![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসীম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির অংশ সৌরমন্ডলের অধীন পৃথিবী নামক গ্রহের স্থানীয় প্রাণী।
এই বাংলাকূলে একটা রেওয়াজ আছে আপনাকে যেইকোন একদিকের বুদ্ধিজীবী হিসেবে নিজের অবস্থান পোক্ত করতে হবে। এবং এটার জলন্ত সব উদাহরণ আমাদের সামনেই আমরা দেখতে পাই যদি আমরা গত ৫ ০ বছর বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী মহল নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখি। এখানে বুদ্ধিজীবী হতে হলে তমুক নেতার নামে দুই খানা বই লাগে অমুক নেতার সাথে ঘুরেফিরে মঞ্চ ভাগ করা লাগে। এই যখন বঙ্গকুলে বুদ্ধিজীবিতা সেখানে সদ্য প্রয়াত বদরুদ্দীন উমর ব্যতিক্রম।
বদরুদ্দীন উমরের জন্ম বেড়ে উঠা বর্তমান পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান জেলায়। তার পিতা বিখ্যাত বাঙালি রাজনীতিবিদ আবুল হাশিম। যেই আবুল হাশিম তার পুরো জীবন ব্যয় করেছেন বাংগালীর স্বাধীনতা এবং আত্মঅধিকারের জন্য। সেই বিখ্যাত বাবার সন্তান হিসেবে বদরুদ্দীন ঠিকই বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে অর্জন করে নিয়েছেন বাঙালি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে।
বদরুদ্দীন উমর পড়াশুনা করেছেন পৃথিবী বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং পড়াশুনা শেষ করে ফিরে এসেছিলেন স্বদেশের কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার জন্য। প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ ও শিক্ষকতা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও।
সব সময় প্রচার বিমুখ এই বুদ্ধিজীবী বেঁচে নিয়েছেন এক নীরব জীবন এবং লেখালেখি পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
এই বুদ্ধিজীবী ছাত্রকাল থেকে জড়িত ছিলেন বাংলা অঞ্চলের মানুষের অধিকার আদায়ের সব সংগ্রামেই। তার যুক্ত থাকা এবং সংগ্রামে অংশ গ্রহণ ছিল সাধারণ মানুষের মতই যেখানে পাওয়ার আশা না করেই যুক্ত ছিলেন আন্দলোন সংগ্রামে।
তার উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিলো ভাষা আন্দোলন থেকে ঊনসত্তরের গণঅভ্যূথান এবং একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলন। একাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে যেই রাজনৈতিক অস্তিরতা এবং বাকশাল কায়েম সেই সব সময়েও এই বুদ্ধিজীবি ছিলেন জনতার কাতারের তুলে ধরেছেন জনতার কথাই।
এর পরবর্তীতে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও ছিলেন এই বুদ্দিজীবীর দারুন অবস্থান। যেখানে অনেক বুদ্ধিজীবী বেঁচে নিয়েছিলেন স্বৈরাচার এরশাদের পদলেহন সেখানে এই বুদ্ধিজীবী ছিলেন ব্যতিক্রম।
জীবন যুদ্ধে তিনি পেয়েছিলেন এক দীর্ঘ জীবন প্রায় ৯৪ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন আমাদের মাজে। আর এই অতিবৃদ্ধ জীবনেও তিনি বিরোধিতা করেছিলেন স্বৈরাচার ও বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফ্যাসিবাদী হাসিনার শাসনের। তার সমমনা বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে নিয়েছিলেন হাসিনার পদলেহন এবং গুন কীর্তনে আর তিনি বেঁচে নিয়েছিলেন জনতার মঞ্চ। তাইতো এই বুদ্ধিজীবীকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা বলতো "বদ উমর" ।কারন তার সমমনা বুদ্ধিজীবীরা যখন হাসিনার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতো তখন তিনি হাসিনাকে স্বৈরাচার বলে আখ্যায়িত করতেন।
এই বৃদ্ধ জীবনেও অংশ গ্রহণ করেছিলেন চব্বিশের জেনজিদের পরিচালিত মহা গণঅভ্যুথান জুলাই বিপ্লবে। বয়স হিসেবে তিনি এই প্রজন্মের বিপ্লবীদের দাদার থেকে বয়সে বড় হবেন কিন্তু তিনিও তার সহজাত অবস্থান থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন এই বিপ্লবে।
জুলাই বিপ্লবকে আখ্যায়িত করেছিলেন এই ৫২, ৬ ৯, ৯ ০ থেকেই বেশি ভূমিধ্বস অভ্যুথান হিসেবে। এটাকে তিনি বর্ণানা করেছিলেন অভূতপূর্ব হিসেবে।
উনাকে অনেক ভাগ্যবানও বলা যায় কারন তিনি এই অঞ্চলের গত ১০০ বছরের সবচেয়ে বড় বড় রাজনৈতিক পটপরিবর্তন গুলো প্রত্যক্ষ করেছিলে। এবং সব গুলোতেই তিনি সরাসরি অংশ গ্রহণও করেছিলেন। খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তিনি সব গুলো পটপরিবর্তনে ছিলেন জনতার কাতারে।
সাধারণত আমাদের অঞ্চলের বুদ্ধিজীবীরা কোন একটা পক্ষে সীমাবদ্ধ থেকেছিলেন। কেউ হয়তো পাকিস্তান আন্দোলন ছিলেন কিন্তু বাংলদেশ আন্দোলনে ছিলেন না, আবার কেউ হয়তো বাংলাদেশ আন্দোলনে ছিলেন কিন্তু জুলাই আন্দলনে থাকেন নাই। কিন্তু বদরউদ্দিন উমর ছিলেন সব আন্দোলনেই এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবেই জনতার পক্ষেই ছিলেন সব আন্দোলনে। তাইতো উনাকে নিয়ে তেমন মাতামাতি নেই কিন্তু তিনি ঠিকই ইতিহাসের পাতায় নিজেকে রেখে গিয়েছেন সযত্নে।
তাইতো উনাকে আমার দৃষ্টিতে আমি বাঙালীর নোয়াম চমস্কির সাথে তুল্য মনে করি। প্রিয় উমর ভালো থাকবেন। মহান অধিপতি আপনার অনন্ত জীবনে শান্তি প্রধান করুক।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
গার্বেজ
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: উনার বেশ কিছু বই আমার কালেকশানে আছে, সময় করে পড়ার চেষ্টা করবো। তবে উনার বেশ নাম-ডাক শুনেছি। এর বেশী কিছু জানি না। ধন্যবাদ।
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার পুরো লেখাটাই কপি পেস্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: কিভাবে উনি ব্যতিক্রম?