![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএসএমএমইউ-এর পোস্ট-অপারেটিভ থেকে মা এখন কেবিনে, স্যালাইন বেইজড। প্রেসার লো। অথচ অপারেশনের আগেরদিন প্রেসার ছিল ১৮০--১০০। অপারেশন-টেনশন। ইউরোলোজির ডকটররা বললেন, এ অবস্থায় তো এনেসথেসিয়ার অনুমোদন হবে না। মুখে সাহসের কথা বললেও ইন্টারনালি মা'র টেনশন দূর হচ্ছিল না। আমি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ইউনিভার্সিটি সাইকোলোজির ডক্টর, আমাদের বন্ধু বিপ্লবকে ডেকে আনলাম। বিপ্লব মার প্রেসার কমানোর জন্য কথা বললেন। তাতে কাজ হলো। আমাদের মাসুম সবসময় মার অপারেশন সংক্রান্ত দৌড়াদৌড়িতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করায় আমারও টেনশন অনেক কমে গেছে। ইউরো সার্জারি টিমের অধ্যাপক ডক্টর সাজিদ হাসানসহ, নার্স টিম এবং অনেক মানুষের আন্তরিক ভালোবাসায় মার চিকিৎসা চলছে। অপারেশনপূর্ব, রোগির জীবন-মৃত্যুর দায়ভার সংক্রান্ত একটি কাগজে সাক্ষর করলাম, আমার ছোটবোন তখন আমার দিকে তাকিয়েছিল। আমার কী ভয় ছিল তখন? সাক্ষর করতে হবে এটা আমাকে জানানোর পর একটা 'কী-রকম যেন' অনুভূতি হচ্ছিল বটে, কিন্তু সাক্ষর করেছি নির্দ্বিধায়। তখন ভয় পাইনি। সম্পর্কের জায়গায় লিখেছি, সন্তান।
আমার মা সুস্থ হয়ে উঠছেন। আমি হ্যাপি। আসলে দুনিয়ায় মা যে কী-রকম একটা সম্পর্ক, এটা মনে হয় সন্তান বুঝতেই পারে না। আমিও পারি না। শুধু মা'র মুখ মলিন দেখলে নিজেকে অপরাধী লাগে...
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
আরজু পনি বলেছেন:
মা'র জন্যে দোয়া রইল।