মোটেও আমার নিজস্ব বা মৌলিক কোনো লিখা নয়। জনপ্রিয় সাইট ROARমিডিয়ার বাংলা ভার্সন ROAR বাংলাবেশ কিছুদিন ধরে “নিজেকে শার্লক হোমস ভাবেন?” শিরোনামে একটা লিখা প্রকাশিত হচ্ছে। চার পর্বের ধারাবাহিক লিখাটার গুছানো রূপটাই এখানে তুলে ধরছি।
চলুন শুরু করা যাক।

কেইস একঃ খুনি
গ্রাম থেকে একটু দূরে একটি ছোট ঘরে এক বৃদ্ধ একাকী বাস করতেন। এক বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কাছে চিঠি নিয়ে এসে ডাকপিয়ন দেখতে পায় বৃদ্ধকে মেরে ফেলা হয়েছে। সে খুব দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আর কিছু আলামত সংগ্রহ করে।
আলামত গুলোর মধ্যে ছিল
১। দুই বোতল তরল দুধ
২। সোমবারে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকা
৩। একটি কর্মতালিকা
৪। একটি প্রচারপত্র
৫। একটি অপঠিত চিঠি
পুলিশ খুব দ্রুত খুনিকে সনাক্ত করলো।
খুনি কে? পুলিশ খুনিকে কিভাবে খুঁজে পেলো?
উত্তর


কেস নাম্বার দুইঃ চা রহস্য
এক মহিলা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলো। খাওয়া শেষে তিনি চা চাইলেন। চামচ নাড়াতে গিয়ে চায়ের কাপে মাছি
দেখে তিনি চিৎকার শুরু করলেন।
ওয়েটার এসে বললেন, আমি এটা বদলে ফ্রেশ আরেক কাপ দিচ্ছি।
নতুন কাপ আসার একটু পরেই মহিলা চিৎকার করে বললেন, "তুমি আমাকে একই চা আবার দিয়েছো’।
মহিলা কিভাবে বুঝলেন?
উত্তর

কেইস তিনঃ বরফ চা
দুটি মেয়ে বাইরে খাবার খেতে গেলো। খাবার শেষ করে তাঁরা বরফ দেয়া চা অর্ডার করলো। এক মেয়ে খুব দ্রুত তার চা শেষ করে ফেললো। এমনকি সে আরো ৪ টা বাড়তি খেলো। এই সময়ে অন্য মেয়েটি আস্তে ধীরে তার একমাত্র কাপটি শেষ করলো। কিছুক্ষন পর দেখা গেলো এক কাপ খাওয়া মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে মারা গেছে। পুলিশ এসে বের করলো সবগুলো কাপেই বিষ দেয়া। এবং বিষের কারণে মেয়েটি মারা গেছে।
কিন্তু ৫ কাপ খাওয়া মেয়েটির বেঁচে থাকা সবাইকে অবাক করে।
এত কাপ খেয়ে তার বেঁচে থাকার কারণ কি?

উত্তর
কেইস চারঃ ক্যাসেট ট্যাপ
এক ব্যক্তির লাশ তার বাড়িতে পাওয়া যায়। মাটিতে পরে থাকা লাশ দেখে পুলিশ কিছু আলামত পায়। লোকটির এক হাতে একটি ট্যাপ রেকোর্ডার, অন্য হাতে একটি বন্দুক। তার মাথায় গুলি লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে সুইসাইড।
পুলিশ টেপ রেকোর্ডারটি নিয়ে বাজালো। এবং সাথেই সাথেই লোকটির কন্ঠ শোনা গেলো, ' আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজ ইচ্ছায় নিজেকে শেষ করছি'। এর পরপরই গুলির আওয়াজ।
পুলিশ বুঝলো এটা সুইসাইড নয়, এটা খুন। কিভাবে বুঝা গেলো?

কেইস পাঁচঃ রুম বাছাই
এক খুনীর মৃত্যুদন্ড রায় হলো। তাকে তার মারা যাওয়ার রাস্তা বাছাই করতে দেয়া হলো।
১। এক রুম যেখানে অনবরত গোলাগুলি হচ্ছে।
২। অন্য এক রুম যেখানে বন্দুক হাতে সৈন্য দাঁড়ানো, ঢুকলেই গুলি করে মারা হবে।
৩। অন্য এক রুম যেখানে ক্ষুধার্ত সিংহরা অপেক্ষা করছে।
সে কোনটি বেছে নিবে? আপনার কাছে কোন রুমটি অপেক্ষাকৃত কম বিপদের?
উত্তর

কেইস ছয়ঃ আত্মহত্যা
একটি বহুতল ভবনের নিচে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেলো। তার পরে থাকার ভঙ্গি ও অন্যান্য আলামত দেখে মনে হয় সে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ আসলো সাথে একজন গোয়েন্দা। গোয়েন্দা কর্মকর্তা লাশটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করলো। ভবনটির দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবলো।
এরপর সে ভবনটির প্রতিটি তলায় যাওয়া শুরু করলো। এবং লাশটি যেখানে শুয়ে আছে ঐ বরাবর জানলাগুলো খুলে একটা করে পয়সা মাটিতে ফেলতে লাগলো। প্রতিটি তলাতেই তাকে জানালা খুলে পয়সা ফেলতে হয়েছে। এবং ভবনটির ছাদে যাওয়া যায় না।
সব তলা ঘুরে এসে নিচে নামার পর পুলিশকে জানালো এটা আত্মহত্যা নয়, এটা একটা হত্যাকান্ড।
সে কিভাবে বের করলো?

কেইস সাতঃ মিথ্যাবাদী
এক বন্ধের দিন সকালে এক ব্যাক্তির লাশ তার বাসার সামনে পাওয়া গেলো। লোকটির স্ত্রী পুলিশকে খবর দিলো। পুলিশ এসে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো। একে একে সবাই ঐ সময়ে কে কি করছিলো তা জানালো।
১। স্ত্রী বললেন তিনি ঘুমাচ্ছিলেন।
২। রাঁধুনি বললেন তিনি সকালের নাস্তা বানাচ্ছিলেন।
৩। মালি বলেন তিনি বাগান পরিস্কার করছিলেন।
৪। চাকর বললেন তিনি কাপড় ধুতে গিয়েছিলেন।
৫। আয়া বললেন তিনি ঐদিনের চিঠি দেখছিলেন।
পুলিশ সবার সাথে কথা শেষে খুনিকে ধরে নিয়ে যায়।
কিভাবে তাঁরা খুঁজে পেলো?
[link|http://tnvr2shar.blogspot.com/2017/12/blog-post_11.html|উত্তর

লেখার সমস্ত কৃতিত্ব এবং দ্বায় ROAR media বহন করে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.